এয়ারলাইন্সগুলোর টিকেট ‘সিন্ডিকেটের’ কবজায়
ডলার সংকট, টিকেট কালোবাজারি ও দক্ষ তদারকি না থাকায় কমছে না উড়োজাহাজের ভাড়া। আকাশপথে বাংলাদেশ থেকে মধ্যপ্রাচ্যসহ বিভিন্ন দেশে বিপুল হারে ভাড়া বাড়লেও তা আর কমার নাম নেই। চাহিদা বাড়লে দাম বাড়বে, এটা নতুন কিছু নয়। তবে যদি তিন-চার গুণ বেড়ে যায়, তখন স্বাভাবিকভাবেই তা সবার নজরে পড়ে। এয়ারলাইনস কোম্পানিগুলো এশিয়ার অন্য দেশগুলোর তুলনায় সর্বোচ্চ ভাড়া নিচ্ছে বাংলাদেশ থেকে।
ট্রাভেল কোম্পানিগুলোর দাবি, সাপ্লাই কম ও যাত্রীর চাপ বৃদ্ধির অজুহাতে যাত্রীদের থেকে অতিরিক্ত অর্থ হাতিয়ে নিচ্ছে উড়োজাহাজ প্রতিষ্ঠানগুলো।
প্রবাসীরা দাবি করছেন, বাংলাদেশ থেকে মধ্যপ্রাচ্যে যেতে উড়োজাহাজের টিকেটের দাম কয়েক বছরে সবচেয়ে অস্বাভাবিক বেড়েছে। তবে ডলার সংকটের চেয়েও ‘সংঘবদ্ধ চক্রের’ (সিন্ডিকেট) ‘কারসাজিকেই’ তারা দায়ী করেছেন। তারা বলেন, একটি ফ্লাইটের শিডিউল ঘোষণার কয়েক মিনিটের মধ্যেই টিকেট শেষ হয়ে যায়। বেশিরভাগ টিকেট সিন্ডিকেটের কবজায় রাখা হয় বলেও অভিযোগ সংশ্লিষ্টদের।
এভিয়েশন খাতসংশ্লিষ্ট মহল বলছে, বিদেশি এয়ারলাইনসগুলোর বিপুল ডলার আটকে থাকা এবং সিন্ডিকেটের কারণে চাহিদা বাড়লেই লাগামছাড়া হয়ে উঠছে বিমানের টিকেটের দাম।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, উড়োজাহাজের টিকেটের কাছে ‘অসহায়’ হয়ে পড়েছেন যাত্রী ও ট্রাভেল এজন্টরা। এর বড় উদাহরণ গত মে মাসের মালয়েশিয়াগামী কর্মীরা। সেখানে ৩০ হাজার টাকার টিকেট লাখ টাকার ওপরে কিনেও ফ্লাইট পাননি অনেকে মালয়েশিয়াগামীরা। শুধু এটা মালয়েশিয়া বা পৃথিবীর অনান্য রুটের ক্ষেত্রেই নয়, বিদেশি এয়ারলাইনসগুলোই বাড়াচ্ছে না। দেশিও এয়ালাইন্স কোম্পানিগুলোও ঈদ বা কোনো বড় অকেশনকে সামনে রেখে অভ্যন্তরীণ রুটের টিকেটের দামও বাড়ায়। যার উদহরণ সদ্য শেষ হওয়া ইদে ৩ থেকে সাড়ে ৪ হাজার টাকা থেকে বেড়ে ৯ থেকে ১১ হাজার টাকা।
এ বিষয়ে ট্রাভেল এজেন্সি নিয়ে গঠিত বাণিজ্যিক সংগঠন অ্যাসোসিয়েশন অব ট্রাভেল এজেন্টস অব বাংলাদেশের (আটাব) মহাসচিব আসফিয়া জান্নাত সালেহ সংবাদকে বলেন, ‘বিভিন্ন কারণে টিকেটের দাম বৃদ্ধি হয়। এক নম্বর হলো : এয়ারলাইন্সগুলো রেমিট্যান্স পাচ্ছে না বলে লোয়ার ক্লাস বন্ধ করে দিয়ে বিদেশ থেকে ও পাশের দেশ ইন্ডিয়া থেকে টিকেট ইশ্যু করছে। আর আমাদের দেশের জন্য হায়ার ক্লাস ওপেন করছে। বাংলাদেশের জন্য লোয়ার স্লাব বন্ধ করে হায়ার স্লাবগুলো চালু রাখা হয়েছে এ দেশের জন্য বিক্রি করার জন্য। এজন্য কম্পেয়ার টু আশপাশের দেশের থেকে আমাদের টিকেটের দাম বেশি।’
‘আমাদের দেশের ট্রাভেল এজেন্টগুলোর জন্য চ্যালেঞ্জ হলো; ১০ থেকে ১৫ শতাংশ টিকেট আউটস্টেশন থেকে ইশ্যু হচ্ছে। কিন্ত যাত্রী ট্রাভেল করে বাংলাদেশ থেকে। এতেও কিন্তু আমাদেরই ক্ষতি হচ্ছে কারণ আমরা এ কারণে রেভিনিউ নষ্ট করতেছি। সরকারও রেভিনিউ হারাচ্ছে’, বলেন তিনি।
আটাবের নেতারা মনে করেন, যখন চাহিদা বাড়ে, তখন বিমানের টিকেটের দাম অনেকটা বেড়ে যায়। তবে এটি এয়ারলাইনসগুলোর সিন্ডিকেডের কারণেই হয়। তারা টিকেগুলো ৫-৬টি ট্রাভেল এজেন্সিকে দিয়ে দেয়। ফলে ওই এজেন্সিগুলো দাম বাড়িয়ে দেয়। আর এ কারণেই গ্রাহকরা প্রয়োজনের সময় বেশি দামে টিকেট কিনতে বাধ্য হন।
যেকোনো এয়ার লাইন্সই অস্বাভাবিক ভাড়া বেড়েছে বলে মনে করেন এভিয়েশন বিশেষজ্ঞ আশীষ রায় চৌধুরী। তিনি সংবাদকে বলেন, ‘আমরা বিদেশিদের ব্যবসা করতে দিচ্ছি এটা আমাদের কন্ট্রোল করা উচিত। সিভিল এভিয়েশনের এটার ওপর পদক্ষেপ নেয়া উচিত। আগে যেমন প্রাইসের ওপর কন্ট্রোল ছিল। এখন তো ওই কন্ট্রোল নাই। যে যেরকম পারে তেমনভাবে ভাড়া বসাইয়া দেয়।’
এক্ষেত্রে সিভিল এভিয়েশনের ক্ষমতা খর্ব হয়েছে বলে মনে করেন তিনি। তিনি বলেন, ‘এখানে আমাদের আর ক্ষমতা নেই, প্রাইসের যে কন্ট্রোল সেটাও নেই। ইচ্ছেমতো যে যারমতো ফেয়ার বাড়াচ্ছে। কারণ, মালয়েশিয়ার টিকেট এক লাখ বা এর ওপর হওয়ার কথা নয়, কারণ কট্রোল নেই। ’
আসফিয়া জান্নাত সালেহ বলেন, ‘ফেয়ার এপ্রুভালটা সিভিল অ্যাভিয়েশন অর্থরিটিই দিয়ে থাকে। কিন্তু সেটাও সঠিকভাবে কার্যকর হচ্ছে না। সেই মনিটরিংটা নাই। এসব ক্ষেত্রে সিভিল অ্যাভিয়েশন অথরিটিতে যারা আছেন তাদেরকে বিভিন্ন সময় আটাবের পক্ষ থেকে গিয়ে বোঝানো হচ্ছে। কোনো কোনো জায়গায় টিকেট ম্যানুপুলেশন হচ্ছে, কীভাবে হচ্ছে সেই ট্যাকনিক্যাল নলেজটা তাদের দিতে হচ্ছে।’
