ইসরায়েলের দ্বিতীয় দফা হামলার পাল্টা জবাবে এবার দেশটির সামরিক ও বিমানঘাঁটিগুলো লক্ষ্য করে একযোগে ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে ইরান। ‘ট্রু প্রমিস ৩’ নামের এ অভিযানে ১০০টিরও বেশি ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করা হয়েছে বলে জানিয়েছে ইসলামি বিপ্লবী গার্ড বাহিনী (আইআরজিসি)।
ইসরায়েল দাবি করেছে, এ ক্ষেপণাস্ত্রগুলোর অধিকাংশই তারা প্রতিহত করতে সক্ষম হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের সহায়তায় ভূমিভিত্তিক প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ব্যবহার করে এসব ক্ষেপণাস্ত্র ভূপাতিত করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন দেশটির নিরাপত্তা কর্মকর্তারা।
যুক্তরাষ্ট্রের দুটি নির্ভরযোগ্য সূত্র বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্র সরাসরি আকাশ বা সমুদ্রপথে জড়িত না থাকলেও ইসরায়েলের মাটিতে স্থাপিত প্রতিরক্ষা প্রযুক্তি এবং রাডার ব্যবস্থায় সহায়তা দিচ্ছে।
ইরানি ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাতে ইসরায়েলের তেল আবিব মহানগর এলাকায় কয়েকটি স্থানে বিস্ফোরণ হয়। মাগেন ডেভিড অ্যাডম নামের দেশটির জাতীয় অ্যাম্বুলেন্স সংস্থার মতে, রামাত জান এলাকায় একাধিক ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং এখন পর্যন্ত পাঁচজন আহত হয়েছেন। আহতদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
সংস্থাটি জানিয়েছে, এখন পর্যন্ত তেল আবিব ও আশপাশের সাতটি হামলার স্থানে তাদের উদ্ধারকারী দল কাজ করছে।
ইরানের রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যমের দাবি, ইসরায়েলের অন্তত দুটি যুদ্ধবিমান তাদের আকাশসীমায় প্রবেশ করলে সেগুলো গুলি করে ভূপাতিত করা হয়। যদিও এই তথ্য স্বাধীনভাবে যাচাই করা সম্ভব হয়নি।
ইরানের জাতিসংঘ প্রতিনিধি জানিয়েছেন, ইসরায়েলি হামলায় এখন পর্যন্ত দেশটির ৭৮ জন নাগরিক নিহত হয়েছেন, যাদের মধ্যে জ্যেষ্ঠ সামরিক কর্মকর্তাও রয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও ৩২০ জন, যাদের বেশিরভাগই বেসামরিক মানুষ।
বিবিসি তাদের প্রতিবেদনে জানিয়েছে, পরিস্থিতি দ্রুত পরিবর্তিত হচ্ছে এবং মধ্যপ্রাচ্যজুড়ে যুদ্ধের শঙ্কা ক্রমেই বাড়ছে। তেল আবিবের আকাশে কালো ধোঁয়ার কুণ্ডলি দেখা গেছে।
ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী এক বিবৃতিতে বলেছে, “ইরান বাস্তবেই আমাদের ক্ষতি করতে পারে, এবং এই হামলা তার প্রথম উদাহরণ।”
ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলেছেন, “ইরানে আমাদের অভিযান কয়েকদিন ধরে চলতে পারে।”
এদিকে, বৃহস্পতিবার রাতে ইরানে দফায় দফায় ইসরায়েলি হামলার একদিন পর শুক্রবার দুপুরে ইসরায়েল আবারও দ্বিতীয় দফা হামলা চালায়। এরই প্রেক্ষিতে ইরান রাতে পাল্টা আঘাত হানে।
ইসরায়েল শুরু থেকেই জানিয়েছিল, তাদের লক্ষ্য হচ্ছে ইরানের পারমাণবিক অস্ত্র অর্জনের পথ রুদ্ধ করা। তবে ইরানও এই পাল্টা জবাবের মাধ্যমে দেখিয়েছে, তারা আঘাত সহ্য করার পাশাপাশি জবাব দেওয়ার সক্ষমতাও রাখে।
