পারমাণবিক অস্ত্র বিস্তার রোধ চুক্তি (এনপিটি) থেকে বেরিয়ে আসার প্রস্তুতি নিচ্ছে ইরান। এ লক্ষ্যে দেশটির পার্লামেন্ট একটি বিল তৈরি করছে।
সোমবার ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বিষয়টি নিশ্চিত করে জানায়, দেশটি ধ্বংসাত্মক পারমাণবিক অস্ত্র তৈরির বিরোধী অবস্থানে অনড় রয়েছে।
এনপিটি ত্যাগ নিয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ইসমাইল বাঘাঈ বলেন, সাম্প্রতিক ঘটনাবলির প্রেক্ষাপটে ইরান একটি উপযুক্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবে।
তিনি জানান, “সরকার পার্লামেন্টের বিল বাস্তবায়নে বাধ্য, তবে এটি এখনও প্রস্তুতির পর্যায়ে রয়েছে এবং পরবর্তীতে পার্লামেন্টের সঙ্গে সমন্বয় করা হবে।”
ইরান ১৯৭০ সালে এনপিটি চুক্তি অনুমোদন করে। এই চুক্তির আওতায় দেশগুলো বেসামরিক পরমাণু শক্তি ব্যবহার করতে পারে, তবে পারমাণবিক অস্ত্র তৈরি থেকে বিরত থাকতে হয় এবং আন্তর্জাতিক পরমাণু শক্তি সংস্থা (আইএইএ)-র সঙ্গে সহযোগিতা করতে হয়।
গত সপ্তাহে ইসরায়েল ইরানে হামলা চালায় এবং দাবি করে, ইরান পারমাণবিক অস্ত্র তৈরির দ্বারপ্রান্তে রয়েছে। যদিও ইরান সবসময়ই বলে এসেছে যে তাদের পারমাণবিক কর্মসূচি শান্তিপূর্ণ।
আইএইএ সম্প্রতি এক ঘোষণায় জানায়, ইরান এনপিটি চুক্তির শর্ত লঙ্ঘন করছে।
এরপর ইরানের প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ান জানান, দেশটি পারমাণবিক অস্ত্র তৈরিতে আগ্রহী নয়। সোমবার তিনি আবারও এই অবস্থান পুনর্ব্যক্ত করে বলেন, পারমাণবিক অস্ত্র ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনির ধর্মীয় নির্দেশনার বিরুদ্ধে।
ইরানের রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম জানায়, এনপিটি থেকে বেরিয়ে যাওয়ার বিষয়ে এখনো চূড়ান্ত কোনো সিদ্ধান্ত নেয়নি পার্লামেন্ট, প্রস্তাবটি আইনি প্রক্রিয়ার প্রাথমিক ধাপে রয়েছে।
এ বিষয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র বাঘাঈ বলেন, ইসরায়েলের হামলার মতো ঘটনা রাষ্ট্রের কৌশলগত সিদ্ধান্তকে প্রভাবিত করে।
তিনি আইএইএ-র প্রস্তাবনাকে দোষারোপ করে বলেন, “এই প্রস্তাবের পরপরই ইসরায়েল হামলা চালায়। যারা প্রস্তাবের পক্ষে ভোট দিয়েছেন, তারাই এই হামলার পথ খুলে দিয়েছেন।”
রয়টার্সের বরাতে জানা যায়, ইসরায়েল কখনও এনপিটি চুক্তিতে সই করেনি। আঞ্চলিক ধারণা অনুযায়ী, ইসরায়েলের হাতে পারমাণবিক অস্ত্র রয়েছে। তবে তারা এ বিষয়ে কখনো স্বীকার বা অস্বীকার করেনি।
বাঘাঈ বলেন, “এ অঞ্চলে গণবিধ্বংসী অস্ত্রের একমাত্র ধারক হচ্ছে দখলদার ইহুদি শাসকগোষ্ঠী।”
