কলম্বিয়ার কাটাটুম্বো এলাকায় বিদ্রোহী দুই গোষ্ঠীর মধ্যে সহিংস সংঘর্ষে ৬০ জন নিহত হয়েছে। দেশটির মানবাধিকার ন্যায়পাল তার দপ্তর থেকে শনিবার এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন, সাম্প্রতিক এই সংঘাতের কারণে ৩২ জনকে অপহরণ করা হয়েছে এবং কয়েকশ মানুষকে ঘরবাড়ি ছেড়ে পালাতে হয়েছে।
কাটাটুম্বো অঞ্চলে সংঘাত বামপন্থি বিদ্রোহী গোষ্ঠী ন্যাশনাল লিবারেশন আর্মি (ইএলএন) এবং সাবেক রেভ্যুলশনারি আর্মড ফোর্সেস অব কলম্বিয়ার (ফার্ক) একটি অংশের মধ্যে। এটি মূলত মাদক চোরাচালানের কৌশলগত এলাকা হওয়ায় দীর্ঘদিন ধরেই সংঘর্ষের কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে।
দেশটির প্রেসিডেন্ট গুস্তাভো পেত্রো ইএলএনের বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধের অভিযোগ তুলে তাদের সঙ্গে চলমান শান্তি আলোচনা স্থগিত করেছেন। তবে ইএলএন শনিবার এক বিবৃতিতে এই সহিংসতার দায় ফার্কের ওপর চাপিয়েছে। তাদের ভাষ্যে, ফার্কই বেসামরিক নাগরিকদের হত্যা এবং আগ্রাসন চালাচ্ছে।
অন্যদিকে, ফার্ক এই অভিযোগের আনুষ্ঠানিক কোনো উত্তর দেয়নি। তবে শুক্রবার তারা জানায়, সংঘর্ষ আরও ছড়িয়ে পড়া ঠেকাতে তাদের ইউনিটগুলোকে সংঘাতপূর্ণ এলাকা থেকে সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে।
কাটাটুম্বো অঞ্চলের অবস্থান ভেনিজুয়েলার সীমান্তের কাছে, যা মাদক চোরাচালানের জন্য কৌশলগতভাবে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এখান দিয়ে বেআইনি সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলো বিপুল পরিমাণ কোকেইন পাচার করে থাকে। দেশটির নিরাপত্তা বিশ্লেষকদের মতে, মাদক বাণিজ্যের নিয়ন্ত্রণ দখলকে কেন্দ্র করেই এসব সংঘাত শুরু হয়েছে।
কলম্বিয়ায় ছয় দশক ধরে চলা অভ্যন্তরীণ সংঘাতে প্রায় সাড়ে ৪ লাখ মানুষ প্রাণ হারিয়েছে। ২০২২ সাল থেকে প্রেসিডেন্ট পেত্রোর সরকার শান্তি প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে বিভিন্ন বিদ্রোহী গোষ্ঠী ও অপরাধী দলের সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে আসছে। তবে সাম্প্রতিক সংঘর্ষ এই প্রচেষ্টাকে বড় ধরনের চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলেছে।
ন্যায়পালের দপ্তর সতর্ক করে বলেছে, ইএলএনের বিরোধিতা করায় সমাজের প্রভাবশালী ব্যক্তিদের পরিবারসহ সাধারণ মানুষের অপহরণের ঝুঁকি বেড়ে গেছে।
মানবাধিকার ন্যায়পাল বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলোকে বেসামরিক নাগরিকদের ওপর আক্রমণ বন্ধ করার আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি সংঘাতপূর্ণ এলাকায় মানবিক ত্রাণ সরবরাহের সুযোগ সৃষ্টি এবং সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বিদ্রোহীদের প্রতি আহ্বান জানান।
এদিকে, কাটাটুম্বোর সহিংসতার কারণে বাস্তুচ্যুত পরিবারগুলো মানবিক সংকটে পড়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেওয়া পদক্ষেপ এখন কলম্বিয়ার অভ্যন্তরীণ শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।
এই দীর্ঘমেয়াদি সংঘাত কীভাবে নিরসন হবে, সেটি নিয়ে সংশয় থাকলেও সাধারণ মানুষের জীবন রক্ষায় সরকারের কঠোর পদক্ষেপ প্রয়োজন বলে মনে করছেন মানবাধিকার কর্মীরা।
রোববার, ১৯ জানুয়ারী ২০২৫
কলম্বিয়ার কাটাটুম্বো এলাকায় বিদ্রোহী দুই গোষ্ঠীর মধ্যে সহিংস সংঘর্ষে ৬০ জন নিহত হয়েছে। দেশটির মানবাধিকার ন্যায়পাল তার দপ্তর থেকে শনিবার এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন, সাম্প্রতিক এই সংঘাতের কারণে ৩২ জনকে অপহরণ করা হয়েছে এবং কয়েকশ মানুষকে ঘরবাড়ি ছেড়ে পালাতে হয়েছে।
কাটাটুম্বো অঞ্চলে সংঘাত বামপন্থি বিদ্রোহী গোষ্ঠী ন্যাশনাল লিবারেশন আর্মি (ইএলএন) এবং সাবেক রেভ্যুলশনারি আর্মড ফোর্সেস অব কলম্বিয়ার (ফার্ক) একটি অংশের মধ্যে। এটি মূলত মাদক চোরাচালানের কৌশলগত এলাকা হওয়ায় দীর্ঘদিন ধরেই সংঘর্ষের কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে।
দেশটির প্রেসিডেন্ট গুস্তাভো পেত্রো ইএলএনের বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধের অভিযোগ তুলে তাদের সঙ্গে চলমান শান্তি আলোচনা স্থগিত করেছেন। তবে ইএলএন শনিবার এক বিবৃতিতে এই সহিংসতার দায় ফার্কের ওপর চাপিয়েছে। তাদের ভাষ্যে, ফার্কই বেসামরিক নাগরিকদের হত্যা এবং আগ্রাসন চালাচ্ছে।
অন্যদিকে, ফার্ক এই অভিযোগের আনুষ্ঠানিক কোনো উত্তর দেয়নি। তবে শুক্রবার তারা জানায়, সংঘর্ষ আরও ছড়িয়ে পড়া ঠেকাতে তাদের ইউনিটগুলোকে সংঘাতপূর্ণ এলাকা থেকে সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে।
কাটাটুম্বো অঞ্চলের অবস্থান ভেনিজুয়েলার সীমান্তের কাছে, যা মাদক চোরাচালানের জন্য কৌশলগতভাবে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এখান দিয়ে বেআইনি সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলো বিপুল পরিমাণ কোকেইন পাচার করে থাকে। দেশটির নিরাপত্তা বিশ্লেষকদের মতে, মাদক বাণিজ্যের নিয়ন্ত্রণ দখলকে কেন্দ্র করেই এসব সংঘাত শুরু হয়েছে।
কলম্বিয়ায় ছয় দশক ধরে চলা অভ্যন্তরীণ সংঘাতে প্রায় সাড়ে ৪ লাখ মানুষ প্রাণ হারিয়েছে। ২০২২ সাল থেকে প্রেসিডেন্ট পেত্রোর সরকার শান্তি প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে বিভিন্ন বিদ্রোহী গোষ্ঠী ও অপরাধী দলের সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে আসছে। তবে সাম্প্রতিক সংঘর্ষ এই প্রচেষ্টাকে বড় ধরনের চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলেছে।
ন্যায়পালের দপ্তর সতর্ক করে বলেছে, ইএলএনের বিরোধিতা করায় সমাজের প্রভাবশালী ব্যক্তিদের পরিবারসহ সাধারণ মানুষের অপহরণের ঝুঁকি বেড়ে গেছে।
মানবাধিকার ন্যায়পাল বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলোকে বেসামরিক নাগরিকদের ওপর আক্রমণ বন্ধ করার আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি সংঘাতপূর্ণ এলাকায় মানবিক ত্রাণ সরবরাহের সুযোগ সৃষ্টি এবং সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বিদ্রোহীদের প্রতি আহ্বান জানান।
এদিকে, কাটাটুম্বোর সহিংসতার কারণে বাস্তুচ্যুত পরিবারগুলো মানবিক সংকটে পড়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেওয়া পদক্ষেপ এখন কলম্বিয়ার অভ্যন্তরীণ শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।
এই দীর্ঘমেয়াদি সংঘাত কীভাবে নিরসন হবে, সেটি নিয়ে সংশয় থাকলেও সাধারণ মানুষের জীবন রক্ষায় সরকারের কঠোর পদক্ষেপ প্রয়োজন বলে মনে করছেন মানবাধিকার কর্মীরা।