ব্রিটিশ এমপি ভেরা হবহাউসকে হংকংয়ে ঢুকতে না দেওয়ায় ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডেভিড ল্যামি। শিগগিরই চীনের কর্তৃপক্ষের কাছে এর ব্যাখ্যা চাইবেন বলেও জানিয়েছেন তিনি।
লিবারেল ডেমোক্র্যাট দলের এমপি ভেরা হবহাউসকে বৃহস্পতিবার হংকংয়ে ঢুকতে দেয়নি কর্তৃপক্ষ। ছেলে ও নাতিকে দেখতে ব্যক্তিগত সফরে হংকং যেতে চেয়েছিলেন এ নারী। তার ছেলে ২০১৯ সাল থেকে চীন নিয়ন্ত্রিত শহরটিতে বসবাস করছেন।
হবহাউস বলছেন, ১৯৯৭ সালে হংকং চীনের হাতে তুলে দেওয়ার পর তিনিই প্রথম ব্রিটিশ এমপি যাকে শহরটিতে পৌঁছানোর পরও ভেতরে ঢুকতে দেওয়া হয়নি।
“আমার ছেলে বিমানবন্দরে অপেক্ষা করছিল। আমি তাকে দেখতে পারিনি, জড়িয়ে ধরতে পারিনি। প্রায় এক বছর পর হয়েছে তাকে দেখিনি আমি,” বলেন হবহাউস।
তিনি এ ঘটনাকে ‘নিষ্ঠুর’ এবং সব ‘সাংসদের জন্য অপমানজনক’ অ্যাখ্যা দিয়েছেন।
লিবারেল ডেমোক্র্যাট এ রাজনীতিক চীনের সমালোচনায় সোচ্চার সংসদীয় জোট ইন্টার-পার্লামেন্টারি অ্যালায়েন্স অন চায়নার (আইপিএসি) সদস্য। কেন তাকে হংকংয়ে ঢুকতে দেওয়া হয়নি সে বিষয়ে কর্তৃপক্ষ কোনো ব্যাখ্যাও দেয়নি।
এ ঘটনার প্রতিক্রিয়ায় ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী ল্যামি রোববার বলেছেন, “ব্যক্তিগত সফরে যাওয়া একজন ব্রিটিশ এমপিকে ঢুকতে না দেওয়া গভীর উদ্বেগজনক। আমরা শিগগিরই হংকং ও বেইজিংয়ের কর্তৃপক্ষের কাছে এর ব্যাখ্যা দাবি করবো। কেবল মতপ্রকাশের কারণে যদি কোনো সংসদ সদস্যকে ঢুকতে না দেওয়া হয়, তাহলে সেটা যে পুরোপুরি অগ্রহণযোগ্য হবে তা আমি আগেও বলেছি। এমন পদক্ষেপ হংকংয়ের আন্তর্জাতিক ভাবমূর্তিকেই ক্ষুণ্ন করেছে।”
গাজা যুদ্ধ নিয়ে মন্তব্য করায় দুই ব্রিটিশ লেবার এমপিকে ঢুকতে না দেওয়ায় সপ্তাহখানেক আগে ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী ল্যামি ইসরায়েল সরকারেরও কঠোর সমালোচনা করেছিলেন।
হংকংয়ের বিমানবন্দরে হবহাউসের পাসপোর্ট নিয়ে নেওয়া হয়, এরপর তাকে পেশা ও সফরের উদ্দেশ্য সম্পর্কে জিজ্ঞাসাবাদ এবং তার লাগেজ তল্লাশি করা হয়। এরপর তাকে বোর্ডিং গেটে নিয়ে দেওয়া হয়।
“যখন আমাকে সিদ্ধান্তটি জানানো হলো, তখন আমার কণ্ঠ কাঁপছিল। আমি শুধু জিজ্ঞেস করেছিলাম—‘কেন? আমাকে ব্যাখ্যা করুন’,” বলেন হবহাউস।
এ ঘটনাকে ‘নিষ্ঠুর’ ও ‘কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়’ বলে অভিহিত করেছেন লিবারেল ডেমোক্র্যাট নেতা স্যার এড ডেভি।
এক বিবৃতিতে আইপিএসি বলেছে, হবহাউসকে ঢুকতে না দেওয়ার ঘটনা ‘সম্ভবত চীনের মানবাধিকার লঙ্ঘন নিয়ে তার সমালোচনা এবং এই জোটের সদস্যপদে থাকার কারণেই হয়েছে বলে মনে হচ্ছে’। তারা এ ঘটনাকে ‘গণতান্ত্রিক নীতিমালা ও ব্যক্তি স্বাধীনতার প্রতি চরম অবজ্ঞা’ হিসেবেই দেখছে।
আইপিএসি-র সদস্য হবহাউস এর আগে তিব্বতে মানবাধিকার লঙ্ঘন ও হংকংয়ে মতপ্রকাশের স্বাধীনতা ঘিরে আন্দোলনে দমনপীড়ন নিয়ে বেইজিংয়ের বিরুদ্ধে সরব হয়েছিলেন।
চীন আগেও আইপিএসি-র সদস্য ইয়ান ডানকান স্মিথ, নুসরাত ঘানি ও সাবেক নিরাপত্তা মন্ত্রী টম টুগেনহাটসহ বেশ কয়েকজন ব্রিটিশ এমপির ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছিল।
হবহাউসকে ঢুকতে না দেওয়া প্রসঙ্গে হংকং কর্তৃপক্ষের বক্তব্য জানা যায়নি।
