মব সংস্কৃতিকে একটি নতুন আতঙ্ক হিসেবে দেখছেন সাংবাদিক ও রাজনৈতিক নেতারা। তারা মবের আপদের কথা উল্লেখ করে বলেন, ‘এই আপদের জন্য সবাই আজ আতঙ্কিত’। সম্পাদক পরিষদ আয়োজিত আলোচনা সভায় এমন মন্তব্য করেন বক্তারা।
আজ রোববার বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবস উপলক্ষ্যে জাতীয় প্রেস ক্লাবে এই আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে অংশ নেন বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও সাংবাদিক নেতারা। তারা গণমাধ্যম থেকে ফ্যাসিবাদ বের করতে স্পষ্ট রূপরেখা প্রয়োজন বলে মতে দেন বক্তারা। গণমাধ্যমের স্বাধীনতা থাকলেও একটা নীতি থাকা জরুরি বলে মনে করেন তারা।
গণমাধ্যমের স্বাধীনতার উপর গুরুত্ব দেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, সংবাদ প্রকাশের স্বাধীনতা থাকতে হবে। প্রকাশিত কোনো সংবাদ কারো পছন্দ নাও হতে পারে। সেক্ষেত্রে অন্য মাধ্যমে তার প্রতিবাদ জানাতে পারে। কিন্তু মব জাস্টিসের নামে সেই প্রতিষ্ঠান গুড়িয়ে দেওয়া কোনো স্বাধীনতার পর্যায়ে পড়ে না।’
তবে গণমাধ্যমের ওপর সরকারি হস্তক্ষেপ আগের তুলনায় অনেকটাই কমে গেছে বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক ও সাবেক তথ্য উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম। তিনি বলেন, ‘গণমাধ্যমের কথা আসলেই অনেক আলোচনা ও সমালোচনার বিষয় চলে আসে। যেটা বিগত সরকারের সময়ও ছিল, আমি উপদেষ্টা থাকাকালীনও ছিল। ফ্যাসিস্ট সরকার গত ১৬ বছর বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের ওপর যে দলীয়করণ নীতি চালিয়েছে, গণমাধ্যমও তার বাইরে ছিল না। সুতরাং গণমাধ্যমকে এই ফ্যাসিজমের ভেতর থেকে বের করে আনতে আমাদের সুনির্দিষ্ট রূপরেখা প্রয়োজন। কারণ বিগত সময়ে মিডিয়া ও ফ্যাসিজমের যে সম্পর্ক ছিল, সেটা আধিপত্য থেকে যদি মিডিয়া বের না হয়, তাহলে জুলাই পরবর্তী যে মুক্ত গণমাধ্যমের চিন্তা আমরা করছি, তা নিশ্চিত করা সম্ভব হবে না।’
বিএনপি ধোয়া তুলশি পাতা না হলেও দেশে গণমাধ্যমের স্বাধীনতায় এই দলটিই ‘সবেচেয়ে বেশি কাজ করেছে’ বলে দাবি মির্জা ফখরুলের। তিনি বলেন, ‘নির্দ্বিধায়, দৃঢ়চিত্তে স্পষ্ট করে বলতে চাই যে, আমরা বরাবরই সংবাদপত্রের স্বাধীনতার পক্ষে ছিলাম, আছি এবং ভবিষ্যতেও থাকবো। সেটি আমরা সরকারে থাকি আর না থাকি। এ ব্যাপারে আপনাদের নিশ্চয়তা দিতে পারি।’
৭৫ এ গণমাধ্যমের ‘স্বাধীনতা ফিরিয়ে দেওয়াসহ’ দেশের প্রায় সকল ক্ষেত্রে সংস্কার বিএনপির মাধ্যমেই শুরু হয়েছে দাবি করেন মির্জা ফখরুল। বিএনপিকে সংস্কার বিরোধী হিসেবে অপপ্রচারের চেষ্টার সমালোচনা করেন বিএনপি মহাসচিব। বিএনপিই সংস্কার শুরু করেছে, অযথা সংস্কার নিয়ে বিএনপিকে প্রশ্নবিদ্ধ করা রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে অভিযোগ তার।
