alt

বাইডেনের পরপর ভুল মন্তব্যে উদ্বেগ, তবুও নির্বাচনী প্রচারণায় অটল

সংবাদ অনলাইন রিপোর্ট : শুক্রবার, ১২ জুলাই ২০২৪

মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন সাম্প্রতিক সময়ে বেশ কিছু ভুল মন্তব্য করে সমালোচনার মুখে পড়েছেন। যুক্তরাষ্ট্রে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনি লড়াই থেকে সরে দাঁড়াতে চাপ বাড়তে থাকার মধ্যে বৃহস্পতিবার নেটো সম্মেলন শেষের সংবাদ সম্মেলনের দিকে নজর ছিল সবার।

এই সংবাদ সম্মেলন ছিল বাইডেনের জন্য নিজের বয়স নিয়ে উদ্বেগ দূরে করে শারিরীক ও মানসিক সক্ষমতা প্রমাণের এক অগ্নিপরীক্ষা। আর সেই মঞ্চেই একের পর এক ভুল করে তার অবস্থা হল লেজেগোবরে।

সংবাদ সম্মেলন শুরুর ঠিক আগ মুহূর্তে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন এবং ইউক্রেইনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কিকে গুলিয়ে ফেলেন অশীতিপর এই প্রেসিডেন্ট।

জেলেনস্কিকে মুখ ফসকে ‘পুতিন’ সম্বোধন করেন বাইডেন। আর শুধু তাই নয়, প্রতিদ্বন্দ্বী রিপাবলিকান নেতা ডনাল্ড ট্রাম্পকে ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিসও বানিয়ে বসলেন। সংবাদ সম্মেলনে কমলা হ্যারিস সম্পর্কে বলতে গিয়ে তার নামের জায়গায় ‘ট্রাম্প’ বলে ফেলেন বাইডেন।

কিন্তু এত ভুলের পরও বাইডেন নির্বাচনি লড়াইয়ে থাকার ব্যাপারে অনড় অবস্থান প্রকাশ করেছেন। বয়স নিয়ে উদ্বেগ উপেক্ষা করে দৃঢ়তার সঙ্গেই বাইডেন বলেছেন, তিনি নির্বাচনে লড়বেন। নিজেকে সুস্থ দাবি করে বাইডেন বলেন, আসন্ন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ট্রাম্পকে পরাজিত করার জন্য তিনিই সেরা প্রার্থী।

বৃহস্পতিবার রাতে যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন ডিসিতে পশ্চিমা সামরিক জোট নেটোর ৭৫তম সম্মেলন শেষে একক সংবাদ সম্মেলন করেন বাইডেন। এক ঘণ্টার এ সংবাদ সম্মেলনে তার রাজনৈতিক জীবন, পুননির্বাচিত হওয়ার আশা, প্রেসিডেন্সি, পররাষ্ট্রনীতি, যুক্তরাষ্ট্রের অভ্যন্তরীন ইস্যু ও গাজার যুদ্ধসহ নানা বিষয় উঠে এসেছে।

সংবাদ সম্মেলনের মঞ্চে বিশ্বের অন্যান্য দেশের ২৩ জন নেতার সঙ্গে দাঁড়িয়ে কয়েক মিনিট ইউক্রেইন প্রসঙ্গ নিয়ে কথা বলেছিলেন বাইডেন।

ইউক্রেইনকে রাশিয়ার আগ্রাসন থেকে সুরক্ষার গুরুত্ব নিয়ে তিনি কথা বলেন। এরপরই বক্তব্য রাখার জন্য ইউক্রেইনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কিকে ডাকার সময় বাইডেন ভুল করে তাকে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ‘পুতিন’ নামে ডাকেন।

বাইডেনকে বলতে শোনা যায়, “আমি এ বার মঞ্চ ছেড়ে দিতে চাই ইউক্রেইনের প্রেসিডেন্টকে। যার আছে সাহস, আছে কিছু করে দেখানোর ইচ্ছা। ভদ্রমহিলা ও ভদ্র মহোদয়গণ, আমি প্রেসিডেন্ট পুতিনকে স্বাগত জানাচ্ছি।” অবশ্য পরক্ষণেই নিজেকে শুধরে নেন বাইডেন। বলেন, “জেলেনস্কি পুতিনকে হারাবেন।”