সোমবার, ১৬ জুন ২০২৫
পারমাণবিক অস্ত্র বিস্তার রোধ চুক্তি (এনপিটি) থেকে বেরিয়ে আসার প্রস্তুতি নিচ্ছে ইরান। এ লক্ষ্যে দেশটির পার্লামেন্ট একটি বিল তৈরি করছে।
সোমবার ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বিষয়টি নিশ্চিত করে জানায়, দেশটি ধ্বংসাত্মক পারমাণবিক অস্ত্র তৈরির বিরোধী অবস্থানে অনড় রয়েছে।
এনপিটি ত্যাগ নিয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ইসমাইল বাঘাঈ বলেন, সাম্প্রতিক ঘটনাবলির প্রেক্ষাপটে ইরান একটি উপযুক্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবে।
তিনি জানান, “সরকার পার্লামেন্টের বিল বাস্তবায়নে বাধ্য, তবে এটি এখনও প্রস্তুতির পর্যায়ে রয়েছে এবং পরবর্তীতে পার্লামেন্টের সঙ্গে সমন্বয় করা হবে।”
ইরান ১৯৭০ সালে এনপিটি চুক্তি অনুমোদন করে। এই চুক্তির আওতায় দেশগুলো বেসামরিক পরমাণু শক্তি ব্যবহার করতে পারে, তবে পারমাণবিক অস্ত্র তৈরি থেকে বিরত থাকতে হয় এবং আন্তর্জাতিক পরমাণু শক্তি সংস্থা (আইএইএ)-র সঙ্গে সহযোগিতা করতে হয়।
গত সপ্তাহে ইসরায়েল ইরানে হামলা চালায় এবং দাবি করে, ইরান পারমাণবিক অস্ত্র তৈরির দ্বারপ্রান্তে রয়েছে। যদিও ইরান সবসময়ই বলে এসেছে যে তাদের পারমাণবিক কর্মসূচি শান্তিপূর্ণ।
আইএইএ সম্প্রতি এক ঘোষণায় জানায়, ইরান এনপিটি চুক্তির শর্ত লঙ্ঘন করছে।
এরপর ইরানের প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ান জানান, দেশটি পারমাণবিক অস্ত্র তৈরিতে আগ্রহী নয়। সোমবার তিনি আবারও এই অবস্থান পুনর্ব্যক্ত করে বলেন, পারমাণবিক অস্ত্র ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনির ধর্মীয় নির্দেশনার বিরুদ্ধে।
ইরানের রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম জানায়, এনপিটি থেকে বেরিয়ে যাওয়ার বিষয়ে এখনো চূড়ান্ত কোনো সিদ্ধান্ত নেয়নি পার্লামেন্ট, প্রস্তাবটি আইনি প্রক্রিয়ার প্রাথমিক ধাপে রয়েছে।
এ বিষয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র বাঘাঈ বলেন, ইসরায়েলের হামলার মতো ঘটনা রাষ্ট্রের কৌশলগত সিদ্ধান্তকে প্রভাবিত করে।
তিনি আইএইএ-র প্রস্তাবনাকে দোষারোপ করে বলেন, “এই প্রস্তাবের পরপরই ইসরায়েল হামলা চালায়। যারা প্রস্তাবের পক্ষে ভোট দিয়েছেন, তারাই এই হামলার পথ খুলে দিয়েছেন।”
রয়টার্সের বরাতে জানা যায়, ইসরায়েল কখনও এনপিটি চুক্তিতে সই করেনি। আঞ্চলিক ধারণা অনুযায়ী, ইসরায়েলের হাতে পারমাণবিক অস্ত্র রয়েছে। তবে তারা এ বিষয়ে কখনো স্বীকার বা অস্বীকার করেনি।
বাঘাঈ বলেন, “এ অঞ্চলে গণবিধ্বংসী অস্ত্রের একমাত্র ধারক হচ্ছে দখলদার ইহুদি শাসকগোষ্ঠী।”