তিনি বলেন, ‘বর্তমান প্রেক্ষাপটে সংবাদপত্রের স্বাধীনতা আগের থেকে বেড়েছে। আন্তর্জাতিক মানদ-ে ১৬ ধাপ আমরা এগিয়েছি। সমস্যা দেখা দেয় তখন, যখন দেখি কোনো কোনো সংবাদমাধ্যম গোষ্ঠী আরেক গোষ্ঠীকে আক্রমণ করে। কোনো কোনো জায়গায় দেখা যায় কোনো রাজনৈতিক গোষ্ঠীও এটার সঙ্গে যুক্ত হয় এবং বিভিন্ন রাজনৈতিক কর্মসূচি গ্রহণ করে।’
সাবেক উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘অন্তবর্তীকালীন সরকারের সময়ে গণমাধ্যমে বিভিন্ন মিস ইনফরমেশন প্রকাশিত হতে দেখেছি। এ বিষয়ে গণমাধ্যমগুলোর আরও পেশাদারিত্ব দেখানো প্রয়োজন। কারণ দল বা রাজনৈতিক শক্তি হিসেবে এর ভিকটিম আমরা হয়েছি। আমাদের কথা নানা সময়ে ভুলভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে। আমরা আশা করব, রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে গণমাধ্যমের যে সম্পর্ক রয়েছে, তা আরও ইতিবাচক হবে।’
গত বছরের বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবস পালনের পরিবেশ আর ২০২৫ এর পরিবেশে ভিন্নতা রয়েছে মন্তব্য করেছেন, সম্পাদক পরিষদের সহ-সভাপতি ও নিউ এজ-এর সম্পাদক নুরুল কবির। কারন হিসেবে তিনি বলেন, ‘দেশের সরকার প্রধানদের উপর অনেক কিছু নির্ভর করে। রাজনীতিবিদদের উপর সংবাদ কর্মীদের কাজের স্বাধীনতা নির্ভর করে। নানা প্রতিকুলতার মধ্যে কাজ করতে গিয়ে সংবাদকর্মীদের অনেক ক্ষেত্রে স্বাধীনতা ক্ষুন্ন হয়।’
বিগত সরকারের বিষোদগার করে নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, ‘বিদেশে বসে শেখ হাসিনা নানা বক্তব্য দিচ্ছেন। সেগুলো প্রচার হচ্ছে, কিন্তু নিয়ন্ত্রণের ব্যাবস্থা নেওয়া হচ্ছে না।’ এগুলো নিয়ন্ত্রণের যোগ্য কিনা জানতে চান তিনি। এসব প্রচার নিয়ন্ত্রণ করা হলে স্বাধীনতা খর্ব হবে কিনা তাও ভাববার বিষয় বলে মনে করেন তিনি।
গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি বলেন, ‘গনমাধ্যমের স্বাধীনতা মানে শর্তহীন স্বাধীনতা নয়। অন্যের স্বাধীনতা ক্ষুন্ন না করে স্বাধীনতার চর্চা না হলে সেটা হবে স্বেচ্ছাচারিতা।’ গনমাধ্যমের একটা নীতিমালা থাকা প্রয়োজন বলেও মনে করেন তিনি। তবে গসরকার যেন গনমাধ্যমের গলা টিপে না ধরতে পারে সে ব্যবস্থা থাকতে হবে। তিনি বলেন, ‘আমরা একটা ভয়হীন সমাজ গড়তে চাই। রাষ্ট্র এমন আইন করতে পারবে না যাতে সাংবাদিকদের কণ্ঠ রোধ হয়।’
সম্পাদক পরিষদের সভাপতি ও দ্য ডেইলি স্টারের সম্পাদক মাহফুজ আনাম সভায় সভাপতিত্ব করেন। সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক ও বণিক বার্তার সম্পাদক দেওয়ান হানিফ মাহমুদ সভার সঞ্চালনার দ্বয়িত্বে ছিলেন। সভায় উপস্থিত ছিলেন সম্পাদক পরিষদের সহ-সভাপতি ও নিউ এজ-এর সম্পাদক নুরুল কবির, দৈনিক মানবজমিনের প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী, প্রথম আলো সম্পাদক মতিউর রহমান, সংবাদের নির্বাহী সম্পাদক শাহরিয়ার করিম, নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি, জাতীয় প্রেস ক্লাসের সভাপতি কবি হাসান হাফিজ প্রমুখ।
