‘এই দেশে এক শহর ছিল’ গানটি দিয়ে ব্যাপকভাবে আলোচনায় আসেন সেই সময়ের তরুণ গায়ক নাফিস কামাল। ১৯৯৮ সালের অক্টোবরে ম্যাগাজিন অনুষ্ঠান ‘ইত্যাদি’তে প্রচারিত হয় গানটি। গানটি কাওসার আহমেদ চৌধুরীর লেখা, সুর ছিল নকীব খানের। দীর্ঘ বিরতির পর আবার গানে ফিরেছেন নাফিস। চলচ্চিত্রকার ঋত্বিক ঘটকের স্মরণে তারই ঘনিষ্ঠ বন্ধু প্রয়াত গীতিকবি কাওসার আহমেদ চৌধুরীর লেখা গানে কণ্ঠ দিলেন তিনি। ‘স্টুডিও আবোল তাবোল’ টিম গানটি এনিমেটেড ফর্মে চিত্রায়ণ করছে। ঋত্বিক ঘটকের প্রয়াণদিবস উপলক্ষে ৬ ফেব্রুয়ারি রাতে শিল্পী নাফিস কামাল এ ঘোষণা দেন। ২২ ফেব্রুয়ারি গীতিকবি কাওসার আহমেদ চৌধুরীর প্রয়াণদিবসে মুক্তি পাবে এই গানের ভিডিও চিত্র। ওই দিন গানটি নাফিসের ইউটিউব চ্যানেল থেকে অনুষ্ঠানিকভাবে মুক্তি দেয়া হবে বলেও তিনি জানান। নাফিস কামালের ভাষ্য, ঋত্বিক ঘটক ও কবি কাওসার আহমেদ চৌধুরীর সম্পর্কের গভীর ভাব, আবেগ আর শূন্যতার বেদনা নিয়ে রচিত হয়েছে ‘স্মরণে ঋত্বিক’। নাফিস জানান, তিনি একটা সময় গান ছেড়েই দিয়েছিলেন। প্রায় ১৫ বছর গান থেকে দূরে ছিলেন। তার ভাষ্যে, ‘গানের সঙ্গে অভিমানই ছিল। সম্পূর্ণ দূরে রাখার চেষ্টা করেছি। কিন্তু একসময় দেখলাম, গান ছাড়া থাকতে পারছি না, গান না করলে আমার ভালো লাগে না। বছর তিনেক আগে ঠিক করলাম গানে ফিরি। গানও ভালো থাকুক, আমিও ভালো থাকি। এখন থেকে নিয়মিতই গান করছি। বন্ধুরা রীতিমতো গালমন্দ দিয়ে গান করিয়েছে। ওদের মতে, গান করলে
নাকি আমি ভালো থাকি। শিগগিরই আরও নতুন গান আসবে। ভালো থাকার লোভেই নিয়মিত গান করব।’ বহুদিন ধরে অপ্রকাশিত থাকা এ গানটি সৈয়দ কল্লোলের সুরে ও তুষার রহমানের সংগীতায়োজনে নতুন আঙ্গিকে নির্মাণ করা হয়েছে। ইউনিভার্সাল মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের সহযোগিতায় করা গানটির প্রযোজক সংস্থা কুল এক্সপোজারের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এরশাদুল হক জানান, কবি নিজে তার এ গানটি সংগীতায়োজনের জন্য নাফিস কামালের হাতে তুলে দিয়েছিলেন। যদিও এর সুরারোপ শুনে যেতে পারেননি তিনি। নতুন এই গান প্রসঙ্গে সুরকার সৈয়দ কল্লোল জানান, গানটির মধ্যে তাদের শিল্প, সাহিত্য, সংগীত ও চলচ্চিত্রচর্চার বর্ণনার মাধ্যমে উঠে এসেছে বাংলার মানুষের জীবনসংগ্রাম, দুর্দশা ও আত্মপরিচয়ের সন্ধান। সুদূর অস্ট্রেলিয়া থেকে কাওসার আহমেদ চৌধুরীর একমাত্র সন্তান প্রতীক তার বাবার গানটির মূল লেখা স্ক্রিপ্ট থেকে শুরু করে সেই সময়কার কিছু আলোকচিত্র ও তথ্য প্রদান করে সহায়তা করেছেন।
