alt

আন্তর্জাতিক

ভারতের সুপ্রিম কোর্টের রায়

সংবাদ অনলাইন রিপোর্ট : বৃহস্পতিবার, ১৭ অক্টোবর ২০২৪

ভারতীয় নাগরিকত্ব আইনের ৬-এ ধারার সাংবিধানিক বৈধতা মেনে নিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বাধীন পাঁচ বিচারপতির সংবিধান বেঞ্চ বৃহস্পতিবার এই রায় দিয়েছে। তবে ঐকমত্যের ভিত্তিতে এই রায় হয়নি। প্রধান বিচারপতি চন্দ্রচূড়, বিচারপতি সূর্য কান্ত, বিচারপতি এমএম সুন্দ্রেশ এবং বিচারপতি মনোজ মিশ্র রায়ের সঙ্গে সহমত পোষণ করেছেন। ৬-এ ধারাকে ‘অসাংবিধানিক’ বলেছেন বিচারপতি জেবি পারদিওয়ালা।

আসামে অবৈধ অভিবাসন সংক্রান্ত ওই ধারা ‘অসাংবিধানিক’ বলে দাবি করে শীর্ষ আদালতে মোট ১৭টি আবেদন জমা পড়েছিল। সেগুলো একত্র করে প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বাধীন পাঁচ বিচারপতির সংবিধান বেঞ্চে গত বছরের ডিসেম্বরের শুরুর দিকে শুনানি শুরু হয়েছিল। বৃহস্পতিবার এর রায় ঘোষণা করে শীর্ষ আদালত বলেছে, আসাম চুক্তি মেনে অবৈধ অভিবাসনের সমস্যার এটি একটি রাজনৈতিক সমাধান।

আবেদনকারী পক্ষের অভিযোগ ছিল, ১৯৫৫ সালের নাগরিকত্ব আইনের ৬-এ ধারা ভারতীয় সংবিধানের ১৪ নম্বর অনুচ্ছেদকে লঙ্ঘন করছে। ওই ধারা অনুযায়ী, আসামে ‘অবৈধ অনুপ্রবেশকারী’ হিসেবে চিহ্নিত ব্যক্তিকেই প্রমাণ করতে হয় তিনি ভারতীয় নাগরিক। কিন্তু ভারতীয় সংবিধানের ১৪ নম্বর অনুচ্ছেদে দেশের প্রত্যেক নাগরিকের সাম্যের অধিকার রয়েছে। যে কেউ, তিনি দেশি, বিদেশি এমনকি নাগরিক না হয়েও যদি ভারতে বাস করেন, তিনিও সংবিধানে বর্ণিত ওই সাম্যের অধিকার ভোগ করবেন। শীর্ষ আদালত জানিয়েছে, শরণনার্থীদের আশ্রয়ের প্রসঙ্গ নয়, এক্ষেত্রে নাগরিকত্ব প্রদানের বিষয়টির সাংবিধানিক বৈধতা বিচার করা হয়েছে।

শুধু আসামের জন্যই নাগরিকত্ব আইনের ৬-এ ধারাটি তৈরি করা হয়েছিল। আসামে অনুপ্রবেশের বিরুদ্ধে রক্তক্ষয়ী আন্দোলনের পর ১৯৮৫-তে ভারত সরকার এবং আন্দোলনকারীদের মধ্যে হওয়া ‘আসাম চুক্তি’র অঙ্গ হিসেবে নাগরিকত্ব আইনের ৬-এ ধারা তৈরি করা হয়েছিল। ওই ধারা অনুযায়ী, ১৯৬৬ সালের ১ জানুয়ারি থেকে ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ পর্যন্ত আসামে অনুপ্রবেশ করা বাংলাদেশিদের নাগরিকত্বের সুবিধা দেওয়া হয়েছে। কিন্তু এরপর সীমান্ত পেরিয়ে যারা ভারতে গেছেন তাদের নাগরিকত্ব দেওয়া হবে না।

