যুক্তরাষ্ট্রের রাজধানী ওয়াশিংটন ডিসিতে শুরু হয়েছে বিশ্বব্যাংক ও আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) বার্ষিক বসন্তকালীন বৈঠক-২০২৫ (স্প্রিং মিটিংস)। আইএমএফ এবং ওয়ার্ল্ড ব্যাংক সদর দপ্তরে গতকাল সোমবার শুরু হওয়া ছয় দিনব্যাপী এই বৈঠক আগামী শনিবার (২৬ এপ্রিল) শেষ হবে।
আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে ট্রাম্পের ট্যারিফ
বাংলাদেশের ঋণের কিস্তি ছাড়ের বিষয়ে আসতে পারে সিদ্ধান্ত
এ বছর সব আলোচনার কেন্দ্রে রয়েছে- ট্রাম্পের ট্যারিফ বা শুল্কনীতি, বিশ্ব অর্থনীতির ওপর এর প্রভাব এবং এর মোকাবিলার কৌশল। বাংলাদেশের জন্যও এবারের বৈঠক গুরুত্বপূর্ণ। কারণ আইএমএফের চলমান ৪৭০ কোটি মার্কিন ডলারের ঋণ কর্মসূচি থেকে চতুর্থ ও পঞ্চম কিস্তির অর্থ পাওয়ার বিষয়ে এই বৈঠকে সিদ্ধান্ত হওয়ার কথা রয়েছে।
ট্রাম্পের শুল্ক ও বিশ্ববাণিজ্য
আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল ক্রমবর্ধমান বৈশ্বিক বাণিজ্য অনিশ্চয়তা নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে এবং সতর্ক করেছে যে এটি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে রপ্তানিকারক দেশগুলোর জন্য গুরুতর চ্যালেঞ্জ তৈরি করছে।
মার্কিন সরকারের সব বাণিজ্য অংশীদারদের ওপর ১০% শুল্ক আরোপের সিদ্ধান্তের পাশাপাশি চীনের সঙ্গে ক্রমবর্ধমান উত্তেজনার পরিপ্রেক্ষিতে এটি এসেছে, যা ১২৫% এবং ১৪৫% এর প্রতিশোধমূলক শুল্ক আরোপের সূত্রপাত করেছে।
এবারের বসন্তকালীন বৈঠকের বক্তব্যে আইএমএফ এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক ক্রিস্তালিনা জিওর্জিয়েভা এই উন্নয়নের সুদূরপ্রসারী পরিণতি, বিশেষ করে প্রভাবিত অর্থনীতিতে পণ্যের দামের ওপর মুদ্রাস্ফীতির প্রভাবের কথা তুলে ধরেন।
বিশ্ব ব্যাংকের প্রেসিডেন্ট অজয় বাঙ্গা এবং ক্রিস্তালিনা জর্জিয়েভা বসন্তকালীন বৈঠকের সার্বিক তত্ত্বাবধায়ন করছেন।
উদ্বোধনী দিনে মূল বৈঠকের অংশ হিসেবে অনুষ্ঠিত হয় ‘মার্কেট-বেইজ ফাইন্যান্স’ শীর্ষক সম্মেলন। সাইড ইভেন্টে ছিল ‘এক্সপান্ডিং এনার্জি এক্সেস ইন আফ্রিকা’ শীর্ষক আলোচনা।
এছাড়া ‘কর্পোরেট লেভেল
ভালনারেবেলিটিজ ইন অ্যা হাই ইন্টারেস্ট রেইট ওয়ার্ল্ড : গ্রিড রিস্ক টু ফিনান্সিয়াল স্টেবিলিটি’ শীর্ষক বিশ্লেষণধর্মী বৈঠক দিতে অংশ নিয়ে কথা বলেছেন অংশগ্রহণকারীরা।
বৈঠকে বাংলাদেশসহ সারা বিশ্ব থেকে ১৯০টি দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর, ব্যাংকার, অর্থনীতিবিদ ও বিশ্লেষকরা যোগ দিয়েছেন। বৈশ্বিক অর্থনৈতিক অবস্থা, উন্নয়ন, নীতিমালা সংস্করণ, সমসাময়িক ও ভবিষ্যৎ অর্থনৈতিক পরিকল্পনা গ্রহণ ও বাস্তবায়নে গুরুত্ব দিয়ে প্রতি বছর যৌথভাবে এ বৈঠকের আয়োজন করে ওয়ার্ল্ড ব্যাংক গ্রুপ এবং আইএমএফ।
বাংলাদেশের দুই কিস্তি
আইএমএফের সঙ্গে বাংলাদেশের ৪৭০ কোটি মার্কিন ডলারের ঋণ কর্মসূচি শুরু হয় ২০২৩ সালের ৩০ জানুয়ারি। ২০২৩ সালের ২ ফেব্রুয়ারি প্রথম কিস্তির ৪৭ কোটি ৬৩ লাখ ডলার পায় বাংলাদেশ। একই বছরের ডিসেম্বরে পাওয়া গেছে দ্বিতীয় কিস্তির ৬৮ কোটি ১০ লাখ ডলার।
