যুক্তরাষ্ট্রের শেষ সুইং স্টেট বা দোদুল্যমান অঙ্গরাজ্য অ্যারিজোনাতেও জয়ী হয়েছেন রিপাবলিকান প্রেসিডেন্ট প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প। এর মধ্য দিয়ে তিনি সাতটি দোদুল্যমান অঙ্গরাজ্যের সবগুলোতেই জয় পেলেন। ফলে এখন পর্যন্ত ৩১২টি ইলেকটোরাল কলেজ ভোটে জয় নিশ্চিত করেছেন ট্রাম্প। অপরদিকে ডেমোক্র্যাট প্রার্থী কমলা হ্যারিস জয়ী হয়েছেন ২২৬টিতে। খবর বিবিসির।
অ্যারিজোনায় ইলেকটোরাল কলেজের ভোট ১১টি। যদিও ওই অঙ্গরাজ্যের কলেজ ভোট নিশ্চিত হওয়ার আগেই ম্যাজিক ফিগার পার করতে সক্ষম হন সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
গত নির্বাচনে দোদুল্যমান রাজ্যগুলোতে বিশেষ সুবিধা করতে পারেননি ট্রাম্প। ফলে নির্বাচনে দ্বিতীয় বারের মতো জয়ী হওয়ার আশা ভঙ্গ হয় তার। কিন্তু এবার সেসব রাজ্যে দারুণভাবে ‘কামব্যাক’ করেছেন সাবেক এই প্রেসিডেন্ট। জয় ছিনিয়ে এনেছেন বেশিরভাগ ব্যাটেলগ্রাউন্ডে।
প্রেসিডেন্ট হতে প্রয়োজন ছিল ২৭০ ইলেকটোরাল ভোট। বেশিরভাগ অঙ্গরাজ্যই প্রতিটা নির্বাচনে ধারাবাহিকভাবে একই দলকে ভোট দিয়ে আসে। কিন্তু কিছু রাজ্য আছে সেখানে কখনও ডেমোক্র্যাট আবার কখনও রিপাবলিকানরা জয়ী হয়। আমেরিকার নির্বাচনে রিপাবলিকান দুর্গ বলে পরিচিত অঙ্গরাজ্যগুলোকে বলা হয় ‘রেড স্টেট’ বা ‘লাল রাজ্য’ আর ডেমোক্র্যাটদের প্রাধান্য পাওয়া স্টেটগুলোকে বলা হয় ‘ব্লু স্টেট’ বা ‘নীল রাজ্য’।
ফলে এসব রাজ্য নিয়ে প্রার্থীদের খুব বেশি চিন্তা করতে হয় না বা মনোযোগ দিতে হয় না। হাতে গোনা যে রাজ্যগুলোর ভোট প্রার্থীদের কারণে যে কোনো শিবিরে যেতে পারে সেগুলোকে ‘সুইং স্টেট’ বলে। মূলত প্রার্থীরা এসব রাজ্যের দিকেই বেশি মনোযোগী থাকেন। কারণ সেখানে ভোট কোন পার্টির পক্ষে যাবে, তা নির্দিষ্ট করে বোঝা যায় না।
এগুলোই হলো আমেরিকান নির্বাচনের ব্যাটলগ্রাউন্ড বা নির্বাচনী রণক্ষেত্র। এগুলোকেই অনেকে বলে থাকে ‘বেগুনি রাজ্য’। প্রার্থীদের কাছে এসব অঙ্গরাজ্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ হয়ে দাঁড়ায়। আর এই অঙ্গরাজ্যগুলোর ভোটই শেষ পর্যন্ত হয়ে দাঁড়ায় জয় পরাজয়ের মূল চাবিকাঠি। এই রাজ্যগুলোতেই হয় মূল প্রতিদ্বন্দ্বিতা।
এ বছরের নির্বাচনে সুইং স্টেট হিসাবে পরিচিত পাওয়া রাজ্যগুলোর মধ্যে ছিল অ্যারিজোনা, পেনসিলভানিয়া, জর্জিয়া, উইসকনসিন, মিশিগান, নর্থ ক্যারোলাইনা এবং নেভাদা। ২০১৬ সালেও এই অঙ্গরাজ্যগুলো ‘ব্যাটল-গ্রাউন্ড স্টেট’ হয়ে উঠেছিল।
প্রত্যেক নির্বাচনের সময় দেখা গেছে যেসব রাজ্যের ভোট বেশি, প্রার্থীরা সেসব রাজ্যে নির্বাচনী প্রচারণার পেছনে অনেক বেশি সময় ও অর্থ ব্যয় করে থাকেন।
অ্যারিজোনায় ২০২০ সালে জো বাইডেনের কাছে হেরে যান ডোনাল্ড ট্রাম্প। ২০১৬ সালে সেখানে জয় পেলেও গত বারের নির্বাচনে ভালো করতে পারেননি তিনি। তবে এবার দ্বিতীয় বারের মতো সেখানে জয় ছিনিয়ে এনেছেন ট্রাম্প।এবারের নির্বাচনে ওই অঙ্গরাজ্যে কমলা হ্যারিসের চেয়ে এগিয়ে আছেন এই রিপাবলিকান প্রার্থী।
