ইসরায়েলি হামলা থেকে রক্ষা পেতে বাড়ি-ঘর ছাড়ছেন ফিলিস্তিনিরা -আনাদুলু
গাজায় হামাসের হাতে জিম্মিদের মধ্যে অর্ধেক জীবিত ইসরায়েলি জিম্মিকে ফেরতের বিনিময়ে ৬০ দিনের যুদ্ধবিরতি প্রস্তাব দিয়েছে ইসরায়েল। গতকাল রোববার ইসরায়েলের সরকারি সম্প্রচার সংস্থা কান এ খবর জানিয়েছে। সংবাদমাধ্যমটি জানায়, কাতারের দোহায় আলোচনার সময় এই প্রস্তাব দেয়া হয়। ইসরায়েল ধারণা করছে, গাজায় এখনো ৫৮ জন জিম্মি রয়েছে। তাদের মধ্যে ২০ জনকে জীবিত বলে মনে করা হচ্ছে।
প্রস্তাবে আরও বলা হয়েছে, যুদ্ধবিরতির সময় ভবিষ্যতের যুদ্ধ নিয়ে আলোচনা হবে। আলোচনায় থাকবে ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ গোষ্ঠীগুলোর অস্ত্র ছাড়ার বিষয় এবং তাদের নেতাদের বিতাড়নের কথা। এই দুটি শর্ত ইসরায়েল বারবার জোর দিয়ে বলেছে। ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর দপ্তর জানায়, দোহার সর্বশেষ আলোচনায় যুদ্ধবিরতি ও বন্দি বিনিময় নিয়ে আলোচনা হয়েছে। পাশাপাশি যুদ্ধ বন্ধের বিনিময়ে হামাস যোদ্ধাদের নির্বাসন এবং গাজা উপত্যকার নিরস্ত্রীকরণের প্রস্তাব দেয়া হয়েছে। এর আগে হামাস এই শর্তগুলো প্রত্যাখ্যান করেছিল।
হামাস বলেছে, যতক্ষণ পর্যন্ত ইসরায়েল ফিলিস্তিনি জমি দখল অব্যাহত রাখবে, ততক্ষণ তারা অস্ত্র ছাড়বে না। একজন হামাস কর্মকর্তা রয়টার্সকে বলেন, ইসরায়েলের অবস্থান অপরিবর্তিত রয়েছে। তারা জিম্মিদের মুক্তি চায়, তবে যুদ্ধ বন্ধের কোনো প্রতিশ্রুতি দিচ্ছে না। যুদ্ধ বন্ধ, ইসরায়েলি সেনা প্রত্যাহার, গাজার ওপর থেকে অবরোধ প্রত্যাহার এবং ফিলিস্তিনি বন্দিদের মুক্তির বিনিময়ে সব ইসরায়েলি জিম্মিকে মুক্তি দেয়ার প্রস্তাব পুনরায় দিয়েছে হামাস।
হামাস বলছে, ‘আমরা আশা করি, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে গড়া বোঝাপড়া এবং মধ্যস্থতাকারীদের সম্মতির ভিত্তিতে, দ্রুত গাজায় মানবিক সাহায্য প্রবেশ শুরু হবে। সঙ্গত কারণেই চিরস্থায়ী যুদ্ধবিরতি ডাকা হবে এবং নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতা অর্জনের লক্ষ্যে ব্যাপক আলোচনা হবে, যা আমরা প্রত্যাশা করছি।’
দোহায় আলোচনার মধ্যেই গাজায় স্থল অভিযান শুরু করেছে ইসরায়েল। এ অভিযানে আজ সোমবার সকাল পর্যন্ত প্রায় দেড়শ জনের মৃত্যু হয়েছে।
গাজা শহরের আল-শিফা হাসপাতালের পরিচালক ড. মোহাম্মদ আবু সিলমিয়েহ পরিস্থিতিকে ‘বিপর্যয়কর’ বলে অভিহিত করেছেন। তিনি বলেন, ইসরায়েলি হামলার কারণে উত্তর গাজার চিকিৎসাসেবা ভেঙে পড়েছে। আল-শিফা হাসপাতালে চারজনের জায়গায় আটজন রোগী রাখা হয়েছে। অতিরিক্ত রোগীদের জন্য তাঁবু স্থাপন করা হয়েছে। প্রতি ঘণ্টায় গড়ে ৫০ জন মৃতদেহ ও ১৩০ জন আহত ব্যক্তি আসছে। রক্তের তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে। নিবিড় পরিচর্যা এবং সার্জারি সেবা ধসে পড়ছে, কর্মীরা ‘অসম্ভব চাপে’ কাজ করছেন।
