রংপুরের পীরগাছা বহুভাষী সাটলিপি প্রশিক্ষণ একাডেমি আজ ১৫ দিন ধরে অধ্যক্ষহীন। গত ২৭ ডিসেম্বর অধ্যক্ষ শেখ এমদাদুল হক অবসর গ্রহণ করেন। তবে তাঁর স্থলাভিষিক্ত কাউকে দায়িত্ব না দেওয়ায় প্রতিষ্ঠানটির প্রশাসনিক কার্যক্রম থমকে গেছে। এমনকি, অদ্ভুত এক পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে অবসরপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ এখনও অফিস করছেন!
সংশ্লিষ্টরা জানান, নিয়ম অনুযায়ী জ্যেষ্ঠ সহকারী অধ্যাপককে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের দায়িত্ব দেওয়ার কথা। কিন্তু সভাপতি ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নাজমুল হক সুমনের কোনো উদ্যোগ দেখা যাচ্ছে না। এর ফলে প্রশাসনিক চেইন অব কমান্ড ভেঙে পড়েছে। শিক্ষকদের দাবি, ‘অধ্যক্ষ না থাকায় বেতন-ভাতা উত্তোলনসহ সব কাজ বন্ধ হয়ে গেছে। আমরা ইউএনওর কাছে আবেদন করেছি, কিন্তু ফল শূন্য।’
প্রতিষ্ঠানের একাধিক কর্মচারী জানিয়েছেন, দায়িত্ব প্রদানে এমন বিলম্ব রহস্যজনক। অনেকে বলছেন, ‘এই বিলম্ব শুধুই অবহেলা নয়; এর পেছনে হয়তো অন্য কোনো কারণ রয়েছে।’
গত কয়েক মাসে উপজেলায় প্রায় ৩০টিরও বেশি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। তদন্তের নামে শুধু তালবাহানা করা হচ্ছে। কোথাও আবার অভিযোগকারীরা আন্দোলন করতে বিভিন্ন কূটকৌশলে আন্দোলন থামিয়ে দেওয়া হচ্ছে।
শিক্ষক প্রতিনিধি শাহ জাহান সাজু বলেন, দায়িত্বহীন এই অবস্থায় আমরা চরম অনিশ্চয়তার মধ্যে আছি। প্রতিষ্ঠানটির প্রশাসনিক কার্যক্রম পুরোপুরি অচল হয়ে গেছে।
রংপুর জেলা প্রশাসক রবিউল ফয়সাল এ বিষয়ে সরাসরি কোনো মন্তব্য দেননি তবে ‘পরিপত্র দেখে বলতে হবে কতদিনের মধ্যে দায়িত্ব দিতে হবে। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে।’
পীরগাছার এই প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষহীনতা শুধু শিক্ষকদের হতাশ করেনি; শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যৎ নিয়েও উদ্বেগ তৈরি করেছে। দ্রুত পদক্ষেপ না নিলে পরিস্থিতি আরও অবনতি হতে পারে শঙ্কা প্রকাশ করেছেন স্থানীয়রা।
শনিবার, ১১ জানুয়ারী ২০২৫
রংপুরের পীরগাছা বহুভাষী সাটলিপি প্রশিক্ষণ একাডেমি আজ ১৫ দিন ধরে অধ্যক্ষহীন। গত ২৭ ডিসেম্বর অধ্যক্ষ শেখ এমদাদুল হক অবসর গ্রহণ করেন। তবে তাঁর স্থলাভিষিক্ত কাউকে দায়িত্ব না দেওয়ায় প্রতিষ্ঠানটির প্রশাসনিক কার্যক্রম থমকে গেছে। এমনকি, অদ্ভুত এক পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে অবসরপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ এখনও অফিস করছেন!
সংশ্লিষ্টরা জানান, নিয়ম অনুযায়ী জ্যেষ্ঠ সহকারী অধ্যাপককে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের দায়িত্ব দেওয়ার কথা। কিন্তু সভাপতি ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নাজমুল হক সুমনের কোনো উদ্যোগ দেখা যাচ্ছে না। এর ফলে প্রশাসনিক চেইন অব কমান্ড ভেঙে পড়েছে। শিক্ষকদের দাবি, ‘অধ্যক্ষ না থাকায় বেতন-ভাতা উত্তোলনসহ সব কাজ বন্ধ হয়ে গেছে। আমরা ইউএনওর কাছে আবেদন করেছি, কিন্তু ফল শূন্য।’
প্রতিষ্ঠানের একাধিক কর্মচারী জানিয়েছেন, দায়িত্ব প্রদানে এমন বিলম্ব রহস্যজনক। অনেকে বলছেন, ‘এই বিলম্ব শুধুই অবহেলা নয়; এর পেছনে হয়তো অন্য কোনো কারণ রয়েছে।’
গত কয়েক মাসে উপজেলায় প্রায় ৩০টিরও বেশি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। তদন্তের নামে শুধু তালবাহানা করা হচ্ছে। কোথাও আবার অভিযোগকারীরা আন্দোলন করতে বিভিন্ন কূটকৌশলে আন্দোলন থামিয়ে দেওয়া হচ্ছে।
শিক্ষক প্রতিনিধি শাহ জাহান সাজু বলেন, দায়িত্বহীন এই অবস্থায় আমরা চরম অনিশ্চয়তার মধ্যে আছি। প্রতিষ্ঠানটির প্রশাসনিক কার্যক্রম পুরোপুরি অচল হয়ে গেছে।
রংপুর জেলা প্রশাসক রবিউল ফয়সাল এ বিষয়ে সরাসরি কোনো মন্তব্য দেননি তবে ‘পরিপত্র দেখে বলতে হবে কতদিনের মধ্যে দায়িত্ব দিতে হবে। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে।’
পীরগাছার এই প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষহীনতা শুধু শিক্ষকদের হতাশ করেনি; শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যৎ নিয়েও উদ্বেগ তৈরি করেছে। দ্রুত পদক্ষেপ না নিলে পরিস্থিতি আরও অবনতি হতে পারে শঙ্কা প্রকাশ করেছেন স্থানীয়রা।