ভারত-পাকিস্তান সংঘাত
চার দিনের রক্তক্ষয়ী সংঘাত ও শনিবারের যুদ্ধবিরতির ঘোষণা সত্ত্বেও ভারত-পাকিস্তান সীমান্তবর্তী অঞ্চলের বাসিন্দারা এখনও নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। ঘরে ফেরা নয়, অনেকেই এখনও অস্থায়ী আশ্রয়ে কিংবা আত্মীয়দের বাড়িতে অবস্থান করছেন। কাশ্মীর, জম্মু, অমৃতসর ও পাকিস্তানের নীলম উপত্যকা—দুই দেশের সীমান্তজুড়েই আতঙ্ক এখনও কাটেনি। যুদ্ধবিরতির কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই গোলার আওয়াজ শোনা গেছে সীমান্তের দুই পাশে। ভারতের পক্ষ থেকে অভিযোগ উঠেছে, পাকিস্তান যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করেছে।
রবিবার ভারতীয় কাশ্মীরে জারি করা এক জরুরি পুলিশ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ফ্রন্টলাইন গ্রামগুলোতে কেউ এখনই যেন না ফেরেন। পাকিস্তানের গোলাবর্ষণের ফলে অনেক অবিস্ফোরিত গোলা পড়ে আছে, জীবনের ঝুঁকি রয়েছে। কাশ্মীরের আখনূরের বাসিন্দা, ২২ বছর বয়সী কৃষিশ্রমিক আশা দেবী বলেন, আমি বিহারে আমার গ্রামে ফিরে যেতে চাই, সীমান্তে ফিরে মরতে চাই না।
ভারতের জম্মু ও অমৃতসরের মতো সীমান্তবর্তী শহরগুলোতেও স্বাভাবিক জীবনযাত্রা এখনও পুরোপুরি ফেরেনি। যুদ্ধবিরতির ঘোষণা সত্ত্বেও বিস্ফোরণের শব্দে আতঙ্কিত হয়ে অনেক দোকানপাট বন্ধ রাখা হয় এবং মানুষ ঘরেই থাকতে পছন্দ করেন। পাকিস্তান সীমান্তেও একই চিত্র। সেখানকার নীলম উপত্যকায় বাস্তুচ্যুতদের সোমবার দুপুর পর্যন্ত অপেক্ষার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। পাকিস্তানের স্থানীয় প্রশাসনের কর্মকর্তা আখতার আইয়ুব বলেন, অনেকেই এখনও পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছেন। কিছুটা স্বস্তি ফিরে এলে তবেই তারা ঘরে ফিরতে চাইছেন।
গত তিন দশকের মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ এই ভারত-পাকিস্তান সংঘাতে ক্ষেপণাস্ত্র, ড্রোন ও গোলাবর্ষণের মাধ্যমে একে অপরের সামরিক স্থাপনায় হামলা চালিয়েছে উভয় পক্ষ। এতে অন্তত ৭০ জন নিহত হয়েছে বলে বিভিন্ন সূত্র জানিয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের কূটনৈতিক হস্তক্ষেপে শনিবার দুই দেশ যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হলেও সীমান্তে গোলাবর্ষণ আবার শুরু হওয়ায় এই সমঝোতা কতটা কার্যকর থাকবে, তা নিয়ে সন্দেহ দানা বাঁধছে।
সীমান্তের কাছাকাছি গ্রামগুলোর প্রধানদের ভাষ্য অনুযায়ী, গ্রামবাসীরা এখনও গোলার শব্দ শুনে আতঙ্কিত হয়ে উঠছেন। আখনূর এলাকার এক গ্রামের প্রধান কাবল সিং বলেন, যুদ্ধবিরতির পর বিস্ফোরণের আওয়াজ শুনে লোকজন আরও বেশি ভীত হয়ে পড়েছে। কেউই এখন ফিরতে চাইছেন না।
