ভারতের সংস্কৃত পীঠস্থান বলা হয় কলকাতাতে। একসময় দেশটির রাজধানী ছিল এই কলকাতা। কিন্তু কলকাতায় কর্মরত বাংলাদেশী গণমাধ্যমের কর্মীদের কোন সংগঠন ছিল না, ছিল না কোনো প্রেসক্লাব। চেষ্টা যে করা হয়নি তা নয়, কিন্তু নানা কারণে এই স্বপ্ন বাস্তবায়িত হচ্ছিল না। অবশেষে সেই সব গণমাধ্যমের কর্মীদের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় আজ স্বপ্ন সফল।
এক জমাকালো অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে বুধবার (২৪ আগস্ট) বিকালে ‘ইন্দো বাংলা প্রেস ক্লাব’ নামে এই সংগঠনের শুভ সূচনা হলো। কেক কেটে এই প্রেস ক্লাবের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হয়।
আপাতত কলকাতার এন্টালি থানার অধীন পি-৭৩, সিআইটি রোড, দেব লেন, প্রথম তল, কলকাতা ১৪ প্রেস ক্লাবের অস্থায়ী ঠিকানা থেকে এই প্রেস ক্লাবের কার্যক্রম চলবে। যদিও খুব শিগগিরি তার স্থায়ী ঠিকানা হতে চলেছে।
এই প্রেস ক্লাবের সভাপতি ও এটিএন বাংলার প্রতিনিধি কিংশুক চক্রবর্তীর সভাপতিত্বে এই অনুষ্ঠানের শুরু হয়। বক্তব্যের শুরুতেই প্রেস ক্লাবের সহ-সভাপতি ও ৭১ টেলিভিশনের প্রতিনিধি সত্যজিৎ চক্রবর্তী এই সংগঠনের প্রয়োজনীয়তা বিস্তারিত ব্যাখ্যা দেন।
এই প্রেস ক্লাব কিভাবে গনমাধ্যমের পাশে দাঁড়াবে কিভাবে সহায়তা করবে তার বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরেন এই প্রেস ক্লাবের মুখপাত্র ও বাংলাদেশ প্রতিদিনের কলকাতা প্রতিনিধি দীপক দেবনাথ।
এরপর এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত অন্য সহকর্মীদের মতামত জানতে চাওয়া হয়। সকলেই তাদের গুরুত্বপূর্ণ মতামত প্রদান করেন।
অনুষ্ঠানে গণমাধ্যম কর্মীদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন প্রথম আলোর প্রতিনিধি অমর সাহা, চ্যানেল ২৪ ও সমকাল এর প্রতিনিধি শুভজিৎ পুততুন্ড, চ্যানেল ২৪ এর ভিডিও জার্নালিস্ট বিক্রম লাহা, জাগো নিউজ-২৪ এর প্রতিনিধি জ্যোতির্ময় দত্ত, ইত্তেফাকের প্রতিনিধি তারিক হাসান, বাংলা নিউজ ২৪. কম ও নিউজ ২৪ এর প্রতিনিধি ভাস্কর সর্দার, প্রথম আলোর চিত্র সাংবাদিক ভাস্কর সরদার, দৈনিক সংবাদ এর প্রতিনিধি দীপক মুখার্জি, যমুনা টেলিভিশনের কলকাতা প্রতিনিধি সুকান্ত চট্টোপাধ্যায়, ইন্ডিপেন্ডেন্ট টেলিভিশনের প্রতিনিধি দেবপ্রসাদ অধিকারী, নিউজ ২৪ এর ভিডিও জার্নালিস্ট শাকিল আবেদীন প্রমুখ।
পরে উৎসাহের সহিত উপস্থিত সব সংবাদ কর্মীরাই এদিন নিজেদের সদস্যপদ গ্রহণ করেন।
এদিনের অনুষ্ঠানে এই প্রেসক্লাবের নতুন এক্সিকিউটিভ কমিটিও গঠন করা হয়। ওই কমিটিতে সভাপতি হন কিংশুক চক্রবর্তী, সহ-সভাপতি সত্যজিৎ চক্রবর্তী, সম্পাদক শুভজিৎ পুততুন্ডু, কোষাধ্যক্ষ দীপক দেবনাথ, আহ্বায়ক ভাস্কর সরদার। বোর্ড সদস্য হিসেবে থাকছেন দুজন- তারা হলেন সুকান্ত চট্টোপাধ্যায় ও ধর্মেন্দ্র সিং। আমন্ত্রিত মুখ্য উপদেষ্টা করা হয় এটিএন বাংলার ডিরেক্টর তপন রায়কে।
এদিনের এই প্রেসক্লাবের আনুষ্ঠানিক যাত্রা নিয়ে মুখপাত্র দীপক দেবনাথ জানান “আজকের দিনটি খুবই আনন্দের ও ভাললাগার দিন। কলকাতায় কর্মরত বাংলাদেশের বিভিন্নতা গণমাধ্যমের ঐকান্তুন প্রচেষ্টায় দীর্ঘদিনের এই স্বপ্ন বাস্তবা়নের পথে। যদিও এখনো অনেক পথ চলা।” তিনি আরো বলেন “গণমাধ্যম রাষ্ট্রের চতুর্থ স্তম্ভ। সেক্ষেত্রে রাষ্ট্রের প্রতি গণমাধ্যমের আলাদা দায়িত্ব থাকে। বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ পরিবেশনে আমাদের আরও যত্নশীল হতে হবে এবং দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করতে হবে।” তার অভিমত “এক্ষেত্রে আমাদের দায়িত্বটা একটু বেশি যেহেতু তারা একদিকে ভারতীয় নাগরিক অন্যদিকে বাংলাদেশের গণমাধ্যমে যুক্ত তাই, দুই দেশের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক শক্তিশালী ও মজবু করতে এই প্রেস ক্লাবের সদস্যরা প্রচেষ্টা চালিয়ে যাবে।”
সত্যজিৎ চক্রবর্তীর অভিমত কলকাতায় কর্মরত বাংলাদেশে গণমাধ্যমের কর্মীদের কোন সাংগঠনিক অস্তিত্ব ছিল না, সেক্ষেত্রে এই সংগঠনের মধ্য দিয়ে সে অস্তিত্ব পেল। আগামী দিনের সাংবাদিকদের পাশে থেকে যাতে এই সংগঠন তার কাজকর্ম চালাতে পারে, সেদিকে লক্ষ্য রাখা হবে। যেহেতু দুই দেশের কূটনৈতিক সম্পর্ক বা দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক উন্নয়নে আমাদের কাজ, সেক্ষেত্রে আমাদের অগ্রণী ভূমিকা রাখতে হবে।
বুধবার, ২৪ আগস্ট ২০২২
ভারতের সংস্কৃত পীঠস্থান বলা হয় কলকাতাতে। একসময় দেশটির রাজধানী ছিল এই কলকাতা। কিন্তু কলকাতায় কর্মরত বাংলাদেশী গণমাধ্যমের কর্মীদের কোন সংগঠন ছিল না, ছিল না কোনো প্রেসক্লাব। চেষ্টা যে করা হয়নি তা নয়, কিন্তু নানা কারণে এই স্বপ্ন বাস্তবায়িত হচ্ছিল না। অবশেষে সেই সব গণমাধ্যমের কর্মীদের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় আজ স্বপ্ন সফল।
এক জমাকালো অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে বুধবার (২৪ আগস্ট) বিকালে ‘ইন্দো বাংলা প্রেস ক্লাব’ নামে এই সংগঠনের শুভ সূচনা হলো। কেক কেটে এই প্রেস ক্লাবের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হয়।
আপাতত কলকাতার এন্টালি থানার অধীন পি-৭৩, সিআইটি রোড, দেব লেন, প্রথম তল, কলকাতা ১৪ প্রেস ক্লাবের অস্থায়ী ঠিকানা থেকে এই প্রেস ক্লাবের কার্যক্রম চলবে। যদিও খুব শিগগিরি তার স্থায়ী ঠিকানা হতে চলেছে।
এই প্রেস ক্লাবের সভাপতি ও এটিএন বাংলার প্রতিনিধি কিংশুক চক্রবর্তীর সভাপতিত্বে এই অনুষ্ঠানের শুরু হয়। বক্তব্যের শুরুতেই প্রেস ক্লাবের সহ-সভাপতি ও ৭১ টেলিভিশনের প্রতিনিধি সত্যজিৎ চক্রবর্তী এই সংগঠনের প্রয়োজনীয়তা বিস্তারিত ব্যাখ্যা দেন।
এই প্রেস ক্লাব কিভাবে গনমাধ্যমের পাশে দাঁড়াবে কিভাবে সহায়তা করবে তার বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরেন এই প্রেস ক্লাবের মুখপাত্র ও বাংলাদেশ প্রতিদিনের কলকাতা প্রতিনিধি দীপক দেবনাথ।
এরপর এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত অন্য সহকর্মীদের মতামত জানতে চাওয়া হয়। সকলেই তাদের গুরুত্বপূর্ণ মতামত প্রদান করেন।
অনুষ্ঠানে গণমাধ্যম কর্মীদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন প্রথম আলোর প্রতিনিধি অমর সাহা, চ্যানেল ২৪ ও সমকাল এর প্রতিনিধি শুভজিৎ পুততুন্ড, চ্যানেল ২৪ এর ভিডিও জার্নালিস্ট বিক্রম লাহা, জাগো নিউজ-২৪ এর প্রতিনিধি জ্যোতির্ময় দত্ত, ইত্তেফাকের প্রতিনিধি তারিক হাসান, বাংলা নিউজ ২৪. কম ও নিউজ ২৪ এর প্রতিনিধি ভাস্কর সর্দার, প্রথম আলোর চিত্র সাংবাদিক ভাস্কর সরদার, দৈনিক সংবাদ এর প্রতিনিধি দীপক মুখার্জি, যমুনা টেলিভিশনের কলকাতা প্রতিনিধি সুকান্ত চট্টোপাধ্যায়, ইন্ডিপেন্ডেন্ট টেলিভিশনের প্রতিনিধি দেবপ্রসাদ অধিকারী, নিউজ ২৪ এর ভিডিও জার্নালিস্ট শাকিল আবেদীন প্রমুখ।
পরে উৎসাহের সহিত উপস্থিত সব সংবাদ কর্মীরাই এদিন নিজেদের সদস্যপদ গ্রহণ করেন।
এদিনের অনুষ্ঠানে এই প্রেসক্লাবের নতুন এক্সিকিউটিভ কমিটিও গঠন করা হয়। ওই কমিটিতে সভাপতি হন কিংশুক চক্রবর্তী, সহ-সভাপতি সত্যজিৎ চক্রবর্তী, সম্পাদক শুভজিৎ পুততুন্ডু, কোষাধ্যক্ষ দীপক দেবনাথ, আহ্বায়ক ভাস্কর সরদার। বোর্ড সদস্য হিসেবে থাকছেন দুজন- তারা হলেন সুকান্ত চট্টোপাধ্যায় ও ধর্মেন্দ্র সিং। আমন্ত্রিত মুখ্য উপদেষ্টা করা হয় এটিএন বাংলার ডিরেক্টর তপন রায়কে।
এদিনের এই প্রেসক্লাবের আনুষ্ঠানিক যাত্রা নিয়ে মুখপাত্র দীপক দেবনাথ জানান “আজকের দিনটি খুবই আনন্দের ও ভাললাগার দিন। কলকাতায় কর্মরত বাংলাদেশের বিভিন্নতা গণমাধ্যমের ঐকান্তুন প্রচেষ্টায় দীর্ঘদিনের এই স্বপ্ন বাস্তবা়নের পথে। যদিও এখনো অনেক পথ চলা।” তিনি আরো বলেন “গণমাধ্যম রাষ্ট্রের চতুর্থ স্তম্ভ। সেক্ষেত্রে রাষ্ট্রের প্রতি গণমাধ্যমের আলাদা দায়িত্ব থাকে। বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ পরিবেশনে আমাদের আরও যত্নশীল হতে হবে এবং দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করতে হবে।” তার অভিমত “এক্ষেত্রে আমাদের দায়িত্বটা একটু বেশি যেহেতু তারা একদিকে ভারতীয় নাগরিক অন্যদিকে বাংলাদেশের গণমাধ্যমে যুক্ত তাই, দুই দেশের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক শক্তিশালী ও মজবু করতে এই প্রেস ক্লাবের সদস্যরা প্রচেষ্টা চালিয়ে যাবে।”
সত্যজিৎ চক্রবর্তীর অভিমত কলকাতায় কর্মরত বাংলাদেশে গণমাধ্যমের কর্মীদের কোন সাংগঠনিক অস্তিত্ব ছিল না, সেক্ষেত্রে এই সংগঠনের মধ্য দিয়ে সে অস্তিত্ব পেল। আগামী দিনের সাংবাদিকদের পাশে থেকে যাতে এই সংগঠন তার কাজকর্ম চালাতে পারে, সেদিকে লক্ষ্য রাখা হবে। যেহেতু দুই দেশের কূটনৈতিক সম্পর্ক বা দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক উন্নয়নে আমাদের কাজ, সেক্ষেত্রে আমাদের অগ্রণী ভূমিকা রাখতে হবে।