alt

আন্তর্জাতিক

রপ্তানি বিধিনিষেধ শিথিলে চীন-যুক্তরাষ্ট্রের ‘নীতিগত ঐকমত্য’

সংবাদ অনলাইন রিপোর্ট : বুধবার, ১১ জুন ২০২৫

বিশ্বের দুই বৃহত্তম অর্থনীতি—যুক্তরাষ্ট্র ও চীন—বাণিজ্য উত্তেজনা হ্রাস করতে একটি বাণিজ্য চুক্তির কাঠামো নিয়ে নীতিগতভাবে একমত হয়েছে বলে জানিয়েছে উভয় দেশ।

মঙ্গলবার লন্ডনে দুই দিনব্যাপী বৈঠকের পর দুই দেশের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এই সমঝোতা তাদের দীর্ঘদিনের ‘বাণিজ্য যুদ্ধের’ অস্থায়ী বিরতি আবার কার্যকর করবে এবং চীনের বিরল খনিজ রপ্তানির ওপর নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের পথ খুলে দেবে।

যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্যমন্ত্রী হাওয়ার্ড লাটনিক লন্ডনে সাংবাদিকদের বলেন, “গত মাসে জেনেভায় যে সমঝোতায় পৌঁছেছিলাম, লন্ডনের আলোচনায় আমরা তার ওপর ভিত্তি করে একটি বাস্তব কাঠামো দাঁড় করিয়েছি।”

চীনের উপ-বাণিজ্যমন্ত্রী লি ছেংগাংও বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, “চুক্তির কাঠামো নিয়ে আমরা নীতিগতভাবে একমত হয়েছি, যা এখন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প এবং চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের কাছে উপস্থাপন করা হবে।”

ফের কার্যকর হচ্ছে ‘বাণিজ্য বিরতি’

২০১৮ সাল থেকে প্রযুক্তিপণ্য ও কাঁচামাল রপ্তানিকে কেন্দ্র করে শুরু হওয়া পাল্টাপাল্টি শুল্ক আরোপ এবং নিষেধাজ্ঞার মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্র-চীনের মধ্যে একপ্রকার বাণিজ্য যুদ্ধ শুরু হয়।

সম্প্রতি চীন বিরল খনিজের রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে। এর জবাবে ট্রাম্প প্রশাসন চীনের সেমিকন্ডাক্টর ডিজাইন সফটওয়্যার, আকাশযানসহ উচ্চ প্রযুক্তিপণ্য রপ্তানির ওপর নিয়ন্ত্রণ জারি করে, যার ফলে আগের জেনেভা চুক্তি অকার্যকর হয়ে পড়ে।

এরপর পাল্টাপাল্টি প্রতিশোধমূলক শুল্ক তিন অঙ্কের মাত্রায় পৌঁছে যায়, যা বৈশ্বিক অর্থনীতিতেও প্রভাব ফেলতে শুরু করে।

চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত দুই প্রেসিডেন্টের

বাণিজ্যমন্ত্রী লাটনিক জানান, এখন দুই পক্ষই নিজ নিজ রাষ্ট্রপ্রধানের অনুমোদনের জন্য এই প্রস্তাব নিয়ে যাবে। “আমরা প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সঙ্গে কথা বলবো, ওনার অনুমোদন নেব। চীনও একইভাবে প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের অনুমোদন নেবে। তারপরই চুক্তি বাস্তবায়নের পথে যাওয়া হবে।”

যদিও বৈঠক শেষে কোনো চুক্তিপত্র বা আনুষ্ঠানিক বিবরণ প্রকাশ করা হয়নি, তবে দুই পক্ষই আশা প্রকাশ করেছে—এই সমঝোতা দীর্ঘদিনের বাণিজ্য উত্তেজনার বরফ গলাতে সাহায্য করবে।

---

ছবি

উড়ানের ৩০ সেকেন্ড পরই বিধ্বস্ত, একজন জীবিত উদ্ধার

ছবি

বিমানযাত্রায় যান্ত্রিক ত্রুটির কারণেই বিধ্বস্ত বিমান উদ্ধারকাজ চলছে, আশপাশের এলাকা সিলগালা

