যোগ্যতা না থাকা সত্বেও জ্বালিয়াতির মাধ্যমে তথ্য গোপন করে সরকারী বিধান লংঘন করার অভিযোগে রংপুরের সমাজকল্যাণ বিদ্যাবিথী স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ নাহিদ ইয়াসমিনের বিরুদ্ধে দুদক আইনে মামলা করেছে রংপুর দুদক। মামলার বাদী রংপুর দুদক কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মোঃহোসাইন শরীফ।
মামলায় উল্লেখ করা হয়, সমাজকল্যাণ বিদ্যাবিথী স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ নাহিদ ইয়াসমিন ১৯৭৭ সালে রাজশাহী বোর্ডের অধীনে মাধ্যমিক তৃতীয় বিভাগে, ১৯৭৯ সালে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষাতেও তৃতীয় বিভাগে, ১৯৮২ সালে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইসলামের ইতিহাস বিভাগে স্নাতক পরীক্ষায় দ্বিতীয় বিভাগে এবং ১৯৮৩ সালে একই বিভাগ থেকে এমএ পরীক্ষায় দ্বিতীয় বিভাগে উত্তীর্ণ হন। ১৯৯৫ সালের বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক ও কর্মচারীদের শিক্ষাগত যোগ্যতা ও অভিজ্ঞতা সংক্রান্ত নীতিমালা অনুযায়ী দুটি বিভাগে তৃতীয় শ্রেনী থাকায় তার অধ্যক্ষ পদে নিয়োগের আবেদন করার যোগ্যতাই ছিলোনা।
মামলায় বলা হয় দুর্নীতি দমন কমিশন সমন্বিত জেলা কার্যালয় রংপুরের অনুসন্ধানকালে সংগৃহীত রেকর্ডপত্র ও সাক্ষীর বক্তব্য পর্যালোচনায় দেখা যায় নাহিদ ইয়াসমিন ১৯৮৭ সালের ৭ জুলাই ওই প্রতিষ্ঠানে ইসলামের ইতিহাস বিষয়ের প্রভাষক হিসেবে যোগদান করেন। তিনি ১৯৮৮ সালের ১ মার্চ এমপিওভুক্ত হন। তিনি ১৯৯৫ সালে একই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পদোন্নতি পেয়ে সহকারী অধ্যাপক হিসেবে নিযুক্ত হন। ওই পদে দায়িত্ব পালনকালে সাবেক অধ্যক্ষের অবসরজনিত কারণে ২০০১ সালের ৯ জানুয়ারী অনুষ্ঠিত ম্যানেজিং কমিটি সভার সিদ্ধান্তের আলোকে রংপুর থেকে প্রকাশিত একটি পত্রিকায় ২০০২ সালের ১৬ নভেম্বর বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। বিজ্ঞপ্তিতে অধ্যক্ষ নিয়োগের ক্ষেত্রে শিক্ষাগত যোগ্যতা কী হবে তা ইচ্ছাকৃতভাবে উল্লেখ করা হয়নি।
এমপিওভুক্ত বেসরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক ও অধ্যক্ষ নিয়োগ সংক্রান্ত বিদ্যমান নীতিমালা পর্যালোচনা করে দেখা যায় , বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে অধ্যক্ষ পদে নিয়োগের ক্ষেত্রে দ্বিতীয় শ্রেণীর অনার্সসহ দ্বিতীয় শ্রেণীর স্নাতকোত্তর ডিগ্রি থাকতে হবে। সব পরীক্ষায় দ্বিতীয় বিভাগ থাকতে হবে। জনবল কাঠামো ১৯৯৫ অনুযায়ী শিক্ষাগত যোগ্যতার ক্ষেত্রে দুটি তৃতীয় শ্রেণি গ্রহণযোগ্য ছিল না। যেহেতু নাহিদ ইয়াসমিনের অধ্যক্ষ নিয়োগকালে দুটি তৃতীয় বিভাগ ছিল, সেক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট শিক্ষকের নিয়োগে চরম অনিয়ম হয়েছে।
মামলার বাদী দুদক রংপুর কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক হোসাইন শরীফ জানান নাহিদ ইয়াসমিন নীতিমালা অমান্য করে অধ্যক্ষ পদে নিয়োগ পেয়েছেন । তার বিরুদ্ধে দুদকের রংপুর সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের উপপরিচালক বরাবর আবেদন করা হয়। অভিযোগটি আমলে নিয়ে তদন্ত শুরু করে দুদক। তদন্ত শেষে অভিযোগ প্রাথমিক ভাবে প্রমানিত হওয়ায় দন্ড বিধি আইনের৪০৯/৪২০/৪৬৭/৪৬৮/৪৭১ ধারা এবং ১৯৪৭ সালের দুর্নিতী প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ধারায় মামলা দায়ের করা হয়।
