এ বছর জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাককানইবি) প্রথম শিক্ষক হিসেবে গবেষণায় মর্যাদাপূর্ণ ‘নজরুল পদক-২০২৫’ পেয়েছেন নজরুল গবেষক ও জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গীত বিভাগের সাবেক অধ্যাপক ড. রশিদুন নবী।
বিশ্ববিদ্যালয়ের দু’ দিনব্যাপী ১২৬তম নজরুল জয়ন্তী উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় দিন এ পদক দেয়া হয়।
অধ্যাপক ড. রশিদুন নবী একজন খ্যাতনামা শিক্ষাবিদ, নজরুল গবেষক এবং সঙ্গীতজ্ঞ। তিনি ১৯৫৭ সালের ১ জানুয়ারি মাগুরা জেলার শালিখা থানার দরিখাটোর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবা ছিলেন আব্দুস সামাদ এবং মা সৈয়দা রাবেয়া খাতুন। ছাত্রাবস্থায় ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেন তিনি। বাংলা ও সঙ্গীতে স্নাতকোত্তর ডিগ্রিধারী এই গুণীজন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে নজরুল সঙ্গীতের শিল্পরূপ ও সুরবৈচিত্র্য বিষয়ে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেন। তার গবেষণা তত্ত্বাবধায়ক ছিলেন অধ্যাপক ড. আবুল আহসান চৌধুরী।
সঙ্গীতে তার পথচলা শুরু হয় উস্তাদ ফুল মোহাম্মদের কাছে তালিম নিয়ে। পরবর্তী সময়ে তিনি উস্তাদ নারায়ণচন্দ্র বসাক, উস্তাদ সৈয়দ জাকির হোসেন, শেখ লুৎফর রহমান, সুধীন দাশ, খালিদ হোসেন ও আবদুল লতিফের মতো প্রখ্যাত গুণীজনদের সান্নিধ্যে প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেন। দীর্ঘ দিন নজরুল ইনস্টিটিউটে গবেষণায় নিয়োজিত ছিলেন তিনি।
পরবর্তী সময়ে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গীত বিভাগে অধ্যাপকের দায়িত্ব পালন শেষে অবসর গ্রহণ করেন। তিনি নজরুল সঙ্গীতের সবচেয়ে বৃহৎ সংকলনগ্রন্থ ‘নজরুল সংগীত সংগ্রহ’ (৩১৭৪টি গান সংকলিত) এর সম্পাদক হিসেবে সমাদৃত। শিল্পী, প্রশিক্ষক, গবেষক, স্বরলিপিকার এবং সংগঠক-সব ভূমিকায় তিনি দেশ-বিদেশে সুপরিচিত।
এ বছর জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের মর্যাদাপূর্ণ পদক নজরুল পদক-২০২৫-এর গবেষণা ক্যাটাগরিতে তাকে সম্মাননা দেয়া হয়। তার এই পদক প্রাপ্তিতে আনন্দিত বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গীত বিভাগের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা।
বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গীত বিভাগের অধ্যাপক ড. আহমেদ শাকিল হাসমী বলেন, ‘আমার পিতৃতুল্য শিক্ষককে এ সম্মাননা দেয়ায় আমি ভীষণ আনন্দিত ও গর্বিত। তার মতো গুণী গবেষককে নজরুল পদক প্রদান করায় নজরুল পদক ধন্য হলো।’
সঙ্গীত বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ড. সুশান্ত কুমার সরকার বলেন, ‘এটা আমার কাছে আকাশসম অনুভূতি। কাজী নজরুল ইসলামের নামে যে বিশ্ববিদ্যালয় সেই বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন শিক্ষককে এই সম্মাননা দেয়া পুরো বিশ্ববিদ্যালয় পরিবার তথা আমার সঙ্গীত বিভাগের জন্য গর্বের ও সম্মানের। তিনি নজরুলের সৃষ্টি নিয়ে বহু বই লিখেছেন ও গবেষণা করেছেন। তিনি আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের আমার সঙ্গীত বিভাগকে সমৃদ্ধ করে দিয়ে গেছেন। তিনি এই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক হিসেবে একমাত্র মুক্তিযোদ্ধা। তার মতো গুণীজনকে এই পদক দেওয়ায় আমার সঙ্গীত বিভাগ পরিবার আনন্দিত, উচ্ছ্বসিত ও গৌরবান্বিত।’