আশীষ রায় চৌধুরী মনে করেন, বাংলাদেশের টিকেটগুলোর দামের বিষয়ে আমার যতটুকু চিন্তাধারা ফরেন কেরিয়াররা যেহেতু রেমিট্যান্স করতে পারছে না তো সেই কারণেই এখানে বাড়াইয়া রাখছে। তারা অনলাইনে নেয় বাইরে থেকে নেয় এছাড়া তো কোন কারণ দেখি না। যেখানে দুবাই যেতে ১ লাখ ৪০ হাজার টাকা বিজনেস ক্লাস ফেয়ার ছিল সেখানে এখন ২ লাখ ৮০ হাজার টাকা হয়ে গেছে। নর্থ এমিরিকার টিকেটগুলির ফেয়ারও এক লাখের উপরে। সেটাতো জাস্টিফাইড না। যেহেতু বিদেশি এয়ারলাইন্স মুদ্রা তাদের দেশে নিতে পারছে না সেহেতু তারা ভাবছে তারা বেশি এখানেই বেশি রেট দিয়ে রাখছে যেন তাদের ইন্টারেস্টে কাভার হয়।
অবশ্য বাংলাদেশে বিদেশি এয়ারলাইনসের টাকা আটকে থাকার ঘটনা এর আগেও ঘটেছে। গত বছরের জুনেও একবার পাওনা আদায়ের তাগিদ দিয়েছিল বৈশ্বিক এয়ারলাইন্সগুলোর আন্তর্জাতিক জোট ইন্টারন্যাশনাল এয়ার ট্রান্সপোর্ট অ্যাসোসিয়েশন (আইএটিএ)। সে সময় সংস্থাটির বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছিল, বাংলাদেশে বিদেশি এয়ারলাইনসগুলোর প্রায় ২১৪ দশমিক ১ মিলিয়ন ডলার আটকা পড়েছে।
আইএটিএ জানায়, বাংলাদেশে বিদেশি এয়ারলাইন্সগুলোর পাওনা প্রায় ৩২৩ মিলিয়ন মার্কিন ডলার আটকে আছে।
এয়ারলাইন্সগুলোর টিকেট ‘সিন্ডিকেটের’ কবজায়
রোববার, ৩০ জুন ২০২৪
ডলার সংকট, টিকেট কালোবাজারি ও দক্ষ তদারকি না থাকায় কমছে না উড়োজাহাজের ভাড়া। আকাশপথে বাংলাদেশ থেকে মধ্যপ্রাচ্যসহ বিভিন্ন দেশে বিপুল হারে ভাড়া বাড়লেও তা আর কমার নাম নেই। চাহিদা বাড়লে দাম বাড়বে, এটা নতুন কিছু নয়। তবে যদি তিন-চার গুণ বেড়ে যায়, তখন স্বাভাবিকভাবেই তা সবার নজরে পড়ে। এয়ারলাইনস কোম্পানিগুলো এশিয়ার অন্য দেশগুলোর তুলনায় সর্বোচ্চ ভাড়া নিচ্ছে বাংলাদেশ থেকে।
ট্রাভেল কোম্পানিগুলোর দাবি, সাপ্লাই কম ও যাত্রীর চাপ বৃদ্ধির অজুহাতে যাত্রীদের থেকে অতিরিক্ত অর্থ হাতিয়ে নিচ্ছে উড়োজাহাজ প্রতিষ্ঠানগুলো।
প্রবাসীরা দাবি করছেন, বাংলাদেশ থেকে মধ্যপ্রাচ্যে যেতে উড়োজাহাজের টিকেটের দাম কয়েক বছরে সবচেয়ে অস্বাভাবিক বেড়েছে। তবে ডলার সংকটের চেয়েও ‘সংঘবদ্ধ চক্রের’ (সিন্ডিকেট) ‘কারসাজিকেই’ তারা দায়ী করেছেন। তারা বলেন, একটি ফ্লাইটের শিডিউল ঘোষণার কয়েক মিনিটের মধ্যেই টিকেট শেষ হয়ে যায়। বেশিরভাগ টিকেট সিন্ডিকেটের কবজায় রাখা হয় বলেও অভিযোগ সংশ্লিষ্টদের।
এভিয়েশন খাতসংশ্লিষ্ট মহল বলছে, বিদেশি এয়ারলাইনসগুলোর বিপুল ডলার আটকে থাকা এবং সিন্ডিকেটের কারণে চাহিদা বাড়লেই লাগামছাড়া হয়ে উঠছে বিমানের টিকেটের দাম।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, উড়োজাহাজের টিকেটের কাছে ‘অসহায়’ হয়ে পড়েছেন যাত্রী ও ট্রাভেল এজন্টরা। এর বড় উদাহরণ গত মে মাসের মালয়েশিয়াগামী কর্মীরা। সেখানে ৩০ হাজার টাকার টিকেট লাখ টাকার ওপরে কিনেও ফ্লাইট পাননি অনেকে মালয়েশিয়াগামীরা। শুধু এটা মালয়েশিয়া বা পৃথিবীর অনান্য রুটের ক্ষেত্রেই নয়, বিদেশি এয়ারলাইনসগুলোই বাড়াচ্ছে না। দেশিও এয়ালাইন্স কোম্পানিগুলোও ঈদ বা কোনো বড় অকেশনকে সামনে রেখে অভ্যন্তরীণ রুটের টিকেটের দামও বাড়ায়। যার উদহরণ সদ্য শেষ হওয়া ইদে ৩ থেকে সাড়ে ৪ হাজার টাকা থেকে বেড়ে ৯ থেকে ১১ হাজার টাকা।
এ বিষয়ে ট্রাভেল এজেন্সি নিয়ে গঠিত বাণিজ্যিক সংগঠন অ্যাসোসিয়েশন অব ট্রাভেল এজেন্টস অব বাংলাদেশের (আটাব) মহাসচিব আসফিয়া জান্নাত সালেহ সংবাদকে বলেন, ‘বিভিন্ন কারণে টিকেটের দাম বৃদ্ধি হয়। এক নম্বর হলো : এয়ারলাইন্সগুলো রেমিট্যান্স পাচ্ছে না বলে লোয়ার ক্লাস বন্ধ করে দিয়ে বিদেশ থেকে ও পাশের দেশ ইন্ডিয়া থেকে টিকেট ইশ্যু করছে। আর আমাদের দেশের জন্য হায়ার ক্লাস ওপেন করছে। বাংলাদেশের জন্য লোয়ার স্লাব বন্ধ করে হায়ার স্লাবগুলো চালু রাখা হয়েছে এ দেশের জন্য বিক্রি করার জন্য। এজন্য কম্পেয়ার টু আশপাশের দেশের থেকে আমাদের টিকেটের দাম বেশি।’
‘আমাদের দেশের ট্রাভেল এজেন্টগুলোর জন্য চ্যালেঞ্জ হলো; ১০ থেকে ১৫ শতাংশ টিকেট আউটস্টেশন থেকে ইশ্যু হচ্ছে। কিন্ত যাত্রী ট্রাভেল করে বাংলাদেশ থেকে। এতেও কিন্তু আমাদেরই ক্ষতি হচ্ছে কারণ আমরা এ কারণে রেভিনিউ নষ্ট করতেছি। সরকারও রেভিনিউ হারাচ্ছে’, বলেন তিনি।
আটাবের নেতারা মনে করেন, যখন চাহিদা বাড়ে, তখন বিমানের টিকেটের দাম অনেকটা বেড়ে যায়। তবে এটি এয়ারলাইনসগুলোর সিন্ডিকেডের কারণেই হয়। তারা টিকেগুলো ৫-৬টি ট্রাভেল এজেন্সিকে দিয়ে দেয়। ফলে ওই এজেন্সিগুলো দাম বাড়িয়ে দেয়। আর এ কারণেই গ্রাহকরা প্রয়োজনের সময় বেশি দামে টিকেট কিনতে বাধ্য হন।
যেকোনো এয়ার লাইন্সই অস্বাভাবিক ভাড়া বেড়েছে বলে মনে করেন এভিয়েশন বিশেষজ্ঞ আশীষ রায় চৌধুরী। তিনি সংবাদকে বলেন, ‘আমরা বিদেশিদের ব্যবসা করতে দিচ্ছি এটা আমাদের কন্ট্রোল করা উচিত। সিভিল এভিয়েশনের এটার ওপর পদক্ষেপ নেয়া উচিত। আগে যেমন প্রাইসের ওপর কন্ট্রোল ছিল। এখন তো ওই কন্ট্রোল নাই। যে যেরকম পারে তেমনভাবে ভাড়া বসাইয়া দেয়।’
এক্ষেত্রে সিভিল এভিয়েশনের ক্ষমতা খর্ব হয়েছে বলে মনে করেন তিনি। তিনি বলেন, ‘এখানে আমাদের আর ক্ষমতা নেই, প্রাইসের যে কন্ট্রোল সেটাও নেই। ইচ্ছেমতো যে যারমতো ফেয়ার বাড়াচ্ছে। কারণ, মালয়েশিয়ার টিকেট এক লাখ বা এর ওপর হওয়ার কথা নয়, কারণ কট্রোল নেই। ’
আসফিয়া জান্নাত সালেহ বলেন, ‘ফেয়ার এপ্রুভালটা সিভিল অ্যাভিয়েশন অর্থরিটিই দিয়ে থাকে। কিন্তু সেটাও সঠিকভাবে কার্যকর হচ্ছে না। সেই মনিটরিংটা নাই। এসব ক্ষেত্রে সিভিল অ্যাভিয়েশন অথরিটিতে যারা আছেন তাদেরকে বিভিন্ন সময় আটাবের পক্ষ থেকে গিয়ে বোঝানো হচ্ছে। কোনো কোনো জায়গায় টিকেট ম্যানুপুলেশন হচ্ছে, কীভাবে হচ্ছে সেই ট্যাকনিক্যাল নলেজটা তাদের দিতে হচ্ছে।’
আশীষ রায় চৌধুরী মনে করেন, বাংলাদেশের টিকেটগুলোর দামের বিষয়ে আমার যতটুকু চিন্তাধারা ফরেন কেরিয়াররা যেহেতু রেমিট্যান্স করতে পারছে না তো সেই কারণেই এখানে বাড়াইয়া রাখছে। তারা অনলাইনে নেয় বাইরে থেকে নেয় এছাড়া তো কোন কারণ দেখি না। যেখানে দুবাই যেতে ১ লাখ ৪০ হাজার টাকা বিজনেস ক্লাস ফেয়ার ছিল সেখানে এখন ২ লাখ ৮০ হাজার টাকা হয়ে গেছে। নর্থ এমিরিকার টিকেটগুলির ফেয়ারও এক লাখের উপরে। সেটাতো জাস্টিফাইড না। যেহেতু বিদেশি এয়ারলাইন্স মুদ্রা তাদের দেশে নিতে পারছে না সেহেতু তারা ভাবছে তারা বেশি এখানেই বেশি রেট দিয়ে রাখছে যেন তাদের ইন্টারেস্টে কাভার হয়।
অবশ্য বাংলাদেশে বিদেশি এয়ারলাইনসের টাকা আটকে থাকার ঘটনা এর আগেও ঘটেছে। গত বছরের জুনেও একবার পাওনা আদায়ের তাগিদ দিয়েছিল বৈশ্বিক এয়ারলাইন্সগুলোর আন্তর্জাতিক জোট ইন্টারন্যাশনাল এয়ার ট্রান্সপোর্ট অ্যাসোসিয়েশন (আইএটিএ)। সে সময় সংস্থাটির বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছিল, বাংলাদেশে বিদেশি এয়ারলাইনসগুলোর প্রায় ২১৪ দশমিক ১ মিলিয়ন ডলার আটকা পড়েছে।
আইএটিএ জানায়, বাংলাদেশে বিদেশি এয়ারলাইন্সগুলোর পাওনা প্রায় ৩২৩ মিলিয়ন মার্কিন ডলার আটকে আছে।