২০২৪ সালের জুনে পাওয়া গেছে তৃতীয় কিস্তির ১১৫ কোটি ডলার। অর্থাৎ তিন কিস্তিতে আইএমএফ থেকে ২৩১ কোটি ডলার পেয়েছে বাংলাদেশ। বাকি আছে ঋণের ২৩৯ কোটি ডলার।
বিপত্তি দেখা দেয় চতুর্থ কিস্তির অর্থছাড়ের বেলায়।
এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে আইএমএফের গবেষণা বিভাগের উন্নয়ন সামষ্টিক অর্থনীতি শাখার প্রধান (তিনি মিশনপ্রধান) ক্রিস পাপাজর্জিওর নেতৃত্বে ৯ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল সম্প্রতি ঢাকা সফর করে।
দুই সপ্তাহের সফরে প্রতিনিধি দলটি বাংলাদেশ ব্যাংক ও অর্থ বিভাগের পাশাপাশি জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর), আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ, বিদ্যুৎ বিভাগ, বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড, বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি), জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগ ইত্যাদি দপ্তরের সঙ্গে বৈঠক করে।
সফর শেষে বাংলাদেশ ব্যাংকে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে মিশনপ্রধান ক্রিস পাপাজর্জিও বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের রাজধানী ওয়াশিংটনে অনুষ্ঠেয় আইএমএফ-বিশ্বব্যাংকের বসন্তকালীন বৈঠকে পরবর্তী অর্থ ছাড়ের বিষয়ে আরও আলোচনা হবে।
আইএমএফ বলেছে, সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে পরবর্তী দুই কিস্তির অর্থ পাওয়া যেতে পারে আগামী জুনের শেষ দিকে।
বসন্তকালীন বৈঠক ও বাংলাদেশ
বরাবরের মতো এবারের বসন্তকালীন বৈঠকেও টেকসই উন্নয়ন, সবুজ অর্থায়ন, জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব, জলবায়ু পরিবর্তনের অভিঘাত মোকাবিলা, নবায়নযোগ্য জ্বালানির ব্যবহার বৃদ্ধি সংক্রান্ত বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা হবে।
আগামী দিনে বাংলাদেশের অর্থনীতির সার্বিক পরিস্থিতি ভালো রাখতে বাংলাদেশের করণীয় কী, বরাবরের মতো এবারও সে বিষয়ে পরামর্শ দেবে আইএমএফ।
এবারের বসন্তকালীন বৈঠকে বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলের তালিকায় আছেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের অর্থ উপদেষ্টা সালেহ উদ্দিন আহমেদ এর নেতৃত্বে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুর, ইআরডি সচিব মো. শাহরিয়ার কাদের সিদ্দিকী, অর্থ বিভাগের সচিব খায়রুজ্জামান মজুমদার প্রমুখ।
অর্থ বিভাগ ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ (ইআরডি) সূত্রে জানা যায়, বৈঠকে বিশ্বব্যাংকের কাছে প্রতিশ্রুত বাজেট সহায়তার অবশিষ্ট ৫০ কোটি ডলার দ্রুত ছাড় করার অনুরোধ জানাবে বাংলাদেশ। পাশাপাশি জুলাই থেকে শুরু হতে যাওয়া সংস্থাটির তিন বছর মেয়াদি নতুন সহজ শর্তের ঋণ কর্মসূচির আওতায় বাড়তি ঋণও চাইবে।
এছাড়া বৈঠকে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে বিনিময় হার ও রাজস্ব ব্যবস্থাপনা-সংক্রান্ত সুস্পষ্ট একটি সংস্কার পরিকল্পনা উপস্থাপন করা হবে, যা আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) ৪৭০ কোটি ডলার ঋণ প্যাকেজের অন্যতম শর্ত।