নজরুল পদকপ্রাপ্তির প্রতিক্রিয়ায় অধ্যাপক ড. রশিদুন নবী বলেন, ‘জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের সঙ্গীতের শুদ্ধ চর্চার ক্ষেত্রে আমি কাজ করে যাচ্ছি প্রায় চার যুগ ধরে। কোনো পুরস্কার কিংবা সম্মাননা পাবার আশায় আমি কাজ করিনি। দেশ-বিদেশ থেকে অনেক পুরস্কার ও সম্মাননা আমি পেয়েছি। পুরস্কার কিংবা সম্মাননা পেলে কাজের উৎসাহ ও দায়িত্ব অনেক বেড়ে যায়। এবার আমাকে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে নজরুল পদক-২০২৫ প্রদান করা হচ্ছে। এটা আমার জন্য অনেক আনন্দের ও গৌরবের। কারণ, আমি এই বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম শিক্ষক যাকে এই বিরল সম্মাননা দেয়া হচ্ছে। এই বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি প্রফেসর ড. মো: জাহাঙ্গীর আলমসহ যারা আমাকে এই ‘নজরুল পদক’ প্রদান করার জন্য মনোনীত করেছেন, তাদের সকলকে জানাই ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা। আমি সর্বোপরি মহান আল্লাহর কাছে কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি অধ্যাপক ড. মো: জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘তিনি একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা। তিনি নজরুল চর্চায় ও নজরুল গবেষণায় অনবদ্য অবদান রেখেছেন। তাকে এই পদক দিয়ে সম্মানিত করতে পারায় জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয় পরিবার গৌরবান্বিত।’
অন্যদিকে, বরেণ্য সঙ্গীতশিল্পী ইয়াকুব আলী খানকে সঙ্গীত ক্যাটাগরিতে নজরুল পদক দেয়া হচ্ছে। নজরুল অ্যাকাডেমিসহ বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে তিনি প্রশিক্ষক, পরীক্ষক এবং ভারপ্রাপ্ত প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছেন।
দু’ বরেণ্য সঙ্গীত ব্যক্তিত্বকে নজরুল পদকে ভূষিত করায় নজরুলচর্চায় নিয়োজিত সংগঠন ও ব্যক্তিরা পদক প্রদান কমিটিকে আন্তরিক অভিনন্দন ও ধন্যবাদ জানিয়েছেন।
মঙ্গলবার, ২৭ মে ২০২৫
এ বছর জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাককানইবি) প্রথম শিক্ষক হিসেবে গবেষণায় মর্যাদাপূর্ণ ‘নজরুল পদক-২০২৫’ পেয়েছেন নজরুল গবেষক ও জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গীত বিভাগের সাবেক অধ্যাপক ড. রশিদুন নবী।
বিশ্ববিদ্যালয়ের দু’ দিনব্যাপী ১২৬তম নজরুল জয়ন্তী উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় দিন এ পদক দেয়া হয়।
অধ্যাপক ড. রশিদুন নবী একজন খ্যাতনামা শিক্ষাবিদ, নজরুল গবেষক এবং সঙ্গীতজ্ঞ। তিনি ১৯৫৭ সালের ১ জানুয়ারি মাগুরা জেলার শালিখা থানার দরিখাটোর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবা ছিলেন আব্দুস সামাদ এবং মা সৈয়দা রাবেয়া খাতুন। ছাত্রাবস্থায় ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেন তিনি। বাংলা ও সঙ্গীতে স্নাতকোত্তর ডিগ্রিধারী এই গুণীজন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে নজরুল সঙ্গীতের শিল্পরূপ ও সুরবৈচিত্র্য বিষয়ে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেন। তার গবেষণা তত্ত্বাবধায়ক ছিলেন অধ্যাপক ড. আবুল আহসান চৌধুরী।
সঙ্গীতে তার পথচলা শুরু হয় উস্তাদ ফুল মোহাম্মদের কাছে তালিম নিয়ে। পরবর্তী সময়ে তিনি উস্তাদ নারায়ণচন্দ্র বসাক, উস্তাদ সৈয়দ জাকির হোসেন, শেখ লুৎফর রহমান, সুধীন দাশ, খালিদ হোসেন ও আবদুল লতিফের মতো প্রখ্যাত গুণীজনদের সান্নিধ্যে প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেন। দীর্ঘ দিন নজরুল ইনস্টিটিউটে গবেষণায় নিয়োজিত ছিলেন তিনি।
পরবর্তী সময়ে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গীত বিভাগে অধ্যাপকের দায়িত্ব পালন শেষে অবসর গ্রহণ করেন। তিনি নজরুল সঙ্গীতের সবচেয়ে বৃহৎ সংকলনগ্রন্থ ‘নজরুল সংগীত সংগ্রহ’ (৩১৭৪টি গান সংকলিত) এর সম্পাদক হিসেবে সমাদৃত। শিল্পী, প্রশিক্ষক, গবেষক, স্বরলিপিকার এবং সংগঠক-সব ভূমিকায় তিনি দেশ-বিদেশে সুপরিচিত।
