alt

আন্তর্জাতিক

বিধ্বস্ত বিমানে একমাত্র জীবিত রমেশ, নিরাপদ আসন কি ১১এ?

সংবাদ অনলাইন রিপোর্ট : শুক্রবার, ১৩ জুন ২০২৫

ভারতের আহমেদাবাদে এয়ার ইন্ডিয়ার উড়োজাহাজ বিধ্বস্তের ঘটনায় ২৪২ আরোহীর মধ্যে অলৌকিকভাবে বেঁচে গেছেন মাত্র একজন, যিনি উড়োজাহাজটির ১১এ নম্বর আসনে ছিলেন।

ভয়াবহ সেই দুর্ঘটনায় তার বেঁচে ফেরার ঘটনা নিয়ে চলছে নানা জল্পনা। উড়োজাহাজের ১১এ আসন সবচেয়ে নিরাপদ কিনা, সে কথাও বলছেন কেউ কেউ।

হাসপাতালে ভর্তি বিশ্বাস কুমার রমেশের প্রাণে বেঁচে যাওয়ার গল্প তার মুখ থেকেই শোনার চেষ্টা করছে সংবাদমাধ্যমগুলো। যদিও রমেশ নিজেই বলেছেন, তিনি এখনও বিশ্বাস করতে পারছেন না কীভাবে বেঁচে ফিরলেন। ধ্বংসস্তূপ থেকে তিনি হেঁটে বের হয়ে এসেছেন।

আর উড়োজাহাজের ১১এ আসন নিরাপদ কিনা, সেই প্রশ্নে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এর উত্তরে সোজাসুজি কিছু বলা যায় না।

কারণ, উড়োজাহাজগুলোর আসন বিন্যাসে অনেক ভিন্নতা থাকে। দুর্ঘটনার ঘটনাগুলোও একটা থেকে আরেকটা আলাদা। আর দুর্ঘটনা থেকে বেঁচে ফেরার বিষয়টি নির্ভর করে জটিল নানা সমীকরণের ওপর।

যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক ‘ফ্লাইট সেফটি ফাউন্ডেশন’-এর পরিচালক মিচেল ফক্স বলেন, “প্রতিটি দুর্ঘটনা আলাদা। আসনের অবস্থানের ওপর বেঁচে থাকার সম্ভাবনার ভবিষ্যদ্বাণী করা অসম্ভব।”

দুর্ঘটনা থেকে বেঁচে ফেরা রমেশ বলছেন, লন্ডনের উদ্দেশ্যে যাত্রা করা এয়ার ইন্ডিয়ার বোয়িং ৭৮৭ ড্রিমলাইনারে তার ১১এ আসনটি জরুরি বহির্গমন গেইটের কাছে ছিল। বৃহস্পতিবার উড়োজাহাজটির দুর্ঘটনার পর তিনি ভেতর থেকে বের হয়ে আসতে সক্ষম হন।

বহির্গমন গেইটের কাছে বসলে অবশ্যই তা দুর্ঘটনার সময় কারও বের হয়ে যাওয়ার জন্য সহায়ক হতে পারে। কিন্তু সেটি সবসময় ১১এ আসন হবে না, কারণ উড়োজাহাজের কয়েকডজন আসনের বিন্যাসে ভিন্নতা থাকতে পারে।

সিডনিভিত্তিক অ্যাভল অ্যাভিয়েশন কনসাল্টিংয়ের চেয়ারম্যান রন বার্টস বলেন, “এই নির্দিষ্ট ক্ষেত্রে যেহেতু সেই যাত্রী জরুরি বহির্গমন গেইটের কাছে ছিলেন, সেহেতু আসনটি স্পষ্টত সেদিনের জন্য সবথেকে নিরাপদ আসন ছিল।

“কিন্তু আসনটি সবসময় ১১এ হবে না; কেবল বোয়িং ৭৮৭ এর আসন বিন্যাসের বেলায় সেটি হবে ১১এ নম্বর আসন।”

১৯৭১ সাল থেকে সংঘটিত দুর্ঘটনার ওপর ২০০৭ সালের পপুলার মেকানিক্সের একটি গবেষণায় দেখা গেছে, উড়োজাহাজের পেছনের দিকের যাত্রীদের বেঁচে থাকার সম্ভাবনা বেশি। কিছু বিশেষজ্ঞ মনে করেন, উড়োজাহাজের ডানার অংশটি আরও স্থিতিশীলতার সুযোগ তৈরি করে।