রোববার, ০৪ মে ২০২৫
মব সংস্কৃতিকে একটি নতুন আতঙ্ক হিসেবে দেখছেন সাংবাদিক ও রাজনৈতিক নেতারা। তারা মবের আপদের কথা উল্লেখ করে বলেন, ‘এই আপদের জন্য সবাই আজ আতঙ্কিত’। সম্পাদক পরিষদ আয়োজিত আলোচনা সভায় এমন মন্তব্য করেন বক্তারা।
আজ রোববার বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবস উপলক্ষ্যে জাতীয় প্রেস ক্লাবে এই আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে অংশ নেন বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও সাংবাদিক নেতারা। তারা গণমাধ্যম থেকে ফ্যাসিবাদ বের করতে স্পষ্ট রূপরেখা প্রয়োজন বলে মতে দেন বক্তারা। গণমাধ্যমের স্বাধীনতা থাকলেও একটা নীতি থাকা জরুরি বলে মনে করেন তারা।
গণমাধ্যমের স্বাধীনতার উপর গুরুত্ব দেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, সংবাদ প্রকাশের স্বাধীনতা থাকতে হবে। প্রকাশিত কোনো সংবাদ কারো পছন্দ নাও হতে পারে। সেক্ষেত্রে অন্য মাধ্যমে তার প্রতিবাদ জানাতে পারে। কিন্তু মব জাস্টিসের নামে সেই প্রতিষ্ঠান গুড়িয়ে দেওয়া কোনো স্বাধীনতার পর্যায়ে পড়ে না।’
তবে গণমাধ্যমের ওপর সরকারি হস্তক্ষেপ আগের তুলনায় অনেকটাই কমে গেছে বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক ও সাবেক তথ্য উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম। তিনি বলেন, ‘গণমাধ্যমের কথা আসলেই অনেক আলোচনা ও সমালোচনার বিষয় চলে আসে। যেটা বিগত সরকারের সময়ও ছিল, আমি উপদেষ্টা থাকাকালীনও ছিল। ফ্যাসিস্ট সরকার গত ১৬ বছর বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের ওপর যে দলীয়করণ নীতি চালিয়েছে, গণমাধ্যমও তার বাইরে ছিল না। সুতরাং গণমাধ্যমকে এই ফ্যাসিজমের ভেতর থেকে বের করে আনতে আমাদের সুনির্দিষ্ট রূপরেখা প্রয়োজন। কারণ বিগত সময়ে মিডিয়া ও ফ্যাসিজমের যে সম্পর্ক ছিল, সেটা আধিপত্য থেকে যদি মিডিয়া বের না হয়, তাহলে জুলাই পরবর্তী যে মুক্ত গণমাধ্যমের চিন্তা আমরা করছি, তা নিশ্চিত করা সম্ভব হবে না।’
বিএনপি ধোয়া তুলশি পাতা না হলেও দেশে গণমাধ্যমের স্বাধীনতায় এই দলটিই ‘সবেচেয়ে বেশি কাজ করেছে’ বলে দাবি মির্জা ফখরুলের। তিনি বলেন, ‘নির্দ্বিধায়, দৃঢ়চিত্তে স্পষ্ট করে বলতে চাই যে, আমরা বরাবরই সংবাদপত্রের স্বাধীনতার পক্ষে ছিলাম, আছি এবং ভবিষ্যতেও থাকবো। সেটি আমরা সরকারে থাকি আর না থাকি। এ ব্যাপারে আপনাদের নিশ্চয়তা দিতে পারি।’
৭৫ এ গণমাধ্যমের ‘স্বাধীনতা ফিরিয়ে দেওয়াসহ’ দেশের প্রায় সকল ক্ষেত্রে সংস্কার বিএনপির মাধ্যমেই শুরু হয়েছে দাবি করেন মির্জা ফখরুল। বিএনপিকে সংস্কার বিরোধী হিসেবে অপপ্রচারের চেষ্টার সমালোচনা করেন বিএনপি মহাসচিব। বিএনপিই সংস্কার শুরু করেছে, অযথা সংস্কার নিয়ে বিএনপিকে প্রশ্নবিদ্ধ করা রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে অভিযোগ তার।