ড. সিলমিয়েহ আল জাজিরাকে জানান, উত্তর গাজার শেষ হাসপাতাল ইন্দোনেশিয়ান হাসপাতালেও হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। এদিকে দুই মাস বন্ধ রাখার পর গাজায় সীমিত পরিমাণে ত্রাণ প্রবেশের অনুমতি দেয়ার পরিকল্পনা ঘোষণা করেছে ইসরায়েল। গাজাবাসীর ক্ষুধায় মৃত্যু ঠেকাতে এই পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে বলে দাবি তাদের।
ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনজামিন নেতানিয়াহুর দপ্তর এক বিবৃতিতে জানায়, গাজাবাসীদের যেন ক্ষুধার সংকট সৃষ্টি না হয়, সেজন্য একটি মৌলিক পরিমাণ খাদ্য প্রবেশের অনুমতি দেয়া হবে। উত্তর ও দক্ষিণ গাজায় ইসরায়েলের চলমান ‘অপারেশন গিডিয়ন’কে ঝুঁকির মুখে ফেলতে পারে এই খাদ্যাভাব। ইসরায়েলের সরকারি সম্প্রচার সংস্থা কান জানিয়েছে, ইসরায়েলি সেনাবাহিনী ও মার্কিন কন্ট্রাক্টরদের তত্ত্বাবধানে এই ত্রাণ বিতরণ কেন্দ্র পরিচালিত হবে। তবে তুরস্কের সংবাদমাধ্যম আনাদোলুর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইসরায়েল ও আমেরিকা এ কাজের আসল লক্ষ্য হলো উত্তর গাজা থেকে মানুষ সরানো, যাতে দক্ষিণের রাফা শহরকে প্রধান মানবিক সহায়তা কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তোলা যায় এবং সাহায্য নিতে আসা মানুষদের সেখানে আবদ্ধ করা যায়।
এদিকে, গত সপ্তাহের তীব্র বিমান হামলার পর এই অভিযান শুরু হয়েছে, যা গাজাজুড়ে ৬৭০টিরও বেশি হামাস স্থাপনা লক্ষ্য করে চালানো হয়েছিল। হামাসের প্রস্তুতি ব্যাহত করা ও স্থল অভিযানের পথ প্রশস্ত করার লক্ষ্যে এই হামলা চালানো হয়েছিল। লক্ষ্যবস্তুগুলোর মধ্যে ছিল অস্ত্র সংরক্ষণের স্থান, ভূগর্ভস্থ টানেল, ট্যাঙ্ক-বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র লঞ্চার এবং অপারেটিভ। সামরিক বাহিনীর মতে, স্থল বাহিনী এখন পর্যন্ত কয়েক ডজন হামাস যোদ্ধাকে নির্মূল করেছে। মাটির উপরে ও নিচে উভয় অবকাঠামো ভেঙে দিয়েছে এবং গাজার অভ্যন্তরে কৌশলগত অবস্থানগুলো সুরক্ষিত করেছে।
আইডিএফ জানিয়েছে, ‘ইসরায়েলি বেসামরিক নাগরিকদের রক্ষা করার জন্য তারা প্রয়োজনে গাজা উপত্যকার সন্ত্রাসী সংগঠনগুলোর বিরুদ্ধে অভিযান চালিয়ে যাবে।’
নতুন আক্রমণ শুরুর কিছুক্ষণ পরেই গাজা থেকে সীমান্ত অঞ্চলে দুটি প্রজেক্টাইল ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়া হয়। এর মধ্যে একটিকে আকাশেই বিধ্বংস করার দাবি করেছে আইডিএফ কোনো হতাহত বা ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছে ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যমগুলো।
২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাস ইসরায়েলে হামলা চালিয়ে প্রায় ১২০০ জনকে হত্যা এবং প্রায় ২৫০ জনকে জিম্মি করার পর জবাবে গাজায় তীব্র হামলা শুরু করে ইসরায়েল। ইসরায়েলের সামরিক অভিযান গাজা উপত্যকাকে ধ্বংসস্তূপে পরিণত করেছে। গাজা স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, এই অভিযানের ফলে প্রায় সব বাসিন্দা তাদের ঘরবাড়ি ছেড়ে পালাতে বাধ্য হয়েছে এবং এখন পর্যন্ত ৫৩০০০ জনেরও বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন।
