যুদ্ধক্ষেত্রে ইউরোপীয় প্রযুক্তির চেয়ে চীনা প্রযুক্তির শ্রেষ্ঠত্বই ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধ থেমে যাওয়ার মূল কারণ বলে মন্তব্য করেছেন লেখক ও চিন্তক ফরহাদ মজহার।
রোববার এক আলোচনায় তিনি বলেন, ফরাসি প্রযুক্তির রাফাল যুদ্ধবিমান যারা তৈরি করে, তাদের কোম্পানির শেয়ারদর কমেছে, অন্যদিকে চীনা প্রযুক্তিনির্ভর কোম্পানিগুলোর শেয়ারদর বেড়েছে।
ফরহাদ মজহার বলেন, “আজ পাকিস্তান-ভারতের যে যুদ্ধ আমরা দেখতে পাচ্ছি, সেটা অত্যন্ত দ্রুত বেগে শেষ হয়েছে। শেষ হওয়ার অনেকগুলো কারণ রয়েছে। সবচেয়ে বড় কারণ হল, এই প্রথমবারের মতো যুদ্ধক্ষেত্রে ফরাসি, ইউরোপীয় প্রযুক্তির চেয়ে চীনা প্রযুক্তির শ্রেষ্ঠতা প্রমাণিত হয়েছে।”
তিনি বলেন, “আপনারা সাংবাদিকরা খেয়াল করেছেন কি না জানি না; আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে এর তীব্র প্রতিক্রিয়া হয়েছে। এটা বাইরে থেকে বোঝা যায় না। এর ফলে ট্রাম্পকে যুদ্ধ থামিয়ে দিতে হয়েছে—এটাই মূল ইস্যু।”
গত ২২ এপ্রিল কাশ্মীরের পেহেলগামে পর্যটকদের ওপর সন্ত্রাসী হামলায় ২৬ জন নিহত হলে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে নতুন করে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। প্রতিক্রিয়ায় ভারত প্রথম প্রহরে পাকিস্তান ও পাকিস্তান নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায়। জবাবে পাকিস্তান ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরে গোলা বর্ষণ শুরু করে।
চার দিন ধরে চলা পাল্টাপাল্টি হামলার পর শনিবার বিকেলে দুই দেশ যুদ্ধবিরতিতে যায়। এতে মধ্যস্থতা করে যুক্তরাষ্ট্র।
এই যুদ্ধবিরতির দ্বিতীয় কারণ হিসেবে ফরহাদ মজহার বলেন, “কাশ্মীরের পেহেলগামে যে হত্যাকাণ্ড হয়েছে, তাতে পাকিস্তান আদৌ জড়িত কি না, তা ভারত প্রমাণ করতে পারেনি। পাকিস্তান যখন বলেছে, আন্তর্জাতিক স্বাধীন তদন্ত হোক, তখন ভারত সেখান থেকে সরে এসেছে। ফলে ভারতের মধ্যে আজ হোক কাল হোক, জনমত গড়ে উঠছে বিজেপির বিরুদ্ধে।”
তার ভাষ্য অনুযায়ী, “ভারতের সমস্যা হল হিন্দুত্ববাদী জনমত। জনগণের মধ্যে এ প্রবণতা থাকলেও, এবার তা পাকিস্তানের কাছে অপমানিত হয়েছে। আন্তর্জাতিক যুদ্ধ শিল্পের প্রতিযোগিতার মধ্যে এই ঘটনাটি প্রবেশ করেছে। ফরাসি রাফাল নির্মাতা কোম্পানির শেয়ারদর পড়েছে, চীনা কোম্পানির শেয়ারদর উঠেছে। অর্থনৈতিক বিষয়টি খেয়াল করা জরুরি।”
রোববার, ১১ মে ২০২৫
যুদ্ধক্ষেত্রে ইউরোপীয় প্রযুক্তির চেয়ে চীনা প্রযুক্তির শ্রেষ্ঠত্বই ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধ থেমে যাওয়ার মূল কারণ বলে মন্তব্য করেছেন লেখক ও চিন্তক ফরহাদ মজহার।
রোববার এক আলোচনায় তিনি বলেন, ফরাসি প্রযুক্তির রাফাল যুদ্ধবিমান যারা তৈরি করে, তাদের কোম্পানির শেয়ারদর কমেছে, অন্যদিকে চীনা প্রযুক্তিনির্ভর কোম্পানিগুলোর শেয়ারদর বেড়েছে।
ফরহাদ মজহার বলেন, “আজ পাকিস্তান-ভারতের যে যুদ্ধ আমরা দেখতে পাচ্ছি, সেটা অত্যন্ত দ্রুত বেগে শেষ হয়েছে। শেষ হওয়ার অনেকগুলো কারণ রয়েছে। সবচেয়ে বড় কারণ হল, এই প্রথমবারের মতো যুদ্ধক্ষেত্রে ফরাসি, ইউরোপীয় প্রযুক্তির চেয়ে চীনা প্রযুক্তির শ্রেষ্ঠতা প্রমাণিত হয়েছে।”
তিনি বলেন, “আপনারা সাংবাদিকরা খেয়াল করেছেন কি না জানি না; আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে এর তীব্র প্রতিক্রিয়া হয়েছে। এটা বাইরে থেকে বোঝা যায় না। এর ফলে ট্রাম্পকে যুদ্ধ থামিয়ে দিতে হয়েছে—এটাই মূল ইস্যু।”
গত ২২ এপ্রিল কাশ্মীরের পেহেলগামে পর্যটকদের ওপর সন্ত্রাসী হামলায় ২৬ জন নিহত হলে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে নতুন করে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। প্রতিক্রিয়ায় ভারত প্রথম প্রহরে পাকিস্তান ও পাকিস্তান নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায়। জবাবে পাকিস্তান ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরে গোলা বর্ষণ শুরু করে।
চার দিন ধরে চলা পাল্টাপাল্টি হামলার পর শনিবার বিকেলে দুই দেশ যুদ্ধবিরতিতে যায়। এতে মধ্যস্থতা করে যুক্তরাষ্ট্র।
এই যুদ্ধবিরতির দ্বিতীয় কারণ হিসেবে ফরহাদ মজহার বলেন, “কাশ্মীরের পেহেলগামে যে হত্যাকাণ্ড হয়েছে, তাতে পাকিস্তান আদৌ জড়িত কি না, তা ভারত প্রমাণ করতে পারেনি। পাকিস্তান যখন বলেছে, আন্তর্জাতিক স্বাধীন তদন্ত হোক, তখন ভারত সেখান থেকে সরে এসেছে। ফলে ভারতের মধ্যে আজ হোক কাল হোক, জনমত গড়ে উঠছে বিজেপির বিরুদ্ধে।”
তার ভাষ্য অনুযায়ী, “ভারতের সমস্যা হল হিন্দুত্ববাদী জনমত। জনগণের মধ্যে এ প্রবণতা থাকলেও, এবার তা পাকিস্তানের কাছে অপমানিত হয়েছে। আন্তর্জাতিক যুদ্ধ শিল্পের প্রতিযোগিতার মধ্যে এই ঘটনাটি প্রবেশ করেছে। ফরাসি রাফাল নির্মাতা কোম্পানির শেয়ারদর পড়েছে, চীনা কোম্পানির শেয়ারদর উঠেছে। অর্থনৈতিক বিষয়টি খেয়াল করা জরুরি।”