নাইজার থেকে ফরাসি রাষ্ট্রদূত ও সেনা সদস্যদের সরিয়ে নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাখোঁ। একইসঙ্গে নাইজারের সঙ্গে সকল ধরনের সামরিক সহযোগিতা বন্ধ করারও ঘোষণা দিয়েছেন তিনি।
সেনা অভ্যুত্থানের মাধ্যমে নাইজারের সেনাবাহিনী দেশটির ক্ষমতা দখলের পর দেশটির সঙ্গে সৃষ্ট উত্তেজনার মধ্যেই এই পদক্ষেপ নিলেন ফরাসি প্রেসিডেন্ট।
এদিকে, নাইজার থেকে ফরাসি সেনা ও রাষ্ট্রদূত প্রত্যাহারের ঘোষণাকে স্বাগত জানিয়েছে জান্তা সরকার। রবিবার ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁর ঘোষণার কয়েক ঘণ্টা পর নাইজারের পক্ষ থেকে এই বিবৃতি এসেছে। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘এই রবিবার আমরা নাইজারের সার্বভৌমত্বের একটি নতুন পদক্ষেপ উদযাপন করছি।’
এর আগে গত আগস্টের শেষের দিকে নাইজারে নিযুক্ত ফ্রান্সের রাষ্ট্রদূতকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে নিজ দেশে ফিরে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল সামরিক জান্তা। তা সত্ত্বেও নাইজারে নিযুক্ত ফ্রান্সের রাষ্ট্রদূত পশ্চিম আফ্রিকার এই দেশটিতেই থাকবেন বলে সেসময় জানিয়ে দিয়েছিলেন প্রেসিডেন্ট ম্যাখোঁ।
তবে রোববার ফ্রান্স তার রাষ্ট্রদূত প্রত্যাহারের পাশাপাশি নাইজারের সাথে সমস্ত সামরিক সহযোগিতা বন্ধ করবে বলে ঘোষণা দেন ম্যাখোঁ। তিনি বলেন, ‘ফ্রান্স (নাইজার থেকে) তার রাষ্ট্রদূত প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আগামী কয়েক ঘণ্টার মধ্যে আমাদের রাষ্ট্রদূত এবং বেশ কয়েকজন কূটনীতিক ফ্রান্সে ফিরে আসবেন।’
তিনি আরও বলেছেন, নাইজারের সঙ্গে সামরিক সহযোগিতার ‘অবসান’ হয়েছে এবং ফরাসি সৈন্যরা ‘আগামী মাসগুলোতে’ ফিরে আসবেন।
এদিকে গত জুলাই মাসে নাইজারের ক্ষমতা দখলকারী সামরিক জান্তা ফ্রান্সের এই পদক্ষেপকে স্বাগত জানিয়েছে। বার্তাসংস্থা এএফপিতে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে জান্তা বলেছে, ‘এই রোববার আমরা নাইজারের সার্বভৌমত্ব অর্জনের নতুন একটি পদক্ষেপকে উদযাপন করছি।’
বিবিসি বলছে, স্থলবেষ্টিত পশ্চিম আফ্রিকার এই দেশটিতে প্রায় দেড় হাজার ফরাসি সৈন্য রয়েছে। সামরিক অভ্যুত্থানের জেরে রাজধানী নিয়ামেতে নিয়মিত বিক্ষোভসহ পশ্চিম আফ্রিকার এই দেশে ফরাসি উপস্থিতির বিরুদ্ধে কয়েক মাসের বিদ্বেষ এবং বিক্ষোভের পরে প্যারিসের সিদ্ধান্তটি সামনে এলো।
ম্যাখোঁ বলেছেন, তিনি এখনও নাইজারের ক্ষমতাচ্যুত প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ বাজুমকে তার দেশের ‘একমাত্র বৈধ ক্ষমতাসীন নেতা’ হিসাবে বিবেচনা করছেন এবং তাকে তার সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন। তিনি ক্ষমতাচ্যুত এই প্রেসিডেন্টকে ‘জিম্মি’ হিসেবেও অভিহিত করেছেন।