এক্ষেত্রে কেন্দ্রের যুক্তি ছিল, পূর্ব পাকিস্তান স্বাধীন বাংলাদেশে রূপান্তরিত হওয়ার পর তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭২ সালে ঘোষণা করেছিলেন, ১৯৭১-এর পর দেশ ছেড়ে যাওয়া সবাইকে ফিরিয়ে নেওয়া হবে। সেজন্যই ৬-এ ধারায় ভারতের নাগরিকত্ব দেওয়ার জন্য ১৯৭১-এর ২৫ মার্চকে বেছে নেওয়া হয়। কারণ, বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবস ২৬ মার্চ। কিন্তু এই মামলার আবেদনকারীদের বক্তব্য, আসাম চুক্তিকে ২৫৩ ধারার অধীনে বৈধতা দেওয়ার জন্য কোনো পদক্ষেপ নেয়নি সংসদ। সুতরাং আসাম চুক্তিরই বৈধতা নেই। কিন্তু শীর্ষ আদালত বৃহস্পতিবার কেন্দ্রের আবেদন মেনে ‘১৯৭১-এর ২৫ মার্চ’-কে সময়সীমা ধার্য করার ব্যবস্থাতেই রায় দিয়েছে।

সূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা

বিশ্বের ১০০ কোটি মানুষের দারিদ্র্যে বাস,বেশিরভাগই আফ্রিকা-দক্ষিণ এশিয়ায়

ছবি

বাংলাদেশে সহিংসতায় জড়িতদের জবাবদিহি করা উচিত: যুক্তরাষ্ট্র

ছবি

গাজা : ইসরায়েলি হামলায় নিহত ফিলিস্তিনিদের লাশ ছিড়ে খাচ্ছে কুকুর

ছবি

অর্থ সংকট : মন্ত্রিসভার সদস্য-পরিচালকদের ছাঁটাই করছে মালদ্বীপ

ছবি

নাইজেরিয়ায় জ্বালানি ট্যাঙ্কার বিস্ফোরণ, নিহত বেড়ে ১৪৭

ছবি

অবশেষে মুখ্যমন্ত্রী পেলো জম্মু-কাশ্মীর, শপথ নিলেন ওমর আব্দুল্লাহ

ছবি

ভারতের প্রতিরক্ষা খাতে শক্তি বৃদ্ধি: ৩২ হাজার কোটি রুপির শিকারি ড্রোন চুক্তি চূড়ান্ত

ছবি

ভাই-ভাতিজার মরদেহ নিয়ে সাগরে ভেসে ছিলেন ৬৭ দিন, অতঃপর জীবিত উদ্ধার

ছবি

কারাগারে ইমরান খান সুস্থ আছেন: পিটিআই প্রধান

ছবি

লেবাননজুড়ে ইসরায়েলের সিরিজ বিমান হামলা, নিহত অন্তত ২৩

ছবি

অস্ট্রেলিয়ার ১০ লাখ পরিবারের খাদ্য নিরাপত্তাহীনতায় ভোগান্তি, ফুডব্যাঙ্কের উদ্বেগ

ছবি

৯ বছরের মধ্যে প্রথমবার পাকিস্তানে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী

ছবি

যে কারণে পশ্চিমারা ‘শিয়া-সুন্নি বিভেদ’ জিইয়ে রাখে

ছবি

আজ পাকিস্তানে যাচ্ছেন ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী

ছবি

যুক্তরাষ্ট্র-কানাডা সফরে সেনাপ্রধান

ছবি

ইসরায়েলি হামলায় গাজাবাসীর জীবন্ত দগ্ধ হওয়ার ছবি ‘ভয়ঙ্কর’ : হোয়াইট হাউস

ছবি

দক্ষিণ লেবাননের ২৫টি শহর খালি করার নির্দেশ ইসরায়েলের

ছবি

ইতালি থেকে প্রথমবারের মতো অভিবাসনপ্রত্যাশীদের আলবেনিয়ায় পাঠানো হচ্ছে

ছবি

গাজার স্কুলে ইসরায়েলি গোলা, নিহত ১৫

ছবি

অর্থনীতিতে নোবেল পেলেন ৩ জন

মোহাম্মদ আল ফায়েদের বিরুদ্ধে যৌন নিপীড়নের অভিযোগ: দীর্ঘ অনুসন্ধানের ফলাফলে প্রামাণ্যচিত্র

ছবি

ভারতের বিহারে দুর্গাপূজার প্যান্ডেলে গুলিতে আহত ৪

ছবি

ট্রাম্পের স্বাস্থ্য বিষয়ক তথ্য প্রকাশে কমালা হ্যারিসের চাপ

ছবি

মহারাষ্ট্রে সাবেক মন্ত্রীকে প্রকাশ্যে গুলি করে হত্যা

ছবি

মালয়েশিয়ায় ভবন ধসে বাংলাদেশি শ্রমিকের মৃত্যু

ছবি

ইসরায়েলের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করল নিকারাগুয়া

ছবি

ওয়াশিংটনে পররাষ্ট্র সচিবের ৫ বৈঠক: সম্পর্ক জোরদারের আলোচনা

ছবি

ভারতে দুই ট্রেনের মধ্যে ভয়াবহ সংঘর্ষ

ছবি

গাজায় ২৪ ঘণ্টায় নিহত ৬১, মোট নিহত ছাড়াল ৪২ হাজার ১০০

ছবি

টাটা ট্রাস্টের চেয়ারম্যান হলেন রতন টাটার সৎভাই নোয়েল টাটা

ছবি

‘সার্বভৌমত্ব রক্ষা’ করতে প্রস্তুত ইরান

ছবি

দক্ষিণ আফ্রিকায় সড়ক দুর্ঘটনায় ৮ জন নিহত

ছবি

শান্তিতে নোবেল পেল জাপানের পরমাণু অস্ত্রবিরোধী সংগঠন নিহন হিদানকায়ো

ছবি

শান্তিতে নোবেল পুরস্কার বিজয়ীর নাম জানা যাবে আজ

ছবি

যুক্তরাষ্ট্রে হারিকেন মিল্টনের তাণ্ডবে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি, নিহত ১০

ছবি

গাজায় ইসরায়েলি হামলা চলছেই, নিহত আরও ৫৫ ফিলিস্তিনি

tab

আন্তর্জাতিক

ভারতের সুপ্রিম কোর্টের রায়

সংবাদ অনলাইন রিপোর্ট

বৃহস্পতিবার, ১৭ অক্টোবর ২০২৪

ভারতীয় নাগরিকত্ব আইনের ৬-এ ধারার সাংবিধানিক বৈধতা মেনে নিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বাধীন পাঁচ বিচারপতির সংবিধান বেঞ্চ বৃহস্পতিবার এই রায় দিয়েছে। তবে ঐকমত্যের ভিত্তিতে এই রায় হয়নি। প্রধান বিচারপতি চন্দ্রচূড়, বিচারপতি সূর্য কান্ত, বিচারপতি এমএম সুন্দ্রেশ এবং বিচারপতি মনোজ মিশ্র রায়ের সঙ্গে সহমত পোষণ করেছেন। ৬-এ ধারাকে ‘অসাংবিধানিক’ বলেছেন বিচারপতি জেবি পারদিওয়ালা।

