বিশ্বের দুই বৃহত্তম অর্থনীতি—যুক্তরাষ্ট্র ও চীন—বাণিজ্য উত্তেজনা হ্রাস করতে একটি বাণিজ্য চুক্তির কাঠামো নিয়ে নীতিগতভাবে একমত হয়েছে বলে জানিয়েছে উভয় দেশ।
মঙ্গলবার লন্ডনে দুই দিনব্যাপী বৈঠকের পর দুই দেশের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এই সমঝোতা তাদের দীর্ঘদিনের ‘বাণিজ্য যুদ্ধের’ অস্থায়ী বিরতি আবার কার্যকর করবে এবং চীনের বিরল খনিজ রপ্তানির ওপর নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের পথ খুলে দেবে।
যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্যমন্ত্রী হাওয়ার্ড লাটনিক লন্ডনে সাংবাদিকদের বলেন, “গত মাসে জেনেভায় যে সমঝোতায় পৌঁছেছিলাম, লন্ডনের আলোচনায় আমরা তার ওপর ভিত্তি করে একটি বাস্তব কাঠামো দাঁড় করিয়েছি।”
চীনের উপ-বাণিজ্যমন্ত্রী লি ছেংগাংও বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, “চুক্তির কাঠামো নিয়ে আমরা নীতিগতভাবে একমত হয়েছি, যা এখন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প এবং চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের কাছে উপস্থাপন করা হবে।”
ফের কার্যকর হচ্ছে ‘বাণিজ্য বিরতি’
২০১৮ সাল থেকে প্রযুক্তিপণ্য ও কাঁচামাল রপ্তানিকে কেন্দ্র করে শুরু হওয়া পাল্টাপাল্টি শুল্ক আরোপ এবং নিষেধাজ্ঞার মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্র-চীনের মধ্যে একপ্রকার বাণিজ্য যুদ্ধ শুরু হয়।
সম্প্রতি চীন বিরল খনিজের রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে। এর জবাবে ট্রাম্প প্রশাসন চীনের সেমিকন্ডাক্টর ডিজাইন সফটওয়্যার, আকাশযানসহ উচ্চ প্রযুক্তিপণ্য রপ্তানির ওপর নিয়ন্ত্রণ জারি করে, যার ফলে আগের জেনেভা চুক্তি অকার্যকর হয়ে পড়ে।
এরপর পাল্টাপাল্টি প্রতিশোধমূলক শুল্ক তিন অঙ্কের মাত্রায় পৌঁছে যায়, যা বৈশ্বিক অর্থনীতিতেও প্রভাব ফেলতে শুরু করে।
চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত দুই প্রেসিডেন্টের
বাণিজ্যমন্ত্রী লাটনিক জানান, এখন দুই পক্ষই নিজ নিজ রাষ্ট্রপ্রধানের অনুমোদনের জন্য এই প্রস্তাব নিয়ে যাবে। “আমরা প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সঙ্গে কথা বলবো, ওনার অনুমোদন নেব। চীনও একইভাবে প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের অনুমোদন নেবে। তারপরই চুক্তি বাস্তবায়নের পথে যাওয়া হবে।”
যদিও বৈঠক শেষে কোনো চুক্তিপত্র বা আনুষ্ঠানিক বিবরণ প্রকাশ করা হয়নি, তবে দুই পক্ষই আশা প্রকাশ করেছে—এই সমঝোতা দীর্ঘদিনের বাণিজ্য উত্তেজনার বরফ গলাতে সাহায্য করবে।
---
বুধবার, ১১ জুন ২০২৫
বিশ্বের দুই বৃহত্তম অর্থনীতি—যুক্তরাষ্ট্র ও চীন—বাণিজ্য উত্তেজনা হ্রাস করতে একটি বাণিজ্য চুক্তির কাঠামো নিয়ে নীতিগতভাবে একমত হয়েছে বলে জানিয়েছে উভয় দেশ।
মঙ্গলবার লন্ডনে দুই দিনব্যাপী বৈঠকের পর দুই দেশের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এই সমঝোতা তাদের দীর্ঘদিনের ‘বাণিজ্য যুদ্ধের’ অস্থায়ী বিরতি আবার কার্যকর করবে এবং চীনের বিরল খনিজ রপ্তানির ওপর নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের পথ খুলে দেবে।
যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্যমন্ত্রী হাওয়ার্ড লাটনিক লন্ডনে সাংবাদিকদের বলেন, “গত মাসে জেনেভায় যে সমঝোতায় পৌঁছেছিলাম, লন্ডনের আলোচনায় আমরা তার ওপর ভিত্তি করে একটি বাস্তব কাঠামো দাঁড় করিয়েছি।”
চীনের উপ-বাণিজ্যমন্ত্রী লি ছেংগাংও বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, “চুক্তির কাঠামো নিয়ে আমরা নীতিগতভাবে একমত হয়েছি, যা এখন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প এবং চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের কাছে উপস্থাপন করা হবে।”
ফের কার্যকর হচ্ছে ‘বাণিজ্য বিরতি’
২০১৮ সাল থেকে প্রযুক্তিপণ্য ও কাঁচামাল রপ্তানিকে কেন্দ্র করে শুরু হওয়া পাল্টাপাল্টি শুল্ক আরোপ এবং নিষেধাজ্ঞার মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্র-চীনের মধ্যে একপ্রকার বাণিজ্য যুদ্ধ শুরু হয়।
সম্প্রতি চীন বিরল খনিজের রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে। এর জবাবে ট্রাম্প প্রশাসন চীনের সেমিকন্ডাক্টর ডিজাইন সফটওয়্যার, আকাশযানসহ উচ্চ প্রযুক্তিপণ্য রপ্তানির ওপর নিয়ন্ত্রণ জারি করে, যার ফলে আগের জেনেভা চুক্তি অকার্যকর হয়ে পড়ে।
এরপর পাল্টাপাল্টি প্রতিশোধমূলক শুল্ক তিন অঙ্কের মাত্রায় পৌঁছে যায়, যা বৈশ্বিক অর্থনীতিতেও প্রভাব ফেলতে শুরু করে।
চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত দুই প্রেসিডেন্টের
বাণিজ্যমন্ত্রী লাটনিক জানান, এখন দুই পক্ষই নিজ নিজ রাষ্ট্রপ্রধানের অনুমোদনের জন্য এই প্রস্তাব নিয়ে যাবে। “আমরা প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সঙ্গে কথা বলবো, ওনার অনুমোদন নেব। চীনও একইভাবে প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের অনুমোদন নেবে। তারপরই চুক্তি বাস্তবায়নের পথে যাওয়া হবে।”
যদিও বৈঠক শেষে কোনো চুক্তিপত্র বা আনুষ্ঠানিক বিবরণ প্রকাশ করা হয়নি, তবে দুই পক্ষই আশা প্রকাশ করেছে—এই সমঝোতা দীর্ঘদিনের বাণিজ্য উত্তেজনার বরফ গলাতে সাহায্য করবে।
---