সোমবার, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩
নাইজার থেকে ফরাসি রাষ্ট্রদূত ও সেনা সদস্যদের সরিয়ে নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাখোঁ। একইসঙ্গে নাইজারের সঙ্গে সকল ধরনের সামরিক সহযোগিতা বন্ধ করারও ঘোষণা দিয়েছেন তিনি।
সেনা অভ্যুত্থানের মাধ্যমে নাইজারের সেনাবাহিনী দেশটির ক্ষমতা দখলের পর দেশটির সঙ্গে সৃষ্ট উত্তেজনার মধ্যেই এই পদক্ষেপ নিলেন ফরাসি প্রেসিডেন্ট।
এদিকে, নাইজার থেকে ফরাসি সেনা ও রাষ্ট্রদূত প্রত্যাহারের ঘোষণাকে স্বাগত জানিয়েছে জান্তা সরকার। রবিবার ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁর ঘোষণার কয়েক ঘণ্টা পর নাইজারের পক্ষ থেকে এই বিবৃতি এসেছে। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘এই রবিবার আমরা নাইজারের সার্বভৌমত্বের একটি নতুন পদক্ষেপ উদযাপন করছি।’
এর আগে গত আগস্টের শেষের দিকে নাইজারে নিযুক্ত ফ্রান্সের রাষ্ট্রদূতকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে নিজ দেশে ফিরে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল সামরিক জান্তা। তা সত্ত্বেও নাইজারে নিযুক্ত ফ্রান্সের রাষ্ট্রদূত পশ্চিম আফ্রিকার এই দেশটিতেই থাকবেন বলে সেসময় জানিয়ে দিয়েছিলেন প্রেসিডেন্ট ম্যাখোঁ।
তবে রোববার ফ্রান্স তার রাষ্ট্রদূত প্রত্যাহারের পাশাপাশি নাইজারের সাথে সমস্ত সামরিক সহযোগিতা বন্ধ করবে বলে ঘোষণা দেন ম্যাখোঁ। তিনি বলেন, ‘ফ্রান্স (নাইজার থেকে) তার রাষ্ট্রদূত প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আগামী কয়েক ঘণ্টার মধ্যে আমাদের রাষ্ট্রদূত এবং বেশ কয়েকজন কূটনীতিক ফ্রান্সে ফিরে আসবেন।’
তিনি আরও বলেছেন, নাইজারের সঙ্গে সামরিক সহযোগিতার ‘অবসান’ হয়েছে এবং ফরাসি সৈন্যরা ‘আগামী মাসগুলোতে’ ফিরে আসবেন।
এদিকে গত জুলাই মাসে নাইজারের ক্ষমতা দখলকারী সামরিক জান্তা ফ্রান্সের এই পদক্ষেপকে স্বাগত জানিয়েছে। বার্তাসংস্থা এএফপিতে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে জান্তা বলেছে, ‘এই রোববার আমরা নাইজারের সার্বভৌমত্ব অর্জনের নতুন একটি পদক্ষেপকে উদযাপন করছি।’
বিবিসি বলছে, স্থলবেষ্টিত পশ্চিম আফ্রিকার এই দেশটিতে প্রায় দেড় হাজার ফরাসি সৈন্য রয়েছে। সামরিক অভ্যুত্থানের জেরে রাজধানী নিয়ামেতে নিয়মিত বিক্ষোভসহ পশ্চিম আফ্রিকার এই দেশে ফরাসি উপস্থিতির বিরুদ্ধে কয়েক মাসের বিদ্বেষ এবং বিক্ষোভের পরে প্যারিসের সিদ্ধান্তটি সামনে এলো।
ম্যাখোঁ বলেছেন, তিনি এখনও নাইজারের ক্ষমতাচ্যুত প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ বাজুমকে তার দেশের ‘একমাত্র বৈধ ক্ষমতাসীন নেতা’ হিসাবে বিবেচনা করছেন এবং তাকে তার সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন। তিনি ক্ষমতাচ্যুত এই প্রেসিডেন্টকে ‘জিম্মি’ হিসেবেও অভিহিত করেছেন।