alt

আন্তর্জাতিক

৬৫ বছরে সর্বোচ্চ মুদ্রাস্ফীতি পাকিস্তানে

সংবাদ অনলাইন রিপোর্ট : শনিবার, ০১ এপ্রিল ২০২৩

রাজনৈতিক অস্থিরতার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে পাকিস্তানে বাড়ছে অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তা। কয়েক দফা দেউলিয়া হওয়ার দ্বারপ্রান্তে উপস্থিত হয়েছে দক্ষিণ এশিয়ার এই দেশটি। এবার নাগরিকেদের আরও এক দুসংবাদ দিলো পাকিস্তান ব্যুরো অব স্ট্যাটিস্টিকস (পিবিএস)। শনিবার তারা জানায়, ৬৫ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ মুদ্রাস্ফীতি দেখা দিয়েছে পাকিস্তানে। বৈদেশিক মুদ্রার সংকটে নিত্যপণ্যের দাম আকাশছোঁয়া হওয়ায় দিনে দিনে বাড়ছে মুদ্রাস্ফীতি। নানা পদক্ষেপেও এ সংকট কাটিয়ে উঠতে পারছে না শাহবাজ শরিফ সরকার।

এছাড়া, পাকিস্তানের অর্থ মন্ত্রণালয়ও শুক্রবার তাদের পূর্বাভাসে বলেছে, জ্বালানির দাম বৃদ্ধি, কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নীতিগত হার এবং রুপির অবমূল্যায়নের আগে নেওয়া নীতিগত সিদ্ধান্তের প্রভাবে মুদ্রাস্ফীতি আরও বাড়বে।

পিবিএস জানায়, মার্চ মাসে দেশটির ভোক্তা মূল্য সূচক (সিপিআই) দাঁড়িয়েছে ৩৫.৩৭ শতাংশে। অন্যদিকে বিনিয়োগ সংস্থা আরিফ হাবিব করপোরেশন বলছে, ১৯৬৫ সালের জুলাই মাসের পর সিপিআই সর্বোচ্চ বেড়েছে। এক বছর আগে এই সময়ে মুদ্রাস্ফীতি ১২.৭২ শতাংশ রেকর্ড করা হয়েছিল।

পিবিএস-এর প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, শহরের তুলনায় গ্রামাঞ্চলে মুদ্রাস্ফীতি বেশি। শহরে যেখানে মুদ্রাস্ফীতির হার ৩২.৯৭, সেখানে গ্রামে ৩৮.৮৮ শতাংশ মুদ্রাস্ফীতি পরিসখ্যানে উঠে এসেছে।

গত সপ্তাহে সংবেদনশীল মূল্য সূচক (এসপিআই) দিয়ে পরিমাপ করা স্বল্পমেয়াদী মূল্যস্ফীতির হার রেকর্ড ৪৬.৬৫ শতাংশে পৌঁছায়; যেখানে সিপিআই এর রেকর্ড করা মাসিক মুদ্রাস্ফীতি ফেব্রুয়ারিতে ৩১.৬ শতাংশে ছিল।

দ্য ডনের খবরে বলা হয়, গত বছরের জুন থেকে বার্ষিক মূল্যস্ফীতি ২০ শতাংশের ওপরে থাকার কারণে গত কয়েক মাস ধরে দাম দ্রুত বেড়েছে।

অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থনৈতিক উপদেষ্টা শাখাও অকার্যকর নীতিগত ব্যবস্থা এবং মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে কর্তৃপক্ষের অসহায়তার কথা স্বীকার করেছে। তারা বলছে, এসবিপি-র সংকোচনমূলক মুদ্রানীতি সত্ত্বেও, মুদ্রাস্ফীতির প্রত্যাশা স্থির হচ্ছে না।

এটি সতর্ক করে বলেছে যে রমজানের সময় প্রচুর কেনাকাটা চাহিদা-সরবরাহের ব্যবধানের কারণ হতে পারে। ফলে প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম বৃদ্ধি পেতে পারে।

শুল্ক কমাতে একমত যুক্তরাষ্ট্র ও চীন

ছবি

সীমান্তে গোলাবর্ষণের আতঙ্কে ফিরতে চান না বাস্তুচ্যুত গ্রামবাসী

ছবি

ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধবিরতির ঘোষণার পর পাকিস্তানের সিন্ধু প্রদেশের হায়দরাবাদে উদ্?যাপনে মেতে ওঠেন স্থানীয় জনগণ -এএফপি

কাতারের কাছ থেকে বিলাসবহুল বিমান উপহার নিচ্ছেন ট্রাম্প

মার্কিন জিম্মি মুক্তির বিনিময়ে গাজায় যুদ্ধবিরতিতে রাজি নয় ইসরায়েল

ছবি

কাতারের কাছ থেকে ‘বিলাসবহুল উড়োজাহাজ উপহার নিচ্ছেন’ ট্রাম্প

ছবি

সব পাইলট ফিরে এসেছেন, ক্ষয়ক্ষতি যুদ্ধেরই অংশ: ভারতীয় বিমান বাহিনী

ছবি

রাফালের পতন, চীনা প্রযুক্তির উত্থান—আন্তর্জাতিক প্রতিক্রিয়ায় যুদ্ধবিরতি

রাফালের পতন, চীনা প্রযুক্তির উত্থান—আন্তর্জাতিক প্রতিক্রিয়ায় যুদ্ধবিরতি

ছবি

মার্কিন গোয়েন্দা তথ্যেই তড়িঘড়ি যুদ্ধবিরতির উদ্যোগ

ছবি

ভারত-পাকিস্তানের যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘনের পাল্টাপাল্টি অভিযোগ

ভারত-পাকিস্তানের প্রশংসা করেছেন ট্রাম্প

পানি চুক্তি, কাশ্মিরসহ অন্যান্য বিষয়ে আলোচনা করবে ভারত-পাকিস্তান

ছবি

ভারত-পাকিস্তান ৮৭ ঘণ্টার যুদ্ধ, প্রতি ঘণ্টায় ক্ষতি ১০০ কোটি ডলার

ইউক্রেনের সঙ্গে সরাসরি আলোচনার প্রস্তাব পুতিনের

ছবি

দক্ষিণ এশিয়ায় সংঘাতের নতুন অধ্যায়

ছবি

চারদিনের সংঘর্ষ শেষে সমঝোতা, কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই উত্তেজনা

ছবি

অস্ত্রবিরতির পরও স্থগিতই থাকছে সিন্ধু পানি চুক্তি

ছবি

ইউক্রেইনের সঙ্গে শান্তি আলোচনার প্রস্তাব পুতিনের

ছবি

ভারত-পাকিস্তান ‘ড্রোন যুদ্ধ’: সংঘাতের নতুন অধ্যায়

ছবি

অস্ত্রবিরতির পরও ‘স্থগিত’ থাকছে ভারত-পাকিস্তান পানি চুক্তি

ছবি

অস্ত্রবিরতির মধ্যেই শ্রীনগরে বিস্ফোরণের শব্দ, ট্রেসার শুটিংয়ের ভিডিও প্রকাশ

ছবি

অস্ত্রবিরতি মেনে চলার অঙ্গীকার; সতর্ক ও প্রস্তুত ভারতের সশস্ত্র বাহিনী

ছবি

যুদ্ধবিরতির পর সোমবার ফের আলোচনায় বসছে ভারত-পাকিস্তান

ছবি

ভারতের সঙ্গে উত্তেজনার মধ্যে পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবস্থাপনা সংস্থার জরুরি বৈঠক ডেকেছে পাকিস্তান

ছড়িয়ে পড়েছে বিষাক্ত ক্লোরিন গ্যাস, দেড় লাখ ঘরবন্দী স্পেনে

ছবি

চীনা প্রেসিডেন্টের সঙ্গে প্রথমবারের মতো সাক্ষাৎ মিয়ানমারের জান্তা প্রধানের

ছবি

রাশিয়ার ওপর চাপ বাড়াতে কিয়েভে ইউরোপীয় নেতারা

নাইজেরিয়ায় বন্দুকধারীদের গুলিতে ৩০ যাত্রী নিহত

ইকুয়েডরে সংঘর্ষে ১১ সেনা নিহত

সুদানে ড্রোন হামলা ও বোমাবর্ষণে ৩৩ জন নিহত

ছবি

যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্ততায় ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধবিরতিতে রাজি হয়েছে : ট্রাম্প

ছবি

ভারতের বিপক্ষে অভিযানের নাম ‘বুনিয়ান–উন–মারসুস’ হলো কেনো?