ইসরায়েলি হামলা থেকে রক্ষা পেতে বাড়ি-ঘর ছাড়ছেন ফিলিস্তিনিরা -আনাদুলু
সোমবার, ১৯ মে ২০২৫
গাজায় হামাসের হাতে জিম্মিদের মধ্যে অর্ধেক জীবিত ইসরায়েলি জিম্মিকে ফেরতের বিনিময়ে ৬০ দিনের যুদ্ধবিরতি প্রস্তাব দিয়েছে ইসরায়েল। গতকাল রোববার ইসরায়েলের সরকারি সম্প্রচার সংস্থা কান এ খবর জানিয়েছে। সংবাদমাধ্যমটি জানায়, কাতারের দোহায় আলোচনার সময় এই প্রস্তাব দেয়া হয়। ইসরায়েল ধারণা করছে, গাজায় এখনো ৫৮ জন জিম্মি রয়েছে। তাদের মধ্যে ২০ জনকে জীবিত বলে মনে করা হচ্ছে।
প্রস্তাবে আরও বলা হয়েছে, যুদ্ধবিরতির সময় ভবিষ্যতের যুদ্ধ নিয়ে আলোচনা হবে। আলোচনায় থাকবে ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ গোষ্ঠীগুলোর অস্ত্র ছাড়ার বিষয় এবং তাদের নেতাদের বিতাড়নের কথা। এই দুটি শর্ত ইসরায়েল বারবার জোর দিয়ে বলেছে। ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর দপ্তর জানায়, দোহার সর্বশেষ আলোচনায় যুদ্ধবিরতি ও বন্দি বিনিময় নিয়ে আলোচনা হয়েছে। পাশাপাশি যুদ্ধ বন্ধের বিনিময়ে হামাস যোদ্ধাদের নির্বাসন এবং গাজা উপত্যকার নিরস্ত্রীকরণের প্রস্তাব দেয়া হয়েছে। এর আগে হামাস এই শর্তগুলো প্রত্যাখ্যান করেছিল।
হামাস বলেছে, যতক্ষণ পর্যন্ত ইসরায়েল ফিলিস্তিনি জমি দখল অব্যাহত রাখবে, ততক্ষণ তারা অস্ত্র ছাড়বে না। একজন হামাস কর্মকর্তা রয়টার্সকে বলেন, ইসরায়েলের অবস্থান অপরিবর্তিত রয়েছে। তারা জিম্মিদের মুক্তি চায়, তবে যুদ্ধ বন্ধের কোনো প্রতিশ্রুতি দিচ্ছে না। যুদ্ধ বন্ধ, ইসরায়েলি সেনা প্রত্যাহার, গাজার ওপর থেকে অবরোধ প্রত্যাহার এবং ফিলিস্তিনি বন্দিদের মুক্তির বিনিময়ে সব ইসরায়েলি জিম্মিকে মুক্তি দেয়ার প্রস্তাব পুনরায় দিয়েছে হামাস।
হামাস বলছে, ‘আমরা আশা করি, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে গড়া বোঝাপড়া এবং মধ্যস্থতাকারীদের সম্মতির ভিত্তিতে, দ্রুত গাজায় মানবিক সাহায্য প্রবেশ শুরু হবে। সঙ্গত কারণেই চিরস্থায়ী যুদ্ধবিরতি ডাকা হবে এবং নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতা অর্জনের লক্ষ্যে ব্যাপক আলোচনা হবে, যা আমরা প্রত্যাশা করছি।’
দোহায় আলোচনার মধ্যেই গাজায় স্থল অভিযান শুরু করেছে ইসরায়েল। এ অভিযানে আজ সোমবার সকাল পর্যন্ত প্রায় দেড়শ জনের মৃত্যু হয়েছে।
গাজা শহরের আল-শিফা হাসপাতালের পরিচালক ড. মোহাম্মদ আবু সিলমিয়েহ পরিস্থিতিকে ‘বিপর্যয়কর’ বলে অভিহিত করেছেন। তিনি বলেন, ইসরায়েলি হামলার কারণে উত্তর গাজার চিকিৎসাসেবা ভেঙে পড়েছে। আল-শিফা হাসপাতালে চারজনের জায়গায় আটজন রোগী রাখা হয়েছে। অতিরিক্ত রোগীদের জন্য তাঁবু স্থাপন করা হয়েছে। প্রতি ঘণ্টায় গড়ে ৫০ জন মৃতদেহ ও ১৩০ জন আহত ব্যক্তি আসছে। রক্তের তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে। নিবিড় পরিচর্যা এবং সার্জারি সেবা ধসে পড়ছে, কর্মীরা ‘অসম্ভব চাপে’ কাজ করছেন।
