alt

কানাডার আন্তর্জাতিক সম্মেলনে বাংলাদেশে একাত্তরের জেনোসাইডের স্বীকৃতি দাবি

সংবাদ অনলাইন রিপোর্ট : শুক্রবার, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২২

কানাডায় হল আন্তর্জাতিক সম্মেলন একাত্তরে বাংলাদেশের মানুষের ওপর পাকিস্তানিদের নির্মম হত্যাযজ্ঞকে ‘জেনোসাইড’ হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার দাবি জানানো হয়েছে। বুধবার কানাডার উইনিপেগের হিউম্যান রাইটস মিউজিয়ামে ‘স্মরণ ও স্বীকৃতি: ১৯৭১ সালের বাংলাদেশের গণহত্যা’ শীর্ষক ওই সম্মেলন হয়।

বৃহস্পতিবার অটোয়ায় বাংলাদেশ হাই কমিশনের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে দিনব্যাপী ওই সম্মেলনের বিভিন্ন দিক তুলে ধরা হয়।

বাঙালির মুক্তির আন্দোলনের শ্বাসরোধ করতে ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ রাতে এ দেশের নিরস্ত্র মানুষের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে পাকিস্তানি সেনাবাহিনী। ‘অপারেশন সার্চলাইট’ নামের সেই অভিযানে কালরাতের প্রথম প্রহরে ঢাকায় চালানো হয় গণহত্যা।

কানাডায় বাংলাদেশ হাই কমিশন, কানাডার বঙ্গবন্ধু সেন্টার ফর বাংলাদেশ স্টাডিজ (বিসিবিএস), রিফিউজিস রেজিলিয়েন্স সেন্টার, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সেন্টার ফর জেনোসাইড স্টাডিজ, মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর এবং রোটারি ক্লাব কানাডা যৌথভাবে এ সম্মেলনের আয়োজন করে।

অনুষ্ঠানে এক ভিডিও বার্তায় পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন বলেন, “১৯৭১ সালে বাংলাদেশে সংঘটিত গণহত্যা মানব ইতিহাসে সবচেয়ে জঘন্য অপরাধের একটি। এই মাত্রার ও সর্বনাশা এমন নৃশংসতা আর কোথাও ঘটেছে কি-না, আমাদের জানা নাই।”

ভয়াবহ এই জেনোসাইড যে ধরনের স্বীকৃতির দাবি রাখে, তা আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছ থেকে না পাওয়ায় হতাশা প্রকাশ করেন তিনি। মোমেন বলেন, ভয় ও ত্রাস সৃষ্টির মাধ্যমে জাতির গণতান্ত্রিক আকাঙ্ক্ষা দমন করার জন্য ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চে বাংলাদেশের নিরপরাধ সাধারণ জনগণের উপর নির্মম ও ভয়াবহ নৃশংসতা চালিয়েছিল পাকিস্তানের সামরিক জান্তা।

২৫ মার্চকে দেশে ‘গণহত্যা দিবস’ ঘোষণা করার কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, “বিশ্বের সব দেশের কাছ থেকে দিনটিকে আন্তর্জাতিক জেনোসাইড দিবস হিসাবে স্বীকৃতি আদায়ের জন্য বাংলাদেশ কাজ করছে।”

২৬ মার্চ প্রথম প্রহরে পাকিস্তানি বাহিনীর হাতে গ্রেপ্তার হওয়ার আগে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়ে যান; শুরু হয় বাঙালির প্রতিরোধ পর্ব।

নয় মাসের যুদ্ধে ত্রিশ লাখ শহীদের আত্মদান, আড়াই লাখ মা-বোনের সম্ভ্রমহানি এবং জাতির অসাধারণ ত্যাগের বিনিময়ে ১৬ ডিসেম্বর অর্জিত হয় চূড়ান্ত বিজয়। বিশ্বের মানচিত্রে বাংলাদেশ নামের একটি স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্রের অভ্যুদয় ঘটে।

পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর সেই বর্বর হত্যাযজ্ঞে নিহতদের স্মরণে ২৫ মার্চ ‘গণহত্যা দিবস’ হিসেবে পালনের প্রস্তাব ২০১৭ সালে জাতীয় সংসদে গৃহীত হয়। তখন থেকেই এ বিষয়ে আন্তর্জাতিক স্বীকৃতির দাবি জানিয়ে আসছে বাংলাদেশ।

ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে সম্মেলনে যুক্ত হয়ে পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন বলেন, বাংলাদেশের ইতিহাসে সবচেয়ে তাৎপর্যপূর্ণ বছর ১৯৭১ সাল।

”এক দিকে বাংলাদেশ এ বছর স্বাধীনতা অর্জন করেছে, অন্যদিকে এই স্বাধীনতা অর্জনের জন্য জঘন্য বর্বরতা, নৃশংসতা, নির্বিচার হত্যা, ধর্ষণ, লুটপাট এবং অগ্নিসংযোগের মুখোমুখি হয়েছে জাতি। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের তিন দশকের মধ্যে আরেকটি জেনোসাইড দেখেছে বিশ্ববাসী।”

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সেন্টার ফর জেনোসাইড স্টাডিজের পরিচালক অধ্যাপক ইমতিয়াজ আহমেদ বলেন, কোনো জেনোসাইডের বৈশ্বিক স্বীকৃতির জন্য জাতিসংঘ ঘোষিত যেসব শর্ত রয়েছে, তার সবগুলোই পূরণ করে বাংলাদেশে সংঘটিত জেনোসাইড। সম্মেলনে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ওয়াশিংটন ডিসির জেনোসাইড ওয়াচের অধ্যাপক গ্রেগরি স্ট্যান্টন।

সম্মেলনের বিভিন্ন পর্বে যুক্তরাষ্ট্রের কিন স্টেট কলেজের কোহেন প্রফেসর অব হলোকাস্ট অ্যন্ড জেনোসাইড স্টাডিজ জেমস ওয়ালার, ইউনিভার্সিটি অব ম্যানিটোবার পিস অ্যান্ড কনফ্লিক্ট স্টাডিজের পরিচালক অধ্যাপক অ্যাডাম মুলার, মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের ট্রাস্টি মফিদুল হক, কানাডায় বাংলাদেশের হাই কমিশনার খলীলুর রহমান, বিসিবিএসের প্রধান সমন্বয়ক কাউসার আহমেদ এবং সংগঠনের কানাডীয় পৃষ্ঠপোষক ডেভিড সি নিউম্যান বক্তব্য দেন।

কানাডার ব্রিটিশ কলাম্বিয়া ইউনিভার্সিটির ড. জন অ্যাডাম বাংলাদেশে সংঘটিত জেনোসাইডের বিস্তৃতি তুলে ধরে বক্তৃতা করেন অনুষ্ঠানে। জেনোসাইডের স্বীকৃতি আদায়ের লক্ষ্য নিয়ে ভবিষ্যতে কানাডায় আরও কিছু কার্যক্রম গ্রহণের পরিকল্পনার কথা সম্মেলনে জানান হাই কমিশনার খলীলুর রহমান।

কানাডার পার্লামেন্টের উভয় কক্ষের মানবাধিকার বিষয়ক কমিটিকে এ বিষয়ে অবহিত করার পরিকল্পনাও রয়েছে এর মধ্যে। একাত্তরে গণহত্যার শিকার ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের সদস্যরাও অনুষ্ঠানে অংশ নেন। জহির রায়হানের প্রামাণ্য চলচ্চিত্র ’স্টপ জেনেসাইড’ দেখানো হয় সম্মেলনে।

ছবি

গাজায় দুই বছরের যুদ্ধে মৃত্যু ছাড়াল ৬৫ হাজার

ছবি

ছয় মাসের মধ্যে নির্বাচন করে ‘মুক্ত’ হতে চান নেপালের অন্তর্বর্তীকালীন প্রধানমন্ত্রী

