সুইজারল্যান্ডে ভয়াবহ হিমবাহ ধসের ঘটনা ঘটেছে। আল্পস পর্বতমালার পাদদেশে অবস্থিত ব্লাটেন নামক একটি গ্রাম সম্পূর্ণভাবে তছনছ হয়ে গেছে এই প্রাকৃতিক দুর্যোগে। ঘটনার শুরু প্রায় দুই সপ্তাহ আগে, যখন পাহাড়ের বিভিন্ন স্থানে ছোট ছোট ভূমিধস শুরু হয়। পরিস্থিতি বিবেচনায় স্থানীয় প্রশাসন দ্রুত সতর্কতা জারি করে এবং প্রায় ৩০০ বাসিন্দাকে গ্রাম ছেড়ে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেয়া হয়। ফলে প্রাণহানির ঘটনা না ঘটলেও, ধসে পড়া হিমবাহে চাপা পড়ে গেছে পুরো গ্রাম। বরফ, কাদা ও পাথরের স্রোতে ধ্বংস হয়ে গেছে বসতবাড়ি, অবকাঠামো এবং স্থানীয়দের জীবন-জীবিকা।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, চোখের সামনে বরফ, পাথর আর কাদার বিশাল ঢল গ্রামটির উপর নেমে আসে। মুহূর্তের মধ্যেই সবকিছু তলিয়ে যায় সাদা ধ্বংসস্তূপের নিচে। গ্রামটির অধিকাংশ অংশই এখন বরফ ও পাথরের স্তূপে ঢাকা। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাবই এই ধরনের দুর্যোগের মূল কারণ। হিমবাহ গলে পড়ার হার বেড়ে যাওয়ায় পাহাড়ি এলাকাগুলোতে ভূমিধসের প্রবণতাও বৃদ্ধি পাচ্ছে। বিশেষ করে আল্পস পর্বতমালার আশপাশে এমন বিপর্যয় এখন প্রায় নিয়মিত ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে। এ ঘটনায় গভীর শোক প্রকাশ করেছেন দেশটির নাগরিকরা। ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তায় সুইস সরকার ইতোমধ্যে আর্থিক সহায়তা এবং পুনর্বাসন কর্মসূচি ঘোষণা করেছে, যাতে তারা নতুন করে জীবন শুরু করতে পারেন। এই প্রাকৃতিক বিপর্যয় আবারও স্মরণ করিয়ে দিল—জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব কতটা ভয়াবহ এবং তা থেকে নিরাপদ নয় পৃথিবীর কোনো প্রান্তই।
শুক্রবার, ৩০ মে ২০২৫
সুইজারল্যান্ডে ভয়াবহ হিমবাহ ধসের ঘটনা ঘটেছে। আল্পস পর্বতমালার পাদদেশে অবস্থিত ব্লাটেন নামক একটি গ্রাম সম্পূর্ণভাবে তছনছ হয়ে গেছে এই প্রাকৃতিক দুর্যোগে। ঘটনার শুরু প্রায় দুই সপ্তাহ আগে, যখন পাহাড়ের বিভিন্ন স্থানে ছোট ছোট ভূমিধস শুরু হয়। পরিস্থিতি বিবেচনায় স্থানীয় প্রশাসন দ্রুত সতর্কতা জারি করে এবং প্রায় ৩০০ বাসিন্দাকে গ্রাম ছেড়ে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেয়া হয়। ফলে প্রাণহানির ঘটনা না ঘটলেও, ধসে পড়া হিমবাহে চাপা পড়ে গেছে পুরো গ্রাম। বরফ, কাদা ও পাথরের স্রোতে ধ্বংস হয়ে গেছে বসতবাড়ি, অবকাঠামো এবং স্থানীয়দের জীবন-জীবিকা।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, চোখের সামনে বরফ, পাথর আর কাদার বিশাল ঢল গ্রামটির উপর নেমে আসে। মুহূর্তের মধ্যেই সবকিছু তলিয়ে যায় সাদা ধ্বংসস্তূপের নিচে। গ্রামটির অধিকাংশ অংশই এখন বরফ ও পাথরের স্তূপে ঢাকা। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাবই এই ধরনের দুর্যোগের মূল কারণ। হিমবাহ গলে পড়ার হার বেড়ে যাওয়ায় পাহাড়ি এলাকাগুলোতে ভূমিধসের প্রবণতাও বৃদ্ধি পাচ্ছে। বিশেষ করে আল্পস পর্বতমালার আশপাশে এমন বিপর্যয় এখন প্রায় নিয়মিত ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে। এ ঘটনায় গভীর শোক প্রকাশ করেছেন দেশটির নাগরিকরা। ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তায় সুইস সরকার ইতোমধ্যে আর্থিক সহায়তা এবং পুনর্বাসন কর্মসূচি ঘোষণা করেছে, যাতে তারা নতুন করে জীবন শুরু করতে পারেন। এই প্রাকৃতিক বিপর্যয় আবারও স্মরণ করিয়ে দিল—জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব কতটা ভয়াবহ এবং তা থেকে নিরাপদ নয় পৃথিবীর কোনো প্রান্তই।