রন বার্টসের মতে, রমেশের মত বহির্গমন গেইটের কাছে বসলে কেউ দুর্ঘটনার পর সবার আগে বের হয়ে যাওয়ার সুযোগ পেতে পারেন। তবে দুর্ঘটনার পর কোনো কোনো বহির্গমন গেইট কাজ করে না। দুর্ঘটনার পর এয়ার ইন্ডিয়ার উড়োজাহাজটির বিপরীত অংশ ভবনের দেয়ালের কারণে বন্ধ হয়ে পড়ে।

গত বছরের জানুয়ারিতে ওড়ার মাঝপথে একটি বোয়িং ৭৩৭ ম্যাক্স বিমানের একটি প্যানেল ভেঙে ফাঁক তৈরি হয় এবং পাশের আসনটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। সৌভাগ্যবশত সেসময় সেখানে কেউ বসে ছিল না এবং ওই ঘটনায় কোনো প্রাণহানিও হয়নি।

করিডোরের পাশে বসলে সেটি কাউকে দ্রুত বের হয়ে আসার সুযোগ দিতে পারে। কিন্তু তাতে মাথার ওপরে ব্যাগপত্র পড়ার ঝুঁকিও বেশি। আর উড়োজাহাজে এ বিষয়টিই বেশি ঘটে।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, উড়োজাহাজের যাত্রা শুরুর আগে সচেতনতা ও নিরাপত্তামূলক নির্দেশনার প্রতি মনোযোগ দেওয়া বেঁচে ফেরার সম্ভবত সবথেকে ভালো উপায়।

২০২৪ সালের জানুয়ারিতে টোকিওর হানেদা বিমানবন্দরে জাপান এয়ারলাইন্সের ফ্লাইট এয়ারবাস এ৩৫০ ও কোস্ট গার্ড উড়োজাহাজের সংঘর্ষ হয়। দুর্ঘটনার পরিস্থিতিতে ব্যাগ ফেলে যাওয়াসহ কেবিন ক্রুদের সেসময়ের পরামর্শ এয়ারবাস এ৩৫০ এর ৩৭৯ যাত্রীর প্রাণে বাঁচতে ভূমিকা রাখে।

ক্রুরা যাত্রীদের গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশনাগুলো দিয়ে থাকেন। যেমন—কীভাবে দ্রুত সিটবেল্ট ভালোভাবে বাঁধতে হবে, দুর্ঘটনার পরিস্থিতিতে কীভাবে বসতে হবে এবং উড়োজাহাজ থেকে বের হয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা নিতে হবে।

সাধারণ কৌশল হল উড়োজাহাজের বহির্গমন গেইট ও নিজের আসনের মাঝের আসন সারিগুলো গুণে রাখা। কারণ কেবিন যদি ধোঁয়ায় আচ্ছন্ন হয়ে পড়ে এবং কিছু দেখা না যায়, তখন বের হয়ে আসার জন্য এটি কাজে লাগবে।

‘ফ্লাইট সেফটি ফাউন্ডেশন’-এর পরিচালক মিচেল ফক্স বলছেন, দুর্ঘটনা সত্ত্বেও উড়োজাহাজের নকশা যাত্রীদের হেঁটে বের হয়ে আসার সম্ভাবনা বাড়াতে পারে। যেমন—উড়োজাহাজের মেঝেতে আলোকসজ্জা করা, আগুন শনাক্ত ও নিভিয়ে ফেলার প্রযুক্তি ব্যবহার, কম দাহ্য উপকরণ দিয়ে কেবিন তৈরি এবং জরুরি বহির্গমনের পথ উন্নত করা।

তিনি বলেন, “উড়োজাহাজের কেবিন নকশায় উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হয়েছে, যা মাটিতে বা মাটির কাছাকাছি দুর্ঘটনার সময় বেঁচে ফেরার সম্ভাবনা বাড়িয়েছে।”

ছবি

ইরানের পাল্টা হামলা: রাতে পাঁচবার স্থান বদলেছেন ইসরায়েলে মার্কিন দূত

ছবি

ইরানের পাল্টা হামলায় ইসরায়েলে নিহত ৩

ছবি

তেলআবিবের কাছে রকেট হামলায় নিহত ১, আহত ২০ জনের বেশি

ছবি

যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকদের ওপর হামলা হলে ইরানের পরিণতি শোচনীয় হবে: মার্কিন কর্মকর্তা