এর পরেও বাইডেন সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে আরও এক বার মুখ ফস্কান। তিনি বলেন, “দেখুন, আমি ট্রাম্পকে ভাইস প্রেসিডেন্ট করতামই না, যদি তিনি প্রেসিডেন্ট হওয়ার যোগ্য না হতেন।”

বাইডেনের কাছে জানতে চাওয়া হয়েছিল, ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিসের ওপর তার আস্থা আছে কি না। এর জবাব দিতে গিয়ে বাইডেন ওই ভুল করেন।

স্বভাবতই বাইডেনের শারীরিক সক্ষমতা, বয়স নিয়ে নতুন করে জল্পনা শুরু হয়েছে। ট্রাম্পের সঙ্গে এর আগে টিভিতে প্রথম নির্বাচনি বিতর্কে শোচনীয় পরাজয়ের পরই বাইডেন ফের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে লড়তে পারবেন কি না, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছিল।

বিতর্কে বাইডেনের কাঁপা-কাঁপা গলা, বক্তব্যের খেই হারিয়ে ফেলা নিয়ে চর্চা শুরু হয়েছিল ডেমোক্র্যাটদের মধ্যেই। এমনকি প্রার্থী বদল করার প্রস্তাবও আসে। বাইডেনকে সরে যাওয়ার আহ্বানও আসে।

তবে বাইডেন তখন থেকেই বলে আসছেন, তিনি শারীরিক ভাবে সম্পূর্ণ সুস্থ। তিনি নির্বাচনে লড়বেন এবং ট্রাম্পকে হারাবেন।

এবার বৃহস্পতিবারের নেটো সংবাদ সম্মেলনের পর আরও বেশ কিছু ডেমোক্র্যাট বাইডেনকে নির্বাচনি দৌড় থেকে সরে যাওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। কিন্তু বাইডেন এখনও অনড়।

নিজেকে স্নায়বিকভাবে সুস্থ দাবি করে তিনি বলেন, তার কোনও মানসিক স্বাস্থ্য পরীক্ষার প্রয়োজন নেই। কারণ, তিনি যদি দুই বা সাতজন চিকিৎসকও দেখান তারপরও তার সমালোচকরা সন্তুষ্ট হবেন না।

নভেম্বরের নির্বাচনে ট্রাম্পকে হারাতে পারবেন সে আত্মবিশ্বাস আছে বলে আবারও জানান তিনি।

বাইডেন বলেন, স্টাফরা যদি তাকে এমন কোনও তথ্য-উপাত্ত দিতে পারে যে তিনি নির্বাচনে জিতবেন না, তাহলে তিনি সরে দাঁড়ানোর কথা ভাবতে পারেন। কিন্তু জরিপে এখনও তেমন আভাস পাওয়া যায়নি বলে বাইডেন উল্লেখ করেন।

বাইডেনের ভুল মন্তব্য এবং শারীরিক অবস্থা নিয়ে এত আলোচনা সত্ত্বেও, তিনি এখনও নির্বাচনী প্রচারণায় অনড় রয়েছেন এবং ট্রাম্পকে হারানোর বিষয়ে আত্মবিশ্বাসী। ডেমোক্র্যাটদের মধ্যে প্রার্থী বদলের গুঞ্জন থাকলেও, নির্বাচনের এত কাছাকাছি সময়ে এই পরিবর্তনের সম্ভাবনা কম।

ছবি

যুক্তরাষ্ট্র থেকে ফেরত ৫০ ভারতীয় তরুণ: উন্নত জীবনের স্বপ্ন ভেঙে চুরমার

ছবি

যুক্তরাষ্ট্রে চলছে শাটডাউন, বন্ধ হচ্ছে খাদ্য সহায়তা

ছবি

দক্ষিণ চীন সাগরে মার্কিন হেলিকপ্টার ও যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত

ছবি

জ্বালানি সংকটে মালিতে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা

ছবি

চীনা পণ্যে বাড়তি শুল্ক বাতিল করল যুক্তরাষ্ট্র!