ছবি

মোদি-মিরাজসহ বিশ্বনেতাদের শোক বিধ্বস্ত বিমানের যাত্রীদের প্রতি সমবেদনা

ছবি

উড্ডয়নের পরই বিধ্বস্ত এয়ার ইনডিয়ার ফ্লাইট, ২০০-এর বেশি নিহতের আশঙ্কা

ছবি

ভারতের আহমেদাবাদে উড়োজাহাজ বিধ্বস্ত, ৩০ জনের মরদেহ উদ্ধার

ছবি

এয়ার ইনডিয়ার লন্ডনগামী উড়োজাহাজ আহমেদাবাদে বিধ্বস্ত

ছবি

নিরাপত্তাঝুঁকিতে ইরাকে যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাস, কর্মীদের আংশিক প্রত্যাহার

ছবি

ট্রাম্পের সেনা মোতায়েন বিক্ষোভ তীব্র করেছে, লস অ্যাঞ্জেলেসবাসী ‘অসন্তোষ’

ছবি

লস অ্যাঞ্জেলেসে অভিবাসনবিরোধী বিক্ষোভে সহিংসতা, কারফিউ জারি

ছবি

লস অ্যাঞ্জেলেসে আরও সেনা মোতায়েন, ট্রাম্পকে ‘বিকারগ্রস্ত’ বললেন নিউসম

ছবি

ইসরায়েলি দুই কট্টরপন্থি মন্ত্রীর ওপর যুক্তরাজ্যের নিষেধাজ্ঞা

ছবি

যুক্তরাষ্ট্রে টিকা কমিটির সব সদস্যকে অপসারণ করলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী কেনেডি

ছবি

অস্ট্রিয়ার বিদ্যালয়ে বন্দুকধারীর হামলায় নিহত অন্তত ৮

ছবি

বিক্ষোভ, সংঘর্ষে উত্তাল লস অ্যাঞ্জেলেসে মেরিন সেনা মোতায়েন

ছবি

যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ায় সেনা মোতায়েন

ছবি

গাজায় হামাস নেতা মোহাম্মদ সিনওয়ার নিহত: দাবি ইসরায়েলের

অভিবাসন ইস্যুতে উত্তাল লস অ্যাঞ্জেলেস, ট্রাম্পের সেনা মোতায়েনকে ‘বেআইনি’ বলছেন গভর্নর নিউজম

ছবি

মণিপুরে আবার সহিংসতা, কারফিউ জারি

ছবি

গাজায় ঈদের পরদিনও ইসরায়েলের হামলা, নিহত ৭৫

মাস্কের সঙ্গে সম্পর্ক শেষ, ডেমোক্র্যাটদের তহবিল দিলে পরিণতি গুরুতর হবে: ট্রাম্প

ছবি

ট্রাম্প-মাস্ক বিবাদ নিয়ে রাশিয়ার মস্করা

ছবি

ঈদুল আজহার দিনে গাজায় ইসরায়েলি হামলায় নিহত ৪২

আইপিএল: বেঙ্গালুরুতে আরসিবির বিজয় মিছিলে পদপিষ্ট হয়ে ১১ জনের মৃত্যু, দায় কার?

ছবি

আইসিসির চার বিচারকের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা

ছবি

কর-বাজেট বিল নিয়ে প্রকাশ্য দ্বন্দ্বে ট্রাম্প ও মাস্ক

ছবি

আল আহলি হাসপাতালে ড্রোন হামলায় ৪ সাংবাদিক নিহত, আহত আরও কয়েকজন

ছবি

গাজায় যুদ্ধবিরতি নিয়ে জাতিসংঘে প্রস্তাব, যুক্তরাষ্ট্রের ভেটো

ছবি

দক্ষিণ কোরিয়ার নতুন প্রেসিডেন্ট লি জে মিয়ং

ছবি

দক্ষিণ কোরিয়ায় নতুন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ভোট চলছে

ছবি

পাকিস্তানের সাথে সংঘাতের পর ২ হাজার মানুষকে বাংলাদেশে ঠেলে দেয়ার খবর ভারতের গণমাধ্যমে

ছবি

১১০ পণ্যের আমদানি শুল্ক প্রত্যাহার, তালিকায় রয়েছে যুদ্ধাস্ত্রও

ছবি

রাশিয়ার চার বিমানঘাঁটি লক্ষ্য করে ইউক্রেনের ড্রোন হামলা, ৪০টির বেশি বোমারু বিমান ধ্বংসের দাবি

