শুক্রবার জুমার নামাজের পর ইসরায়েলবিরোধী বিক্ষোভ দেখায় তেহরানবাসী। ছবি: রয়টার্স
ইসরায়েলের সাম্প্রতিক হামলার প্রতিক্রিয়ায় ইরান সাফ জানিয়ে দিয়েছে, আক্রমণের মুখে তারা তাদের পরমাণু কর্মসূচি নিয়ে কোনো ধরনের আলোচনা করবে না।
ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাগচি সম্প্রতি জেনেভায় ইউরোপীয় কূটনীতিকদের সঙ্গে বৈঠকে মিলিত হন। এ সময় যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স, জার্মানি ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা তাকে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আলোচনায় ফিরতে আহ্বান জানান। তবে আরাগচি স্পষ্ট করে বলেন, ইসরায়েলের আগ্রাসন বন্ধ না হলে কূটনৈতিক পথে ফেরার কোনো প্রশ্নই ওঠে না।
তিনি বলেন, “আমাদের পরমাণু কর্মসূচি পুরোপুরি শান্তিপূর্ণ। আর প্রতিরক্ষা সক্ষমতা কোনো আলোচনার বিষয় নয়।”
এদিকে ইসরায়েলি পররাষ্ট্রমন্ত্রী এয়াল জামির এক ভিডিও বার্তায় বলেন, ‘কঠিন দিন’ আসছে এবং ইসরায়েলকে দীর্ঘমেয়াদি অভিযানের জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে।
ইসরায়েলের হামলার জবাবে ইরানও পাল্টা হামলা শুরু করেছে। হাইফা শহর লক্ষ্য করে ২০টি ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছে তারা। এসব হামলায় একজন ইসরায়েলি নারী হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন। চলমান সংঘাতে ইসরায়েলে প্রাণহানি বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৫ জনে।
ইসরায়েল জানিয়েছে, তারা পশ্চিম ইরানে ক্ষেপণাস্ত্র মজুদ ও উৎক্ষেপণ স্থাপনাগুলোতে হামলা চালিয়েছে। গত এক সপ্তাহে ইসরায়েলি হামলায় ইরানের সামরিক স্থাপনা, অস্ত্রভাণ্ডার ধ্বংস হয়েছে। নিহত হয়েছেন শীর্ষ সেনা কর্মকর্তা ও পরমাণু বিজ্ঞানীরা।
ইরানের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, এসব হামলায় অন্তত ২২৪ জন নিহত হয়েছেন। তবে একটি মানবাধিকার সংস্থা দাবি করেছে, মৃত্যুর প্রকৃত সংখ্যা ৬৩৯ জন পর্যন্ত হতে পারে।
এই পরিস্থিতিতে যুক্তরাষ্ট্রও কঠোর অবস্থানে রয়েছে। প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, ইরানকে সর্বোচ্চ দুই সপ্তাহ সময় দেওয়া হয়েছে। এর আগে যেকোনো সময় তিনি সামরিক সিদ্ধান্ত নিতে পারেন বলেও ইঙ্গিত দিয়েছেন।
তবে যুক্তরাজ্য ও ফ্রান্সের পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা এ ধরনের সময়সীমাকে ঝুঁকিপূর্ণ ও বিপজ্জনক বলে উল্লেখ করেছেন। ফ্রান্সের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ব্যারো বলেছেন, “সামরিক উপায়ে ইরানের পরমাণু ইস্যুর চূড়ান্ত সমাধান সম্ভব নয়।”
শুক্রবার জুমার নামাজের পর ইসরায়েলবিরোধী বিক্ষোভ দেখায় তেহরানবাসী। ছবি: রয়টার্স
শনিবার, ২১ জুন ২০২৫
ইসরায়েলের সাম্প্রতিক হামলার প্রতিক্রিয়ায় ইরান সাফ জানিয়ে দিয়েছে, আক্রমণের মুখে তারা তাদের পরমাণু কর্মসূচি নিয়ে কোনো ধরনের আলোচনা করবে না।
ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাগচি সম্প্রতি জেনেভায় ইউরোপীয় কূটনীতিকদের সঙ্গে বৈঠকে মিলিত হন। এ সময় যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স, জার্মানি ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা তাকে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আলোচনায় ফিরতে আহ্বান জানান। তবে আরাগচি স্পষ্ট করে বলেন, ইসরায়েলের আগ্রাসন বন্ধ না হলে কূটনৈতিক পথে ফেরার কোনো প্রশ্নই ওঠে না।
তিনি বলেন, “আমাদের পরমাণু কর্মসূচি পুরোপুরি শান্তিপূর্ণ। আর প্রতিরক্ষা সক্ষমতা কোনো আলোচনার বিষয় নয়।”
এদিকে ইসরায়েলি পররাষ্ট্রমন্ত্রী এয়াল জামির এক ভিডিও বার্তায় বলেন, ‘কঠিন দিন’ আসছে এবং ইসরায়েলকে দীর্ঘমেয়াদি অভিযানের জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে।
ইসরায়েলের হামলার জবাবে ইরানও পাল্টা হামলা শুরু করেছে। হাইফা শহর লক্ষ্য করে ২০টি ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছে তারা। এসব হামলায় একজন ইসরায়েলি নারী হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন। চলমান সংঘাতে ইসরায়েলে প্রাণহানি বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৫ জনে।
ইসরায়েল জানিয়েছে, তারা পশ্চিম ইরানে ক্ষেপণাস্ত্র মজুদ ও উৎক্ষেপণ স্থাপনাগুলোতে হামলা চালিয়েছে। গত এক সপ্তাহে ইসরায়েলি হামলায় ইরানের সামরিক স্থাপনা, অস্ত্রভাণ্ডার ধ্বংস হয়েছে। নিহত হয়েছেন শীর্ষ সেনা কর্মকর্তা ও পরমাণু বিজ্ঞানীরা।
ইরানের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, এসব হামলায় অন্তত ২২৪ জন নিহত হয়েছেন। তবে একটি মানবাধিকার সংস্থা দাবি করেছে, মৃত্যুর প্রকৃত সংখ্যা ৬৩৯ জন পর্যন্ত হতে পারে।
এই পরিস্থিতিতে যুক্তরাষ্ট্রও কঠোর অবস্থানে রয়েছে। প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, ইরানকে সর্বোচ্চ দুই সপ্তাহ সময় দেওয়া হয়েছে। এর আগে যেকোনো সময় তিনি সামরিক সিদ্ধান্ত নিতে পারেন বলেও ইঙ্গিত দিয়েছেন।
তবে যুক্তরাজ্য ও ফ্রান্সের পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা এ ধরনের সময়সীমাকে ঝুঁকিপূর্ণ ও বিপজ্জনক বলে উল্লেখ করেছেন। ফ্রান্সের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ব্যারো বলেছেন, “সামরিক উপায়ে ইরানের পরমাণু ইস্যুর চূড়ান্ত সমাধান সম্ভব নয়।”