ছবি

ইরানের দুটি বিমানঘাঁটিতে ইসরায়েলের হামলা, একটি ধ্বংসের দাবি

ছবি

ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলার রাতে বাংকারে আশ্রয় নেন নেতানিয়াহু, সঙ্গে ছিলেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী

ছবি

১০০ ক্ষেপণাস্ত্রে ইরানের পাল্টা জবাব, প্রতিরক্ষায় ইসরায়েলকে সহায়তা দিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র

ছবি

ইরানের আকাশ এড়িয়ে চলছে বিমানসহ আন্তর্জাতিক ফ্লাইট, ৬৫০টি বাতিল

ছবি

মধ্যপ্রাচ্যে উত্তেজনা চরমে, ইসরায়েল-ইরান সংঘর্ষে উদ্বেগ বিশ্বজুড়ে

ছবি

পাল্টা হামলার আশঙ্কায় ইসরায়েলি নাগরিকদের সতর্ক থাকার পরামর্শ

ছবি

হরমুজ প্রণালী নিয়ে শঙ্কা, জ্বালানি বাজারে অস্থিরতা বাড়ছে

ছবি

জাতিসংঘকে সমন্বিত উদ্যোগের আহ্বান বাংলাদেশের, ইরান হামলায় কড়া নিন্দা

ছবি

ইরান পারমাণবিক চুক্তিতে না এলে আরও ‘নৃশংস’ হামলার হুমকি ট্রাম্পের

ছবি

আহমেদাবাদে বিমান বিধ্বস্ত: ধ্বংসস্তূপে চলছে নিখোঁজদের খোঁজ ও যন্ত্রাংশ উদ্ধার অভিযান

ছবি

থাইল্যান্ড থেকে দিল্লিগামী এয়ার ইন্ডিয়ার ফ্লাইটে বোমাতঙ্ক, জরুরি অবতরণ

ছবি

সর্বাত্মক যুদ্ধের শঙ্কা, দেশের চারপাশে সেনা মোতায়েন করছে ইসরায়েল

ছবি

ইসরায়েলি হামলায় ইরানের সেনাপ্রধান নিহত

ছবি

ইসরায়েলে পাল্টা হামলায় ১০০ ড্রোন পাঠিয়েছে ইরান

ছবি

ইসরায়েলকে হামলার চড়া মূল্য দিতে হবে: ইরান

ছবি

ইরানের পারমাণবিক মূলকেন্দ্রে আঘাত: ‘যত দিন প্রয়োজন, তত দিন হামলা চলবে’- জানালেন নেতানিয়াহু

ছবি

ইসরায়েলি হামলায় ইরানের দুই পরমাণু বিজ্ঞানী নিহত

ছবি

ইসরায়েলের হামলায় নিহত ইরানের বিপ্লবী গার্ডের প্রধান

ছবি

একটি সেলফি: বিধ্বস্ত বিমানে শেষ হাসি

ছবি

উড়ানের ৩০ সেকেন্ড পরই বিধ্বস্ত, একজন জীবিত উদ্ধার

ছবি

বিমানযাত্রায় যান্ত্রিক ত্রুটির কারণেই বিধ্বস্ত বিমান উদ্ধারকাজ চলছে, আশপাশের এলাকা সিলগালা

ছবি

মোদি-মিরাজসহ বিশ্বনেতাদের শোক বিধ্বস্ত বিমানের যাত্রীদের প্রতি সমবেদনা

ছবি

উড্ডয়নের পরই বিধ্বস্ত এয়ার ইনডিয়ার ফ্লাইট, ২০০-এর বেশি নিহতের আশঙ্কা

ছবি

ভারতের আহমেদাবাদে উড়োজাহাজ বিধ্বস্ত, ৩০ জনের মরদেহ উদ্ধার

ছবি

এয়ার ইনডিয়ার লন্ডনগামী উড়োজাহাজ আহমেদাবাদে বিধ্বস্ত

ছবি

নিরাপত্তাঝুঁকিতে ইরাকে যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাস, কর্মীদের আংশিক প্রত্যাহার

ছবি

ট্রাম্পের সেনা মোতায়েন বিক্ষোভ তীব্র করেছে, লস অ্যাঞ্জেলেসবাসী ‘অসন্তোষ’

ছবি

রপ্তানি বিধিনিষেধ শিথিলে চীন-যুক্তরাষ্ট্রের ‘নীতিগত ঐকমত্য’

