তিন দশক আগে এনডিটিভির যাত্রা শুরু হয়েছিল প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান হিসেবে। ভারতের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন চ্যানেল দুরদর্শনে সাপ্তাহিক একটি অনুষ্ঠান করতো তারা। দ্য ওয়ার্ল্ড দিস উইক - বা এই সপ্তাহের বিশ্ব শিরোনামে হতো অনুষ্ঠানটি, যার শুরু নভেম্বর ১৯৮৮।
রাধিকা রায় ও তার উপস্থাপক স্বামী প্রণয় রায় দম্পতির সেই প্রতিষ্ঠানই সংবাদ সম্প্রচারে ভারতের প্রথম পূর্ণাঙ্গ বেসরকারি টিভি চ্যানেল হয়ে ওঠে। যদিও রাধিকা বলেন, শুরুতে তেমন কোনো মহাপরিকল্পনা তাদের ছিল না। এই প্রতিষ্ঠানের জন্মকে ‘আনন্দময় দুর্ঘটনা’ বলতেন তারা।
সম্প্রতি এই দম্পতি প্রতিষ্ঠানটির পরিচালক পদ থেকে পদত্যাগ করেছেন। কেননা বিশ্বের তৃতীয় শ্রেষ্ঠ ধনকুবের গৌতম আদানি এটি কিনে নিচ্ছেন।
৬০ বছর বয়স্ক ধনকুবের আদানিকে অনেকে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ঘনিষ্ঠ মনে করে থাকেন। তবে তার জীবনী রচয়িতা আরএন ভাস্করের মতে, ‘আসলে সব রাজনৈতিক দলের সঙ্গে, সামাজিক নেতৃত্বের সঙ্গে তার এত যোগাযোগ – যার কারণেই সরকারের কাছে এত গুরুত্ব আদানির।’
আদানির নতুন প্রতিষ্ঠান এএমজি মিডিয়া নেটওয়ার্ক লিমিটেড মার্চে কুইন্টাইল নামের একটি সংবাদ প্রতিষ্ঠানের কিছু শেয়ার কিনে। কিন্তু সেটি আদানির সম্পদ বা বাণিজ্যিক বিস্তৃতির তুলনায় এত ছোট যে স্বয়ং তার জীবনীকার এ নিয়ে কৌতুহল প্রকাশ করেছিলেন।
এবার এনডিটিভি কিনে নেওয়ার সিদ্ধান্তের মধ্য দিয়ে তার সেই প্রশ্নের উত্তর মিলেছে।
যদিও ৫ কোটি ১০ লাখ ডলার মূল্যমানের এই খবর সম্প্রচার প্রতিষ্ঠান, যার লাভ বছরে মাত্র ১ কোটি ডলার, সেই প্রতিষ্ঠানের বিষয়ে ২৬ হাজার কোটি ডলারের মালিক আদানির আগ্রহী হওয়ার কথা না।
তবে নানা বিশেষত্ব দিয়ে এনডিটিভি সবার থেকে আলাদা হয়ে উঠেছে। খবর সম্প্রচারের পাশাপাশি তারা নিয়মিত জরিপ করে রাজনৈতিক বিষয়াদি নিয়ে। জীবনযাপন শৈলী, তথ্য প্রযুক্তি নিয়ে বিশেষ অনুষ্ঠান প্রচার করে। তারা বলে শুধু অনলাইনেই তাদের সাড়ে তিন কোটি অনুসারী।
আদানি বলছেন, তারা যা করতে চান তার জন্য এনডিটিভিই সবচেয়ে উপযুক্ত।
বিলাত থেকে প্রকাশিত ফাইন্যান্সিয়াল টাইমসকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে আদানি কী করতে চাইছেন তার একটা ধারণা পাওয়া যায়।
সেখানে তিনি বলছেন, তারা একটি বিশ্বব্যাপী গ্রহণযোগ্য সংবাদ মাধ্যম করতে চান ফাইন্যান্সিয়াল টাইমস বা আল জাজিরার মতো।
তবে সমালোচকেরা তা নিয়ে সন্দিহান। কেননা এনডিটিভি বলতে গেলে একমাত্র নিউজ চ্যানেল যারা নিরপেক্ষতা বজায় রেখে, উন্মাদনায় গা না ভাসিয়ে খবর পরিবেশন করে এসেছে ভারতে।
অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের এক গবেষণায় দেখা গেছে ৭৬ শতাংশ মানুষ এনডিটিভির খবর বিশ্বাস করে।
সে কারণেই অনেকেরই উদ্বেগ আদানি নিয়ে নেওয়ার পরে এই নিরপেক্ষতা বজায় থাকবে না।
বর্তমান সময়ে নিরপেক্ষতার প্রশ্নে এনডিটিভিই ছিল সবেধন নীলমনি। রিপোর্টার্স উইদাউট বর্ডার্সের এর মুক্ত সাংবাদিকতা সূচকে ভারতের অবস্থান ১৮০ দেশের মধ্যে ১৫০তম। এত খারাপ অবস্থা আগে কখনো হয়নি।
অবশ্য ক্ষমতাসীন বিজেপির নেতারা সূচকের এই প্রক্রিয়াকেই ‘প্রশ্নবিদ্ধ ও অস্বচ্ছ’ বলছেন।
ভারতে সংবাদ মাধ্যমের সংখ্যা বেশি হলেও মালিকানার কারণে স্বাধীন সাংবাদিকতা দুরূহ হয়ে উঠেছে বলে পর্যবেক্ষণ অনেকের। সেখানে হিন্দি পত্রিকার পাঠক সংখ্যা মোট পাঠকের চারভাগের তিনভাগ।
আরেক ধনকুবের মুকেশ আম্বানি, যিনি ২২ হাজার কোটি ডলারের মালিক, তার নিয়ন্ত্রণে রয়েছে নিউজ১৮ সংবাদগোষ্ঠী।
ভারতের জিডিপির ৪ শতাংশ এই দুই ধনকুবের, আদানি-আম্বানির নিয়ন্ত্রণে।
এই পরিপ্রেক্ষিতে আদানি গোষ্ঠীর এনডিটিভি কিনে নেওয়ার প্রতীকী তাৎপর্য আছে বলে মনে করেন গণমাধ্যম বিশেষজ্ঞ বণিতা কোহলি-খন্দকার।
ভারতে বিভিন্নভাষায় খবর প্রচারের টিভি চ্যানেল আছে চার শতাধিক। ২০২১ এ টিভিতে বিজ্ঞাপন ছিল ৪২ কোটি ৩০ লাখ ডলার। এর মধ্যে মাত্র ৮ শতাংশ জুটেছে নিউজ চ্যানেলগুলোর কপালে।
সব মিলিয়ে ভারতে এই বাজারে সংবাদ মাধ্যম চালানো খুবই কঠিন হয়ে পড়েছে। তারওপর রাজনৈতিক চাপ তো আছেই, বণিতা বলেছেন বিবিসির সৌতিক বিশ্বাসকে। তিনি বলছেন দুই থেকে তিনটি প্রতিষ্ঠান কখনও কখনও মুনাফা করে।
যেহেতু মানুষ পয়সা খরচ করে খবর পড়তে আগ্রহী নয়, টাকা আসে শুধু বিজ্ঞাপন থেকে। টেলিভিশন চ্যানেলগুলোর গ্রহণযোগ্যতা গেছে কমে। সেই কারণেই রেটিং ধরে রাখতে সংবাদমাধ্যমগুলো ট্যাবলয়েডের মতো হয়ে যাচ্ছে, বলছেন বিশেষজ্ঞরা। একই কারণে অনেক প্রতিষ্ঠানই রাজনৈতিক পক্ষপাতিত্বের পথ বেছে নিয়েছেন বলে মনে করছেন তারা।
এনডিটিভি আর্থিক সঙ্কটে ধুকছে এক দশকের বেশি সময় ধরে। প্রতিষ্ঠানের দায় মেটাতে তারা ৪ কোটি ৪০ লাখ ডলার ঋণ নিয়েছিল আম্বানির রিলায়েন্স গ্রুপের একটি প্রতিষ্ঠান থেকে। সেখান থেকে তারা বেরোতে পারেনি। সে কারণেই প্রতিষ্ঠানটি এক রকম পরাজয়ের পথ বেছে নিতে বাধ্য হলো বলে মনে করছেন বণিতা।
এখন সময়ই বলে দেবে আদানির হাতে যাওয়ার পর প্রতিষ্ঠানটি সম্পাদকীয় অবস্থান কী হবে।
ওরম্যাক্স মিডিয়ার শৈলেশ কাপুরের পর্যবেক্ষণ একটা প্রগতিশীল অবস্থান ধরে রেখে সরকারের সমালোচনা করে গেছে এনডিটিভি।
এখন কি সেই অবস্থান ধরে রাখতে পারবেন তারা? প্রশ্ন শৈলেশের মনেও।
আদানি উত্তর দিয়েছেন ফাইন্যান্সিয়াল টাইমসকেঃ স্বাধীনতা মানে সরকার ভুল করলে তাকে ভুলই বলতে হবে। তবে সরকার যদি ঠিক কাজ করে, তাকে ভালো বলার সাহসটাও কিন্তু থাকতে হবে।
