image

????? ??????????????? ????? ????? ??????? ????

অবসর প্রদানের ক্ষেত্রে সরকারি চাকরি আইন ২০১৮ জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্ষেত্রেও বলবৎ হবে

রোববার, ১৫ ডিসেম্বর ২০২৪
প্রতিনিধি, গাজীপুর

অবসর প্রদানের ক্ষেত্রে সরকারি চাকরি আইন ২০১৮ জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্ষেত্রেও বলবৎ হবে|

বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ক্যাম্পাসের সিনেট হলে সিনেট অধিবেশনে চেয়ারম্যানের অভিভাষণে একথা বলেন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. এ এস এম আমানুল্লাহ। তিনি বলেন, “২৫ বছর চাকুরিপূর্তিতে ঐচ্ছিক অবসর গ্রহণ ও অবসর প্রদানের ক্ষেত্রে সরকারি চাকরি আইন ২০১৮ (২০১৮ সনের ৫৭নং আইন) এর ৪৪ ধারা ও ৪৫ ধারাসমূহ জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্ষেত্রেও বলবৎ হবে। সিন্ডিকেটের ২৬৩ তম সভায় গত ০৩ নভেম্বর এ বিধানাবলী সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।”

সিনেট অধিবেশনে বক্তব্যে ড. আমানুল্লাহ, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে তাঁর উপাচার্য হিসেবে যোগদানের পর শিক্ষার মানোন্নয়নে নেয়া বিভিন্ন পদক্ষেপের কথা তুলে ধরেন। তাঁর সভাপতিত্বে সিনেটের এ অধিবেশনে তিনি বলেন, “জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত কলেজসমূহের শিক্ষা কার্যক্রমে যুগান্তকারী পরিবর্তন আনতে হবে। শিক্ষার গুনগত মানোন্নয়ন করতে কারিকুলাম যুগোপযোগীকরণ ও সংস্কারের কাজ হাতে নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়।”

তিনি বলেন, “জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত কলেজগুলোতে শিক্ষকের ঘাটতি রয়েছে। এ ঘাটতি পূরণে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে।” উপাচার্য আরও বলেন, “আমি বিশ্ববিদ্যালয়ের দায়িত্ব গ্রহণের পর বিশ্ববিদ্যালয়ের সমস্যাগুলো চিহ্নিত করে সেগুলোর সমাধান ও সঠিক উন্নয়নের জন্য কর্মপরিকল্পনা ও কর্মসূচী হাতে নিয়েছি। গৃহীত কর্মপরিকল্পনার মধ্যে-শিক্ষক ও কর্মকর্তাদের পদোন্নতি, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বদলি, চাকরীচ্যুতদের পুনর্বহালের উদ্যোগ, সাময়িক বরখাস্ত প্রত্যাহার, ২৫ বছর চাকুরিপূর্তিতে অবসর প্রদান, বিভিন্ন কর্তৃপক্ষ (বডি) পুনর্গঠন, ব্যয় সংকচোন ও অপচয় রোধ, সত্যানুসন্ধান কমিটি (ঞৎঁঃয ঋরহফরহম ঈড়সসরঃঃবব) গঠন, আর্থিক কর্মকান্ডের অডিট পর্যালোচনা, কলেজ গভর্নিং বডি পুনর্গঠন, অধিভুক্তি সংক্রান্ত কার্যক্রম পরিচালনা, কারিকুলাম উন্নয়ন ও মূল্যায়ন কার্যক্রম, জমি অধিগ্রহন ও মডেল ক্যাম্পাস স্থাপনের পরিকল্পনা, ক্রীড়া কমপ্লেক্স নির্মাণের জন্য ভূমি বরাদ্দ, সাইবার সিকিউরিটি ও ফরেনসিক ইন্সটিটিউট স্থাপনের পরিকল্পনা, আঞ্চলিক কেন্দ্র স্থাপন প্রকল্প, অনার্স কোর্সে ভর্তি পরীক্ষা পুনরায় চালুকরণ, অন-ক্যাম্পাস স্নাতক প্রোগ্রামের রুলস রেগুলেশন নিরীক্ষণের জন্য কমিটি গঠন, এমফিল ও পিএইচডি প্রোগ্রামের থিসিস মূল্যায়নে দেশের সুযোগ্য অধ্যাপকদের সাথে আন্তর্জাতিক অধ্যাপকদের সংযুক্তিকরণ, রেগুলার মাস্টার্স শিক্ষার্থীদের দক্ষ মানবসম্পদে রূপান্তর, সেশনজট নিরসনের উদ্যোগ গ্রহণ, নার্সিং কোর্স এবং বিভিন্ন স্কিল বেইজড টেকনিক্যাল এন্ড ট্রেড কোর্স পরিচালনা ও সংযোজন, কলেজ মনিটরিং এর জন্য কচও নির্ধারণ, কলেজ র‌্যাংকিং, জেলাভিত্তিক মনিটরিং সেল গঠন, শিক্ষা বৃত্তি, মডেল কলেজ, অধ্যক্ষ সম্মেলন ২০২৪, কলেজ ডিরেক্টরি, ভাইস-চ্যান্সেলর’স এওয়ার্ড, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের এলামনাই এসোসিয়েশন গঠনের পদক্ষেপ উল্লেখযোগ্য।”