এ বছর জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের মর্যাদাপূর্ণ পদক নজরুল পদক-২০২৫-এর গবেষণা ক্যাটাগরিতে তাকে সম্মাননা দেয়া হয়। তার এই পদক প্রাপ্তিতে আনন্দিত বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গীত বিভাগের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা।
বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গীত বিভাগের অধ্যাপক ড. আহমেদ শাকিল হাসমী বলেন, ‘আমার পিতৃতুল্য শিক্ষককে এ সম্মাননা দেয়ায় আমি ভীষণ আনন্দিত ও গর্বিত। তার মতো গুণী গবেষককে নজরুল পদক প্রদান করায় নজরুল পদক ধন্য হলো।’
সঙ্গীত বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ড. সুশান্ত কুমার সরকার বলেন, ‘এটা আমার কাছে আকাশসম অনুভূতি। কাজী নজরুল ইসলামের নামে যে বিশ্ববিদ্যালয় সেই বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন শিক্ষককে এই সম্মাননা দেয়া পুরো বিশ্ববিদ্যালয় পরিবার তথা আমার সঙ্গীত বিভাগের জন্য গর্বের ও সম্মানের। তিনি নজরুলের সৃষ্টি নিয়ে বহু বই লিখেছেন ও গবেষণা করেছেন। তিনি আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের আমার সঙ্গীত বিভাগকে সমৃদ্ধ করে দিয়ে গেছেন। তিনি এই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক হিসেবে একমাত্র মুক্তিযোদ্ধা। তার মতো গুণীজনকে এই পদক দেওয়ায় আমার সঙ্গীত বিভাগ পরিবার আনন্দিত, উচ্ছ্বসিত ও গৌরবান্বিত।’
নজরুল পদকপ্রাপ্তির প্রতিক্রিয়ায় অধ্যাপক ড. রশিদুন নবী বলেন, ‘জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের সঙ্গীতের শুদ্ধ চর্চার ক্ষেত্রে আমি কাজ করে যাচ্ছি প্রায় চার যুগ ধরে। কোনো পুরস্কার কিংবা সম্মাননা পাবার আশায় আমি কাজ করিনি। দেশ-বিদেশ থেকে অনেক পুরস্কার ও সম্মাননা আমি পেয়েছি। পুরস্কার কিংবা সম্মাননা পেলে কাজের উৎসাহ ও দায়িত্ব অনেক বেড়ে যায়। এবার আমাকে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে নজরুল পদক-২০২৫ প্রদান করা হচ্ছে। এটা আমার জন্য অনেক আনন্দের ও গৌরবের। কারণ, আমি এই বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম শিক্ষক যাকে এই বিরল সম্মাননা দেয়া হচ্ছে। এই বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি প্রফেসর ড. মো: জাহাঙ্গীর আলমসহ যারা আমাকে এই ‘নজরুল পদক’ প্রদান করার জন্য মনোনীত করেছেন, তাদের সকলকে জানাই ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা। আমি সর্বোপরি মহান আল্লাহর কাছে কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি অধ্যাপক ড. মো: জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘তিনি একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা। তিনি নজরুল চর্চায় ও নজরুল গবেষণায় অনবদ্য অবদান রেখেছেন। তাকে এই পদক দিয়ে সম্মানিত করতে পারায় জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয় পরিবার গৌরবান্বিত।’
অন্যদিকে, বরেণ্য সঙ্গীতশিল্পী ইয়াকুব আলী খানকে সঙ্গীত ক্যাটাগরিতে নজরুল পদক দেয়া হচ্ছে। নজরুল অ্যাকাডেমিসহ বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে তিনি প্রশিক্ষক, পরীক্ষক এবং ভারপ্রাপ্ত প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছেন।
দু’ বরেণ্য সঙ্গীত ব্যক্তিত্বকে নজরুল পদকে ভূষিত করায় নজরুলচর্চায় নিয়োজিত সংগঠন ও ব্যক্তিরা পদক প্রদান কমিটিকে আন্তরিক অভিনন্দন ও ধন্যবাদ জানিয়েছেন।