ড. সিলমিয়েহ আল জাজিরাকে জানান, উত্তর গাজার শেষ হাসপাতাল ইন্দোনেশিয়ান হাসপাতালেও হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। এদিকে দুই মাস বন্ধ রাখার পর গাজায় সীমিত পরিমাণে ত্রাণ প্রবেশের অনুমতি দেয়ার পরিকল্পনা ঘোষণা করেছে ইসরায়েল। গাজাবাসীর ক্ষুধায় মৃত্যু ঠেকাতে এই পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে বলে দাবি তাদের।
ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনজামিন নেতানিয়াহুর দপ্তর এক বিবৃতিতে জানায়, গাজাবাসীদের যেন ক্ষুধার সংকট সৃষ্টি না হয়, সেজন্য একটি মৌলিক পরিমাণ খাদ্য প্রবেশের অনুমতি দেয়া হবে। উত্তর ও দক্ষিণ গাজায় ইসরায়েলের চলমান ‘অপারেশন গিডিয়ন’কে ঝুঁকির মুখে ফেলতে পারে এই খাদ্যাভাব। ইসরায়েলের সরকারি সম্প্রচার সংস্থা কান জানিয়েছে, ইসরায়েলি সেনাবাহিনী ও মার্কিন কন্ট্রাক্টরদের তত্ত্বাবধানে এই ত্রাণ বিতরণ কেন্দ্র পরিচালিত হবে। তবে তুরস্কের সংবাদমাধ্যম আনাদোলুর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইসরায়েল ও আমেরিকা এ কাজের আসল লক্ষ্য হলো উত্তর গাজা থেকে মানুষ সরানো, যাতে দক্ষিণের রাফা শহরকে প্রধান মানবিক সহায়তা কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তোলা যায় এবং সাহায্য নিতে আসা মানুষদের সেখানে আবদ্ধ করা যায়।
এদিকে, গত সপ্তাহের তীব্র বিমান হামলার পর এই অভিযান শুরু হয়েছে, যা গাজাজুড়ে ৬৭০টিরও বেশি হামাস স্থাপনা লক্ষ্য করে চালানো হয়েছিল। হামাসের প্রস্তুতি ব্যাহত করা ও স্থল অভিযানের পথ প্রশস্ত করার লক্ষ্যে এই হামলা চালানো হয়েছিল। লক্ষ্যবস্তুগুলোর মধ্যে ছিল অস্ত্র সংরক্ষণের স্থান, ভূগর্ভস্থ টানেল, ট্যাঙ্ক-বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র লঞ্চার এবং অপারেটিভ। সামরিক বাহিনীর মতে, স্থল বাহিনী এখন পর্যন্ত কয়েক ডজন হামাস যোদ্ধাকে নির্মূল করেছে। মাটির উপরে ও নিচে উভয় অবকাঠামো ভেঙে দিয়েছে এবং গাজার অভ্যন্তরে কৌশলগত অবস্থানগুলো সুরক্ষিত করেছে।
আইডিএফ জানিয়েছে, ‘ইসরায়েলি বেসামরিক নাগরিকদের রক্ষা করার জন্য তারা প্রয়োজনে গাজা উপত্যকার সন্ত্রাসী সংগঠনগুলোর বিরুদ্ধে অভিযান চালিয়ে যাবে।’
নতুন আক্রমণ শুরুর কিছুক্ষণ পরেই গাজা থেকে সীমান্ত অঞ্চলে দুটি প্রজেক্টাইল ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়া হয়। এর মধ্যে একটিকে আকাশেই বিধ্বংস করার দাবি করেছে আইডিএফ কোনো হতাহত বা ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছে ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যমগুলো।
২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাস ইসরায়েলে হামলা চালিয়ে প্রায় ১২০০ জনকে হত্যা এবং প্রায় ২৫০ জনকে জিম্মি করার পর জবাবে গাজায় তীব্র হামলা শুরু করে ইসরায়েল। ইসরায়েলের সামরিক অভিযান গাজা উপত্যকাকে ধ্বংসস্তূপে পরিণত করেছে। গাজা স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, এই অভিযানের ফলে প্রায় সব বাসিন্দা তাদের ঘরবাড়ি ছেড়ে পালাতে বাধ্য হয়েছে এবং এখন পর্যন্ত ৫৩০০০ জনেরও বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন।