চট্টগ্রামের জিইসি কনভেনশন সেন্টারে চলছে তিন দিনব্যাপি ‘চট্টগ্রাম আইসিটি ফেয়ার-২০২৫’। ১৫ জানুয়ারি শুরু হওয়া এই মেলা চলবে ১৭ জানুয়ারি পর্যন্ত।
গত ১৫ জানুয়ারি মেলার উদ্বোধন করেন বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশন রেগুলেটরি কমিশন (বিটিআরসি) এর চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল মোঃ এমদাদ উল বারী (অবঃ)। এ সময় তিনি বলেন, এখন সংস্কার এবং কাজ করার সময়। আমি ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডার্স অ্যাসোসিয়েশন অফ বাংলাদেশের (আইএসপিএবি) সদস্যদের কথায় সংস্কারের সুর পাচ্ছি না। প্রযুক্তির ওপর নির্ভর করে আমাদের সেবা দিতে হয়, আমাদের কোলাবোরেটিভ (সহযোগীতামূলক) মডেলে আসতে হবে। আমিও আইএসপিকে সে মডেলের দিকে আসতে আহবান জানাই। সহযোগিতা করলে দুয়ে দুয়ে পাঁচ হবে, তিন হবে না। আমাদের প্রায়োরিটি দিতে হবে সার্ভিসকে।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের সচিব আশরাফুল আমিন বলেন, চট্টগ্রামকে আমরা একটি প্রযুক্তিবান্ধব শহর হিসাবে গড়ে তুলতে চাই। এজন্য যা যা করা প্রয়োজন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন সেসব করার চেষ্টা করছে। এ বিষয়ে আইএসপিদেরকে সম্ভাব্য সকল সহযোগিতা আমরা করবো।
আইএসপিএবি সভাপতি মোঃ ইমদাদুল হক বলেন, আইএসপি ব্যবসায় মধ্যসত্ত্বভোগী তৈরী হয়েছে। লাইসেন্স আপগ্রেডেশন হচ্ছেনা। বিগত দিনগুলোতে লাইসেন্স নবায়ন করা যায় নি। এখন আবার এসওএফ চালু হয়েছে। এনটিটিএন লাইসেন্স ২/৩ টির মধ্যে সীমাবদ্ধ রয়েছে। আইএসপি সদস্য হতে এনটিটিএন লাইসেন্সের জন্য আবেদন করা হলেও বিভিন্ন ট্যাগ লাগিয়ে লাইসেন্স বন্ধ রাখা হয়েছে। আমরা এর প্রতিবাদ জানাই। আমাদের ওপর নানা ভ্যাট ট্যাক্স বসানো হচ্ছে। এরকম হলে অনেক বড় উদ্যেক্তাও এ সেক্টর থেকে হারিয়ে যাবে। অনেকে অবৈধ আইএসপি ব্যবসা করছে। এ ব্যাপারে সরকার ও বিটিআরসিকে কঠোর হতে হবে। অবৈধ আইএসপি বন্ধ না হলে শৃংখলা ফিরে আসবে না।
আইএসপিএবি সেক্রেটারী জেনারেল নাজমুল করিম ভূঁঞা বলেন, তথ্যপ্রযুক্তি খাতে আমরা বাংলাদেশকে এগিয়ে নিতে চাই। যারা সত্যিকারের তথ্যপ্রযুক্তিবিদ তাদেরকে কাজে লাগাতে হবে। আইএসপিরা কোয়ালিটি ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সেবা দিয়ে আসছে। বিটিআরসির পদক্ষেপের ফলে আইএসপিরা এখন প্রত্যন্ত অঞ্চলে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সেবা মানুয়ের পৌছে দিচ্ছে। আমাদের এখনও লাইসেন্স আপগ্রেডেশন হচ্ছেনা। এ্যাকটিভ শেয়ারিং পাচ্ছিনা। এসওএফ চালু করেছে। আবার নতুন করে ইন্টারনেট সেবায় ভ্যাট ও শুল্ক বাড়ানো হয়েছে। আইএসপিরা দেশের টাকা পাচার করে না। দেশের টাকা দেশে রাখে। আমাদের কাজে কোনো ত্রুটি থাকলে আইনের শাসন আমরা মাথা পেতে নেব। যেকোন সিদ্ধান্ত নেয়ার আগে সংশ্লিষ্ট সকলের সাথে কাজ করার কথা বলেন তিনি।
আইএসপিএবি চট্টগ্রামের আহ্বায়ক ও আইসিটি ফেয়ারের সেক্রেটারি রাজিব শাহরিয়ার রুবেন্সের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম বিশ^বিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. মোহাম্মদ ইয়াহিয়া আখতার, চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের অতিরিক্ত কমিশনার (শিক্ষা ও আইসিটি) শরীফ উদ্দিন, ইস্ট ডেল্টা ইউনিভার্সিটির উপাচার্য নাজিম উদ্দিন এবং সংগঠনের সহ সভাপতি ও চট্টগ্রাম আইসিটি ফেয়ার-২০২৫’র আহ্বায়ক আনোয়ারুল আজিম।
অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন আইএসপিএবির যুগ্ম-সম্পাদক আব্দুল রাশেদ কাইউম, কোষাধ্যক্ষ আসাদুজ্জামান সুজন, পরিচালক সাকিফ আহমেদ, ফুয়াদ মোহাম্মদ শরফুদ্দিন, নাছির উদ্দিন, মোঃ মাহমুদুল হাসান ও বিপিসি’র সহকারী পরিচালক ফয়সাল খান।
মেলাটি প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত চলবে। মেলায় প্রযুক্তি উদ্ভাবন, ছাত্র-ছাত্রীদের সচেতনতামূলক জ্ঞান আদান-প্রদান, সেমিনার, রোবোটিক্স প্রতিযোগীতা, বিজ্ঞান মেলা, বিতর্ক প্রতিযোগীতা, কুইজ, ইন্টারনেট সেবা ও নেটওয়ার্ক পণ্যসমূহের প্রদর্শনী এবং তরুণ প্রজন্মকে উৎসাহিত করার উদ্দেশ্যে বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার, ১৬ জানুয়ারী ২০২৫
চট্টগ্রামের জিইসি কনভেনশন সেন্টারে চলছে তিন দিনব্যাপি ‘চট্টগ্রাম আইসিটি ফেয়ার-২০২৫’। ১৫ জানুয়ারি শুরু হওয়া এই মেলা চলবে ১৭ জানুয়ারি পর্যন্ত।
গত ১৫ জানুয়ারি মেলার উদ্বোধন করেন বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশন রেগুলেটরি কমিশন (বিটিআরসি) এর চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল মোঃ এমদাদ উল বারী (অবঃ)। এ সময় তিনি বলেন, এখন সংস্কার এবং কাজ করার সময়। আমি ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডার্স অ্যাসোসিয়েশন অফ বাংলাদেশের (আইএসপিএবি) সদস্যদের কথায় সংস্কারের সুর পাচ্ছি না। প্রযুক্তির ওপর নির্ভর করে আমাদের সেবা দিতে হয়, আমাদের কোলাবোরেটিভ (সহযোগীতামূলক) মডেলে আসতে হবে। আমিও আইএসপিকে সে মডেলের দিকে আসতে আহবান জানাই। সহযোগিতা করলে দুয়ে দুয়ে পাঁচ হবে, তিন হবে না। আমাদের প্রায়োরিটি দিতে হবে সার্ভিসকে।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের সচিব আশরাফুল আমিন বলেন, চট্টগ্রামকে আমরা একটি প্রযুক্তিবান্ধব শহর হিসাবে গড়ে তুলতে চাই। এজন্য যা যা করা প্রয়োজন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন সেসব করার চেষ্টা করছে। এ বিষয়ে আইএসপিদেরকে সম্ভাব্য সকল সহযোগিতা আমরা করবো।
