ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেছেন, ১৯৬৪ সালে বাংলাদেশে প্রথম কম্পিউটার আসে। এরপরই বাংলাদেশের রূপান্তরের যাত্রা শুরু হয়। আমাদের অগ্রযাত্রাটা হলো একটি মহাসড়ক। করোনাকালে বাংলাদেশ এক অভূতপূর্ব অভিজ্ঞতা অর্জন করেছে। ঘরে বসে অনলাইনে লেখাপড়া করা, ডাক্তার দেখানো, খাবার অর্ডার দেয়া এমনকি কোরবানির সময় অনলাইনে সাড়ে চার লাখ গরু বিক্রি হয়েছে। আর্থিক লেনদেন করাও অনেক সহজ হয়ে গেছে। প্রযুক্তির এই বিকাশ সবার সামনে তুলে ধরতেই আজকের এ আয়োজন।
আজ বৃহস্পতিবার আগারগাঁওয়ের বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে আয়োজিত ডিজিটাল বাংলাদেশ মেলা-২০২৩ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
মোস্তাফা জব্বার বলেন, ৭৫ পরবর্তী সময়ে কম্পিউটারের জন্য সরকারের কোন পৃষ্ঠপোষকতা লক্ষ্য করা যায়নি। ৯২ সালে আমরা বিনামূল্যে সাবমেরিন কেবলের সন্ধান পেয়েছিলাম। কিন্তু তখনকার সরকার এই সাবমেরিন কেবলে যুক্ত হয়নি। এর বহুদিন পর ২০০৬ সালে আমরা সাবমেরিন কেবলে যুক্ত হতে পেরেছিলাম। আজকের এই স্মার্ট বাংলাদেশের বীজবপন করে গিয়েছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। আমরা ২০০৮ সালে ডিজিটাল বাংলাদেশের ঘোষণা করেছি।
তিনি বলেন, মেলায় ইনোভেশন জোন করা হয়েছে। যেখানে আমাদের ছেলেমেয়েরা তাদের ইনোভেটিভ কাজ প্রদর্শন করবে। এতে বোঝা যায়, বাংলাদেশ এখন আর পশ্চাৎপদ দেশ নয়। বাংলাদেশ এখন নিজেই উদ্ভাবন করতে পারে। আমি তরুণ প্রজন্মের প্রতি আহ্বান জানাবো, প্রযুক্তির মাধ্যমে তারা যেন মেধা ও দক্ষতার বিকাশ ঘটায়।
গত বুধবার মেলা উপলক্ষ্যে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, স্মার্টফোনে বিজয় ব্যবহার গ্রাহকের জন্য বাধ্যতামূলক নয়। তিনি বলেন, ‘মোবাইল ফোন ব্যবহারকারী তার ফোনে কোন সফটওয়্যার রাখবেন বা রাখবেন না, তা তার স্বাধীনতা। মোবাইল ফোন কেনার পরে তিনি এক সেকেন্ডও তার ফোনে বিজয় নাও রাখতে পারেন, আনইনস্টল করে দিতে পারেন। এতে কোনও বাধ্যবাধকতা নেই।’
এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, ‘বিজয় মোবাইল থাকা মানে ব্যবহারকারীকে ফ্যাসিলিটেট করা। ব্যবহারকারীকে আরেকটা সফটওয়্যার ডাউনলোড করে বাংলা ব্যবহার করতে হবে না। ব্যবহারকারী তার মোবাইলে একটা সফটওয়্যার পাচ্ছেন। তিনি ব্যবহার করবেন, ফেলে দেবেন, নতুন ইনস্টল করবেন কী করবেন না সেটা সম্পূর্ণ ব্যবহারকারীর স্বাধীনতা।’
শুধু বিজয় নয়, একাধিক সফটওয়্যার ব্যবহারের নির্দেশনা আপনারা দেবেন কিনা, এমন প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, ‘বিকজ একাধিক সফটওয়্যার স্ট্যান্ডার্ড না। স্ট্যান্ডার্ড হলে সেগুলোও থাকতো। আপনারা স্ট্যান্ডার্ড বানিয়ে দেন, সেটাও ঢুকিয়ে দেয়া হবে।’
                                        
                                        
                                        
                                        
                                        
                                        
                                        
                                        
                                        
                                        
                                        
                                        
                                        
                                        
                                        
                                        
                                        
                                        
                                        
                                        
                                        
                                        
                                        
                                        
                                        
                                        
                                        
