দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট ইউন সুক ইওলকে সরাতে দেশটির বিরোধীদল নিয়ন্ত্রিত পার্লামেন্ট দ্বিতীয় দফায় অভিশংসন প্রস্তাবে অনুমোদন দিয়েছে। শনিবারের এই ভোটাভুটিতে ২০৪ জন আইনপ্রণেতা অভিশংসনের পক্ষে ভোট দেন, বিপক্ষে ভোট দেন ৮৫ জন।
৩০০ সদস্যবিশিষ্ট পার্লামেন্টে বিরোধী দলের ১৯২টি আসন রয়েছে। ক্ষমতাসীন পিপলস পাওয়ার পার্টির (পিপিপি) কয়েকজন সদস্যও বিরোধীদের সঙ্গে যোগ দেওয়ায় অভিশংসনের জন্য প্রয়োজনীয় দুই-তৃতীয়াংশ সমর্থন নিশ্চিত হয়।
এ ভোটের ফলে প্রেসিডেন্ট ইউনকে সাময়িক বরখাস্তের পথ তৈরি হলেও তিনি এখনও দায়িত্বে বহাল থাকবেন। অভিশংসন প্রক্রিয়ার চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত দেবে সাংবিধানিক আদালত। আদালতের নয় সদস্যের মধ্যে ছয়জন যদি অভিশংসনের পক্ষে মত দেন, তবে ইউনকে স্থায়ীভাবে পদত্যাগ করতে হবে।
সাংবিধানিক আদালতের সিদ্ধান্ত আসতে কয়েক সপ্তাহ থেকে কয়েক মাস লাগতে পারে। যদি ইউনকে সরানো হয়, তাহলে প্রধানমন্ত্রী হান দক-সু ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব পালন করবেন এবং ৬০ দিনের মধ্যে নতুন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আয়োজন করতে হবে।
গত ৩ ডিসেম্বর রাষ্ট্রীয় ভাষণে ‘রাষ্ট্রবিরোধী শক্তি দমনের’ অজুহাতে সামরিক আইন জারির ঘোষণা দিয়ে ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়েন ইউন। পরে জনরোষের কারণে তিনি এই সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করেন এবং ক্ষমা চেয়েও অভিশংসন প্রস্তাব এড়াতে পারেননি।
এর আগে, ২০১৭ সালে আরেক রক্ষণশীল প্রেসিডেন্ট পার্ক গুয়েন হাইও অভিশংসনের মাধ্যমে পদচ্যুত হয়েছিলেন।
শনিবার, ১৪ ডিসেম্বর ২০২৪
দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট ইউন সুক ইওলকে সরাতে দেশটির বিরোধীদল নিয়ন্ত্রিত পার্লামেন্ট দ্বিতীয় দফায় অভিশংসন প্রস্তাবে অনুমোদন দিয়েছে। শনিবারের এই ভোটাভুটিতে ২০৪ জন আইনপ্রণেতা অভিশংসনের পক্ষে ভোট দেন, বিপক্ষে ভোট দেন ৮৫ জন।
৩০০ সদস্যবিশিষ্ট পার্লামেন্টে বিরোধী দলের ১৯২টি আসন রয়েছে। ক্ষমতাসীন পিপলস পাওয়ার পার্টির (পিপিপি) কয়েকজন সদস্যও বিরোধীদের সঙ্গে যোগ দেওয়ায় অভিশংসনের জন্য প্রয়োজনীয় দুই-তৃতীয়াংশ সমর্থন নিশ্চিত হয়।
এ ভোটের ফলে প্রেসিডেন্ট ইউনকে সাময়িক বরখাস্তের পথ তৈরি হলেও তিনি এখনও দায়িত্বে বহাল থাকবেন। অভিশংসন প্রক্রিয়ার চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত দেবে সাংবিধানিক আদালত। আদালতের নয় সদস্যের মধ্যে ছয়জন যদি অভিশংসনের পক্ষে মত দেন, তবে ইউনকে স্থায়ীভাবে পদত্যাগ করতে হবে।
সাংবিধানিক আদালতের সিদ্ধান্ত আসতে কয়েক সপ্তাহ থেকে কয়েক মাস লাগতে পারে। যদি ইউনকে সরানো হয়, তাহলে প্রধানমন্ত্রী হান দক-সু ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব পালন করবেন এবং ৬০ দিনের মধ্যে নতুন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আয়োজন করতে হবে।
গত ৩ ডিসেম্বর রাষ্ট্রীয় ভাষণে ‘রাষ্ট্রবিরোধী শক্তি দমনের’ অজুহাতে সামরিক আইন জারির ঘোষণা দিয়ে ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়েন ইউন। পরে জনরোষের কারণে তিনি এই সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করেন এবং ক্ষমা চেয়েও অভিশংসন প্রস্তাব এড়াতে পারেননি।
এর আগে, ২০১৭ সালে আরেক রক্ষণশীল প্রেসিডেন্ট পার্ক গুয়েন হাইও অভিশংসনের মাধ্যমে পদচ্যুত হয়েছিলেন।