সংশোধিত ‘প্রেস কাউন্সিল অ্যাক্ট-২০২২’ এর খসড়া চেয়ে না পাওয়ার বিষয়ে সম্পাদক পরিষদ ও টিআইবির ইতিপূর্বে দেয়া বিবৃতির পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিল একটি বক্তব্য দিয়েছে।
মঙ্গলবার (২৩ আগস্ট) সংবাদ মাধ্যমে পাঠানো প্রেস কাউন্সিলের সচিব মো. শাহ্ আলম স্বাক্ষরিত প্রেস কাউন্সিলের বক্তব্যে ‘দি প্রেস কাউন্সিল অ্যাক্ট-১৯৭৪’ সংশোধন প্রক্রিয়ার বিভিন্ন সময়ের কার্যক্রম তুলে ধরা হয়।
প্রেস কাউন্সিল জানিয়েছে, ২০০৫ সাল থেকে ‘দি প্রেস কাউন্সিল অ্যাক্ট-১৯৭৪’ সংশোধনের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। বিভিন্ন প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে গত ২০ জুন মন্ত্রিপরিষদ বৈঠকে ‘দি প্রেস কাউন্সিল (সংশোধন) অ্যাক্ট-২০২২’ নীতিগত অনুমোদন দেয়া হয়।
প্রেস কাউন্সিলের বক্তব্যে বলা হয়, ‘দি প্রেস কাউন্সিল অ্যাক্ট ১৯৭৪’ সংশোধনের প্রস্তাব প্রথম প্রেস কাউন্সিলের সাধারণ অধিবেশনে উত্থাপিত হয়।
পরবর্তীতে সংশোধনের প্রস্তাব ধারাবাহিকভাবে বিভিন্ন সময়ে কাউন্সিলের সাধারণ সভায় পর্যালোচনা করা হয় এবং আর্থিক জরিমানার বিধান অন্তর্ভুক্ত করে প্রেস কাউন্সিলের বিচারিক ক্ষমতা বাড়ানোর প্রস্তাব করা হয়।
সংশোধনী প্রস্তাব নিয়ে তৎকালীন তথ্যমন্ত্রী ও আইনমন্ত্রীর সঙ্গে প্রেস কাউন্সিলের চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে সদস্যরা দেখা করে আলোচনা করেন। পরবর্তীতে ২০১১ সাল হতে পুনরায় তথ্য মন্ত্রণালয় ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে অনুষ্ঠিত আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির ১০ম সভায় ‘দি প্রেস কাউন্সিল অ্যাক্ট-১৯৭৪’ সংশোধনের সিদ্ধান্ত হয়। সেখানেও প্রেস কাউন্সিলের বিচারিক ক্ষমতা বাড়ানোর প্রস্তাব করা হয়।
সে মোতাবেক ২০১২ সাল হতে ধারাবাহিকভাবে প্রেস কাউন্সিলের সাধারণ সভায় ‘দি প্রেস কাউন্সিল অ্যাক্ট ১৯৭৪’ সংশোধনের লক্ষ্যে আর্থিক জরিমানার বিধান অন্তর্ভুক্ত করে প্রেস কাউন্সিলের বিচারিক ক্ষমতা বৃদ্ধিসহ কিছু ধারা-উপধারা সংশোধনের বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়।
সর্বশেষ ২০১৬ সালে প্রেস কাউন্সিল কর্তৃক প্রণীত আইনের খসড়ার বিষয়ে মতামত প্রদানের জন্য আইন কমিশনে পাঠানো হয়। আইন কমিশনের প্রেরিত মতামত পর্যালোচনা করে কাউন্সিলের সাধারণ সভায় ‘দি প্রেস কাউন্সিল (সংশোধন) অ্যাক্ট ২০১৬’ এর খসড়া চূড়ান্ত করে তথ্য মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়।
সাংবাদিকদের বিভিন্ন সংগঠন ইতিপূর্বে অভিযোগ করেছে যে, প্রেস কাউন্সিল প্রণিত ‘প্রেস কাউন্সিল (সংশোধন) অ্যাক্ট-২০২২’ খসড়া তারা পাননি। কয়েক দিন আগে সম্পাদক পরিষদ সংবাদপত্রে বিবৃতি দিয়ে অভিযোগ করেছে, তারা চেয়েও ‘প্রেস কাউন্সিল (সংশোধন) অ্যক্টি-২০২২’ এর খসড়া পাননি।
প্রেস কাউন্সিলের পাঠানো বক্তব্যে আরও বলা হয়, ২০০৫ সাল হতে প্রেস কাউন্সিলে অনুষ্ঠিত সব সাধারণ সভায় প্রেস কাউন্সিলের সদস্য হিসেবে সাংবাদিক ইউনিয়ন, সম্পাদক পরিষদ ও মালিকদের সংগঠনসমূহের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। উপস্থিত সম্মানিত সদস্যদের সঙ্গে একমত হয়েই ‘দি প্রেস কাউন্সিল (সংশোধন) অ্যাক্ট-২০১৬’ এর খসড়া পর্যায়ক্রমে প্রস্তুত করে তথ্য মন্ত্রণালয়ে প্রেরণ করা হয়। তথ্য মন্ত্রণালয়ে তথ্য সচিবের সভাপতিত্বে একাধিক আন্তঃমন্ত্রণালয় সভা অনুষ্ঠিত হয়।