অপরদিকে পেনসিলভানিয়ায় ২০২০ সালে জো বাইডেন জয়ী হলেও এবার ডেমোক্র্যাট প্রার্থী কমলা হ্যারিস সেখানে জয় ছিনিয়ে আনতে পারেননি। তাকে হারিয়েছে এবার সেখানে জয়ী হয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প।
জর্জিয়ায় গত বারের নির্বাচনে বাইডেনের কাছে হেরে গেলেও এবার কমলাকে হারিয়েছেন ট্রাম্প। ওই অঙ্গরাজ্যে ২০১৬ সালের নির্বাচনেও জয়ী হয়েছিলেন ট্রাম্প। সে সময় তিনি হিলারিকে পরাজিত করে জয় ছিনিয়ে আনেন।
এছাড়া এবারের নির্বাচনে উইসকনসিন, মিশিগান এবং নর্থ ক্যারোলাইনাতেও কমলাকে হারিয়ে জয় নিশ্চিত করেছেন ট্রাম্প। উইসকনসিন এবং মিশিগানে ২০১৬ সালে হিলারিকে হারিয়ে জয় নিশ্চিত করলেও গতবারের নির্বাচনে জো বাইডেনের কাছে হেরে যান ট্রাম্প। কিন্তু এই দুই রাজ্যে এবার বেশ দারুণ প্রত্যাবর্তন ঘটেছে তার।
মূলত এবার সুইং স্টেটগুলোতে দারুণভাবে সাফল্য ছিনিয়ে আনার কারণেই প্রেসিডেন্ট পদে জয় নিশ্চিত হয়েছে ট্রাম্পের। ২০১৬ সালে জয়ী হয়েছেন এমন অনেক অঙ্গরাজ্যেই ২০২০ সালে বাইডেনের কাছে হেরে যান তিনি। কিন্তু সেই পরাজয়কেই এবার অসাধারণ সাফল্যে বদলে ফেলেছেন ট্রাম্প। ফলে দ্বিতীয় বারের মতো হোয়াইট হাউজের দায়িত্ব নেওয়ার অপেক্ষায় আছেন এই রিপাবলিকান প্রার্থী।
রোববার, ১০ নভেম্বর ২০২৪
যুক্তরাষ্ট্রের শেষ সুইং স্টেট বা দোদুল্যমান অঙ্গরাজ্য অ্যারিজোনাতেও জয়ী হয়েছেন রিপাবলিকান প্রেসিডেন্ট প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প। এর মধ্য দিয়ে তিনি সাতটি দোদুল্যমান অঙ্গরাজ্যের সবগুলোতেই জয় পেলেন। ফলে এখন পর্যন্ত ৩১২টি ইলেকটোরাল কলেজ ভোটে জয় নিশ্চিত করেছেন ট্রাম্প। অপরদিকে ডেমোক্র্যাট প্রার্থী কমলা হ্যারিস জয়ী হয়েছেন ২২৬টিতে। খবর বিবিসির।
অ্যারিজোনায় ইলেকটোরাল কলেজের ভোট ১১টি। যদিও ওই অঙ্গরাজ্যের কলেজ ভোট নিশ্চিত হওয়ার আগেই ম্যাজিক ফিগার পার করতে সক্ষম হন সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
গত নির্বাচনে দোদুল্যমান রাজ্যগুলোতে বিশেষ সুবিধা করতে পারেননি ট্রাম্প। ফলে নির্বাচনে দ্বিতীয় বারের মতো জয়ী হওয়ার আশা ভঙ্গ হয় তার। কিন্তু এবার সেসব রাজ্যে দারুণভাবে ‘কামব্যাক’ করেছেন সাবেক এই প্রেসিডেন্ট। জয় ছিনিয়ে এনেছেন বেশিরভাগ ব্যাটেলগ্রাউন্ডে।
প্রেসিডেন্ট হতে প্রয়োজন ছিল ২৭০ ইলেকটোরাল ভোট। বেশিরভাগ অঙ্গরাজ্যই প্রতিটা নির্বাচনে ধারাবাহিকভাবে একই দলকে ভোট দিয়ে আসে। কিন্তু কিছু রাজ্য আছে সেখানে কখনও ডেমোক্র্যাট আবার কখনও রিপাবলিকানরা জয়ী হয়। আমেরিকার নির্বাচনে রিপাবলিকান দুর্গ বলে পরিচিত অঙ্গরাজ্যগুলোকে বলা হয় ‘রেড স্টেট’ বা ‘লাল রাজ্য’ আর ডেমোক্র্যাটদের প্রাধান্য পাওয়া স্টেটগুলোকে বলা হয় ‘ব্লু স্টেট’ বা ‘নীল রাজ্য’।