ভারতের ‘অপারেশন সিঁদুর’-এর জবাবে পাকিস্তানের ‘অপারেশন বুনইয়ান–উন–মারসুস’

ছবি

ভারতের ‘ব্রহ্মস’ ক্ষেপণাস্ত্রঘাঁটিতে হামলার দাবি পাকিস্তানের

ছবি

ভারতের সামরিক স্থাপনায় পাল্টা হামলার দাবি পাকিস্তানের, কাশ্মীরে বিস্ফোরণের শব্দ

tab

আন্তর্জাতিক

৬৫ বছরে সর্বোচ্চ মুদ্রাস্ফীতি পাকিস্তানে

সংবাদ অনলাইন রিপোর্ট

শনিবার, ০১ এপ্রিল ২০২৩

রাজনৈতিক অস্থিরতার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে পাকিস্তানে বাড়ছে অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তা। কয়েক দফা দেউলিয়া হওয়ার দ্বারপ্রান্তে উপস্থিত হয়েছে দক্ষিণ এশিয়ার এই দেশটি। এবার নাগরিকেদের আরও এক দুসংবাদ দিলো পাকিস্তান ব্যুরো অব স্ট্যাটিস্টিকস (পিবিএস)। শনিবার তারা জানায়, ৬৫ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ মুদ্রাস্ফীতি দেখা দিয়েছে পাকিস্তানে। বৈদেশিক মুদ্রার সংকটে নিত্যপণ্যের দাম আকাশছোঁয়া হওয়ায় দিনে দিনে বাড়ছে মুদ্রাস্ফীতি। নানা পদক্ষেপেও এ সংকট কাটিয়ে উঠতে পারছে না শাহবাজ শরিফ সরকার।

এছাড়া, পাকিস্তানের অর্থ মন্ত্রণালয়ও শুক্রবার তাদের পূর্বাভাসে বলেছে, জ্বালানির দাম বৃদ্ধি, কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নীতিগত হার এবং রুপির অবমূল্যায়নের আগে নেওয়া নীতিগত সিদ্ধান্তের প্রভাবে মুদ্রাস্ফীতি আরও বাড়বে।

পিবিএস জানায়, মার্চ মাসে দেশটির ভোক্তা মূল্য সূচক (সিপিআই) দাঁড়িয়েছে ৩৫.৩৭ শতাংশে। অন্যদিকে বিনিয়োগ সংস্থা আরিফ হাবিব করপোরেশন বলছে, ১৯৬৫ সালের জুলাই মাসের পর সিপিআই সর্বোচ্চ বেড়েছে। এক বছর আগে এই সময়ে মুদ্রাস্ফীতি ১২.৭২ শতাংশ রেকর্ড করা হয়েছিল।

পিবিএস-এর প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, শহরের তুলনায় গ্রামাঞ্চলে মুদ্রাস্ফীতি বেশি। শহরে যেখানে মুদ্রাস্ফীতির হার ৩২.৯৭, সেখানে গ্রামে ৩৮.৮৮ শতাংশ মুদ্রাস্ফীতি পরিসখ্যানে উঠে এসেছে।

গত সপ্তাহে সংবেদনশীল মূল্য সূচক (এসপিআই) দিয়ে পরিমাপ করা স্বল্পমেয়াদী মূল্যস্ফীতির হার রেকর্ড ৪৬.৬৫ শতাংশে পৌঁছায়; যেখানে সিপিআই এর রেকর্ড করা মাসিক মুদ্রাস্ফীতি ফেব্রুয়ারিতে ৩১.৬ শতাংশে ছিল।

দ্য ডনের খবরে বলা হয়, গত বছরের জুন থেকে বার্ষিক মূল্যস্ফীতি ২০ শতাংশের ওপরে থাকার কারণে গত কয়েক মাস ধরে দাম দ্রুত বেড়েছে।

অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থনৈতিক উপদেষ্টা শাখাও অকার্যকর নীতিগত ব্যবস্থা এবং মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে কর্তৃপক্ষের অসহায়তার কথা স্বীকার করেছে। তারা বলছে, এসবিপি-র সংকোচনমূলক মুদ্রানীতি সত্ত্বেও, মুদ্রাস্ফীতির প্রত্যাশা স্থির হচ্ছে না।

এটি সতর্ক করে বলেছে যে রমজানের সময় প্রচুর কেনাকাটা চাহিদা-সরবরাহের ব্যবধানের কারণ হতে পারে। ফলে প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম বৃদ্ধি পেতে পারে।

back to top