এসব সভায় বিদ্যমান/প্রস্তাবিত অন্যান্য আইন, বিধি, প্রবিধান ও নীতি পরীক্ষা নিরীক্ষা, ভাষাগত পরীক্ষা নিরীক্ষা, বিদ্যমান অন্য কোন আইনের সঙ্গে সাংঘর্ষিক কি না এসব বিষয়সহ প্রস্তাবিত আইনের খুটিনাটি বিস্তারিত পর্যালোচনা করা হয়। যা তথ্য মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে ১৮ সেপ্টেম্বর ২০১৯ তারিখে সর্বসাধারণের মতামতের জন্য প্রকাশ করা হয়। পরবর্তীতে মতামত প্রদানের সময় ২৩-১০-২০১৯ পর্যন্ত বৃদ্ধি করা হয় এবং অদ্যাবধি উক্ত আইনের খসড়া তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা আছে।
এছাড়া উক্ত আইনের খসড়ার বিষয়ে মতামত চেয়ে পরবর্তীতে ৯-০১-২০২০ তারিখে অংশীজনদের অংশগ্রহণে তথ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে তথ্য সচিবের সভাপতিত্বে সভা অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত সভায় অংশীজনদের মতামত পর্যালোচনা করে ‘দি প্রেস কাউন্সিল (সংশোধন) অ্যাক্ট-২০২০’ এর খসড়া চূড়ান্ত করা হয়। এ সভায় অংশীজন হিসেবে সংবাদপত্র সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন সংগঠনের প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন।
এছাড়া দেশের বরেণ্য সাংবাদিকদের সঙ্গে এ সংশোধনী আইন নিয়ে বিভিন্ন সময়ে আলোচনা হয়। অতঃপর চূড়ান্ত খসড়া মন্ত্রিপরিষদ বৈঠকে অনুমোদনের জন্য মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে পাঠানো হয়।
সর্বশেষ গত ২০ জুন মন্ত্রিপরিষদ বৈঠকে ‘দি প্রেস কাউন্সিল (সংশোধন) অ্যাক্ট ২০২২’ নীতিগত অনুমোদন দেয়া হয়। বর্তমানে সংশোধিত আইনটি সরকারের কাছে প্রক্রিয়াধীন আছে।
মঙ্গলবার, ২৩ আগস্ট ২০২২
সংশোধিত ‘প্রেস কাউন্সিল অ্যাক্ট-২০২২’ এর খসড়া চেয়ে না পাওয়ার বিষয়ে সম্পাদক পরিষদ ও টিআইবির ইতিপূর্বে দেয়া বিবৃতির পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিল একটি বক্তব্য দিয়েছে।
মঙ্গলবার (২৩ আগস্ট) সংবাদ মাধ্যমে পাঠানো প্রেস কাউন্সিলের সচিব মো. শাহ্ আলম স্বাক্ষরিত প্রেস কাউন্সিলের বক্তব্যে ‘দি প্রেস কাউন্সিল অ্যাক্ট-১৯৭৪’ সংশোধন প্রক্রিয়ার বিভিন্ন সময়ের কার্যক্রম তুলে ধরা হয়।
প্রেস কাউন্সিল জানিয়েছে, ২০০৫ সাল থেকে ‘দি প্রেস কাউন্সিল অ্যাক্ট-১৯৭৪’ সংশোধনের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। বিভিন্ন প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে গত ২০ জুন মন্ত্রিপরিষদ বৈঠকে ‘দি প্রেস কাউন্সিল (সংশোধন) অ্যাক্ট-২০২২’ নীতিগত অনুমোদন দেয়া হয়।
প্রেস কাউন্সিলের বক্তব্যে বলা হয়, ‘দি প্রেস কাউন্সিল অ্যাক্ট ১৯৭৪’ সংশোধনের প্রস্তাব প্রথম প্রেস কাউন্সিলের সাধারণ অধিবেশনে উত্থাপিত হয়।
পরবর্তীতে সংশোধনের প্রস্তাব ধারাবাহিকভাবে বিভিন্ন সময়ে কাউন্সিলের সাধারণ সভায় পর্যালোচনা করা হয় এবং আর্থিক জরিমানার বিধান অন্তর্ভুক্ত করে প্রেস কাউন্সিলের বিচারিক ক্ষমতা বাড়ানোর প্রস্তাব করা হয়।
সংশোধনী প্রস্তাব নিয়ে তৎকালীন তথ্যমন্ত্রী ও আইনমন্ত্রীর সঙ্গে প্রেস কাউন্সিলের চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে সদস্যরা দেখা করে আলোচনা করেন। পরবর্তীতে ২০১১ সাল হতে পুনরায় তথ্য মন্ত্রণালয় ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে অনুষ্ঠিত আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির ১০ম সভায় ‘দি প্রেস কাউন্সিল অ্যাক্ট-১৯৭৪’ সংশোধনের সিদ্ধান্ত হয়। সেখানেও প্রেস কাউন্সিলের বিচারিক ক্ষমতা বাড়ানোর প্রস্তাব করা হয়।
সে মোতাবেক ২০১২ সাল হতে ধারাবাহিকভাবে প্রেস কাউন্সিলের সাধারণ সভায় ‘দি প্রেস কাউন্সিল অ্যাক্ট ১৯৭৪’ সংশোধনের লক্ষ্যে আর্থিক জরিমানার বিধান অন্তর্ভুক্ত করে প্রেস কাউন্সিলের বিচারিক ক্ষমতা বৃদ্ধিসহ কিছু ধারা-উপধারা সংশোধনের বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়।
সর্বশেষ ২০১৬ সালে প্রেস কাউন্সিল কর্তৃক প্রণীত আইনের খসড়ার বিষয়ে মতামত প্রদানের জন্য আইন কমিশনে পাঠানো হয়। আইন কমিশনের প্রেরিত মতামত পর্যালোচনা করে কাউন্সিলের সাধারণ সভায় ‘দি প্রেস কাউন্সিল (সংশোধন) অ্যাক্ট ২০১৬’ এর খসড়া চূড়ান্ত করে তথ্য মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়।
সাংবাদিকদের বিভিন্ন সংগঠন ইতিপূর্বে অভিযোগ করেছে যে, প্রেস কাউন্সিল প্রণিত ‘প্রেস কাউন্সিল (সংশোধন) অ্যাক্ট-২০২২’ খসড়া তারা পাননি। কয়েক দিন আগে সম্পাদক পরিষদ সংবাদপত্রে বিবৃতি দিয়ে অভিযোগ করেছে, তারা চেয়েও ‘প্রেস কাউন্সিল (সংশোধন) অ্যক্টি-২০২২’ এর খসড়া পাননি।
প্রেস কাউন্সিলের পাঠানো বক্তব্যে আরও বলা হয়, ২০০৫ সাল হতে প্রেস কাউন্সিলে অনুষ্ঠিত সব সাধারণ সভায় প্রেস কাউন্সিলের সদস্য হিসেবে সাংবাদিক ইউনিয়ন, সম্পাদক পরিষদ ও মালিকদের সংগঠনসমূহের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। উপস্থিত সম্মানিত সদস্যদের সঙ্গে একমত হয়েই ‘দি প্রেস কাউন্সিল (সংশোধন) অ্যাক্ট-২০১৬’ এর খসড়া পর্যায়ক্রমে প্রস্তুত করে তথ্য মন্ত্রণালয়ে প্রেরণ করা হয়। তথ্য মন্ত্রণালয়ে তথ্য সচিবের সভাপতিত্বে একাধিক আন্তঃমন্ত্রণালয় সভা অনুষ্ঠিত হয়।
এসব সভায় বিদ্যমান/প্রস্তাবিত অন্যান্য আইন, বিধি, প্রবিধান ও নীতি পরীক্ষা নিরীক্ষা, ভাষাগত পরীক্ষা নিরীক্ষা, বিদ্যমান অন্য কোন আইনের সঙ্গে সাংঘর্ষিক কি না এসব বিষয়সহ প্রস্তাবিত আইনের খুটিনাটি বিস্তারিত পর্যালোচনা করা হয়। যা তথ্য মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে ১৮ সেপ্টেম্বর ২০১৯ তারিখে সর্বসাধারণের মতামতের জন্য প্রকাশ করা হয়। পরবর্তীতে মতামত প্রদানের সময় ২৩-১০-২০১৯ পর্যন্ত বৃদ্ধি করা হয় এবং অদ্যাবধি উক্ত আইনের খসড়া তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা আছে।
এছাড়া উক্ত আইনের খসড়ার বিষয়ে মতামত চেয়ে পরবর্তীতে ৯-০১-২০২০ তারিখে অংশীজনদের অংশগ্রহণে তথ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে তথ্য সচিবের সভাপতিত্বে সভা অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত সভায় অংশীজনদের মতামত পর্যালোচনা করে ‘দি প্রেস কাউন্সিল (সংশোধন) অ্যাক্ট-২০২০’ এর খসড়া চূড়ান্ত করা হয়। এ সভায় অংশীজন হিসেবে সংবাদপত্র সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন সংগঠনের প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন।
এছাড়া দেশের বরেণ্য সাংবাদিকদের সঙ্গে এ সংশোধনী আইন নিয়ে বিভিন্ন সময়ে আলোচনা হয়। অতঃপর চূড়ান্ত খসড়া মন্ত্রিপরিষদ বৈঠকে অনুমোদনের জন্য মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে পাঠানো হয়।
সর্বশেষ গত ২০ জুন মন্ত্রিপরিষদ বৈঠকে ‘দি প্রেস কাউন্সিল (সংশোধন) অ্যাক্ট ২০২২’ নীতিগত অনুমোদন দেয়া হয়। বর্তমানে সংশোধিত আইনটি সরকারের কাছে প্রক্রিয়াধীন আছে।