আসামে অবৈধ অভিবাসন সংক্রান্ত ওই ধারা ‘অসাংবিধানিক’ বলে দাবি করে শীর্ষ আদালতে মোট ১৭টি আবেদন জমা পড়েছিল। সেগুলো একত্র করে প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বাধীন পাঁচ বিচারপতির সংবিধান বেঞ্চে গত বছরের ডিসেম্বরের শুরুর দিকে শুনানি শুরু হয়েছিল। বৃহস্পতিবার এর রায় ঘোষণা করে শীর্ষ আদালত বলেছে, আসাম চুক্তি মেনে অবৈধ অভিবাসনের সমস্যার এটি একটি রাজনৈতিক সমাধান।

আবেদনকারী পক্ষের অভিযোগ ছিল, ১৯৫৫ সালের নাগরিকত্ব আইনের ৬-এ ধারা ভারতীয় সংবিধানের ১৪ নম্বর অনুচ্ছেদকে লঙ্ঘন করছে। ওই ধারা অনুযায়ী, আসামে ‘অবৈধ অনুপ্রবেশকারী’ হিসেবে চিহ্নিত ব্যক্তিকেই প্রমাণ করতে হয় তিনি ভারতীয় নাগরিক। কিন্তু ভারতীয় সংবিধানের ১৪ নম্বর অনুচ্ছেদে দেশের প্রত্যেক নাগরিকের সাম্যের অধিকার রয়েছে। যে কেউ, তিনি দেশি, বিদেশি এমনকি নাগরিক না হয়েও যদি ভারতে বাস করেন, তিনিও সংবিধানে বর্ণিত ওই সাম্যের অধিকার ভোগ করবেন। শীর্ষ আদালত জানিয়েছে, শরণনার্থীদের আশ্রয়ের প্রসঙ্গ নয়, এক্ষেত্রে নাগরিকত্ব প্রদানের বিষয়টির সাংবিধানিক বৈধতা বিচার করা হয়েছে।

শুধু আসামের জন্যই নাগরিকত্ব আইনের ৬-এ ধারাটি তৈরি করা হয়েছিল। আসামে অনুপ্রবেশের বিরুদ্ধে রক্তক্ষয়ী আন্দোলনের পর ১৯৮৫-তে ভারত সরকার এবং আন্দোলনকারীদের মধ্যে হওয়া ‘আসাম চুক্তি’র অঙ্গ হিসেবে নাগরিকত্ব আইনের ৬-এ ধারা তৈরি করা হয়েছিল। ওই ধারা অনুযায়ী, ১৯৬৬ সালের ১ জানুয়ারি থেকে ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ পর্যন্ত আসামে অনুপ্রবেশ করা বাংলাদেশিদের নাগরিকত্বের সুবিধা দেওয়া হয়েছে। কিন্তু এরপর সীমান্ত পেরিয়ে যারা ভারতে গেছেন তাদের নাগরিকত্ব দেওয়া হবে না।

এক্ষেত্রে কেন্দ্রের যুক্তি ছিল, পূর্ব পাকিস্তান স্বাধীন বাংলাদেশে রূপান্তরিত হওয়ার পর তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭২ সালে ঘোষণা করেছিলেন, ১৯৭১-এর পর দেশ ছেড়ে যাওয়া সবাইকে ফিরিয়ে নেওয়া হবে। সেজন্যই ৬-এ ধারায় ভারতের নাগরিকত্ব দেওয়ার জন্য ১৯৭১-এর ২৫ মার্চকে বেছে নেওয়া হয়। কারণ, বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবস ২৬ মার্চ। কিন্তু এই মামলার আবেদনকারীদের বক্তব্য, আসাম চুক্তিকে ২৫৩ ধারার অধীনে বৈধতা দেওয়ার জন্য কোনো পদক্ষেপ নেয়নি সংসদ। সুতরাং আসাম চুক্তিরই বৈধতা নেই। কিন্তু শীর্ষ আদালত বৃহস্পতিবার কেন্দ্রের আবেদন মেনে ‘১৯৭১-এর ২৫ মার্চ’-কে সময়সীমা ধার্য করার ব্যবস্থাতেই রায় দিয়েছে।

সূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা

back to top