শনিবার, ০৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
‘এই দেশে এক শহর ছিল’ গানটি দিয়ে ব্যাপকভাবে আলোচনায় আসেন সেই সময়ের তরুণ গায়ক নাফিস কামাল। ১৯৯৮ সালের অক্টোবরে ম্যাগাজিন অনুষ্ঠান ‘ইত্যাদি’তে প্রচারিত হয় গানটি। গানটি কাওসার আহমেদ চৌধুরীর লেখা, সুর ছিল নকীব খানের। দীর্ঘ বিরতির পর আবার গানে ফিরেছেন নাফিস। চলচ্চিত্রকার ঋত্বিক ঘটকের স্মরণে তারই ঘনিষ্ঠ বন্ধু প্রয়াত গীতিকবি কাওসার আহমেদ চৌধুরীর লেখা গানে কণ্ঠ দিলেন তিনি। ‘স্টুডিও আবোল তাবোল’ টিম গানটি এনিমেটেড ফর্মে চিত্রায়ণ করছে। ঋত্বিক ঘটকের প্রয়াণদিবস উপলক্ষে ৬ ফেব্রুয়ারি রাতে শিল্পী নাফিস কামাল এ ঘোষণা দেন। ২২ ফেব্রুয়ারি গীতিকবি কাওসার আহমেদ চৌধুরীর প্রয়াণদিবসে মুক্তি পাবে এই গানের ভিডিও চিত্র। ওই দিন গানটি নাফিসের ইউটিউব চ্যানেল থেকে অনুষ্ঠানিকভাবে মুক্তি দেয়া হবে বলেও তিনি জানান। নাফিস কামালের ভাষ্য, ঋত্বিক ঘটক ও কবি কাওসার আহমেদ চৌধুরীর সম্পর্কের গভীর ভাব, আবেগ আর শূন্যতার বেদনা নিয়ে রচিত হয়েছে ‘স্মরণে ঋত্বিক’। নাফিস জানান, তিনি একটা সময় গান ছেড়েই দিয়েছিলেন। প্রায় ১৫ বছর গান থেকে দূরে ছিলেন। তার ভাষ্যে, ‘গানের সঙ্গে অভিমানই ছিল। সম্পূর্ণ দূরে রাখার চেষ্টা করেছি। কিন্তু একসময় দেখলাম, গান ছাড়া থাকতে পারছি না, গান না করলে আমার ভালো লাগে না। বছর তিনেক আগে ঠিক করলাম গানে ফিরি। গানও ভালো থাকুক, আমিও ভালো থাকি। এখন থেকে নিয়মিতই গান করছি। বন্ধুরা রীতিমতো গালমন্দ দিয়ে গান করিয়েছে। ওদের মতে, গান করলে
নাকি আমি ভালো থাকি। শিগগিরই আরও নতুন গান আসবে। ভালো থাকার লোভেই নিয়মিত গান করব।’ বহুদিন ধরে অপ্রকাশিত থাকা এ গানটি সৈয়দ কল্লোলের সুরে ও তুষার রহমানের সংগীতায়োজনে নতুন আঙ্গিকে নির্মাণ করা হয়েছে। ইউনিভার্সাল মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের সহযোগিতায় করা গানটির প্রযোজক সংস্থা কুল এক্সপোজারের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এরশাদুল হক জানান, কবি নিজে তার এ গানটি সংগীতায়োজনের জন্য নাফিস কামালের হাতে তুলে দিয়েছিলেন। যদিও এর সুরারোপ শুনে যেতে পারেননি তিনি। নতুন এই গান প্রসঙ্গে সুরকার সৈয়দ কল্লোল জানান, গানটির মধ্যে তাদের শিল্প, সাহিত্য, সংগীত ও চলচ্চিত্রচর্চার বর্ণনার মাধ্যমে উঠে এসেছে বাংলার মানুষের জীবনসংগ্রাম, দুর্দশা ও আত্মপরিচয়ের সন্ধান। সুদূর অস্ট্রেলিয়া থেকে কাওসার আহমেদ চৌধুরীর একমাত্র সন্তান প্রতীক তার বাবার গানটির মূল লেখা স্ক্রিপ্ট থেকে শুরু করে সেই সময়কার কিছু আলোকচিত্র ও তথ্য প্রদান করে সহায়তা করেছেন।