৩৩ বছরের পুরনো দৈনিক পত্রিকা ‘ভোরের কাগজ' প্রকাশিত হয়নি। গতকাল সোমবার মালিকপক্ষের টাঙিয়ে দেওয়া এক নোটিশের মাধ্যমে পত্রিকাটির প্রধান কার্যালয় বন্ধের ঘোষণা দিয়ে তালা লাগিয়ে দেয়া হয়। রাজধানীর মালিবাগে প্রতিষ্ঠানটির কার্যালয়ের প্রধান ফটকে এ সংক্রান্ত নোটিস টানিয়ে দেওয়া হয়েছে। তবে এই পদক্ষেপ স্থায়ী নয় বলে বলছেন পত্রিকাটির নির্বাহী সম্পাদক অরুন কুমার সরকার।
পত্রিকার নির্বাহী সম্পাদক স্বাক্ষরিত নোটিশে বলা হয়, ‘ভোরের কাগজ কর্তৃপক্ষ বাংলাদেশ শ্রম আইন-২০০৬ এর ১২ ধারা অনুযায়ী মালিকের নিয়ন্ত্রণ বহির্ভূত কারণে প্রতিষ্ঠানের প্রধান কার্যালয় বন্ধ করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছেন, যা ২০ জানুয়ারি থেকে কার্যকর হবে।’
ভোরের কাগজের নির্বাহী সম্পাদক অরুন কুমার সরকার গতকাল সন্ধ্যায় সংবাদকে বলেন, ‘পত্রিকার প্রকাশনা স্থায়ীভাবে বন্ধ করা হয়নি। কিছুদিন ভোরের কাগজ প্রকাশিত হবেনা। পরে আবার আগের মতোই প্রকাশিত হবে। ’
ভোরের কাগজের প্রধান প্রতিবেদক খোন্দকার কাওসার গতকাল বিকেলে জানিয়েছেন, পত্রিকা বন্ধের বিষয়টি আজ সকালে তাঁরা জেনেছেন। সকালে অফিসে থাকা কর্মীদের বের করে দিয়ে অফিসে তালা দেওয়া হয়েছে। এরপর অফিস বন্ধের নোটিশ টানিয়ে দেওয়া হয়। বন্ধের প্রতিবাদে তাঁরা অফিসের নিচে সমাবেশ করেছেন। সমাবেশ থেকে তাঁরা দ্রুত ভোরের কাগজ খুলে দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন।
আজ মঙ্গলবার বেলা ১১টায় জাতীয় প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে ভোরের কাগজের পরিস্থিতি তুলে ধরা হবে বলে তিনি জানান।
ভোরের কাগজের কর্মীরা জানান, রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর কিছুদিন ধরেই পত্রিকাটি বন্ধ হয়ে যেতে পারে, কর্মীদের ছাঁটাই করা হতে পারে-এমন গুঞ্জন শোনা যাচ্ছিল। এমন পরিস্থিতিতে সাংবাদিকদের পক্ষ থেকে কর্তৃপক্ষকে বলা হচ্ছিল, বন্ধ করলে ওয়েজ বোর্ড অনুযায়ী তাঁদের যাবতীয় পাওনা যেন পরিশোধ করা হয়। আর সাংবাদিকদের রাখতে হলে যাকে যেদিন থেকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে, সেদিন নিয়োগপত্র দিয়ে অষ্টম ওয়েজ বোর্ড অনুযায়ী বকেয়াসহ নিয়মিত বেতন-ভাতা দিতে হবে।
এ অবস্থায় গত রোববার ভোরের কাগজের অফিসের সামনে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ করেছেন প্রতিষ্ঠানটির কর্মীরা। সেখান থেকে পাঁচ দিনের মধ্যে দাবি মেনে নেওয়ার সময় বেঁধে দেওয়া হয়। তারপর সোমবার পত্রিকাটি প্রকাশিত হয়নি।
ভোরের কাগজের একাধিক সংবাদকর্মী জানিয়েছেন পত্রিকা বন্ধের বিষয়ে আগে থেকে পত্রিকার সাংবাদিক-কর্মীদের কিছু জানানো হয়নি। তারা জানান, সংবাদকর্মীদের একটি অংশ অষ্টম ওয়েজ বোর্ডে বেতন পান। কিন্তু যাদের কনস্যুলেটেড হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে তারা ওয়েজবোর্ড দাবি করছেন। এটি নিয়েই সমস্যা তৈরি হয়েছে।
১৯৯২ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি ‘মুক্তচিন্তার দৈনিক’ স্লোগান নিয়ে যাত্রা শুরু করে বাংলা এ দৈনিক। আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর ১৬ সেপ্টেম্বর পত্রিকাটির সম্পাদক শ্যামল দত্তকে ময়মনসিংহের ধোবাউড়া সীমান্ত থেকে আটক করে বলে জানায় পুলিশ। এরপর থেকে তিনি কারাগারে আছেন। শ্যামল দত্ত জাতীয় প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন।
###############