ছবি

লস অ্যাঞ্জেলেসে অভিবাসনবিরোধী বিক্ষোভে সহিংসতা, কারফিউ জারি

ছবি

লস অ্যাঞ্জেলেসে আরও সেনা মোতায়েন, ট্রাম্পকে ‘বিকারগ্রস্ত’ বললেন নিউসম

ছবি

ইসরায়েলি দুই কট্টরপন্থি মন্ত্রীর ওপর যুক্তরাজ্যের নিষেধাজ্ঞা

ছবি

যুক্তরাষ্ট্রে টিকা কমিটির সব সদস্যকে অপসারণ করলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী কেনেডি

tab

আন্তর্জাতিক

বিধ্বস্ত বিমানে একমাত্র জীবিত রমেশ, নিরাপদ আসন কি ১১এ?

সংবাদ অনলাইন রিপোর্ট

শুক্রবার, ১৩ জুন ২০২৫

ভারতের আহমেদাবাদে এয়ার ইন্ডিয়ার উড়োজাহাজ বিধ্বস্তের ঘটনায় ২৪২ আরোহীর মধ্যে অলৌকিকভাবে বেঁচে গেছেন মাত্র একজন, যিনি উড়োজাহাজটির ১১এ নম্বর আসনে ছিলেন।

ভয়াবহ সেই দুর্ঘটনায় তার বেঁচে ফেরার ঘটনা নিয়ে চলছে নানা জল্পনা। উড়োজাহাজের ১১এ আসন সবচেয়ে নিরাপদ কিনা, সে কথাও বলছেন কেউ কেউ।

হাসপাতালে ভর্তি বিশ্বাস কুমার রমেশের প্রাণে বেঁচে যাওয়ার গল্প তার মুখ থেকেই শোনার চেষ্টা করছে সংবাদমাধ্যমগুলো। যদিও রমেশ নিজেই বলেছেন, তিনি এখনও বিশ্বাস করতে পারছেন না কীভাবে বেঁচে ফিরলেন। ধ্বংসস্তূপ থেকে তিনি হেঁটে বের হয়ে এসেছেন।

আর উড়োজাহাজের ১১এ আসন নিরাপদ কিনা, সেই প্রশ্নে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এর উত্তরে সোজাসুজি কিছু বলা যায় না।

কারণ, উড়োজাহাজগুলোর আসন বিন্যাসে অনেক ভিন্নতা থাকে। দুর্ঘটনার ঘটনাগুলোও একটা থেকে আরেকটা আলাদা। আর দুর্ঘটনা থেকে বেঁচে ফেরার বিষয়টি নির্ভর করে জটিল নানা সমীকরণের ওপর।

যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক ‘ফ্লাইট সেফটি ফাউন্ডেশন’-এর পরিচালক মিচেল ফক্স বলেন, “প্রতিটি দুর্ঘটনা আলাদা। আসনের অবস্থানের ওপর বেঁচে থাকার সম্ভাবনার ভবিষ্যদ্বাণী করা অসম্ভব।”

দুর্ঘটনা থেকে বেঁচে ফেরা রমেশ বলছেন, লন্ডনের উদ্দেশ্যে যাত্রা করা এয়ার ইন্ডিয়ার বোয়িং ৭৮৭ ড্রিমলাইনারে তার ১১এ আসনটি জরুরি বহির্গমন গেইটের কাছে ছিল। বৃহস্পতিবার উড়োজাহাজটির দুর্ঘটনার পর তিনি ভেতর থেকে বের হয়ে আসতে সক্ষম হন।

বহির্গমন গেইটের কাছে বসলে অবশ্যই তা দুর্ঘটনার সময় কারও বের হয়ে যাওয়ার জন্য সহায়ক হতে পারে। কিন্তু সেটি সবসময় ১১এ আসন হবে না, কারণ উড়োজাহাজের কয়েকডজন আসনের বিন্যাসে ভিন্নতা থাকতে পারে।

সিডনিভিত্তিক অ্যাভল অ্যাভিয়েশন কনসাল্টিংয়ের চেয়ারম্যান রন বার্টস বলেন, “এই নির্দিষ্ট ক্ষেত্রে যেহেতু সেই যাত্রী জরুরি বহির্গমন গেইটের কাছে ছিলেন, সেহেতু আসনটি স্পষ্টত সেদিনের জন্য সবথেকে নিরাপদ আসন ছিল।

“কিন্তু আসনটি সবসময় ১১এ হবে না; কেবল বোয়িং ৭৮৭ এর আসন বিন্যাসের বেলায় সেটি হবে ১১এ নম্বর আসন।”