ছবি

শীতে আরও ভয়াবহ হতে পারে গাজার পরিস্থিতি

ছবি

কারা যোগ দিয়েছেন, কী হতে পারে

ছবি

পাকিস্তানে আবার বাড়ছে দারিদ্র্যের হার

ছবি

কানাডার ওপর আরও ১০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করলেন ট্রাম্প

ছবি

জাতিসংঘ এখন কাজ করছে না, নিরাপত্তা পরিষদ অকার্যকর: লুলা

ছবি

জোটের সদস্যদের ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান আনোয়ার ইব্রাহিমের

ছবি

আরেকটি শান্তি চুক্তির সাক্ষী হলেন ট্রাম্প

ছবি

পালাতে পালাতে ক্লান্ত গাজার মানুষ

ছবি

শান্তি আলোচনা ব্যর্থ হলে যুদ্ধ: আফগানিস্তানকে হুঁশিয়ারি পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রীর

ছবি

শুল্কবিরোধী বিজ্ঞাপনে ক্ষুব্ধ ট্রাম্প, কানাডার পণ্যে বাড়ালেন আরও শুল্ক

ছবি

কম্বোডিয়ার সঙ্গে যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে সই করবেন থাই প্রধানমন্ত্রী

ছবি

পশ্চিম তীরে ইসরায়েলি অভিযানে ফিলিস্তিনি তরুণ নিহত

ছবি

বিরোধীদের ‘মুসলিম’ পরিচয় এনে কটাক্ষের জবাব যেভাবে দিচ্ছেন জোহরান

ছবি

আফগানিস্তানের সঙ্গে সীমান্ত বন্ধ, পাকিস্তানে টমেটোর কেজি ৬০০ রুপি

ছবি

ক্যারিবিয়ান সাগরে যুক্তরাষ্ট্রের বৃহত্তম রণতরী, ‘যুদ্ধাবস্থা তৈরির’ অভিযোগ ভেনেজুয়েলার

ছবি

ট্রাম্প-জিনপিং শীর্ষ সম্মেলনের আশা ম্লান

ছবি

কোনো নতুন আক্রমণ হবে ‘আরেকটি ব্যর্থতা’: ইরান

ছবি

সহিংস বিক্ষোভে প্রাণহানি, টিএলপিকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করলো পাকিস্তান

ছবি

ঝুঁকি মোকাবিলায় এশিয়ার দেশগুলোকে বাণিজ্যিক প্রতিবন্ধকতা কমাতে হবে

ছবি

যুদ্ধবিরতির পরও গাজার মানুষের ক্ষুধার যন্ত্রণা দূর হচ্ছে না

ছবি

একের পর এক অঞ্চল দখল করছে মায়ানমার জান্তা, কেন পিছু হটছে বিদ্রোহীরা

ছবি

ট্রাম্প-পুতিনের বৈঠক কেন ভেস্তে গেল, ইউক্রেন যুদ্ধের ভবিষ্যৎ কী

ছবি

রাশিয়ার দুটি প্রধান তেল কোম্পানির ওপর নিষেধাজ্ঞা যুক্তরাষ্ট্রের

ছবি

আসিয়ান সম্মেলন এড়িয়ে যাচ্ছেন মোদি, যাবেন না মালয়েশিয়া

ছবি

চীনের সহায়তায় হারানো এলাকা পুনর্দখলে নিচ্ছে মায়ানমার সেনাবাহিনী

ছবি

বিশ্বের জন্য বড় হুমকি হয়ে আসছে ম্যালেরিয়া

ছবি

পাকিস্তান-তালেবান উত্তেজনায় অনিশ্চিত জীবন আফগান শরণার্থীদের

ছবি

রাশিয়ার দুই তেল কোম্পানির ওপর যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা

ছবি

‘কয়েক প্রজন্ম ধরে’ চলবে গাজায় স্বাস্থ্য সংকট: ডব্লিউএইচও

ছবি

যুক্তরাষ্ট্রে ১০ মাসে পাঁচ লাখ অবৈধ অভিবাসী গ্রেপ্তার

ছবি

অল্পের জন্য প্রাণে বাঁচলেন ভারতের রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু

tab

বাইডেনের পরপর ভুল মন্তব্যে উদ্বেগ, তবুও নির্বাচনী প্রচারণায় অটল

সংবাদ অনলাইন রিপোর্ট

শুক্রবার, ১২ জুলাই ২০২৪

মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন সাম্প্রতিক সময়ে বেশ কিছু ভুল মন্তব্য করে সমালোচনার মুখে পড়েছেন। যুক্তরাষ্ট্রে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনি লড়াই থেকে সরে দাঁড়াতে চাপ বাড়তে থাকার মধ্যে বৃহস্পতিবার নেটো সম্মেলন শেষের সংবাদ সম্মেলনের দিকে নজর ছিল সবার।

এই সংবাদ সম্মেলন ছিল বাইডেনের জন্য নিজের বয়স নিয়ে উদ্বেগ দূরে করে শারিরীক ও মানসিক সক্ষমতা প্রমাণের এক অগ্নিপরীক্ষা। আর সেই মঞ্চেই একের পর এক ভুল করে তার অবস্থা হল লেজেগোবরে।

সংবাদ সম্মেলন শুরুর ঠিক আগ মুহূর্তে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন এবং ইউক্রেইনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কিকে গুলিয়ে ফেলেন অশীতিপর এই প্রেসিডেন্ট।

জেলেনস্কিকে মুখ ফসকে ‘পুতিন’ সম্বোধন করেন বাইডেন। আর শুধু তাই নয়, প্রতিদ্বন্দ্বী রিপাবলিকান নেতা ডনাল্ড ট্রাম্পকে ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিসও বানিয়ে বসলেন। সংবাদ সম্মেলনে কমলা হ্যারিস সম্পর্কে বলতে গিয়ে তার নামের জায়গায় ‘ট্রাম্প’ বলে ফেলেন বাইডেন।

কিন্তু এত ভুলের পরও বাইডেন নির্বাচনি লড়াইয়ে থাকার ব্যাপারে অনড় অবস্থান প্রকাশ করেছেন। বয়স নিয়ে উদ্বেগ উপেক্ষা করে দৃঢ়তার সঙ্গেই বাইডেন বলেছেন, তিনি নির্বাচনে লড়বেন। নিজেকে সুস্থ দাবি করে বাইডেন বলেন, আসন্ন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ট্রাম্পকে পরাজিত করার জন্য তিনিই সেরা প্রার্থী।

বৃহস্পতিবার রাতে যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন ডিসিতে পশ্চিমা সামরিক জোট নেটোর ৭৫তম সম্মেলন শেষে একক সংবাদ সম্মেলন করেন বাইডেন। এক ঘণ্টার এ সংবাদ সম্মেলনে তার রাজনৈতিক জীবন, পুননির্বাচিত হওয়ার আশা, প্রেসিডেন্সি, পররাষ্ট্রনীতি, যুক্তরাষ্ট্রের অভ্যন্তরীন ইস্যু ও গাজার যুদ্ধসহ নানা বিষয় উঠে এসেছে।

সংবাদ সম্মেলনের মঞ্চে বিশ্বের অন্যান্য দেশের ২৩ জন নেতার সঙ্গে দাঁড়িয়ে কয়েক মিনিট ইউক্রেইন প্রসঙ্গ নিয়ে কথা বলেছিলেন বাইডেন।

ইউক্রেইনকে রাশিয়ার আগ্রাসন থেকে সুরক্ষার গুরুত্ব নিয়ে তিনি কথা বলেন। এরপরই বক্তব্য রাখার জন্য ইউক্রেইনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কিকে ডাকার সময় বাইডেন ভুল করে তাকে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ‘পুতিন’ নামে ডাকেন।