মঙ্গলবার, ২২ এপ্রিল ২০২৫
যুক্তরাষ্ট্রের রাজধানী ওয়াশিংটন ডিসিতে শুরু হয়েছে বিশ্বব্যাংক ও আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) বার্ষিক বসন্তকালীন বৈঠক-২০২৫ (স্প্রিং মিটিংস)। আইএমএফ এবং ওয়ার্ল্ড ব্যাংক সদর দপ্তরে গতকাল সোমবার শুরু হওয়া ছয় দিনব্যাপী এই বৈঠক আগামী শনিবার (২৬ এপ্রিল) শেষ হবে।
আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে ট্রাম্পের ট্যারিফ
বাংলাদেশের ঋণের কিস্তি ছাড়ের বিষয়ে আসতে পারে সিদ্ধান্ত
এ বছর সব আলোচনার কেন্দ্রে রয়েছে- ট্রাম্পের ট্যারিফ বা শুল্কনীতি, বিশ্ব অর্থনীতির ওপর এর প্রভাব এবং এর মোকাবিলার কৌশল। বাংলাদেশের জন্যও এবারের বৈঠক গুরুত্বপূর্ণ। কারণ আইএমএফের চলমান ৪৭০ কোটি মার্কিন ডলারের ঋণ কর্মসূচি থেকে চতুর্থ ও পঞ্চম কিস্তির অর্থ পাওয়ার বিষয়ে এই বৈঠকে সিদ্ধান্ত হওয়ার কথা রয়েছে।
ট্রাম্পের শুল্ক ও বিশ্ববাণিজ্য
আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল ক্রমবর্ধমান বৈশ্বিক বাণিজ্য অনিশ্চয়তা নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে এবং সতর্ক করেছে যে এটি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে রপ্তানিকারক দেশগুলোর জন্য গুরুতর চ্যালেঞ্জ তৈরি করছে।
মার্কিন সরকারের সব বাণিজ্য অংশীদারদের ওপর ১০% শুল্ক আরোপের সিদ্ধান্তের পাশাপাশি চীনের সঙ্গে ক্রমবর্ধমান উত্তেজনার পরিপ্রেক্ষিতে এটি এসেছে, যা ১২৫% এবং ১৪৫% এর প্রতিশোধমূলক শুল্ক আরোপের সূত্রপাত করেছে।
এবারের বসন্তকালীন বৈঠকের বক্তব্যে আইএমএফ এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক ক্রিস্তালিনা জিওর্জিয়েভা এই উন্নয়নের সুদূরপ্রসারী পরিণতি, বিশেষ করে প্রভাবিত অর্থনীতিতে পণ্যের দামের ওপর মুদ্রাস্ফীতির প্রভাবের কথা তুলে ধরেন।
বিশ্ব ব্যাংকের প্রেসিডেন্ট অজয় বাঙ্গা এবং ক্রিস্তালিনা জর্জিয়েভা বসন্তকালীন বৈঠকের সার্বিক তত্ত্বাবধায়ন করছেন।
উদ্বোধনী দিনে মূল বৈঠকের অংশ হিসেবে অনুষ্ঠিত হয় ‘মার্কেট-বেইজ ফাইন্যান্স’ শীর্ষক সম্মেলন। সাইড ইভেন্টে ছিল ‘এক্সপান্ডিং এনার্জি এক্সেস ইন আফ্রিকা’ শীর্ষক আলোচনা।
এছাড়া ‘কর্পোরেট লেভেল
ভালনারেবেলিটিজ ইন অ্যা হাই ইন্টারেস্ট রেইট ওয়ার্ল্ড : গ্রিড রিস্ক টু ফিনান্সিয়াল স্টেবিলিটি’ শীর্ষক বিশ্লেষণধর্মী বৈঠক দিতে অংশ নিয়ে কথা বলেছেন অংশগ্রহণকারীরা।
বৈঠকে বাংলাদেশসহ সারা বিশ্ব থেকে ১৯০টি দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর, ব্যাংকার, অর্থনীতিবিদ ও বিশ্লেষকরা যোগ দিয়েছেন। বৈশ্বিক অর্থনৈতিক অবস্থা, উন্নয়ন, নীতিমালা সংস্করণ, সমসাময়িক ও ভবিষ্যৎ অর্থনৈতিক পরিকল্পনা গ্রহণ ও বাস্তবায়নে গুরুত্ব দিয়ে প্রতি বছর যৌথভাবে এ বৈঠকের আয়োজন করে ওয়ার্ল্ড ব্যাংক গ্রুপ এবং আইএমএফ।
বাংলাদেশের দুই কিস্তি
আইএমএফের সঙ্গে বাংলাদেশের ৪৭০ কোটি মার্কিন ডলারের ঋণ কর্মসূচি শুরু হয় ২০২৩ সালের ৩০ জানুয়ারি। ২০২৩ সালের ২ ফেব্রুয়ারি প্রথম কিস্তির ৪৭ কোটি ৬৩ লাখ ডলার পায় বাংলাদেশ। একই বছরের ডিসেম্বরে পাওয়া গেছে দ্বিতীয় কিস্তির ৬৮ কোটি ১০ লাখ ডলার।