“প্রিলিমিনারি মাস্টার্স পরীক্ষায় উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের ১ম শ্রেণীর চাকরি আবেদনের ব্যবস্থা, একাডেমিক ক্যালেন্ডার প্রকাশ, উত্তরপত্র পুনর্মূল্যায়ন, দ্রুততম সময়ের মধ্যে ফলাফল প্রকাশ, সকল পরীক্ষা ঊগঝ সিস্টেমের আওতায় আনা, কলেজ শিক্ষকদের বুনিয়াদি প্রশিক্ষণ, মানবসম্পদ উন্নয়ন ও শুদ্ধাচার কার্যক্রম, মুক্তিযুদ্ধ ও বাংলাদেশ গবেষণা ইন্সটিটিউটের গবেষণা কার্যক্রম, আন্তর্জাাতিক বিষয়ক কার্যক্রম, বাংলাদেশ চেয়ার প্রতিষ্ঠা, সহপাঠক্রমিক কার্যক্রম, আন্তঃকলেজ সাংস্কৃতিক ও বিতর্ক প্রতিযোগিতা ২০২৫, আন্তঃকলেজ ক্রীড়া প্রতিযোগিতা ২০২৪ এবং ডিরেক্টরি করার উদ্যোগ হাতে নেয়া হয়েছে।” বলেন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য।

এছাড়াও এই অধিবেশনের শুরুতে তিনি স্মরণ করেন জুলাই-আগস্টের গণ অভ্যুত্থানের অকুতোভয় শহিদদের। তিনি বলেন, “শহিদদের রক্তের ঋণ কখনো শোধ হবে না। এ অভ্যুত্থানে নিহত জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল শহিদদের স্মৃতি চিরজাগ্রত রাখতে, অধিভুক্ত কলেজেসমূহে শিক্ষাবৃত্তি প্রদানের জন্য ট্রাস্ট গঠন, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে স্মৃতিফলক নির্মাণ এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থায়ী ভবন বা স্থাপনা শহিদ আবু সাইদ ও শহিদ মীর মুগ্ধ’র নামে নামকরণসহ বিভিন্ন সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। এছাড়াও অধিভুক্ত কলেজসমূহে শহিদ শিক্ষার্থীদের নামে স্মৃতিফলক নির্মাণ এবং কলেজ অডিটোরিয়াম, লাইব্রেরি ভবনসহ বিভিন্ন স্থাপনা নামকরণসহ স্মৃতিকর্ম উদ্বোধন করা হবে। ইতোমধ্যে গণ অভ্যুত্থানে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের নিহত শিক্ষার্থী পরিবারকে বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে ০৩ লক্ষ টাকা চেক প্রদান করা হয়েছে এবং আহত শিক্ষার্থীদের টিউশন ফি মওকুফ করা হয়েছে।”

জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সিনিয়র সচিব ও অতিরিক্ত সচিব, বিভাগীয় কমিশনারবৃন্দ, বিভিন্ন শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান, বিভিন্ন কলেজের অধ্যক্ষ ও শিক্ষাবিদসহ ৬৯ জন সিনেট সদস্য এবং সিন্ডিকেট থেকে আমন্ত্রিত অতিথি সিনেট অধিবেশনে অংশগ্রহণ করেন। এছাড়া সিনেট অধিবেশনে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর-১ প্রফেসর মোঃ লুৎফর রহমান, প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর-২ প্রফেসর ড. মোঃ নূরুল ইসলাম, ট্রেজারার প্রফেসর ড. এ টি এম জাফরুল আযম এবং সিনেট সচিব ও বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার মোল্লা মাহফুজ আল-হোসেন উপস্থিত ছিলেন।

‘শিক্ষা’ : আরও খবর

সম্প্রতি