ছবি

তেল বিক্রি বন্ধে ইরানের ওপর আরও নিষেধাজ্ঞা আরোপ করল যুক্তরাষ্ট্র

ছবি

মায়ানমারে ১২১টি আসনে হবে না ভোটগ্রহণ, ঘোষণা নির্বাচন কমিশনের

ছবি

দ্বিতীয়বার রাষ্ট্রীয় সফরে যুক্তরাজ্য গেলেন ট্রাম্প

ছবি

গাজায় এবার স্থল অভিযান শুরু করেছে ইসরায়েল, হত্যাযজ্ঞ চলছে

ছবি

যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্কের টানাপোড়েন রাশিয়া-বেলারুশ সামরিক মহড়ায় কেন

ছবি

দক্ষিণ এশিয়াই কি জেন জি বিপ্লবের কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠছে?

ছবি

গাজায় ইসরায়েলের যুদ্ধাপরাধের প্রমাণ বাড়ছে: জাতিসংঘ

ছবি

ওএবার ইউরোপকে তাড়িয়ে বেড়ানোর হুমকি রাশিয়ার

ছবি

গাজায় গণহত্যা চালিয়েছে ইসরায়েল : জাতিসংঘের তদন্ত কমিশন

ছবি

মুসলিম বিশ্ব নেটোর আদলে সামরিক বাহিনী গঠনে একমত

ছবি

গাজায় ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে গণহত্যা চালিয়েছে ইসরায়েল: জাতিসংঘ তদন্ত কমিশন

ছবি

ভেনেজুয়েলার মাদকবাহী জলযানে মার্কিন হামলা, নিহত ৩

ছবি

ইসরায়েলি আগ্রাসন ঠেকাতে মুসলিম দেশগুলোকে যৌথ সামরিক জোটের আহ্বান ইরাকের প্রধানমন্ত্রীর

ছবি

ইউরোপকে সতর্ক করল রাশিয়া

ছবি

ওয়াকফ সংশোধনী আইন স্থগিত করল ভারতের সুপ্রিম কোর্ট

ছবি

তালেবান সরকারের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ করছে জার্মানি

ছবি

১০ হাজার ইসরায়লি সেনাকে মানসিক রোগের চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে

ছবি

দ্বিরাষ্ট্রীয় সমাধানে বিপুল সমর্থন, নারাজ যুক্তরাষ্ট্র-ইসরায়েল

ছবি

নেপালে অন্তর্বর্তী প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগ দাবিতে আবারও রাস্তায় জেন জি

ছবি

নেপালে বিক্ষোভে সহিংসতা: নিহত ৭২, আহত দুই হাজারের বেশি

ছবি

তেল কেনা বন্ধ করলেই রাশিয়ার ওপর কঠোর নিষেধাজ্ঞা

ছবি

যুক্তরাষ্ট্রে চার্লি কার্কের সমালোচনাকারীদের ওপর ক্ষুব্ধ আইনপ্রণেতারা

ছবি

যুক্তরাষ্ট্র-জাপান-দক্ষিণ কোরিয়ার মহড়া ‘খারাপ পরিণতি’ ডেকে আনবে

ছবি

লন্ডনে অভিবাসনবিরোধী বিক্ষোভে এক লাখের বেশি মানুষ, পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ

ছবি

গাজা ছেড়েছে আরও আড়াই লাখ মানুষ

ছবি

বিপর্যস্ত নেপালের পর্যটন খাত, ২ দিনে ক্ষতি ২৫০০ কোটি রুপি

ছবি

নেপাল: দায়িত্ব নিয়েই নির্বাচনের তারিখ জানিয়ে দিলেন অন্তর্বর্তী সরকারপ্রধান

ছবি

আফগানিস্তানে বন্দি থাকা মার্কিন নাগরিকদের বিষয় নিয়ে কাবুলে আলোচনায় যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তা

ছবি

রাশিয়ার ড্রোন হামলা কোনো ভুল ছিল না: পোল্যান্ড

ছবি

উত্তর কোরিয়ায় বিদেশি চলচ্চিত্র দেখলেও মৃত্যুদণ্ড

ছবি

ইসরায়েলি হামলার পর ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠকে বসছেন কাতারের প্রধানমন্ত্রী

