কাশ্মীরে ভয়াবহ জঙ্গি হামলার পর ভারত সিন্ধু নদীর পানি বণ্টন চুক্তি স্থগিতের যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে, তাকে ‘পানি যুদ্ধ’ হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন পাকিস্তানের এক মন্ত্রী।
পেহেলগামে মঙ্গলবারের হামলার প্রতিক্রিয়ায় পারমাণবিক শক্তিধর দুই প্রতিবেশীর মধ্যে দূরত্ব আরও বাড়ার ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে বলে মনে করা হচ্ছে।
ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের পেহেলগাম এলাকায় মঙ্গলবার বন্দুকধারীদের হামলায় ২৬ জন নিহত হয়েছে, যা প্রায় দুই দশকের মধ্যে বেসামরিকদের ওপর সবচেয়ে বড় হামলা।
বুধবার ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিক্রম মিশ্রি জানান, হামলার সঙ্গে সীমান্তের ওপারের যোগসাজশের বিষয়টি নিরাপত্তা মন্ত্রিসভা কমিটিকে জানানো হয়েছে। পাশাপাশি ভারত ছয় দশকের পুরনো সিন্ধু পানি বণ্টন চুক্তি স্থগিত এবং পাকিস্তানের সঙ্গে থাকা একমাত্র স্থল সীমান্ত ক্রসিং বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
পাকিস্তানের বিদ্যুৎ মন্ত্রী আওয়াইজ লেখারি এক্সে এক পোস্টে বলেন, “ভারতের সিন্ধু চুক্তি স্থগিত করা পানি যুদ্ধের শামিল; এটি একটি কাপুরুষোচিত, অবৈধ পদক্ষেপ।”
পেহেলগামে জঙ্গি হামলায় পাকিস্তানি সম্পৃক্ততার বিষয়ে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের শীর্ষ কূটনীতিক কোনো বিস্তারিত তথ্যপ্রমাণ দেননি।
বুধবার ভারত পাকিস্তান থেকে নিজের প্রতিরক্ষা কর্মকর্তাদের ফিরিয়ে আনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ইসলামাবাদ মিশনের কর্মীসংখ্যা ৫৫ থেকে কমিয়ে ৩০-এ নামিয়ে আনার সিদ্ধান্তও নেওয়া হয়েছে।
ভারত পাকিস্তান দূতাবাসের শীর্ষ কর্মকর্তাকে তলব করে প্রতিরক্ষা উপদেষ্টাদের ‘অবাঞ্ছিত’ ঘোষণা করেছে এবং সাত দিনের মধ্যে ভারত ছাড়ার নির্দেশ দিয়েছে।
হামলার প্রতিক্রিয়া হিসেবে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী সর্বদলীয় বৈঠক আহ্বান করেছেন।
এদিকে বৃহস্পতিবার পাকিস্তান দূতাবাসের বাইরে শতাধিক বিক্ষোভকারী স্লোগান দিয়ে পুলিশের ব্যারিকেডে ধাক্কা দেয়।
ভারতের পদক্ষেপের জবাবে পাকিস্তান কী করবে, তা ঠিক করতে প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরীফ ইসলামাবাদে জাতীয় নিরাপত্তা কমিটির বৈঠক ডেকেছেন বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইশহাক দার।
১৯৬০ সালের ১৯ সেপ্টেম্বর বিশ্ব ব্যাংকের সহায়তায় ভারতের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহরু ও পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট আইয়ুব খানের মধ্যে সিন্ধু পানি বণ্টন চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। ১৯৬৫, ১৯৭১ ও ১৯৯৯ সালের যুদ্ধেও টিকে থাকা এই চুক্তি এবার অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত করা হয়েছে।
কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা বাতিলের পর থেকেই ভারত-পাকিস্তানের কূটনৈতিক সম্পর্ক উত্তপ্ত হয়ে আছে। পাকিস্তান তখন ভারতের দূত বহিষ্কার করে এবং এখন পর্যন্ত নয়া দিল্লিতে নতুন রাষ্ট্রদূত পাঠায়নি।
দুই দেশই কাশ্মীরকে নিজেদের অংশ দাবি করে; যদিও আলাদাভাবে অংশবিশেষ শাসন করছে। কাশ্মীরের কিছু অংশ চীনের দখলেও রয়েছে।
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও তার দল বিজেপি কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা বাতিলকে বড় রাজনৈতিক অর্জন হিসেবে তুলে ধরছিলেন। তারা দাবি করে আসছিল, এতে অঞ্চলটিতে শান্তি ও উন্নয়ন এসেছে। তবে মঙ্গলবারের হামলা সে দাবিতে বড় ধাক্কা দিয়েছে।
ভারত দীর্ঘদিন ধরেই কাশ্মীরের বিচ্ছিন্নতাবাদে পাকিস্তানের জড়িত থাকার অভিযোগ করে আসছে। অন্যদিকে পাকিস্তান দাবি করে, তারা কেবল কাশ্মীরিদের স্ব-শাসনের অধিকারের পক্ষে কূটনৈতিক ও নৈতিক সমর্থন দিয়ে আসছে।
বৃহস্পতিবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৫
কাশ্মীরে ভয়াবহ জঙ্গি হামলার পর ভারত সিন্ধু নদীর পানি বণ্টন চুক্তি স্থগিতের যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে, তাকে ‘পানি যুদ্ধ’ হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন পাকিস্তানের এক মন্ত্রী।
পেহেলগামে মঙ্গলবারের হামলার প্রতিক্রিয়ায় পারমাণবিক শক্তিধর দুই প্রতিবেশীর মধ্যে দূরত্ব আরও বাড়ার ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে বলে মনে করা হচ্ছে।
ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের পেহেলগাম এলাকায় মঙ্গলবার বন্দুকধারীদের হামলায় ২৬ জন নিহত হয়েছে, যা প্রায় দুই দশকের মধ্যে বেসামরিকদের ওপর সবচেয়ে বড় হামলা।
বুধবার ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিক্রম মিশ্রি জানান, হামলার সঙ্গে সীমান্তের ওপারের যোগসাজশের বিষয়টি নিরাপত্তা মন্ত্রিসভা কমিটিকে জানানো হয়েছে। পাশাপাশি ভারত ছয় দশকের পুরনো সিন্ধু পানি বণ্টন চুক্তি স্থগিত এবং পাকিস্তানের সঙ্গে থাকা একমাত্র স্থল সীমান্ত ক্রসিং বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
পাকিস্তানের বিদ্যুৎ মন্ত্রী আওয়াইজ লেখারি এক্সে এক পোস্টে বলেন, “ভারতের সিন্ধু চুক্তি স্থগিত করা পানি যুদ্ধের শামিল; এটি একটি কাপুরুষোচিত, অবৈধ পদক্ষেপ।”
পেহেলগামে জঙ্গি হামলায় পাকিস্তানি সম্পৃক্ততার বিষয়ে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের শীর্ষ কূটনীতিক কোনো বিস্তারিত তথ্যপ্রমাণ দেননি।
বুধবার ভারত পাকিস্তান থেকে নিজের প্রতিরক্ষা কর্মকর্তাদের ফিরিয়ে আনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ইসলামাবাদ মিশনের কর্মীসংখ্যা ৫৫ থেকে কমিয়ে ৩০-এ নামিয়ে আনার সিদ্ধান্তও নেওয়া হয়েছে।
ভারত পাকিস্তান দূতাবাসের শীর্ষ কর্মকর্তাকে তলব করে প্রতিরক্ষা উপদেষ্টাদের ‘অবাঞ্ছিত’ ঘোষণা করেছে এবং সাত দিনের মধ্যে ভারত ছাড়ার নির্দেশ দিয়েছে।
হামলার প্রতিক্রিয়া হিসেবে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী সর্বদলীয় বৈঠক আহ্বান করেছেন।
এদিকে বৃহস্পতিবার পাকিস্তান দূতাবাসের বাইরে শতাধিক বিক্ষোভকারী স্লোগান দিয়ে পুলিশের ব্যারিকেডে ধাক্কা দেয়।
ভারতের পদক্ষেপের জবাবে পাকিস্তান কী করবে, তা ঠিক করতে প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরীফ ইসলামাবাদে জাতীয় নিরাপত্তা কমিটির বৈঠক ডেকেছেন বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইশহাক দার।
১৯৬০ সালের ১৯ সেপ্টেম্বর বিশ্ব ব্যাংকের সহায়তায় ভারতের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহরু ও পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট আইয়ুব খানের মধ্যে সিন্ধু পানি বণ্টন চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। ১৯৬৫, ১৯৭১ ও ১৯৯৯ সালের যুদ্ধেও টিকে থাকা এই চুক্তি এবার অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত করা হয়েছে।
কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা বাতিলের পর থেকেই ভারত-পাকিস্তানের কূটনৈতিক সম্পর্ক উত্তপ্ত হয়ে আছে। পাকিস্তান তখন ভারতের দূত বহিষ্কার করে এবং এখন পর্যন্ত নয়া দিল্লিতে নতুন রাষ্ট্রদূত পাঠায়নি।
দুই দেশই কাশ্মীরকে নিজেদের অংশ দাবি করে; যদিও আলাদাভাবে অংশবিশেষ শাসন করছে। কাশ্মীরের কিছু অংশ চীনের দখলেও রয়েছে।
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও তার দল বিজেপি কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা বাতিলকে বড় রাজনৈতিক অর্জন হিসেবে তুলে ধরছিলেন। তারা দাবি করে আসছিল, এতে অঞ্চলটিতে শান্তি ও উন্নয়ন এসেছে। তবে মঙ্গলবারের হামলা সে দাবিতে বড় ধাক্কা দিয়েছে।
ভারত দীর্ঘদিন ধরেই কাশ্মীরের বিচ্ছিন্নতাবাদে পাকিস্তানের জড়িত থাকার অভিযোগ করে আসছে। অন্যদিকে পাকিস্তান দাবি করে, তারা কেবল কাশ্মীরিদের স্ব-শাসনের অধিকারের পক্ষে কূটনৈতিক ও নৈতিক সমর্থন দিয়ে আসছে।