বাইডেনকে বলতে শোনা যায়, “আমি এ বার মঞ্চ ছেড়ে দিতে চাই ইউক্রেইনের প্রেসিডেন্টকে। যার আছে সাহস, আছে কিছু করে দেখানোর ইচ্ছা। ভদ্রমহিলা ও ভদ্র মহোদয়গণ, আমি প্রেসিডেন্ট পুতিনকে স্বাগত জানাচ্ছি।” অবশ্য পরক্ষণেই নিজেকে শুধরে নেন বাইডেন। বলেন, “জেলেনস্কি পুতিনকে হারাবেন।”

এর পরেও বাইডেন সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে আরও এক বার মুখ ফস্কান। তিনি বলেন, “দেখুন, আমি ট্রাম্পকে ভাইস প্রেসিডেন্ট করতামই না, যদি তিনি প্রেসিডেন্ট হওয়ার যোগ্য না হতেন।”

বাইডেনের কাছে জানতে চাওয়া হয়েছিল, ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিসের ওপর তার আস্থা আছে কি না। এর জবাব দিতে গিয়ে বাইডেন ওই ভুল করেন।

স্বভাবতই বাইডেনের শারীরিক সক্ষমতা, বয়স নিয়ে নতুন করে জল্পনা শুরু হয়েছে। ট্রাম্পের সঙ্গে এর আগে টিভিতে প্রথম নির্বাচনি বিতর্কে শোচনীয় পরাজয়ের পরই বাইডেন ফের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে লড়তে পারবেন কি না, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছিল।

বিতর্কে বাইডেনের কাঁপা-কাঁপা গলা, বক্তব্যের খেই হারিয়ে ফেলা নিয়ে চর্চা শুরু হয়েছিল ডেমোক্র্যাটদের মধ্যেই। এমনকি প্রার্থী বদল করার প্রস্তাবও আসে। বাইডেনকে সরে যাওয়ার আহ্বানও আসে।

তবে বাইডেন তখন থেকেই বলে আসছেন, তিনি শারীরিক ভাবে সম্পূর্ণ সুস্থ। তিনি নির্বাচনে লড়বেন এবং ট্রাম্পকে হারাবেন।

এবার বৃহস্পতিবারের নেটো সংবাদ সম্মেলনের পর আরও বেশ কিছু ডেমোক্র্যাট বাইডেনকে নির্বাচনি দৌড় থেকে সরে যাওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। কিন্তু বাইডেন এখনও অনড়।

নিজেকে স্নায়বিকভাবে সুস্থ দাবি করে তিনি বলেন, তার কোনও মানসিক স্বাস্থ্য পরীক্ষার প্রয়োজন নেই। কারণ, তিনি যদি দুই বা সাতজন চিকিৎসকও দেখান তারপরও তার সমালোচকরা সন্তুষ্ট হবেন না।

নভেম্বরের নির্বাচনে ট্রাম্পকে হারাতে পারবেন সে আত্মবিশ্বাস আছে বলে আবারও জানান তিনি।

বাইডেন বলেন, স্টাফরা যদি তাকে এমন কোনও তথ্য-উপাত্ত দিতে পারে যে তিনি নির্বাচনে জিতবেন না, তাহলে তিনি সরে দাঁড়ানোর কথা ভাবতে পারেন। কিন্তু জরিপে এখনও তেমন আভাস পাওয়া যায়নি বলে বাইডেন উল্লেখ করেন।

বাইডেনের ভুল মন্তব্য এবং শারীরিক অবস্থা নিয়ে এত আলোচনা সত্ত্বেও, তিনি এখনও নির্বাচনী প্রচারণায় অনড় রয়েছেন এবং ট্রাম্পকে হারানোর বিষয়ে আত্মবিশ্বাসী। ডেমোক্র্যাটদের মধ্যে প্রার্থী বদলের গুঞ্জন থাকলেও, নির্বাচনের এত কাছাকাছি সময়ে এই পরিবর্তনের সম্ভাবনা কম।

back to top