পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ জানিয়েছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আসন্ন চীন সফরে ২০ থেকে ২২টি সমঝোতা স্মারক সই হতে পারে। এবারের সফরকালে কোন চুক্তি হচ্ছেনা।
আজ রবিবার বিকালে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে প্রধানমন্ত্রীর চীন সফর উপলক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এতথ্য জানান।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘কোনও চুক্তি হচ্ছে না। শুধু সমঝোতা স্মারক হচ্ছে।’
স্বাক্ষর হওয়ার জন্য প্রস্তুত করা সমঝোতা স্মারকের মধ্যে রযেছে ব্যাংকিং ও ইনসুরেন্স সহযোগিতার জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকের সঙ্গে চীনের রেগুলেটরি কর্তৃপক্ষের সমঝোতা, অর্থনৈতিক উন্নয়ন নীতি সহযোগিতা বিষয়ক সমঝোতা, বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সংক্রান্ত সহযোগিতা,নবম চায়না ফ্রেন্সশিপ ব্রিজ নিয়ে সমঝোতা, মেডিক্যাল ও পাবলিক হেলথ বিষয়ে সমঝোতা, রেডিও ও টেলিভিশন সংক্রান্ত সহযোগিতা স্মারক ইত্যাদি।
সমঝোতা স্মারকের খাতভিত্তিক বিষয় সম্পর্কে পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, অর্থনৈতিক ও ব্যাংকিং খাত, বাণিজ্য ও বিনিয়োগ, ডিজিটাল ইকোনমি, অবকাঠামোগত উন্নয়ন, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা প্রভৃতি খাতে সহায়তা, ষষ্ঠ ও নবম বাংলাদেশ-চায়না ফ্রেন্ডশিপ ব্রিজ নির্মাণ, বাংলাদেশ থেকে কৃষিপণ্য রফতানি, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা, পিপল টু পিপল কানেকটিভিটি ইত্যাদি।
সংবাদ সম্মেলনে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘চীন আমাদের বড় উন্নয়ন সহযোগী। চীনের অনেক বিনিয়োগ আছে। তারা আমাদের অবকাঠামো উন্নয়নে বড় ভূমিকা রেখেছে। উন্নয়ন ইস্যুটি আমাদের প্রধান অগ্রাধিকার থাকবে এবং অর্থনেতিক সহযোগিতা অগ্রাধিকার পাবে’, যুক্ত করেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রীর সফর প্রসঙ্গে হাছান মাহমুদ বলেন, প্রধানমন্ত্রী আগামীকাল সোমবার (৮ জুলাই) সকাল ১১টায় বাংলাদেশ বিমানের বিশেষ ফ্লাইটে ঢাকা ছেড়ে চীনের স্থানীয় সময় বিকাল ৬টায় বেইজিং আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরে অবতরণ করবেন। সেখানে প্রধানমন্ত্রীকে গার্ড অব অনার দেওয়া হবে এবং যথাযথ সম্মান প্রদর্শন করে অভ্যর্থনা জানানো হবে।
৯ জুলাই মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে এশিয়ান ইনফ্রাস্ট্রাকচার ইনভেস্টমেন্ট ব্যাংকের প্রেসিডেন্ট জিন লিকুন সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন। একইদিন প্রধানমন্ত্রী সাং-গ্রি-লা সার্কেলে অনুষ্ঠেয় ‘সামিট অন ট্রেড, বিজনেস এন্ড ইনভেস্টমেন্ট অপরচুনিটিস বিটুইন বাংলাদেশ অ্যান্ড চায়না’ শীর্ষক সম্মেলনে অংশ নেবেন।
মঙ্গলবার দুপুরে প্রধানমন্ত্রী চীনের পিপলস পলিটিক্যাল কনসালটেটিভ কনফারেন্সের ১৪তম জাতীয় কমিটির চেয়ারম্যান ওয়াং হানিংয়ের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করবেন।
১০ জুলাই প্রধানমন্ত্রী গ্রেট হল অব দ্য পিপলে চীনের প্রধানমন্ত্রী লি ছিয়াংয়ের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন। সাক্ষাতের শুরুতে প্রধানমন্ত্রীর সম্মানে একটি অভ্যর্থনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হবে। একই স্থানে প্রধানমন্ত্রী ও চীনের প্রিমিয়ার অব দ্য স্টেট কাউন্সিল দুই দেশের উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধি দলসহ দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে মিলিত হবে।
বিকালে প্রধানমন্ত্রী চীনের রাষ্ট্রপতি শি চিনপিংয়ের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে মিলিত হবেন। প্রধানমন্ত্রীর এই সফর উপলক্ষে বাংলাদেশ ও চীন একটি যৌথ বিবৃতি দেবে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সফরসঙ্গী হিসেবে চীনে সরকারি সফরে অর্থমন্ত্রী, পররাষ্ট্রমন্ত্রী, প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা, বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী, পররাষ্ট্র সচিব, বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগের সচিবসহ সরকারের উচ্চপর্যায়ের সংশ্লিষ্ট সরকারি কর্মকর্তারা সফরসঙ্গী হবেন।