রোববার, ১৩ এপ্রিল ২০২৫
ব্রিটিশ এমপি ভেরা হবহাউসকে হংকংয়ে ঢুকতে না দেওয়ায় ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডেভিড ল্যামি। শিগগিরই চীনের কর্তৃপক্ষের কাছে এর ব্যাখ্যা চাইবেন বলেও জানিয়েছেন তিনি।
লিবারেল ডেমোক্র্যাট দলের এমপি ভেরা হবহাউসকে বৃহস্পতিবার হংকংয়ে ঢুকতে দেয়নি কর্তৃপক্ষ। ছেলে ও নাতিকে দেখতে ব্যক্তিগত সফরে হংকং যেতে চেয়েছিলেন এ নারী। তার ছেলে ২০১৯ সাল থেকে চীন নিয়ন্ত্রিত শহরটিতে বসবাস করছেন।
হবহাউস বলছেন, ১৯৯৭ সালে হংকং চীনের হাতে তুলে দেওয়ার পর তিনিই প্রথম ব্রিটিশ এমপি যাকে শহরটিতে পৌঁছানোর পরও ভেতরে ঢুকতে দেওয়া হয়নি।
“আমার ছেলে বিমানবন্দরে অপেক্ষা করছিল। আমি তাকে দেখতে পারিনি, জড়িয়ে ধরতে পারিনি। প্রায় এক বছর পর হয়েছে তাকে দেখিনি আমি,” বলেন হবহাউস।
তিনি এ ঘটনাকে ‘নিষ্ঠুর’ এবং সব ‘সাংসদের জন্য অপমানজনক’ অ্যাখ্যা দিয়েছেন।
লিবারেল ডেমোক্র্যাট এ রাজনীতিক চীনের সমালোচনায় সোচ্চার সংসদীয় জোট ইন্টার-পার্লামেন্টারি অ্যালায়েন্স অন চায়নার (আইপিএসি) সদস্য। কেন তাকে হংকংয়ে ঢুকতে দেওয়া হয়নি সে বিষয়ে কর্তৃপক্ষ কোনো ব্যাখ্যাও দেয়নি।
এ ঘটনার প্রতিক্রিয়ায় ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী ল্যামি রোববার বলেছেন, “ব্যক্তিগত সফরে যাওয়া একজন ব্রিটিশ এমপিকে ঢুকতে না দেওয়া গভীর উদ্বেগজনক। আমরা শিগগিরই হংকং ও বেইজিংয়ের কর্তৃপক্ষের কাছে এর ব্যাখ্যা দাবি করবো। কেবল মতপ্রকাশের কারণে যদি কোনো সংসদ সদস্যকে ঢুকতে না দেওয়া হয়, তাহলে সেটা যে পুরোপুরি অগ্রহণযোগ্য হবে তা আমি আগেও বলেছি। এমন পদক্ষেপ হংকংয়ের আন্তর্জাতিক ভাবমূর্তিকেই ক্ষুণ্ন করেছে।”
গাজা যুদ্ধ নিয়ে মন্তব্য করায় দুই ব্রিটিশ লেবার এমপিকে ঢুকতে না দেওয়ায় সপ্তাহখানেক আগে ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী ল্যামি ইসরায়েল সরকারেরও কঠোর সমালোচনা করেছিলেন।
হংকংয়ের বিমানবন্দরে হবহাউসের পাসপোর্ট নিয়ে নেওয়া হয়, এরপর তাকে পেশা ও সফরের উদ্দেশ্য সম্পর্কে জিজ্ঞাসাবাদ এবং তার লাগেজ তল্লাশি করা হয়। এরপর তাকে বোর্ডিং গেটে নিয়ে দেওয়া হয়।
“যখন আমাকে সিদ্ধান্তটি জানানো হলো, তখন আমার কণ্ঠ কাঁপছিল। আমি শুধু জিজ্ঞেস করেছিলাম—‘কেন? আমাকে ব্যাখ্যা করুন’,” বলেন হবহাউস।
এ ঘটনাকে ‘নিষ্ঠুর’ ও ‘কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়’ বলে অভিহিত করেছেন লিবারেল ডেমোক্র্যাট নেতা স্যার এড ডেভি।
এক বিবৃতিতে আইপিএসি বলেছে, হবহাউসকে ঢুকতে না দেওয়ার ঘটনা ‘সম্ভবত চীনের মানবাধিকার লঙ্ঘন নিয়ে তার সমালোচনা এবং এই জোটের সদস্যপদে থাকার কারণেই হয়েছে বলে মনে হচ্ছে’। তারা এ ঘটনাকে ‘গণতান্ত্রিক নীতিমালা ও ব্যক্তি স্বাধীনতার প্রতি চরম অবজ্ঞা’ হিসেবেই দেখছে।
আইপিএসি-র সদস্য হবহাউস এর আগে তিব্বতে মানবাধিকার লঙ্ঘন ও হংকংয়ে মতপ্রকাশের স্বাধীনতা ঘিরে আন্দোলনে দমনপীড়ন নিয়ে বেইজিংয়ের বিরুদ্ধে সরব হয়েছিলেন।
চীন আগেও আইপিএসি-র সদস্য ইয়ান ডানকান স্মিথ, নুসরাত ঘানি ও সাবেক নিরাপত্তা মন্ত্রী টম টুগেনহাটসহ বেশ কয়েকজন ব্রিটিশ এমপির ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছিল।
হবহাউসকে ঢুকতে না দেওয়া প্রসঙ্গে হংকং কর্তৃপক্ষের বক্তব্য জানা যায়নি।