১৯৭১ সাল থেকে সংঘটিত দুর্ঘটনার ওপর ২০০৭ সালের পপুলার মেকানিক্সের একটি গবেষণায় দেখা গেছে, উড়োজাহাজের পেছনের দিকের যাত্রীদের বেঁচে থাকার সম্ভাবনা বেশি। কিছু বিশেষজ্ঞ মনে করেন, উড়োজাহাজের ডানার অংশটি আরও স্থিতিশীলতার সুযোগ তৈরি করে।

রন বার্টসের মতে, রমেশের মত বহির্গমন গেইটের কাছে বসলে কেউ দুর্ঘটনার পর সবার আগে বের হয়ে যাওয়ার সুযোগ পেতে পারেন। তবে দুর্ঘটনার পর কোনো কোনো বহির্গমন গেইট কাজ করে না। দুর্ঘটনার পর এয়ার ইন্ডিয়ার উড়োজাহাজটির বিপরীত অংশ ভবনের দেয়ালের কারণে বন্ধ হয়ে পড়ে।

গত বছরের জানুয়ারিতে ওড়ার মাঝপথে একটি বোয়িং ৭৩৭ ম্যাক্স বিমানের একটি প্যানেল ভেঙে ফাঁক তৈরি হয় এবং পাশের আসনটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। সৌভাগ্যবশত সেসময় সেখানে কেউ বসে ছিল না এবং ওই ঘটনায় কোনো প্রাণহানিও হয়নি।

করিডোরের পাশে বসলে সেটি কাউকে দ্রুত বের হয়ে আসার সুযোগ দিতে পারে। কিন্তু তাতে মাথার ওপরে ব্যাগপত্র পড়ার ঝুঁকিও বেশি। আর উড়োজাহাজে এ বিষয়টিই বেশি ঘটে।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, উড়োজাহাজের যাত্রা শুরুর আগে সচেতনতা ও নিরাপত্তামূলক নির্দেশনার প্রতি মনোযোগ দেওয়া বেঁচে ফেরার সম্ভবত সবথেকে ভালো উপায়।

২০২৪ সালের জানুয়ারিতে টোকিওর হানেদা বিমানবন্দরে জাপান এয়ারলাইন্সের ফ্লাইট এয়ারবাস এ৩৫০ ও কোস্ট গার্ড উড়োজাহাজের সংঘর্ষ হয়। দুর্ঘটনার পরিস্থিতিতে ব্যাগ ফেলে যাওয়াসহ কেবিন ক্রুদের সেসময়ের পরামর্শ এয়ারবাস এ৩৫০ এর ৩৭৯ যাত্রীর প্রাণে বাঁচতে ভূমিকা রাখে।

ক্রুরা যাত্রীদের গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশনাগুলো দিয়ে থাকেন। যেমন—কীভাবে দ্রুত সিটবেল্ট ভালোভাবে বাঁধতে হবে, দুর্ঘটনার পরিস্থিতিতে কীভাবে বসতে হবে এবং উড়োজাহাজ থেকে বের হয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা নিতে হবে।

সাধারণ কৌশল হল উড়োজাহাজের বহির্গমন গেইট ও নিজের আসনের মাঝের আসন সারিগুলো গুণে রাখা। কারণ কেবিন যদি ধোঁয়ায় আচ্ছন্ন হয়ে পড়ে এবং কিছু দেখা না যায়, তখন বের হয়ে আসার জন্য এটি কাজে লাগবে।

‘ফ্লাইট সেফটি ফাউন্ডেশন’-এর পরিচালক মিচেল ফক্স বলছেন, দুর্ঘটনা সত্ত্বেও উড়োজাহাজের নকশা যাত্রীদের হেঁটে বের হয়ে আসার সম্ভাবনা বাড়াতে পারে। যেমন—উড়োজাহাজের মেঝেতে আলোকসজ্জা করা, আগুন শনাক্ত ও নিভিয়ে ফেলার প্রযুক্তি ব্যবহার, কম দাহ্য উপকরণ দিয়ে কেবিন তৈরি এবং জরুরি বহির্গমনের পথ উন্নত করা।

তিনি বলেন, “উড়োজাহাজের কেবিন নকশায় উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হয়েছে, যা মাটিতে বা মাটির কাছাকাছি দুর্ঘটনার সময় বেঁচে ফেরার সম্ভাবনা বাড়িয়েছে।”

back to top