alt

আন্তর্জাতিক

ভারত-পাকিস্তান ৮৭ ঘণ্টার যুদ্ধ, প্রতি ঘণ্টায় ক্ষতি ১০০ কোটি ডলার

বিদেশী সংবাদ মাধ্যম : রোববার, ১১ মে ২০২৫

গত ৭ মে রাত ১টা ৫ মিনিটে ভারতীয় বিমান বাহিনী ‘অপারেশন সিন্দুর’ নামে একটি সামরিক অভিযানে নামে। মাত্র ২৩ মিনিটের এই আক্রমণে তারা পাকিস্তানের ভেতরে ৯টি বেসামরিক স্থাপনাকে লক্ষ্যবস্তু বানায়। এই অভিযানে ভারতের প্রধান আক্রমণাত্মক প্ল্যাটফর্ম ছিল ফরাসি সংস্থা দাসো’র নির্মিত রাফাল যুদ্ধবিমান। এসব যুদ্ধবিমান স্ক্যাল্প ইজি (স্টর্ম শ্যাডো) ক্রুজ মিসাইল এবং এএএসএম হ্যামার বোমা দিয়ে সজ্জিত ছিল — এগুলোর মাধ্যমে প্রায় ৫৫০ কিলোমিটার দূরের লক্ষ্যবস্তুতে নিখুঁতভাবে আঘাত হানা সম্ভব।

পাকিস্তানে এই হামলার সময় ভারত পাকিস্তানি আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার দুর্বলতা খুঁজে বের করতে ও বিশ্লেষণ করতে ইসরায়েলি প্রযুক্তির হারোপ এবং স্কাইস্ট্র্যাইকার ড্রোন পাঠায়। এই ড্রোনগুলো শুধু নজরদারি বা হামলার জন্যই ব্যবহৃত হয়নি — বরং পাকিস্তানের রাডার ও ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার প্রতিক্রিয়া বুঝে নিয়ে তাদের দুর্বল জায়গাগুলো চিহ্নিত করাই ছিল এগুলোর উদ্দেশ্য।

এরপর ভারতের এই হামলার প্রতিক্রিয়ায় ৭ থেকে ১০ মে পর্যন্ত পাকিস্তান পূর্ণাঙ্গ সামরিক জবাব দেয়, যাতে পাকিস্তানের বিমান বাহিনী, সেনাবাহিনী ও ক্ষেপণাস্ত্র ইউনিট সক্রিয়ভাবে অংশ নেয়। আর এই অভিযানে চীনা নির্মিত জে-১০সি (ঔ-১০ঈ) যুদ্ধবিমান ছিল পাকিস্তানের মূল আক্রমণাত্মক প্ল্যাটফর্ম, যা পিএল-১৫ দূর-পাল্লার এয়ার-টু-এয়ার মিসাইল দিয়ে সজ্জিত ছিল। পাশাপাশি, পাকিস্তান কোরাল (কঙজঅখ) ইলেকট্রনিক ওয়্যারফেয়ার সিস্টেম ব্যবহার করে শত্রু রাডার ও যোগাযোগ ব্যবস্থা ব্যাহত করে।

এদিকে ৭ মে রাত ১টা ৫ মিনিট থেকে ১টা ৩০ মিনিটের মধ্যে পাকিস্তানের বিমান বাহিনী এক ঐতিহাসিক সাফল্য অর্জন করে — তারা ভারতীয় বিমান বাহিনীর তিনটি ফরাসি রাফাল যুদ্ধবিমান গুলি করে ভূপাতিত করে। এটি বিশ্বে নজিরবিহীন এবং বাস্তব কোনও যুদ্ধে ৪.৫ প্রজন্মের রাফাল যুদ্ধবিমানের প্রথম ধ্বংস হওয়ার ঘটনা।

পাকিস্তান দাবি করে, এই সময়ের মধ্যে তারা ভারতের আরও ১২টি ড্রোনও গুলি করে ভূপাতিত করে। মূলত এগেুলো মোকাবিলা করতে ইলেকট্রনিক জ্যামিং, অ্যান্টি-এয়ারক্রাফট গান ও শর্ট-রেঞ্জ মিসাইল ব্যবহার করা হয়।