তিনি বলেন, ‘বর্তমান প্রেক্ষাপটে সংবাদপত্রের স্বাধীনতা আগের থেকে বেড়েছে। আন্তর্জাতিক মানদ-ে ১৬ ধাপ আমরা এগিয়েছি। সমস্যা দেখা দেয় তখন, যখন দেখি কোনো কোনো সংবাদমাধ্যম গোষ্ঠী আরেক গোষ্ঠীকে আক্রমণ করে। কোনো কোনো জায়গায় দেখা যায় কোনো রাজনৈতিক গোষ্ঠীও এটার সঙ্গে যুক্ত হয় এবং বিভিন্ন রাজনৈতিক কর্মসূচি গ্রহণ করে।’
সাবেক উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘অন্তবর্তীকালীন সরকারের সময়ে গণমাধ্যমে বিভিন্ন মিস ইনফরমেশন প্রকাশিত হতে দেখেছি। এ বিষয়ে গণমাধ্যমগুলোর আরও পেশাদারিত্ব দেখানো প্রয়োজন। কারণ দল বা রাজনৈতিক শক্তি হিসেবে এর ভিকটিম আমরা হয়েছি। আমাদের কথা নানা সময়ে ভুলভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে। আমরা আশা করব, রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে গণমাধ্যমের যে সম্পর্ক রয়েছে, তা আরও ইতিবাচক হবে।’
গত বছরের বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবস পালনের পরিবেশ আর ২০২৫ এর পরিবেশে ভিন্নতা রয়েছে মন্তব্য করেছেন, সম্পাদক পরিষদের সহ-সভাপতি ও নিউ এজ-এর সম্পাদক নুরুল কবির। কারন হিসেবে তিনি বলেন, ‘দেশের সরকার প্রধানদের উপর অনেক কিছু নির্ভর করে। রাজনীতিবিদদের উপর সংবাদ কর্মীদের কাজের স্বাধীনতা নির্ভর করে। নানা প্রতিকুলতার মধ্যে কাজ করতে গিয়ে সংবাদকর্মীদের অনেক ক্ষেত্রে স্বাধীনতা ক্ষুন্ন হয়।’
বিগত সরকারের বিষোদগার করে নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, ‘বিদেশে বসে শেখ হাসিনা নানা বক্তব্য দিচ্ছেন। সেগুলো প্রচার হচ্ছে, কিন্তু নিয়ন্ত্রণের ব্যাবস্থা নেওয়া হচ্ছে না।’ এগুলো নিয়ন্ত্রণের যোগ্য কিনা জানতে চান তিনি। এসব প্রচার নিয়ন্ত্রণ করা হলে স্বাধীনতা খর্ব হবে কিনা তাও ভাববার বিষয় বলে মনে করেন তিনি।
গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি বলেন, ‘গনমাধ্যমের স্বাধীনতা মানে শর্তহীন স্বাধীনতা নয়। অন্যের স্বাধীনতা ক্ষুন্ন না করে স্বাধীনতার চর্চা না হলে সেটা হবে স্বেচ্ছাচারিতা।’ গনমাধ্যমের একটা নীতিমালা থাকা প্রয়োজন বলেও মনে করেন তিনি। তবে গসরকার যেন গনমাধ্যমের গলা টিপে না ধরতে পারে সে ব্যবস্থা থাকতে হবে। তিনি বলেন, ‘আমরা একটা ভয়হীন সমাজ গড়তে চাই। রাষ্ট্র এমন আইন করতে পারবে না যাতে সাংবাদিকদের কণ্ঠ রোধ হয়।’
সম্পাদক পরিষদের সভাপতি ও দ্য ডেইলি স্টারের সম্পাদক মাহফুজ আনাম সভায় সভাপতিত্ব করেন। সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক ও বণিক বার্তার সম্পাদক দেওয়ান হানিফ মাহমুদ সভার সঞ্চালনার দ্বয়িত্বে ছিলেন। সভায় উপস্থিত ছিলেন সম্পাদক পরিষদের সহ-সভাপতি ও নিউ এজ-এর সম্পাদক নুরুল কবির, দৈনিক মানবজমিনের প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী, প্রথম আলো সম্পাদক মতিউর রহমান, সংবাদের নির্বাহী সম্পাদক শাহরিয়ার করিম, নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি, জাতীয় প্রেস ক্লাসের সভাপতি কবি হাসান হাফিজ প্রমুখ।