বুধবার, ১৭ মে ২০২৩
যোগ্যতা না থাকা সত্বেও জ্বালিয়াতির মাধ্যমে তথ্য গোপন করে সরকারী বিধান লংঘন করার অভিযোগে রংপুরের সমাজকল্যাণ বিদ্যাবিথী স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ নাহিদ ইয়াসমিনের বিরুদ্ধে দুদক আইনে মামলা করেছে রংপুর দুদক। মামলার বাদী রংপুর দুদক কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মোঃহোসাইন শরীফ।
মামলায় উল্লেখ করা হয়, সমাজকল্যাণ বিদ্যাবিথী স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ নাহিদ ইয়াসমিন ১৯৭৭ সালে রাজশাহী বোর্ডের অধীনে মাধ্যমিক তৃতীয় বিভাগে, ১৯৭৯ সালে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষাতেও তৃতীয় বিভাগে, ১৯৮২ সালে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইসলামের ইতিহাস বিভাগে স্নাতক পরীক্ষায় দ্বিতীয় বিভাগে এবং ১৯৮৩ সালে একই বিভাগ থেকে এমএ পরীক্ষায় দ্বিতীয় বিভাগে উত্তীর্ণ হন। ১৯৯৫ সালের বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক ও কর্মচারীদের শিক্ষাগত যোগ্যতা ও অভিজ্ঞতা সংক্রান্ত নীতিমালা অনুযায়ী দুটি বিভাগে তৃতীয় শ্রেনী থাকায় তার অধ্যক্ষ পদে নিয়োগের আবেদন করার যোগ্যতাই ছিলোনা।
মামলায় বলা হয় দুর্নীতি দমন কমিশন সমন্বিত জেলা কার্যালয় রংপুরের অনুসন্ধানকালে সংগৃহীত রেকর্ডপত্র ও সাক্ষীর বক্তব্য পর্যালোচনায় দেখা যায় নাহিদ ইয়াসমিন ১৯৮৭ সালের ৭ জুলাই ওই প্রতিষ্ঠানে ইসলামের ইতিহাস বিষয়ের প্রভাষক হিসেবে যোগদান করেন। তিনি ১৯৮৮ সালের ১ মার্চ এমপিওভুক্ত হন। তিনি ১৯৯৫ সালে একই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পদোন্নতি পেয়ে সহকারী অধ্যাপক হিসেবে নিযুক্ত হন। ওই পদে দায়িত্ব পালনকালে সাবেক অধ্যক্ষের অবসরজনিত কারণে ২০০১ সালের ৯ জানুয়ারী অনুষ্ঠিত ম্যানেজিং কমিটি সভার সিদ্ধান্তের আলোকে রংপুর থেকে প্রকাশিত একটি পত্রিকায় ২০০২ সালের ১৬ নভেম্বর বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। বিজ্ঞপ্তিতে অধ্যক্ষ নিয়োগের ক্ষেত্রে শিক্ষাগত যোগ্যতা কী হবে তা ইচ্ছাকৃতভাবে উল্লেখ করা হয়নি।
এমপিওভুক্ত বেসরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক ও অধ্যক্ষ নিয়োগ সংক্রান্ত বিদ্যমান নীতিমালা পর্যালোচনা করে দেখা যায় , বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে অধ্যক্ষ পদে নিয়োগের ক্ষেত্রে দ্বিতীয় শ্রেণীর অনার্সসহ দ্বিতীয় শ্রেণীর স্নাতকোত্তর ডিগ্রি থাকতে হবে। সব পরীক্ষায় দ্বিতীয় বিভাগ থাকতে হবে। জনবল কাঠামো ১৯৯৫ অনুযায়ী শিক্ষাগত যোগ্যতার ক্ষেত্রে দুটি তৃতীয় শ্রেণি গ্রহণযোগ্য ছিল না। যেহেতু নাহিদ ইয়াসমিনের অধ্যক্ষ নিয়োগকালে দুটি তৃতীয় বিভাগ ছিল, সেক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট শিক্ষকের নিয়োগে চরম অনিয়ম হয়েছে।
মামলার বাদী দুদক রংপুর কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক হোসাইন শরীফ জানান নাহিদ ইয়াসমিন নীতিমালা অমান্য করে অধ্যক্ষ পদে নিয়োগ পেয়েছেন । তার বিরুদ্ধে দুদকের রংপুর সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের উপপরিচালক বরাবর আবেদন করা হয়। অভিযোগটি আমলে নিয়ে তদন্ত শুরু করে দুদক। তদন্ত শেষে অভিযোগ প্রাথমিক ভাবে প্রমানিত হওয়ায় দন্ড বিধি আইনের৪০৯/৪২০/৪৬৭/৪৬৮/৪৭১ ধারা এবং ১৯৪৭ সালের দুর্নিতী প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ধারায় মামলা দায়ের করা হয়।