ছবি

নেপালের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধানমন্ত্রী হলেন সুশীলা কারকি

ছবি

হামাসমুক্ত স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র গঠনের পক্ষে ভোট

ছবি

কেন নেপালের এ সংকট দক্ষিণ এশিয়াসহ বিশ্বের জন্য গুরুত্বপূর্ণ

tab

কানাডার আন্তর্জাতিক সম্মেলনে বাংলাদেশে একাত্তরের জেনোসাইডের স্বীকৃতি দাবি

সংবাদ অনলাইন রিপোর্ট

শুক্রবার, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২২

কানাডায় হল আন্তর্জাতিক সম্মেলন একাত্তরে বাংলাদেশের মানুষের ওপর পাকিস্তানিদের নির্মম হত্যাযজ্ঞকে ‘জেনোসাইড’ হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার দাবি জানানো হয়েছে। বুধবার কানাডার উইনিপেগের হিউম্যান রাইটস মিউজিয়ামে ‘স্মরণ ও স্বীকৃতি: ১৯৭১ সালের বাংলাদেশের গণহত্যা’ শীর্ষক ওই সম্মেলন হয়।

বৃহস্পতিবার অটোয়ায় বাংলাদেশ হাই কমিশনের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে দিনব্যাপী ওই সম্মেলনের বিভিন্ন দিক তুলে ধরা হয়।

বাঙালির মুক্তির আন্দোলনের শ্বাসরোধ করতে ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ রাতে এ দেশের নিরস্ত্র মানুষের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে পাকিস্তানি সেনাবাহিনী। ‘অপারেশন সার্চলাইট’ নামের সেই অভিযানে কালরাতের প্রথম প্রহরে ঢাকায় চালানো হয় গণহত্যা।

কানাডায় বাংলাদেশ হাই কমিশন, কানাডার বঙ্গবন্ধু সেন্টার ফর বাংলাদেশ স্টাডিজ (বিসিবিএস), রিফিউজিস রেজিলিয়েন্স সেন্টার, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সেন্টার ফর জেনোসাইড স্টাডিজ, মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর এবং রোটারি ক্লাব কানাডা যৌথভাবে এ সম্মেলনের আয়োজন করে।

অনুষ্ঠানে এক ভিডিও বার্তায় পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন বলেন, “১৯৭১ সালে বাংলাদেশে সংঘটিত গণহত্যা মানব ইতিহাসে সবচেয়ে জঘন্য অপরাধের একটি। এই মাত্রার ও সর্বনাশা এমন নৃশংসতা আর কোথাও ঘটেছে কি-না, আমাদের জানা নাই।”

ভয়াবহ এই জেনোসাইড যে ধরনের স্বীকৃতির দাবি রাখে, তা আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছ থেকে না পাওয়ায় হতাশা প্রকাশ করেন তিনি। মোমেন বলেন, ভয় ও ত্রাস সৃষ্টির মাধ্যমে জাতির গণতান্ত্রিক আকাঙ্ক্ষা দমন করার জন্য ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চে বাংলাদেশের নিরপরাধ সাধারণ জনগণের উপর নির্মম ও ভয়াবহ নৃশংসতা চালিয়েছিল পাকিস্তানের সামরিক জান্তা।

২৫ মার্চকে দেশে ‘গণহত্যা দিবস’ ঘোষণা করার কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, “বিশ্বের সব দেশের কাছ থেকে দিনটিকে আন্তর্জাতিক জেনোসাইড দিবস হিসাবে স্বীকৃতি আদায়ের জন্য বাংলাদেশ কাজ করছে।”

২৬ মার্চ প্রথম প্রহরে পাকিস্তানি বাহিনীর হাতে গ্রেপ্তার হওয়ার আগে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়ে যান; শুরু হয় বাঙালির প্রতিরোধ পর্ব।