রোববার, ০৭ জুলাই ২০২৪
পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ জানিয়েছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আসন্ন চীন সফরে ২০ থেকে ২২টি সমঝোতা স্মারক সই হতে পারে। এবারের সফরকালে কোন চুক্তি হচ্ছেনা।
আজ রবিবার বিকালে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে প্রধানমন্ত্রীর চীন সফর উপলক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এতথ্য জানান।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘কোনও চুক্তি হচ্ছে না। শুধু সমঝোতা স্মারক হচ্ছে।’
স্বাক্ষর হওয়ার জন্য প্রস্তুত করা সমঝোতা স্মারকের মধ্যে রযেছে ব্যাংকিং ও ইনসুরেন্স সহযোগিতার জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকের সঙ্গে চীনের রেগুলেটরি কর্তৃপক্ষের সমঝোতা, অর্থনৈতিক উন্নয়ন নীতি সহযোগিতা বিষয়ক সমঝোতা, বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সংক্রান্ত সহযোগিতা,নবম চায়না ফ্রেন্সশিপ ব্রিজ নিয়ে সমঝোতা, মেডিক্যাল ও পাবলিক হেলথ বিষয়ে সমঝোতা, রেডিও ও টেলিভিশন সংক্রান্ত সহযোগিতা স্মারক ইত্যাদি।
সমঝোতা স্মারকের খাতভিত্তিক বিষয় সম্পর্কে পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, অর্থনৈতিক ও ব্যাংকিং খাত, বাণিজ্য ও বিনিয়োগ, ডিজিটাল ইকোনমি, অবকাঠামোগত উন্নয়ন, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা প্রভৃতি খাতে সহায়তা, ষষ্ঠ ও নবম বাংলাদেশ-চায়না ফ্রেন্ডশিপ ব্রিজ নির্মাণ, বাংলাদেশ থেকে কৃষিপণ্য রফতানি, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা, পিপল টু পিপল কানেকটিভিটি ইত্যাদি।
সংবাদ সম্মেলনে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘চীন আমাদের বড় উন্নয়ন সহযোগী। চীনের অনেক বিনিয়োগ আছে। তারা আমাদের অবকাঠামো উন্নয়নে বড় ভূমিকা রেখেছে। উন্নয়ন ইস্যুটি আমাদের প্রধান অগ্রাধিকার থাকবে এবং অর্থনেতিক সহযোগিতা অগ্রাধিকার পাবে’, যুক্ত করেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রীর সফর প্রসঙ্গে হাছান মাহমুদ বলেন, প্রধানমন্ত্রী আগামীকাল সোমবার (৮ জুলাই) সকাল ১১টায় বাংলাদেশ বিমানের বিশেষ ফ্লাইটে ঢাকা ছেড়ে চীনের স্থানীয় সময় বিকাল ৬টায় বেইজিং আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরে অবতরণ করবেন। সেখানে প্রধানমন্ত্রীকে গার্ড অব অনার দেওয়া হবে এবং যথাযথ সম্মান প্রদর্শন করে অভ্যর্থনা জানানো হবে।
৯ জুলাই মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে এশিয়ান ইনফ্রাস্ট্রাকচার ইনভেস্টমেন্ট ব্যাংকের প্রেসিডেন্ট জিন লিকুন সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন। একইদিন প্রধানমন্ত্রী সাং-গ্রি-লা সার্কেলে অনুষ্ঠেয় ‘সামিট অন ট্রেড, বিজনেস এন্ড ইনভেস্টমেন্ট অপরচুনিটিস বিটুইন বাংলাদেশ অ্যান্ড চায়না’ শীর্ষক সম্মেলনে অংশ নেবেন।
মঙ্গলবার দুপুরে প্রধানমন্ত্রী চীনের পিপলস পলিটিক্যাল কনসালটেটিভ কনফারেন্সের ১৪তম জাতীয় কমিটির চেয়ারম্যান ওয়াং হানিংয়ের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করবেন।
১০ জুলাই প্রধানমন্ত্রী গ্রেট হল অব দ্য পিপলে চীনের প্রধানমন্ত্রী লি ছিয়াংয়ের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন। সাক্ষাতের শুরুতে প্রধানমন্ত্রীর সম্মানে একটি অভ্যর্থনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হবে। একই স্থানে প্রধানমন্ত্রী ও চীনের প্রিমিয়ার অব দ্য স্টেট কাউন্সিল দুই দেশের উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধি দলসহ দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে মিলিত হবে।
বিকালে প্রধানমন্ত্রী চীনের রাষ্ট্রপতি শি চিনপিংয়ের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে মিলিত হবেন। প্রধানমন্ত্রীর এই সফর উপলক্ষে বাংলাদেশ ও চীন একটি যৌথ বিবৃতি দেবে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সফরসঙ্গী হিসেবে চীনে সরকারি সফরে অর্থমন্ত্রী, পররাষ্ট্রমন্ত্রী, প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা, বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী, পররাষ্ট্র সচিব, বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগের সচিবসহ সরকারের উচ্চপর্যায়ের সংশ্লিষ্ট সরকারি কর্মকর্তারা সফরসঙ্গী হবেন।