আইএসপিএবি সভাপতি মোঃ ইমদাদুল হক বলেন, আইএসপি ব্যবসায় মধ্যসত্ত্বভোগী তৈরী হয়েছে। লাইসেন্স আপগ্রেডেশন হচ্ছেনা। বিগত দিনগুলোতে লাইসেন্স নবায়ন করা যায় নি। এখন আবার এসওএফ চালু হয়েছে। এনটিটিএন লাইসেন্স ২/৩ টির মধ্যে সীমাবদ্ধ রয়েছে। আইএসপি সদস্য হতে এনটিটিএন লাইসেন্সের জন্য আবেদন করা হলেও বিভিন্ন ট্যাগ লাগিয়ে লাইসেন্স বন্ধ রাখা হয়েছে। আমরা এর প্রতিবাদ জানাই। আমাদের ওপর নানা ভ্যাট ট্যাক্স বসানো হচ্ছে। এরকম হলে অনেক বড় উদ্যেক্তাও এ সেক্টর থেকে হারিয়ে যাবে। অনেকে অবৈধ আইএসপি ব্যবসা করছে। এ ব্যাপারে সরকার ও বিটিআরসিকে কঠোর হতে হবে। অবৈধ আইএসপি বন্ধ না হলে শৃংখলা ফিরে আসবে না।
আইএসপিএবি সেক্রেটারী জেনারেল নাজমুল করিম ভূঁঞা বলেন, তথ্যপ্রযুক্তি খাতে আমরা বাংলাদেশকে এগিয়ে নিতে চাই। যারা সত্যিকারের তথ্যপ্রযুক্তিবিদ তাদেরকে কাজে লাগাতে হবে। আইএসপিরা কোয়ালিটি ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সেবা দিয়ে আসছে। বিটিআরসির পদক্ষেপের ফলে আইএসপিরা এখন প্রত্যন্ত অঞ্চলে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সেবা মানুয়ের পৌছে দিচ্ছে। আমাদের এখনও লাইসেন্স আপগ্রেডেশন হচ্ছেনা। এ্যাকটিভ শেয়ারিং পাচ্ছিনা। এসওএফ চালু করেছে। আবার নতুন করে ইন্টারনেট সেবায় ভ্যাট ও শুল্ক বাড়ানো হয়েছে। আইএসপিরা দেশের টাকা পাচার করে না। দেশের টাকা দেশে রাখে। আমাদের কাজে কোনো ত্রুটি থাকলে আইনের শাসন আমরা মাথা পেতে নেব। যেকোন সিদ্ধান্ত নেয়ার আগে সংশ্লিষ্ট সকলের সাথে কাজ করার কথা বলেন তিনি।
আইএসপিএবি চট্টগ্রামের আহ্বায়ক ও আইসিটি ফেয়ারের সেক্রেটারি রাজিব শাহরিয়ার রুবেন্সের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম বিশ^বিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. মোহাম্মদ ইয়াহিয়া আখতার, চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের অতিরিক্ত কমিশনার (শিক্ষা ও আইসিটি) শরীফ উদ্দিন, ইস্ট ডেল্টা ইউনিভার্সিটির উপাচার্য নাজিম উদ্দিন এবং সংগঠনের সহ সভাপতি ও চট্টগ্রাম আইসিটি ফেয়ার-২০২৫’র আহ্বায়ক আনোয়ারুল আজিম।
অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন আইএসপিএবির যুগ্ম-সম্পাদক আব্দুল রাশেদ কাইউম, কোষাধ্যক্ষ আসাদুজ্জামান সুজন, পরিচালক সাকিফ আহমেদ, ফুয়াদ মোহাম্মদ শরফুদ্দিন, নাছির উদ্দিন, মোঃ মাহমুদুল হাসান ও বিপিসি’র সহকারী পরিচালক ফয়সাল খান।
মেলাটি প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত চলবে। মেলায় প্রযুক্তি উদ্ভাবন, ছাত্র-ছাত্রীদের সচেতনতামূলক জ্ঞান আদান-প্রদান, সেমিনার, রোবোটিক্স প্রতিযোগীতা, বিজ্ঞান মেলা, বিতর্ক প্রতিযোগীতা, কুইজ, ইন্টারনেট সেবা ও নেটওয়ার্ক পণ্যসমূহের প্রদর্শনী এবং তরুণ প্রজন্মকে উৎসাহিত করার উদ্দেশ্যে বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে।