মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ক্যালিফোর্নিয়ার লস অ্যাঞ্জেলেস শহরকে বিক্ষোভ ও সহিংসতা থেকে মুক্ত করতে ন্যাশনাল গার্ড ও মেরিন সেনা মোতায়েন করেছেন। তবে শহরের বিক্ষুব্ধ এলাকা লিটল টোকিওর বাসিন্দারা সেনা মোতায়েনকে অপ্রয়োজনীয় বলে মনে করছেন।
লিটল টোকিওর জাপানি রেস্তোরাঁ ও দোকানে ইংরেজির পাশাপাশি জাপানি ভাষা শোনা যায়। এলাকার এক ডজনের মতো বাসিন্দা ও কর্মীরা রয়টার্সকে জানান, অবৈধ অভিবাসীদের বিরুদ্ধে সাম্প্রতিক অভিযান ও সেনা মোতায়েন বিক্ষোভকে আরও তীব্র করেছে।
২৫ বছর বয়সী সুলিয়েতি হাভিলি বলেন, “সেনা মোতায়েন পরিস্থিতিকে আরও খারাপ করেছে এবং বিক্ষোভকারীদের উত্তেজনা বাড়িয়েছে।”
তার সহকর্মী নলবার্তো আগুইলারা বলেন, “ট্রাম্প প্রশাসনের এই পদক্ষেপ লস অ্যাঞ্জেলেসের সাধারণ মানুষ এবং স্থানীয় নেতৃত্বের ইচ্ছার বিরুদ্ধে গেছে। এটি আগুনে ঘি ঢালার মতো।”
ট্রাম্প প্রশাসন দাবি করছে, অবৈধ অভিবাসীদের বিরুদ্ধে অভিযান চালানো হচ্ছে। তবে ক্যালিফোর্নিয়ার গভর্নর গ্যাভিন নিউসম সতর্ক করেছেন, “এটি পরিস্থিতিকে আরও উত্তপ্ত করেছে এবং গণতন্ত্রের জন্য হুমকি সৃষ্টি করছে।”
লস অ্যাঞ্জেলেসের মেয়র ক্যারেন বাস বলেন, “ট্রাম্পের উদ্দেশ্য এখানে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করা।”
বিক্ষোভকারীরা লিটল টোকিওর ফেডারেল ভবনগুলোর সামনে পাঁচ রাত ধরে জড়ো আছেন। পুলিশ ও ন্যাশনাল গার্ড বিক্ষোভ ছত্রভঙ্গ করার পর তারা আশপাশের এলাকায় ছোট ছোট দলে ছড়িয়ে পড়েছেন। লিটল টোকিওজুড়ে মার্কিন অভিবাসন ও শুল্ক দপ্তর ‘আইসিই’ এবং ট্রাম্পবিরোধী গ্রাফিতি দেখা গেছে।
অনেকে তাদের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কারণ তারা ফেডারেল প্রতিশোধের আশঙ্কায় রয়েছেন। অধিকাংশই অভিবাসী বা তাদের পরিবারের কেউ বিদেশে জন্মগ্রহণ করেছে বলে মনে করছেন, প্রকাশ্যে কথা বললে আইসিই-এর নজরে পড়তে পারেন।
ট্রাম্প প্রশাসন অবশ্য বলছে, স্থানীয় ও রাজ্য সরকার পরিস্থিতি সামাল দিতে ব্যর্থ হওয়ায় তারা হস্তক্ষেপ করেছে।
---
বুধবার, ১১ জুন ২০২৫
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ক্যালিফোর্নিয়ার লস অ্যাঞ্জেলেস শহরকে বিক্ষোভ ও সহিংসতা থেকে মুক্ত করতে ন্যাশনাল গার্ড ও মেরিন সেনা মোতায়েন করেছেন। তবে শহরের বিক্ষুব্ধ এলাকা লিটল টোকিওর বাসিন্দারা সেনা মোতায়েনকে অপ্রয়োজনীয় বলে মনে করছেন।
লিটল টোকিওর জাপানি রেস্তোরাঁ ও দোকানে ইংরেজির পাশাপাশি জাপানি ভাষা শোনা যায়। এলাকার এক ডজনের মতো বাসিন্দা ও কর্মীরা রয়টার্সকে জানান, অবৈধ অভিবাসীদের বিরুদ্ধে সাম্প্রতিক অভিযান ও সেনা মোতায়েন বিক্ষোভকে আরও তীব্র করেছে।
২৫ বছর বয়সী সুলিয়েতি হাভিলি বলেন, “সেনা মোতায়েন পরিস্থিতিকে আরও খারাপ করেছে এবং বিক্ষোভকারীদের উত্তেজনা বাড়িয়েছে।”
তার সহকর্মী নলবার্তো আগুইলারা বলেন, “ট্রাম্প প্রশাসনের এই পদক্ষেপ লস অ্যাঞ্জেলেসের সাধারণ মানুষ এবং স্থানীয় নেতৃত্বের ইচ্ছার বিরুদ্ধে গেছে। এটি আগুনে ঘি ঢালার মতো।”
ট্রাম্প প্রশাসন দাবি করছে, অবৈধ অভিবাসীদের বিরুদ্ধে অভিযান চালানো হচ্ছে। তবে ক্যালিফোর্নিয়ার গভর্নর গ্যাভিন নিউসম সতর্ক করেছেন, “এটি পরিস্থিতিকে আরও উত্তপ্ত করেছে এবং গণতন্ত্রের জন্য হুমকি সৃষ্টি করছে।”
লস অ্যাঞ্জেলেসের মেয়র ক্যারেন বাস বলেন, “ট্রাম্পের উদ্দেশ্য এখানে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করা।”
বিক্ষোভকারীরা লিটল টোকিওর ফেডারেল ভবনগুলোর সামনে পাঁচ রাত ধরে জড়ো আছেন। পুলিশ ও ন্যাশনাল গার্ড বিক্ষোভ ছত্রভঙ্গ করার পর তারা আশপাশের এলাকায় ছোট ছোট দলে ছড়িয়ে পড়েছেন। লিটল টোকিওজুড়ে মার্কিন অভিবাসন ও শুল্ক দপ্তর ‘আইসিই’ এবং ট্রাম্পবিরোধী গ্রাফিতি দেখা গেছে।
অনেকে তাদের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কারণ তারা ফেডারেল প্রতিশোধের আশঙ্কায় রয়েছেন। অধিকাংশই অভিবাসী বা তাদের পরিবারের কেউ বিদেশে জন্মগ্রহণ করেছে বলে মনে করছেন, প্রকাশ্যে কথা বললে আইসিই-এর নজরে পড়তে পারেন।
ট্রাম্প প্রশাসন অবশ্য বলছে, স্থানীয় ও রাজ্য সরকার পরিস্থিতি সামাল দিতে ব্যর্থ হওয়ায় তারা হস্তক্ষেপ করেছে।
---