এই ৮৭ ঘণ্টা ২৫ মিনিটে অর্থাৎ ৭ থেকে ১০ মে পর্যন্ত, ভারতের শেয়ারবাজারে (নিফটি ৫০ এবং বিএসই সেনসেক্স) মোট ৮২ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের মূলধন হ্রাস পায়। উত্তর ভারতের আকাশসীমা বন্ধ থাকায় বাণিজ্যিক বিমানগুলো প্রতিদিন গড়পড়তা ৮ মিলিয়ন ডলারের ক্ষতির শিকার হয়।

আইপিএল স্থগিত হয়ে যায়, যার ফলে টিভি সম্প্রচার, টিকিট বিক্রি ও বিজ্ঞাপন বাবদ আরও ৫০ মিলিয়ন ডলারের ক্ষতি হয়। সামরিক অভিযান বাবদ আনুমানিক ১০০ মিলিয়ন ডলার খরচ হয়, আর হারানো যুদ্ধবিমানের ক্ষতি ৪০০ মিলিয়ন ডলার। এছাড়া পণ্য পরিবহনে বিলম্ব এবং সরবরাহ চেইন ব্যাহত হওয়ায় আরও ২ বিলিয়ন ডলারের ক্ষতি হয়। বিনিয়োগকারীদের আস্থা ও বিদেশি বিনিয়োগে যে নেতিবাচক প্রভাব পড়ে, তার পরিমাণ নির্দিষ্টভাবে পরিমাপ করা না গেলেও তা মোট ক্ষতির অংশ হিসেবে বিবেচিত।

সবমিলিয়ে ভারতের আর্থিক ক্ষতির পরিমাণ দাঁড়ায় প্রায় ৮৩ বিলিয়ন বা ৮ হাজার ৩০০ কোটি মার্কিন ডলার।

অন্যদিকে, একই সময়ের মধ্যে পাকিস্তানের কেএসই-১০০ সূচক ৪.১ শতাংশ কমে যায়, যার ফলে বাজার মূলধনে প্রায় ২.৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের ক্ষতি হয়। পাকিস্তান সুপার লীগ (পিএসএল) স্থগিত হওয়ায় সম্প্রচার ও সংশ্লিষ্ট খাতে আরও ১০ মিলিয়ন ডলারের ক্ষতি হয়।

এছাড়া আকাশসীমা বন্ধ থাকায় বাণিজ্যিক বিমানে ক্ষতি হয় আনুমানিক ২০ মিলিয়ন ডলার। প্রতিদিনের সামরিক খরচ ছিল প্রায় ২৫ মিলিয়ন ডলার। বাইরাক্তার টিবি২ ড্রোন ও রা’আদ ক্রুজ মিসাইল ব্যবহারে খরচ হয়েছে প্রায় ৩০০ মিলিয়ন ডলার। বিনিয়োগ আস্থা কিছুটা কমে গেলেও তা পরিমাপযোগ্য নয়। মোট ক্ষতির পরিমাণ দাঁড়ায় প্রায় ৪ বিলিয়ন ডলার। এই যুদ্ধ শুধু আকাশে নয়, অর্থনীতির মাটিতেও লড়াইয়ের রূপ নিয়েছিল। শেয়ারবাজারে ধস, বিমান চলাচলে স্থবিরতা, সরবরাহ শৃঙ্খলার ভেঙে পড়া এবং বিদেশি বিনিয়োগকারীদের পিছু হটে যাওয়ায় বোঝা গেছে আধুনিক যুদ্ধের প্রকৃত মূল্য শুধু ড্রোন, ক্ষেপণাস্ত্র বা যুদ্ধবিমানের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়। প্রতি ঘণ্টায় এক বিলিয়ন বা ১০০ কোটি ডলারের ক্ষতি এই ৮৭ ঘণ্টার সংঘাতকে বিশ্বের কাছে এক করুণ বাস্তবতা হিসেবে তুলে ধরেছে।