ছবি

ইউক্রেইনের ড্রোন হামলায় রাশিয়ার বিমানঘাঁটিতে ভয়াবহ ক্ষতি

ছবি

ত্রাণ বিতরণের নামে মানুষ আটকানোর ফাঁদ

যুক্তরাষ্ট্রের ‘অপমানজনক’ বক্তব্যের প্রতিবাদ জানালো চীন

ছবি

সৌদিতে ‘অবাধ্য নারীদের জন্য গোপন কারাগার’, কী হয় সেখানে

tab

আন্তর্জাতিক

রপ্তানি বিধিনিষেধ শিথিলে চীন-যুক্তরাষ্ট্রের ‘নীতিগত ঐকমত্য’

সংবাদ অনলাইন রিপোর্ট

বুধবার, ১১ জুন ২০২৫

বিশ্বের দুই বৃহত্তম অর্থনীতি—যুক্তরাষ্ট্র ও চীন—বাণিজ্য উত্তেজনা হ্রাস করতে একটি বাণিজ্য চুক্তির কাঠামো নিয়ে নীতিগতভাবে একমত হয়েছে বলে জানিয়েছে উভয় দেশ।

মঙ্গলবার লন্ডনে দুই দিনব্যাপী বৈঠকের পর দুই দেশের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এই সমঝোতা তাদের দীর্ঘদিনের ‘বাণিজ্য যুদ্ধের’ অস্থায়ী বিরতি আবার কার্যকর করবে এবং চীনের বিরল খনিজ রপ্তানির ওপর নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের পথ খুলে দেবে।

যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্যমন্ত্রী হাওয়ার্ড লাটনিক লন্ডনে সাংবাদিকদের বলেন, “গত মাসে জেনেভায় যে সমঝোতায় পৌঁছেছিলাম, লন্ডনের আলোচনায় আমরা তার ওপর ভিত্তি করে একটি বাস্তব কাঠামো দাঁড় করিয়েছি।”

চীনের উপ-বাণিজ্যমন্ত্রী লি ছেংগাংও বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, “চুক্তির কাঠামো নিয়ে আমরা নীতিগতভাবে একমত হয়েছি, যা এখন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প এবং চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের কাছে উপস্থাপন করা হবে।”

ফের কার্যকর হচ্ছে ‘বাণিজ্য বিরতি’

২০১৮ সাল থেকে প্রযুক্তিপণ্য ও কাঁচামাল রপ্তানিকে কেন্দ্র করে শুরু হওয়া পাল্টাপাল্টি শুল্ক আরোপ এবং নিষেধাজ্ঞার মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্র-চীনের মধ্যে একপ্রকার বাণিজ্য যুদ্ধ শুরু হয়।

সম্প্রতি চীন বিরল খনিজের রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে। এর জবাবে ট্রাম্প প্রশাসন চীনের সেমিকন্ডাক্টর ডিজাইন সফটওয়্যার, আকাশযানসহ উচ্চ প্রযুক্তিপণ্য রপ্তানির ওপর নিয়ন্ত্রণ জারি করে, যার ফলে আগের জেনেভা চুক্তি অকার্যকর হয়ে পড়ে।

এরপর পাল্টাপাল্টি প্রতিশোধমূলক শুল্ক তিন অঙ্কের মাত্রায় পৌঁছে যায়, যা বৈশ্বিক অর্থনীতিতেও প্রভাব ফেলতে শুরু করে।

চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত দুই প্রেসিডেন্টের

বাণিজ্যমন্ত্রী লাটনিক জানান, এখন দুই পক্ষই নিজ নিজ রাষ্ট্রপ্রধানের অনুমোদনের জন্য এই প্রস্তাব নিয়ে যাবে। “আমরা প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সঙ্গে কথা বলবো, ওনার অনুমোদন নেব। চীনও একইভাবে প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের অনুমোদন নেবে। তারপরই চুক্তি বাস্তবায়নের পথে যাওয়া হবে।”

যদিও বৈঠক শেষে কোনো চুক্তিপত্র বা আনুষ্ঠানিক বিবরণ প্রকাশ করা হয়নি, তবে দুই পক্ষই আশা প্রকাশ করেছে—এই সমঝোতা দীর্ঘদিনের বাণিজ্য উত্তেজনার বরফ গলাতে সাহায্য করবে।

---

back to top