সরকারি নিয়ন্ত্রণমুক্ত গণমাধ্যম ও জনগণের কাছে জবাবদিহিতার দাবি তুলে ধরলেন সাংবাদিক ও গণমাধ্যম বিশেষজ্ঞরা। শনিবার বিকেলে রাজধানীর সেগুনবাগিচায় আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে ভরসা ফিরুক গণমাধ্যমে: কোন সংস্কারে স্বাধীন হবে মিডিয়া শীর্ষক এক আলোচনায় বক্তারা গণমাধ্যমের স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে সংস্কারের প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেন। এই অনুষ্ঠান আয়োজন করে ‘ভয়েস ফর রিফর্ম’ নামের একটি প্ল্যাটফর্ম।
অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, গণমাধ্যমের স্বাধীনতা নিশ্চিত করার জন্য প্রেস কাউন্সিল ও বিটিআরসি সরকারের নিয়ন্ত্রণমুক্ত হওয়া জরুরি। লন্ডনপ্রবাসী সাংবাদিক কামাল আহমেদ অনলাইনে যুক্ত হয়ে বলেন, "গণমাধ্যমের দায়িত্ব হলো জনগণের কথা বলা, তবে সেটি করতে গেলে সরকারের বাইরে থেকে তদারকি দরকার। বর্তমান প্রেস কাউন্সিল ও বিটিআরসি সরকারের নিয়ন্ত্রণে থাকায় গণমাধ্যম তার ভূমিকা যথাযথভাবে পালন করতে পারছে না।"
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক গীতি আরা নাসরীন বলেন, "গণমাধ্যম মানুষের মাধ্যম হিসেবে কাজ করে, কিন্তু বর্তমানে তা জনমানুষের কথা বলতে ব্যর্থ। সংস্কার ছাড়া গণমাধ্যম গণতন্ত্রের সঠিক প্রতিফলন ঘটাতে পারবে না।"
আলোচনায় সাংবাদিক আশরাফ কায়সার বলেন, "গণমাধ্যমকে প্রশ্ন তোলার বদলে প্রশংসার মাধ্যমে রূপান্তরিত করা হয়েছে। এটি সরকারের দীর্ঘমেয়াদি প্রক্রিয়ার ফল। করপোরেট চাপ এবং সরকারি সংস্থার হস্তক্ষেপে গণমাধ্যমের ভূমিকা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।"
আলোচনার সঞ্চালক সাঈদ কবীর বলেন, "গণমাধ্যমকে পুরোপুরি নিরপেক্ষ করা সম্ভব না হলেও, সংস্কারের মাধ্যমে যদি গণমুখী ও বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ পরিবেশন করা যায়, তাহলে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখা সম্ভব।"
বিশেষজ্ঞরা গণমাধ্যমের স্বাধীনতা নিশ্চিত করার জন্য আইনি সংস্কার এবং সরকারের নিয়ন্ত্রণমুক্ত তদারকির আহ্বান জানান।
রোববার, ০৬ অক্টোবর ২০২৪
সরকারি নিয়ন্ত্রণমুক্ত গণমাধ্যম ও জনগণের কাছে জবাবদিহিতার দাবি তুলে ধরলেন সাংবাদিক ও গণমাধ্যম বিশেষজ্ঞরা। শনিবার বিকেলে রাজধানীর সেগুনবাগিচায় আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে ভরসা ফিরুক গণমাধ্যমে: কোন সংস্কারে স্বাধীন হবে মিডিয়া শীর্ষক এক আলোচনায় বক্তারা গণমাধ্যমের স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে সংস্কারের প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেন। এই অনুষ্ঠান আয়োজন করে ‘ভয়েস ফর রিফর্ম’ নামের একটি প্ল্যাটফর্ম।
অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, গণমাধ্যমের স্বাধীনতা নিশ্চিত করার জন্য প্রেস কাউন্সিল ও বিটিআরসি সরকারের নিয়ন্ত্রণমুক্ত হওয়া জরুরি। লন্ডনপ্রবাসী সাংবাদিক কামাল আহমেদ অনলাইনে যুক্ত হয়ে বলেন, "গণমাধ্যমের দায়িত্ব হলো জনগণের কথা বলা, তবে সেটি করতে গেলে সরকারের বাইরে থেকে তদারকি দরকার। বর্তমান প্রেস কাউন্সিল ও বিটিআরসি সরকারের নিয়ন্ত্রণে থাকায় গণমাধ্যম তার ভূমিকা যথাযথভাবে পালন করতে পারছে না।"
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক গীতি আরা নাসরীন বলেন, "গণমাধ্যম মানুষের মাধ্যম হিসেবে কাজ করে, কিন্তু বর্তমানে তা জনমানুষের কথা বলতে ব্যর্থ। সংস্কার ছাড়া গণমাধ্যম গণতন্ত্রের সঠিক প্রতিফলন ঘটাতে পারবে না।"
আলোচনায় সাংবাদিক আশরাফ কায়সার বলেন, "গণমাধ্যমকে প্রশ্ন তোলার বদলে প্রশংসার মাধ্যমে রূপান্তরিত করা হয়েছে। এটি সরকারের দীর্ঘমেয়াদি প্রক্রিয়ার ফল। করপোরেট চাপ এবং সরকারি সংস্থার হস্তক্ষেপে গণমাধ্যমের ভূমিকা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।"
আলোচনার সঞ্চালক সাঈদ কবীর বলেন, "গণমাধ্যমকে পুরোপুরি নিরপেক্ষ করা সম্ভব না হলেও, সংস্কারের মাধ্যমে যদি গণমুখী ও বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ পরিবেশন করা যায়, তাহলে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখা সম্ভব।"
বিশেষজ্ঞরা গণমাধ্যমের স্বাধীনতা নিশ্চিত করার জন্য আইনি সংস্কার এবং সরকারের নিয়ন্ত্রণমুক্ত তদারকির আহ্বান জানান।