ফলে এসব রাজ্য নিয়ে প্রার্থীদের খুব বেশি চিন্তা করতে হয় না বা মনোযোগ দিতে হয় না। হাতে গোনা যে রাজ্যগুলোর ভোট প্রার্থীদের কারণে যে কোনো শিবিরে যেতে পারে সেগুলোকে ‘সুইং স্টেট’ বলে। মূলত প্রার্থীরা এসব রাজ্যের দিকেই বেশি মনোযোগী থাকেন। কারণ সেখানে ভোট কোন পার্টির পক্ষে যাবে, তা নির্দিষ্ট করে বোঝা যায় না।
এগুলোই হলো আমেরিকান নির্বাচনের ব্যাটলগ্রাউন্ড বা নির্বাচনী রণক্ষেত্র। এগুলোকেই অনেকে বলে থাকে ‘বেগুনি রাজ্য’। প্রার্থীদের কাছে এসব অঙ্গরাজ্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ হয়ে দাঁড়ায়। আর এই অঙ্গরাজ্যগুলোর ভোটই শেষ পর্যন্ত হয়ে দাঁড়ায় জয় পরাজয়ের মূল চাবিকাঠি। এই রাজ্যগুলোতেই হয় মূল প্রতিদ্বন্দ্বিতা।
এ বছরের নির্বাচনে সুইং স্টেট হিসাবে পরিচিত পাওয়া রাজ্যগুলোর মধ্যে ছিল অ্যারিজোনা, পেনসিলভানিয়া, জর্জিয়া, উইসকনসিন, মিশিগান, নর্থ ক্যারোলাইনা এবং নেভাদা। ২০১৬ সালেও এই অঙ্গরাজ্যগুলো ‘ব্যাটল-গ্রাউন্ড স্টেট’ হয়ে উঠেছিল।
প্রত্যেক নির্বাচনের সময় দেখা গেছে যেসব রাজ্যের ভোট বেশি, প্রার্থীরা সেসব রাজ্যে নির্বাচনী প্রচারণার পেছনে অনেক বেশি সময় ও অর্থ ব্যয় করে থাকেন।
অ্যারিজোনায় ২০২০ সালে জো বাইডেনের কাছে হেরে যান ডোনাল্ড ট্রাম্প। ২০১৬ সালে সেখানে জয় পেলেও গত বারের নির্বাচনে ভালো করতে পারেননি তিনি। তবে এবার দ্বিতীয় বারের মতো সেখানে জয় ছিনিয়ে এনেছেন ট্রাম্প।এবারের নির্বাচনে ওই অঙ্গরাজ্যে কমলা হ্যারিসের চেয়ে এগিয়ে আছেন এই রিপাবলিকান প্রার্থী।
অপরদিকে পেনসিলভানিয়ায় ২০২০ সালে জো বাইডেন জয়ী হলেও এবার ডেমোক্র্যাট প্রার্থী কমলা হ্যারিস সেখানে জয় ছিনিয়ে আনতে পারেননি। তাকে হারিয়েছে এবার সেখানে জয়ী হয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প।
জর্জিয়ায় গত বারের নির্বাচনে বাইডেনের কাছে হেরে গেলেও এবার কমলাকে হারিয়েছেন ট্রাম্প। ওই অঙ্গরাজ্যে ২০১৬ সালের নির্বাচনেও জয়ী হয়েছিলেন ট্রাম্প। সে সময় তিনি হিলারিকে পরাজিত করে জয় ছিনিয়ে আনেন।
এছাড়া এবারের নির্বাচনে উইসকনসিন, মিশিগান এবং নর্থ ক্যারোলাইনাতেও কমলাকে হারিয়ে জয় নিশ্চিত করেছেন ট্রাম্প। উইসকনসিন এবং মিশিগানে ২০১৬ সালে হিলারিকে হারিয়ে জয় নিশ্চিত করলেও গতবারের নির্বাচনে জো বাইডেনের কাছে হেরে যান ট্রাম্প। কিন্তু এই দুই রাজ্যে এবার বেশ দারুণ প্রত্যাবর্তন ঘটেছে তার।
মূলত এবার সুইং স্টেটগুলোতে দারুণভাবে সাফল্য ছিনিয়ে আনার কারণেই প্রেসিডেন্ট পদে জয় নিশ্চিত হয়েছে ট্রাম্পের। ২০১৬ সালে জয়ী হয়েছেন এমন অনেক অঙ্গরাজ্যেই ২০২০ সালে বাইডেনের কাছে হেরে যান তিনি। কিন্তু সেই পরাজয়কেই এবার অসাধারণ সাফল্যে বদলে ফেলেছেন ট্রাম্প। ফলে দ্বিতীয় বারের মতো হোয়াইট হাউজের দায়িত্ব নেওয়ার অপেক্ষায় আছেন এই রিপাবলিকান প্রার্থী।