সোমবার, ২০ জানুয়ারী ২০২৫
৩৩ বছরের পুরনো দৈনিক পত্রিকা ‘ভোরের কাগজ' প্রকাশিত হয়নি। গতকাল সোমবার মালিকপক্ষের টাঙিয়ে দেওয়া এক নোটিশের মাধ্যমে পত্রিকাটির প্রধান কার্যালয় বন্ধের ঘোষণা দিয়ে তালা লাগিয়ে দেয়া হয়। রাজধানীর মালিবাগে প্রতিষ্ঠানটির কার্যালয়ের প্রধান ফটকে এ সংক্রান্ত নোটিস টানিয়ে দেওয়া হয়েছে। তবে এই পদক্ষেপ স্থায়ী নয় বলে বলছেন পত্রিকাটির নির্বাহী সম্পাদক অরুন কুমার সরকার।
পত্রিকার নির্বাহী সম্পাদক স্বাক্ষরিত নোটিশে বলা হয়, ‘ভোরের কাগজ কর্তৃপক্ষ বাংলাদেশ শ্রম আইন-২০০৬ এর ১২ ধারা অনুযায়ী মালিকের নিয়ন্ত্রণ বহির্ভূত কারণে প্রতিষ্ঠানের প্রধান কার্যালয় বন্ধ করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছেন, যা ২০ জানুয়ারি থেকে কার্যকর হবে।’
ভোরের কাগজের নির্বাহী সম্পাদক অরুন কুমার সরকার গতকাল সন্ধ্যায় সংবাদকে বলেন, ‘পত্রিকার প্রকাশনা স্থায়ীভাবে বন্ধ করা হয়নি। কিছুদিন ভোরের কাগজ প্রকাশিত হবেনা। পরে আবার আগের মতোই প্রকাশিত হবে। ’
ভোরের কাগজের প্রধান প্রতিবেদক খোন্দকার কাওসার গতকাল বিকেলে জানিয়েছেন, পত্রিকা বন্ধের বিষয়টি আজ সকালে তাঁরা জেনেছেন। সকালে অফিসে থাকা কর্মীদের বের করে দিয়ে অফিসে তালা দেওয়া হয়েছে। এরপর অফিস বন্ধের নোটিশ টানিয়ে দেওয়া হয়। বন্ধের প্রতিবাদে তাঁরা অফিসের নিচে সমাবেশ করেছেন। সমাবেশ থেকে তাঁরা দ্রুত ভোরের কাগজ খুলে দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন।
আজ মঙ্গলবার বেলা ১১টায় জাতীয় প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে ভোরের কাগজের পরিস্থিতি তুলে ধরা হবে বলে তিনি জানান।
ভোরের কাগজের কর্মীরা জানান, রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর কিছুদিন ধরেই পত্রিকাটি বন্ধ হয়ে যেতে পারে, কর্মীদের ছাঁটাই করা হতে পারে-এমন গুঞ্জন শোনা যাচ্ছিল। এমন পরিস্থিতিতে সাংবাদিকদের পক্ষ থেকে কর্তৃপক্ষকে বলা হচ্ছিল, বন্ধ করলে ওয়েজ বোর্ড অনুযায়ী তাঁদের যাবতীয় পাওনা যেন পরিশোধ করা হয়। আর সাংবাদিকদের রাখতে হলে যাকে যেদিন থেকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে, সেদিন নিয়োগপত্র দিয়ে অষ্টম ওয়েজ বোর্ড অনুযায়ী বকেয়াসহ নিয়মিত বেতন-ভাতা দিতে হবে।
এ অবস্থায় গত রোববার ভোরের কাগজের অফিসের সামনে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ করেছেন প্রতিষ্ঠানটির কর্মীরা। সেখান থেকে পাঁচ দিনের মধ্যে দাবি মেনে নেওয়ার সময় বেঁধে দেওয়া হয়। তারপর সোমবার পত্রিকাটি প্রকাশিত হয়নি।
ভোরের কাগজের একাধিক সংবাদকর্মী জানিয়েছেন পত্রিকা বন্ধের বিষয়ে আগে থেকে পত্রিকার সাংবাদিক-কর্মীদের কিছু জানানো হয়নি। তারা জানান, সংবাদকর্মীদের একটি অংশ অষ্টম ওয়েজ বোর্ডে বেতন পান। কিন্তু যাদের কনস্যুলেটেড হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে তারা ওয়েজবোর্ড দাবি করছেন। এটি নিয়েই সমস্যা তৈরি হয়েছে।
১৯৯২ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি ‘মুক্তচিন্তার দৈনিক’ স্লোগান নিয়ে যাত্রা শুরু করে বাংলা এ দৈনিক। আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর ১৬ সেপ্টেম্বর পত্রিকাটির সম্পাদক শ্যামল দত্তকে ময়মনসিংহের ধোবাউড়া সীমান্ত থেকে আটক করে বলে জানায় পুলিশ। এরপর থেকে তিনি কারাগারে আছেন। শ্যামল দত্ত জাতীয় প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন।
###############