ছবি

কাতারের কাছ থেকে ‘বিলাসবহুল উড়োজাহাজ উপহার নিচ্ছেন’ ট্রাম্প

ছবি

সব পাইলট ফিরে এসেছেন, ক্ষয়ক্ষতি যুদ্ধেরই অংশ: ভারতীয় বিমান বাহিনী

ছবি

রাফালের পতন, চীনা প্রযুক্তির উত্থান—আন্তর্জাতিক প্রতিক্রিয়ায় যুদ্ধবিরতি

রাফালের পতন, চীনা প্রযুক্তির উত্থান—আন্তর্জাতিক প্রতিক্রিয়ায় যুদ্ধবিরতি

ছবি

মার্কিন গোয়েন্দা তথ্যেই তড়িঘড়ি যুদ্ধবিরতির উদ্যোগ

ছবি

ভারত-পাকিস্তানের যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘনের পাল্টাপাল্টি অভিযোগ

ভারত-পাকিস্তানের প্রশংসা করেছেন ট্রাম্প

পানি চুক্তি, কাশ্মিরসহ অন্যান্য বিষয়ে আলোচনা করবে ভারত-পাকিস্তান

ইউক্রেনের সঙ্গে সরাসরি আলোচনার প্রস্তাব পুতিনের

ছবি

দক্ষিণ এশিয়ায় সংঘাতের নতুন অধ্যায়

ছবি

চারদিনের সংঘর্ষ শেষে সমঝোতা, কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই উত্তেজনা

ছবি

অস্ত্রবিরতির পরও স্থগিতই থাকছে সিন্ধু পানি চুক্তি

ছবি

ইউক্রেইনের সঙ্গে শান্তি আলোচনার প্রস্তাব পুতিনের

ছবি

ভারত-পাকিস্তান ‘ড্রোন যুদ্ধ’: সংঘাতের নতুন অধ্যায়

ছবি

অস্ত্রবিরতির পরও ‘স্থগিত’ থাকছে ভারত-পাকিস্তান পানি চুক্তি

ছবি

অস্ত্রবিরতির মধ্যেই শ্রীনগরে বিস্ফোরণের শব্দ, ট্রেসার শুটিংয়ের ভিডিও প্রকাশ

ছবি

অস্ত্রবিরতি মেনে চলার অঙ্গীকার; সতর্ক ও প্রস্তুত ভারতের সশস্ত্র বাহিনী

ছবি

যুদ্ধবিরতির পর সোমবার ফের আলোচনায় বসছে ভারত-পাকিস্তান

ছবি

ভারতের সঙ্গে উত্তেজনার মধ্যে পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবস্থাপনা সংস্থার জরুরি বৈঠক ডেকেছে পাকিস্তান

ছড়িয়ে পড়েছে বিষাক্ত ক্লোরিন গ্যাস, দেড় লাখ ঘরবন্দী স্পেনে

ছবি

চীনা প্রেসিডেন্টের সঙ্গে প্রথমবারের মতো সাক্ষাৎ মিয়ানমারের জান্তা প্রধানের

ছবি

রাশিয়ার ওপর চাপ বাড়াতে কিয়েভে ইউরোপীয় নেতারা

নাইজেরিয়ায় বন্দুকধারীদের গুলিতে ৩০ যাত্রী নিহত

ইকুয়েডরে সংঘর্ষে ১১ সেনা নিহত

সুদানে ড্রোন হামলা ও বোমাবর্ষণে ৩৩ জন নিহত

ছবি

যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্ততায় ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধবিরতিতে রাজি হয়েছে : ট্রাম্প

ছবি

ভারতের বিপক্ষে অভিযানের নাম ‘বুনিয়ান–উন–মারসুস’ হলো কেনো?

ভারতের ‘অপারেশন সিঁদুর’-এর জবাবে পাকিস্তানের ‘অপারেশন বুনইয়ান–উন–মারসুস’

ছবি

ভারতের ‘ব্রহ্মস’ ক্ষেপণাস্ত্রঘাঁটিতে হামলার দাবি পাকিস্তানের

ছবি

ভারতের সামরিক স্থাপনায় পাল্টা হামলার দাবি পাকিস্তানের, কাশ্মীরে বিস্ফোরণের শব্দ

ছবি

যুদ্ধের উত্তেজনার মধ্যেই পাকিস্তানকে আইএমএফের ঋণ, ভারতের তীব্র আপত্তি

ছবি

তিন বিমানঘাঁটি লক্ষ্য করে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে ভারত: পাকিস্তানের সেনাবাহিনী

