ওমানে যুক্তরাষ্ট্র ও ইরানের মধ্যকার প্রথম দফার বৈঠককে ‘ইতিবাচক’ ও ‘গঠনমূলক’ বলে অভিহিত করেছে উভয় পক্ষ। মাসকটে অনুষ্ঠিত এই বৈঠক ছিল ২০১৮ সালের পর দুই দেশের মধ্যে সবচেয়ে উচ্চ পর্যায়ের সংলাপ।
শনিবার অনুষ্ঠিত বৈঠকে ইরানি প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাগচি, আর যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষে ছিলেন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যপ্রাচ্য বিষয়ক দূত স্টিভ উইটকফ। প্রায় আড়াই ঘণ্টার আলোচনায় দুই পক্ষই দ্বিতীয় দফার বৈঠকে বসতে সম্মত হয়েছে, যা আগামী সপ্তাহে হওয়ার কথা রয়েছে।
আব্বাস আরাগচি বলেন, “বৈঠকটি শান্ত পরিবেশে ফলপ্রসূ হয়েছে। আমরা আলোচনায় অগ্রসর হতে আগ্রহী। তবে আমরা কেবলমাত্র আলোচনা চালিয়ে যেতে চাই না, স্বল্পমেয়াদি একটি চুক্তিতে পৌঁছাতে চাই।”
ওমানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বদর বিন হামাদ আল-বুসাইদির মধ্যস্থতায় এই আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়। প্রাথমিকভাবে আরাগচি ও উইটকফ সরাসরি কিছু সময় কথা বললেও মূল আলোচনা হয় আলাদা কক্ষে বসে, যেখানে মধ্যস্থতা করেছেন বদর।
ইরানে কট্টরপন্থীদের চাপে সরাসরি বৈঠক এড়িয়ে চলেছেন আরাগচি, এমনকি বৈঠকের কোনো ছবি তোলা হয়নি। বৈঠকটি গোপনীয়তার মধ্যে সীমাবদ্ধ ছিল।
বৈঠক শেষে হোয়াইট হাউজ এক বিবৃতিতে জানায়, “বিষয়গুলো অত্যন্ত জটিল। তবে আজকের এই আলোচনা পারষ্পরিক সুবিধাজনক ফলের পথে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ।”
ইরানও পক্ষ থেকেও ইতিবাচক সুরে প্রতিক্রিয়া এসেছে। আরাগচি রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে বলেন, “আমরা আলোচনার একটি ভিত্তির খুব কাছাকাছি চলে এসেছি। যদি সবকিছু ঠিক থাকে, তাহলে আগামী সপ্তাহেই একটি সিদ্ধান্তে পৌঁছানো সম্ভব হবে, যা আমাদের বড় পরিসরে মূল আলোচনার দিকে এগিয়ে নেবে।”
উল্লেখ্য, ২০১৮ সালে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ওবামা প্রশাসনের আমলে স্বাক্ষরিত বহুজাতিক পারমাণবিক চুক্তি থেকে যুক্তরাষ্ট্রকে প্রত্যাহার করেন। এরপর থেকেই ইরানের সঙ্গে উত্তেজনা বেড়ে যায় এবং তেহরান পুরোনো চুক্তি বাদ দিয়ে নতুন চুক্তির আলোচনায় যেতে অস্বীকৃতি জানিয়ে আসছিল।
কোনো চুক্তি না হলে ইরানে হামলার হুমকি দিয়েছিলেন ট্রাম্প। আর এই অবস্থায় ইরানও ছিল সতর্ক। তবে সাম্প্রতিক এই আলোচনা নতুন করে কূটনৈতিক পথ খোলার সম্ভাবনার আভাস দিচ্ছে।
রোববার, ১৩ এপ্রিল ২০২৫
ওমানে যুক্তরাষ্ট্র ও ইরানের মধ্যকার প্রথম দফার বৈঠককে ‘ইতিবাচক’ ও ‘গঠনমূলক’ বলে অভিহিত করেছে উভয় পক্ষ। মাসকটে অনুষ্ঠিত এই বৈঠক ছিল ২০১৮ সালের পর দুই দেশের মধ্যে সবচেয়ে উচ্চ পর্যায়ের সংলাপ।
শনিবার অনুষ্ঠিত বৈঠকে ইরানি প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাগচি, আর যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষে ছিলেন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যপ্রাচ্য বিষয়ক দূত স্টিভ উইটকফ। প্রায় আড়াই ঘণ্টার আলোচনায় দুই পক্ষই দ্বিতীয় দফার বৈঠকে বসতে সম্মত হয়েছে, যা আগামী সপ্তাহে হওয়ার কথা রয়েছে।
আব্বাস আরাগচি বলেন, “বৈঠকটি শান্ত পরিবেশে ফলপ্রসূ হয়েছে। আমরা আলোচনায় অগ্রসর হতে আগ্রহী। তবে আমরা কেবলমাত্র আলোচনা চালিয়ে যেতে চাই না, স্বল্পমেয়াদি একটি চুক্তিতে পৌঁছাতে চাই।”
ওমানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বদর বিন হামাদ আল-বুসাইদির মধ্যস্থতায় এই আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়। প্রাথমিকভাবে আরাগচি ও উইটকফ সরাসরি কিছু সময় কথা বললেও মূল আলোচনা হয় আলাদা কক্ষে বসে, যেখানে মধ্যস্থতা করেছেন বদর।
ইরানে কট্টরপন্থীদের চাপে সরাসরি বৈঠক এড়িয়ে চলেছেন আরাগচি, এমনকি বৈঠকের কোনো ছবি তোলা হয়নি। বৈঠকটি গোপনীয়তার মধ্যে সীমাবদ্ধ ছিল।
বৈঠক শেষে হোয়াইট হাউজ এক বিবৃতিতে জানায়, “বিষয়গুলো অত্যন্ত জটিল। তবে আজকের এই আলোচনা পারষ্পরিক সুবিধাজনক ফলের পথে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ।”
ইরানও পক্ষ থেকেও ইতিবাচক সুরে প্রতিক্রিয়া এসেছে। আরাগচি রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে বলেন, “আমরা আলোচনার একটি ভিত্তির খুব কাছাকাছি চলে এসেছি। যদি সবকিছু ঠিক থাকে, তাহলে আগামী সপ্তাহেই একটি সিদ্ধান্তে পৌঁছানো সম্ভব হবে, যা আমাদের বড় পরিসরে মূল আলোচনার দিকে এগিয়ে নেবে।”
উল্লেখ্য, ২০১৮ সালে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ওবামা প্রশাসনের আমলে স্বাক্ষরিত বহুজাতিক পারমাণবিক চুক্তি থেকে যুক্তরাষ্ট্রকে প্রত্যাহার করেন। এরপর থেকেই ইরানের সঙ্গে উত্তেজনা বেড়ে যায় এবং তেহরান পুরোনো চুক্তি বাদ দিয়ে নতুন চুক্তির আলোচনায় যেতে অস্বীকৃতি জানিয়ে আসছিল।
কোনো চুক্তি না হলে ইরানে হামলার হুমকি দিয়েছিলেন ট্রাম্প। আর এই অবস্থায় ইরানও ছিল সতর্ক। তবে সাম্প্রতিক এই আলোচনা নতুন করে কূটনৈতিক পথ খোলার সম্ভাবনার আভাস দিচ্ছে।