ভারত-পাকিস্তান সংঘাত
সোমবার, ১২ মে ২০২৫
চার দিনের রক্তক্ষয়ী সংঘাত ও শনিবারের যুদ্ধবিরতির ঘোষণা সত্ত্বেও ভারত-পাকিস্তান সীমান্তবর্তী অঞ্চলের বাসিন্দারা এখনও নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। ঘরে ফেরা নয়, অনেকেই এখনও অস্থায়ী আশ্রয়ে কিংবা আত্মীয়দের বাড়িতে অবস্থান করছেন। কাশ্মীর, জম্মু, অমৃতসর ও পাকিস্তানের নীলম উপত্যকা—দুই দেশের সীমান্তজুড়েই আতঙ্ক এখনও কাটেনি। যুদ্ধবিরতির কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই গোলার আওয়াজ শোনা গেছে সীমান্তের দুই পাশে। ভারতের পক্ষ থেকে অভিযোগ উঠেছে, পাকিস্তান যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করেছে।
রবিবার ভারতীয় কাশ্মীরে জারি করা এক জরুরি পুলিশ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ফ্রন্টলাইন গ্রামগুলোতে কেউ এখনই যেন না ফেরেন। পাকিস্তানের গোলাবর্ষণের ফলে অনেক অবিস্ফোরিত গোলা পড়ে আছে, জীবনের ঝুঁকি রয়েছে। কাশ্মীরের আখনূরের বাসিন্দা, ২২ বছর বয়সী কৃষিশ্রমিক আশা দেবী বলেন, আমি বিহারে আমার গ্রামে ফিরে যেতে চাই, সীমান্তে ফিরে মরতে চাই না।
ভারতের জম্মু ও অমৃতসরের মতো সীমান্তবর্তী শহরগুলোতেও স্বাভাবিক জীবনযাত্রা এখনও পুরোপুরি ফেরেনি। যুদ্ধবিরতির ঘোষণা সত্ত্বেও বিস্ফোরণের শব্দে আতঙ্কিত হয়ে অনেক দোকানপাট বন্ধ রাখা হয় এবং মানুষ ঘরেই থাকতে পছন্দ করেন। পাকিস্তান সীমান্তেও একই চিত্র। সেখানকার নীলম উপত্যকায় বাস্তুচ্যুতদের সোমবার দুপুর পর্যন্ত অপেক্ষার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। পাকিস্তানের স্থানীয় প্রশাসনের কর্মকর্তা আখতার আইয়ুব বলেন, অনেকেই এখনও পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছেন। কিছুটা স্বস্তি ফিরে এলে তবেই তারা ঘরে ফিরতে চাইছেন।
গত তিন দশকের মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ এই ভারত-পাকিস্তান সংঘাতে ক্ষেপণাস্ত্র, ড্রোন ও গোলাবর্ষণের মাধ্যমে একে অপরের সামরিক স্থাপনায় হামলা চালিয়েছে উভয় পক্ষ। এতে অন্তত ৭০ জন নিহত হয়েছে বলে বিভিন্ন সূত্র জানিয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের কূটনৈতিক হস্তক্ষেপে শনিবার দুই দেশ যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হলেও সীমান্তে গোলাবর্ষণ আবার শুরু হওয়ায় এই সমঝোতা কতটা কার্যকর থাকবে, তা নিয়ে সন্দেহ দানা বাঁধছে।
সীমান্তের কাছাকাছি গ্রামগুলোর প্রধানদের ভাষ্য অনুযায়ী, গ্রামবাসীরা এখনও গোলার শব্দ শুনে আতঙ্কিত হয়ে উঠছেন। আখনূর এলাকার এক গ্রামের প্রধান কাবল সিং বলেন, যুদ্ধবিরতির পর বিস্ফোরণের আওয়াজ শুনে লোকজন আরও বেশি ভীত হয়ে পড়েছে। কেউই এখন ফিরতে চাইছেন না।