                                        
                        ইপেপার
                        
                                                	                            	জাতীয়
                           	                            	সারাদেশ
                           	                            	আন্তর্জাতিক
                           	                            	নগর-মহানগর
                           	                            	খেলা
                           	                            	বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
                           	                            	শিক্ষা
                           	                            	অর্থ-বাণিজ্য
                           	                            	সংস্কৃতি
                           	                            	ক্যাম্পাস
                           	                            	মিডিয়া
                           	                            	অপরাধ ও দুর্নীতি
                           	                            	রাজনীতি
                           	                            	শোক ও স্মরন
                           	                            	প্রবাস
                           	                            নারীর প্রতি সহিংসতা
                            বিনোদন
                                                                        	                            	সম্পাদকীয়
                           	                            	উপ-সম্পাদকীয়
                           	                            	মুক্ত আলোচনা
                           	                            	চিঠিপত্র
                           	                            	পাঠকের চিঠি
                           	                                            বৃহস্পতিবার, ২৬ জানুয়ারী ২০২৩
ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেছেন, ১৯৬৪ সালে বাংলাদেশে প্রথম কম্পিউটার আসে। এরপরই বাংলাদেশের রূপান্তরের যাত্রা শুরু হয়। আমাদের অগ্রযাত্রাটা হলো একটি মহাসড়ক। করোনাকালে বাংলাদেশ এক অভূতপূর্ব অভিজ্ঞতা অর্জন করেছে। ঘরে বসে অনলাইনে লেখাপড়া করা, ডাক্তার দেখানো, খাবার অর্ডার দেয়া এমনকি কোরবানির সময় অনলাইনে সাড়ে চার লাখ গরু বিক্রি হয়েছে। আর্থিক লেনদেন করাও অনেক সহজ হয়ে গেছে। প্রযুক্তির এই বিকাশ সবার সামনে তুলে ধরতেই আজকের এ আয়োজন।
আজ বৃহস্পতিবার আগারগাঁওয়ের বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে আয়োজিত ডিজিটাল বাংলাদেশ মেলা-২০২৩ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
মোস্তাফা জব্বার বলেন, ৭৫ পরবর্তী সময়ে কম্পিউটারের জন্য সরকারের কোন পৃষ্ঠপোষকতা লক্ষ্য করা যায়নি। ৯২ সালে আমরা বিনামূল্যে সাবমেরিন কেবলের সন্ধান পেয়েছিলাম। কিন্তু তখনকার সরকার এই সাবমেরিন কেবলে যুক্ত হয়নি। এর বহুদিন পর ২০০৬ সালে আমরা সাবমেরিন কেবলে যুক্ত হতে পেরেছিলাম। আজকের এই স্মার্ট বাংলাদেশের বীজবপন করে গিয়েছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। আমরা ২০০৮ সালে ডিজিটাল বাংলাদেশের ঘোষণা করেছি।
তিনি বলেন, মেলায় ইনোভেশন জোন করা হয়েছে। যেখানে আমাদের ছেলেমেয়েরা তাদের ইনোভেটিভ কাজ প্রদর্শন করবে। এতে বোঝা যায়, বাংলাদেশ এখন আর পশ্চাৎপদ দেশ নয়। বাংলাদেশ এখন নিজেই উদ্ভাবন করতে পারে। আমি তরুণ প্রজন্মের প্রতি আহ্বান জানাবো, প্রযুক্তির মাধ্যমে তারা যেন মেধা ও দক্ষতার বিকাশ ঘটায়।
গত বুধবার মেলা উপলক্ষ্যে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, স্মার্টফোনে বিজয় ব্যবহার গ্রাহকের জন্য বাধ্যতামূলক নয়। তিনি বলেন, ‘মোবাইল ফোন ব্যবহারকারী তার ফোনে কোন সফটওয়্যার রাখবেন বা রাখবেন না, তা তার স্বাধীনতা। মোবাইল ফোন কেনার পরে তিনি এক সেকেন্ডও তার ফোনে বিজয় নাও রাখতে পারেন, আনইনস্টল করে দিতে পারেন। এতে কোনও বাধ্যবাধকতা নেই।’
এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, ‘বিজয় মোবাইল থাকা মানে ব্যবহারকারীকে ফ্যাসিলিটেট করা। ব্যবহারকারীকে আরেকটা সফটওয়্যার ডাউনলোড করে বাংলা ব্যবহার করতে হবে না। ব্যবহারকারী তার মোবাইলে একটা সফটওয়্যার পাচ্ছেন। তিনি ব্যবহার করবেন, ফেলে দেবেন, নতুন ইনস্টল করবেন কী করবেন না সেটা সম্পূর্ণ ব্যবহারকারীর স্বাধীনতা।’
শুধু বিজয় নয়, একাধিক সফটওয়্যার ব্যবহারের নির্দেশনা আপনারা দেবেন কিনা, এমন প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, ‘বিকজ একাধিক সফটওয়্যার স্ট্যান্ডার্ড না। স্ট্যান্ডার্ড হলে সেগুলোও থাকতো। আপনারা স্ট্যান্ডার্ড বানিয়ে দেন, সেটাও ঢুকিয়ে দেয়া হবে।’