ছবি

বাংলাদেশ সীমান্তে রাত্রিকালীন কারফিউ জারি করল ভারতের মেঘালয়

ছবি

পাক-ভারত উত্তেজনার মধ্যেই বেলুচিস্তানের ‘স্বাধীনতা ঘোষণা’

ছবি

গাজায় চিরতরে বদলে গেছে জীবন

ভারত-পাকিস্তান সংঘাত ‘আমাদের কোনও বিষয় নয়’: যুক্তরাষ্ট্র

tab

আন্তর্জাতিক

ভারত-পাকিস্তান ৮৭ ঘণ্টার যুদ্ধ, প্রতি ঘণ্টায় ক্ষতি ১০০ কোটি ডলার

বিদেশী সংবাদ মাধ্যম

রোববার, ১১ মে ২০২৫

গত ৭ মে রাত ১টা ৫ মিনিটে ভারতীয় বিমান বাহিনী ‘অপারেশন সিন্দুর’ নামে একটি সামরিক অভিযানে নামে। মাত্র ২৩ মিনিটের এই আক্রমণে তারা পাকিস্তানের ভেতরে ৯টি বেসামরিক স্থাপনাকে লক্ষ্যবস্তু বানায়। এই অভিযানে ভারতের প্রধান আক্রমণাত্মক প্ল্যাটফর্ম ছিল ফরাসি সংস্থা দাসো’র নির্মিত রাফাল যুদ্ধবিমান। এসব যুদ্ধবিমান স্ক্যাল্প ইজি (স্টর্ম শ্যাডো) ক্রুজ মিসাইল এবং এএএসএম হ্যামার বোমা দিয়ে সজ্জিত ছিল — এগুলোর মাধ্যমে প্রায় ৫৫০ কিলোমিটার দূরের লক্ষ্যবস্তুতে নিখুঁতভাবে আঘাত হানা সম্ভব।

পাকিস্তানে এই হামলার সময় ভারত পাকিস্তানি আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার দুর্বলতা খুঁজে বের করতে ও বিশ্লেষণ করতে ইসরায়েলি প্রযুক্তির হারোপ এবং স্কাইস্ট্র্যাইকার ড্রোন পাঠায়। এই ড্রোনগুলো শুধু নজরদারি বা হামলার জন্যই ব্যবহৃত হয়নি — বরং পাকিস্তানের রাডার ও ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার প্রতিক্রিয়া বুঝে নিয়ে তাদের দুর্বল জায়গাগুলো চিহ্নিত করাই ছিল এগুলোর উদ্দেশ্য।

এরপর ভারতের এই হামলার প্রতিক্রিয়ায় ৭ থেকে ১০ মে পর্যন্ত পাকিস্তান পূর্ণাঙ্গ সামরিক জবাব দেয়, যাতে পাকিস্তানের বিমান বাহিনী, সেনাবাহিনী ও ক্ষেপণাস্ত্র ইউনিট সক্রিয়ভাবে অংশ নেয়। আর এই অভিযানে চীনা নির্মিত জে-১০সি (ঔ-১০ঈ) যুদ্ধবিমান ছিল পাকিস্তানের মূল আক্রমণাত্মক প্ল্যাটফর্ম, যা পিএল-১৫ দূর-পাল্লার এয়ার-টু-এয়ার মিসাইল দিয়ে সজ্জিত ছিল। পাশাপাশি, পাকিস্তান কোরাল (কঙজঅখ) ইলেকট্রনিক ওয়্যারফেয়ার সিস্টেম ব্যবহার করে শত্রু রাডার ও যোগাযোগ ব্যবস্থা ব্যাহত করে।

এদিকে ৭ মে রাত ১টা ৫ মিনিট থেকে ১টা ৩০ মিনিটের মধ্যে পাকিস্তানের বিমান বাহিনী এক ঐতিহাসিক সাফল্য অর্জন করে — তারা ভারতীয় বিমান বাহিনীর তিনটি ফরাসি রাফাল যুদ্ধবিমান গুলি করে ভূপাতিত করে। এটি বিশ্বে নজিরবিহীন এবং বাস্তব কোনও যুদ্ধে ৪.৫ প্রজন্মের রাফাল যুদ্ধবিমানের প্রথম ধ্বংস হওয়ার ঘটনা।

পাকিস্তান দাবি করে, এই সময়ের মধ্যে তারা ভারতের আরও ১২টি ড্রোনও গুলি করে ভূপাতিত করে। মূলত এগেুলো মোকাবিলা করতে ইলেকট্রনিক জ্যামিং, অ্যান্টি-এয়ারক্রাফট গান ও শর্ট-রেঞ্জ মিসাইল ব্যবহার করা হয়।

এই ৮৭ ঘণ্টা ২৫ মিনিটে অর্থাৎ ৭ থেকে ১০ মে পর্যন্ত, ভারতের শেয়ারবাজারে (নিফটি ৫০ এবং বিএসই সেনসেক্স) মোট ৮২ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের মূলধন হ্রাস পায়। উত্তর ভারতের আকাশসীমা বন্ধ থাকায় বাণিজ্যিক বিমানগুলো প্রতিদিন গড়পড়তা ৮ মিলিয়ন ডলারের ক্ষতির শিকার হয়।

আইপিএল স্থগিত হয়ে যায়, যার ফলে টিভি সম্প্রচার, টিকিট বিক্রি ও বিজ্ঞাপন বাবদ আরও ৫০ মিলিয়ন ডলারের ক্ষতি হয়। সামরিক অভিযান বাবদ আনুমানিক ১০০ মিলিয়ন ডলার খরচ হয়, আর হারানো যুদ্ধবিমানের ক্ষতি ৪০০ মিলিয়ন ডলার। এছাড়া পণ্য পরিবহনে বিলম্ব এবং সরবরাহ চেইন ব্যাহত হওয়ায় আরও ২ বিলিয়ন ডলারের ক্ষতি হয়। বিনিয়োগকারীদের আস্থা ও বিদেশি বিনিয়োগে যে নেতিবাচক প্রভাব পড়ে, তার পরিমাণ নির্দিষ্টভাবে পরিমাপ করা না গেলেও তা মোট ক্ষতির অংশ হিসেবে বিবেচিত।

সবমিলিয়ে ভারতের আর্থিক ক্ষতির পরিমাণ দাঁড়ায় প্রায় ৮৩ বিলিয়ন বা ৮ হাজার ৩০০ কোটি মার্কিন ডলার।

অন্যদিকে, একই সময়ের মধ্যে পাকিস্তানের কেএসই-১০০ সূচক ৪.১ শতাংশ কমে যায়, যার ফলে বাজার মূলধনে প্রায় ২.৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের ক্ষতি হয়। পাকিস্তান সুপার লীগ (পিএসএল) স্থগিত হওয়ায় সম্প্রচার ও সংশ্লিষ্ট খাতে আরও ১০ মিলিয়ন ডলারের ক্ষতি হয়।

এছাড়া আকাশসীমা বন্ধ থাকায় বাণিজ্যিক বিমানে ক্ষতি হয় আনুমানিক ২০ মিলিয়ন ডলার। প্রতিদিনের সামরিক খরচ ছিল প্রায় ২৫ মিলিয়ন ডলার। বাইরাক্তার টিবি২ ড্রোন ও রা’আদ ক্রুজ মিসাইল ব্যবহারে খরচ হয়েছে প্রায় ৩০০ মিলিয়ন ডলার। বিনিয়োগ আস্থা কিছুটা কমে গেলেও তা পরিমাপযোগ্য নয়। মোট ক্ষতির পরিমাণ দাঁড়ায় প্রায় ৪ বিলিয়ন ডলার। এই যুদ্ধ শুধু আকাশে নয়, অর্থনীতির মাটিতেও লড়াইয়ের রূপ নিয়েছিল। শেয়ারবাজারে ধস, বিমান চলাচলে স্থবিরতা, সরবরাহ শৃঙ্খলার ভেঙে পড়া এবং বিদেশি বিনিয়োগকারীদের পিছু হটে যাওয়ায় বোঝা গেছে আধুনিক যুদ্ধের প্রকৃত মূল্য শুধু ড্রোন, ক্ষেপণাস্ত্র বা যুদ্ধবিমানের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়। প্রতি ঘণ্টায় এক বিলিয়ন বা ১০০ কোটি ডলারের ক্ষতি এই ৮৭ ঘণ্টার সংঘাতকে বিশ্বের কাছে এক করুণ বাস্তবতা হিসেবে তুলে ধরেছে।

back to top