শনিবার, ১৪ জুন ২০২৫
ইসরায়েলের দ্বিতীয় দফা হামলার পাল্টা জবাবে এবার দেশটির সামরিক ও বিমানঘাঁটিগুলো লক্ষ্য করে একযোগে ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে ইরান। ‘ট্রু প্রমিস ৩’ নামের এ অভিযানে ১০০টিরও বেশি ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করা হয়েছে বলে জানিয়েছে ইসলামি বিপ্লবী গার্ড বাহিনী (আইআরজিসি)।
ইসরায়েল দাবি করেছে, এ ক্ষেপণাস্ত্রগুলোর অধিকাংশই তারা প্রতিহত করতে সক্ষম হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের সহায়তায় ভূমিভিত্তিক প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ব্যবহার করে এসব ক্ষেপণাস্ত্র ভূপাতিত করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন দেশটির নিরাপত্তা কর্মকর্তারা।
যুক্তরাষ্ট্রের দুটি নির্ভরযোগ্য সূত্র বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্র সরাসরি আকাশ বা সমুদ্রপথে জড়িত না থাকলেও ইসরায়েলের মাটিতে স্থাপিত প্রতিরক্ষা প্রযুক্তি এবং রাডার ব্যবস্থায় সহায়তা দিচ্ছে।
ইরানি ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাতে ইসরায়েলের তেল আবিব মহানগর এলাকায় কয়েকটি স্থানে বিস্ফোরণ হয়। মাগেন ডেভিড অ্যাডম নামের দেশটির জাতীয় অ্যাম্বুলেন্স সংস্থার মতে, রামাত জান এলাকায় একাধিক ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং এখন পর্যন্ত পাঁচজন আহত হয়েছেন। আহতদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
সংস্থাটি জানিয়েছে, এখন পর্যন্ত তেল আবিব ও আশপাশের সাতটি হামলার স্থানে তাদের উদ্ধারকারী দল কাজ করছে।
ইরানের রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যমের দাবি, ইসরায়েলের অন্তত দুটি যুদ্ধবিমান তাদের আকাশসীমায় প্রবেশ করলে সেগুলো গুলি করে ভূপাতিত করা হয়। যদিও এই তথ্য স্বাধীনভাবে যাচাই করা সম্ভব হয়নি।
ইরানের জাতিসংঘ প্রতিনিধি জানিয়েছেন, ইসরায়েলি হামলায় এখন পর্যন্ত দেশটির ৭৮ জন নাগরিক নিহত হয়েছেন, যাদের মধ্যে জ্যেষ্ঠ সামরিক কর্মকর্তাও রয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও ৩২০ জন, যাদের বেশিরভাগই বেসামরিক মানুষ।
বিবিসি তাদের প্রতিবেদনে জানিয়েছে, পরিস্থিতি দ্রুত পরিবর্তিত হচ্ছে এবং মধ্যপ্রাচ্যজুড়ে যুদ্ধের শঙ্কা ক্রমেই বাড়ছে। তেল আবিবের আকাশে কালো ধোঁয়ার কুণ্ডলি দেখা গেছে।
ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী এক বিবৃতিতে বলেছে, “ইরান বাস্তবেই আমাদের ক্ষতি করতে পারে, এবং এই হামলা তার প্রথম উদাহরণ।”
ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলেছেন, “ইরানে আমাদের অভিযান কয়েকদিন ধরে চলতে পারে।”
এদিকে, বৃহস্পতিবার রাতে ইরানে দফায় দফায় ইসরায়েলি হামলার একদিন পর শুক্রবার দুপুরে ইসরায়েল আবারও দ্বিতীয় দফা হামলা চালায়। এরই প্রেক্ষিতে ইরান রাতে পাল্টা আঘাত হানে।
ইসরায়েল শুরু থেকেই জানিয়েছিল, তাদের লক্ষ্য হচ্ছে ইরানের পারমাণবিক অস্ত্র অর্জনের পথ রুদ্ধ করা। তবে ইরানও এই পাল্টা জবাবের মাধ্যমে দেখিয়েছে, তারা আঘাত সহ্য করার পাশাপাশি জবাব দেওয়ার সক্ষমতাও রাখে।