বৃহস্পতিবার, ০১ ডিসেম্বর ২০২২
তিন দশক আগে এনডিটিভির যাত্রা শুরু হয়েছিল প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান হিসেবে। ভারতের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন চ্যানেল দুরদর্শনে সাপ্তাহিক একটি অনুষ্ঠান করতো তারা। দ্য ওয়ার্ল্ড দিস উইক - বা এই সপ্তাহের বিশ্ব শিরোনামে হতো অনুষ্ঠানটি, যার শুরু নভেম্বর ১৯৮৮।
রাধিকা রায় ও তার উপস্থাপক স্বামী প্রণয় রায় দম্পতির সেই প্রতিষ্ঠানই সংবাদ সম্প্রচারে ভারতের প্রথম পূর্ণাঙ্গ বেসরকারি টিভি চ্যানেল হয়ে ওঠে। যদিও রাধিকা বলেন, শুরুতে তেমন কোনো মহাপরিকল্পনা তাদের ছিল না। এই প্রতিষ্ঠানের জন্মকে ‘আনন্দময় দুর্ঘটনা’ বলতেন তারা।
সম্প্রতি এই দম্পতি প্রতিষ্ঠানটির পরিচালক পদ থেকে পদত্যাগ করেছেন। কেননা বিশ্বের তৃতীয় শ্রেষ্ঠ ধনকুবের গৌতম আদানি এটি কিনে নিচ্ছেন।
৬০ বছর বয়স্ক ধনকুবের আদানিকে অনেকে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ঘনিষ্ঠ মনে করে থাকেন। তবে তার জীবনী রচয়িতা আরএন ভাস্করের মতে, ‘আসলে সব রাজনৈতিক দলের সঙ্গে, সামাজিক নেতৃত্বের সঙ্গে তার এত যোগাযোগ – যার কারণেই সরকারের কাছে এত গুরুত্ব আদানির।’
আদানির নতুন প্রতিষ্ঠান এএমজি মিডিয়া নেটওয়ার্ক লিমিটেড মার্চে কুইন্টাইল নামের একটি সংবাদ প্রতিষ্ঠানের কিছু শেয়ার কিনে। কিন্তু সেটি আদানির সম্পদ বা বাণিজ্যিক বিস্তৃতির তুলনায় এত ছোট যে স্বয়ং তার জীবনীকার এ নিয়ে কৌতুহল প্রকাশ করেছিলেন।
এবার এনডিটিভি কিনে নেওয়ার সিদ্ধান্তের মধ্য দিয়ে তার সেই প্রশ্নের উত্তর মিলেছে।
যদিও ৫ কোটি ১০ লাখ ডলার মূল্যমানের এই খবর সম্প্রচার প্রতিষ্ঠান, যার লাভ বছরে মাত্র ১ কোটি ডলার, সেই প্রতিষ্ঠানের বিষয়ে ২৬ হাজার কোটি ডলারের মালিক আদানির আগ্রহী হওয়ার কথা না।
তবে নানা বিশেষত্ব দিয়ে এনডিটিভি সবার থেকে আলাদা হয়ে উঠেছে। খবর সম্প্রচারের পাশাপাশি তারা নিয়মিত জরিপ করে রাজনৈতিক বিষয়াদি নিয়ে। জীবনযাপন শৈলী, তথ্য প্রযুক্তি নিয়ে বিশেষ অনুষ্ঠান প্রচার করে। তারা বলে শুধু অনলাইনেই তাদের সাড়ে তিন কোটি অনুসারী।
আদানি বলছেন, তারা যা করতে চান তার জন্য এনডিটিভিই সবচেয়ে উপযুক্ত।
বিলাত থেকে প্রকাশিত ফাইন্যান্সিয়াল টাইমসকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে আদানি কী করতে চাইছেন তার একটা ধারণা পাওয়া যায়।
সেখানে তিনি বলছেন, তারা একটি বিশ্বব্যাপী গ্রহণযোগ্য সংবাদ মাধ্যম করতে চান ফাইন্যান্সিয়াল টাইমস বা আল জাজিরার মতো।
তবে সমালোচকেরা তা নিয়ে সন্দিহান। কেননা এনডিটিভি বলতে গেলে একমাত্র নিউজ চ্যানেল যারা নিরপেক্ষতা বজায় রেখে, উন্মাদনায় গা না ভাসিয়ে খবর পরিবেশন করে এসেছে ভারতে।
অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের এক গবেষণায় দেখা গেছে ৭৬ শতাংশ মানুষ এনডিটিভির খবর বিশ্বাস করে।
সে কারণেই অনেকেরই উদ্বেগ আদানি নিয়ে নেওয়ার পরে এই নিরপেক্ষতা বজায় থাকবে না।
বর্তমান সময়ে নিরপেক্ষতার প্রশ্নে এনডিটিভিই ছিল সবেধন নীলমনি। রিপোর্টার্স উইদাউট বর্ডার্সের এর মুক্ত সাংবাদিকতা সূচকে ভারতের অবস্থান ১৮০ দেশের মধ্যে ১৫০তম। এত খারাপ অবস্থা আগে কখনো হয়নি।
অবশ্য ক্ষমতাসীন বিজেপির নেতারা সূচকের এই প্রক্রিয়াকেই ‘প্রশ্নবিদ্ধ ও অস্বচ্ছ’ বলছেন।
ভারতে সংবাদ মাধ্যমের সংখ্যা বেশি হলেও মালিকানার কারণে স্বাধীন সাংবাদিকতা দুরূহ হয়ে উঠেছে বলে পর্যবেক্ষণ অনেকের। সেখানে হিন্দি পত্রিকার পাঠক সংখ্যা মোট পাঠকের চারভাগের তিনভাগ।
আরেক ধনকুবের মুকেশ আম্বানি, যিনি ২২ হাজার কোটি ডলারের মালিক, তার নিয়ন্ত্রণে রয়েছে নিউজ১৮ সংবাদগোষ্ঠী।
ভারতের জিডিপির ৪ শতাংশ এই দুই ধনকুবের, আদানি-আম্বানির নিয়ন্ত্রণে।
এই পরিপ্রেক্ষিতে আদানি গোষ্ঠীর এনডিটিভি কিনে নেওয়ার প্রতীকী তাৎপর্য আছে বলে মনে করেন গণমাধ্যম বিশেষজ্ঞ বণিতা কোহলি-খন্দকার।
ভারতে বিভিন্নভাষায় খবর প্রচারের টিভি চ্যানেল আছে চার শতাধিক। ২০২১ এ টিভিতে বিজ্ঞাপন ছিল ৪২ কোটি ৩০ লাখ ডলার। এর মধ্যে মাত্র ৮ শতাংশ জুটেছে নিউজ চ্যানেলগুলোর কপালে।
সব মিলিয়ে ভারতে এই বাজারে সংবাদ মাধ্যম চালানো খুবই কঠিন হয়ে পড়েছে। তারওপর রাজনৈতিক চাপ তো আছেই, বণিতা বলেছেন বিবিসির সৌতিক বিশ্বাসকে। তিনি বলছেন দুই থেকে তিনটি প্রতিষ্ঠান কখনও কখনও মুনাফা করে।
যেহেতু মানুষ পয়সা খরচ করে খবর পড়তে আগ্রহী নয়, টাকা আসে শুধু বিজ্ঞাপন থেকে। টেলিভিশন চ্যানেলগুলোর গ্রহণযোগ্যতা গেছে কমে। সেই কারণেই রেটিং ধরে রাখতে সংবাদমাধ্যমগুলো ট্যাবলয়েডের মতো হয়ে যাচ্ছে, বলছেন বিশেষজ্ঞরা। একই কারণে অনেক প্রতিষ্ঠানই রাজনৈতিক পক্ষপাতিত্বের পথ বেছে নিয়েছেন বলে মনে করছেন তারা।
এনডিটিভি আর্থিক সঙ্কটে ধুকছে এক দশকের বেশি সময় ধরে। প্রতিষ্ঠানের দায় মেটাতে তারা ৪ কোটি ৪০ লাখ ডলার ঋণ নিয়েছিল আম্বানির রিলায়েন্স গ্রুপের একটি প্রতিষ্ঠান থেকে। সেখান থেকে তারা বেরোতে পারেনি। সে কারণেই প্রতিষ্ঠানটি এক রকম পরাজয়ের পথ বেছে নিতে বাধ্য হলো বলে মনে করছেন বণিতা।
এখন সময়ই বলে দেবে আদানির হাতে যাওয়ার পর প্রতিষ্ঠানটি সম্পাদকীয় অবস্থান কী হবে।
ওরম্যাক্স মিডিয়ার শৈলেশ কাপুরের পর্যবেক্ষণ একটা প্রগতিশীল অবস্থান ধরে রেখে সরকারের সমালোচনা করে গেছে এনডিটিভি।
এখন কি সেই অবস্থান ধরে রাখতে পারবেন তারা? প্রশ্ন শৈলেশের মনেও।
আদানি উত্তর দিয়েছেন ফাইন্যান্সিয়াল টাইমসকেঃ স্বাধীনতা মানে সরকার ভুল করলে তাকে ভুলই বলতে হবে। তবে সরকার যদি ঠিক কাজ করে, তাকে ভালো বলার সাহসটাও কিন্তু থাকতে হবে।