২০২৪ সালের জুনে পাওয়া গেছে তৃতীয় কিস্তির ১১৫ কোটি ডলার। অর্থাৎ তিন কিস্তিতে আইএমএফ থেকে ২৩১ কোটি ডলার পেয়েছে বাংলাদেশ। বাকি আছে ঋণের ২৩৯ কোটি ডলার।
বিপত্তি দেখা দেয় চতুর্থ কিস্তির অর্থছাড়ের বেলায়।
এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে আইএমএফের গবেষণা বিভাগের উন্নয়ন সামষ্টিক অর্থনীতি শাখার প্রধান (তিনি মিশনপ্রধান) ক্রিস পাপাজর্জিওর নেতৃত্বে ৯ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল সম্প্রতি ঢাকা সফর করে।
দুই সপ্তাহের সফরে প্রতিনিধি দলটি বাংলাদেশ ব্যাংক ও অর্থ বিভাগের পাশাপাশি জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর), আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ, বিদ্যুৎ বিভাগ, বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড, বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি), জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগ ইত্যাদি দপ্তরের সঙ্গে বৈঠক করে।
সফর শেষে বাংলাদেশ ব্যাংকে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে মিশনপ্রধান ক্রিস পাপাজর্জিও বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের রাজধানী ওয়াশিংটনে অনুষ্ঠেয় আইএমএফ-বিশ্বব্যাংকের বসন্তকালীন বৈঠকে পরবর্তী অর্থ ছাড়ের বিষয়ে আরও আলোচনা হবে।
আইএমএফ বলেছে, সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে পরবর্তী দুই কিস্তির অর্থ পাওয়া যেতে পারে আগামী জুনের শেষ দিকে।
বসন্তকালীন বৈঠক ও বাংলাদেশ
বরাবরের মতো এবারের বসন্তকালীন বৈঠকেও টেকসই উন্নয়ন, সবুজ অর্থায়ন, জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব, জলবায়ু পরিবর্তনের অভিঘাত মোকাবিলা, নবায়নযোগ্য জ্বালানির ব্যবহার বৃদ্ধি সংক্রান্ত বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা হবে।
আগামী দিনে বাংলাদেশের অর্থনীতির সার্বিক পরিস্থিতি ভালো রাখতে বাংলাদেশের করণীয় কী, বরাবরের মতো এবারও সে বিষয়ে পরামর্শ দেবে আইএমএফ।
এবারের বসন্তকালীন বৈঠকে বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলের তালিকায় আছেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের অর্থ উপদেষ্টা সালেহ উদ্দিন আহমেদ এর নেতৃত্বে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুর, ইআরডি সচিব মো. শাহরিয়ার কাদের সিদ্দিকী, অর্থ বিভাগের সচিব খায়রুজ্জামান মজুমদার প্রমুখ।
অর্থ বিভাগ ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ (ইআরডি) সূত্রে জানা যায়, বৈঠকে বিশ্বব্যাংকের কাছে প্রতিশ্রুত বাজেট সহায়তার অবশিষ্ট ৫০ কোটি ডলার দ্রুত ছাড় করার অনুরোধ জানাবে বাংলাদেশ। পাশাপাশি জুলাই থেকে শুরু হতে যাওয়া সংস্থাটির তিন বছর মেয়াদি নতুন সহজ শর্তের ঋণ কর্মসূচির আওতায় বাড়তি ঋণও চাইবে।
এছাড়া বৈঠকে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে বিনিময় হার ও রাজস্ব ব্যবস্থাপনা-সংক্রান্ত সুস্পষ্ট একটি সংস্কার পরিকল্পনা উপস্থাপন করা হবে, যা আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) ৪৭০ কোটি ডলার ঋণ প্যাকেজের অন্যতম শর্ত।