নয় মাসের যুদ্ধে ত্রিশ লাখ শহীদের আত্মদান, আড়াই লাখ মা-বোনের সম্ভ্রমহানি এবং জাতির অসাধারণ ত্যাগের বিনিময়ে ১৬ ডিসেম্বর অর্জিত হয় চূড়ান্ত বিজয়। বিশ্বের মানচিত্রে বাংলাদেশ নামের একটি স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্রের অভ্যুদয় ঘটে।

পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর সেই বর্বর হত্যাযজ্ঞে নিহতদের স্মরণে ২৫ মার্চ ‘গণহত্যা দিবস’ হিসেবে পালনের প্রস্তাব ২০১৭ সালে জাতীয় সংসদে গৃহীত হয়। তখন থেকেই এ বিষয়ে আন্তর্জাতিক স্বীকৃতির দাবি জানিয়ে আসছে বাংলাদেশ।

ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে সম্মেলনে যুক্ত হয়ে পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন বলেন, বাংলাদেশের ইতিহাসে সবচেয়ে তাৎপর্যপূর্ণ বছর ১৯৭১ সাল।

”এক দিকে বাংলাদেশ এ বছর স্বাধীনতা অর্জন করেছে, অন্যদিকে এই স্বাধীনতা অর্জনের জন্য জঘন্য বর্বরতা, নৃশংসতা, নির্বিচার হত্যা, ধর্ষণ, লুটপাট এবং অগ্নিসংযোগের মুখোমুখি হয়েছে জাতি। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের তিন দশকের মধ্যে আরেকটি জেনোসাইড দেখেছে বিশ্ববাসী।”

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সেন্টার ফর জেনোসাইড স্টাডিজের পরিচালক অধ্যাপক ইমতিয়াজ আহমেদ বলেন, কোনো জেনোসাইডের বৈশ্বিক স্বীকৃতির জন্য জাতিসংঘ ঘোষিত যেসব শর্ত রয়েছে, তার সবগুলোই পূরণ করে বাংলাদেশে সংঘটিত জেনোসাইড। সম্মেলনে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ওয়াশিংটন ডিসির জেনোসাইড ওয়াচের অধ্যাপক গ্রেগরি স্ট্যান্টন।

সম্মেলনের বিভিন্ন পর্বে যুক্তরাষ্ট্রের কিন স্টেট কলেজের কোহেন প্রফেসর অব হলোকাস্ট অ্যন্ড জেনোসাইড স্টাডিজ জেমস ওয়ালার, ইউনিভার্সিটি অব ম্যানিটোবার পিস অ্যান্ড কনফ্লিক্ট স্টাডিজের পরিচালক অধ্যাপক অ্যাডাম মুলার, মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের ট্রাস্টি মফিদুল হক, কানাডায় বাংলাদেশের হাই কমিশনার খলীলুর রহমান, বিসিবিএসের প্রধান সমন্বয়ক কাউসার আহমেদ এবং সংগঠনের কানাডীয় পৃষ্ঠপোষক ডেভিড সি নিউম্যান বক্তব্য দেন।

কানাডার ব্রিটিশ কলাম্বিয়া ইউনিভার্সিটির ড. জন অ্যাডাম বাংলাদেশে সংঘটিত জেনোসাইডের বিস্তৃতি তুলে ধরে বক্তৃতা করেন অনুষ্ঠানে। জেনোসাইডের স্বীকৃতি আদায়ের লক্ষ্য নিয়ে ভবিষ্যতে কানাডায় আরও কিছু কার্যক্রম গ্রহণের পরিকল্পনার কথা সম্মেলনে জানান হাই কমিশনার খলীলুর রহমান।

কানাডার পার্লামেন্টের উভয় কক্ষের মানবাধিকার বিষয়ক কমিটিকে এ বিষয়ে অবহিত করার পরিকল্পনাও রয়েছে এর মধ্যে। একাত্তরে গণহত্যার শিকার ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের সদস্যরাও অনুষ্ঠানে অংশ নেন। জহির রায়হানের প্রামাণ্য চলচ্চিত্র ’স্টপ জেনেসাইড’ দেখানো হয় সম্মেলনে।

back to top