নিহত আবু সাঈদ
কোটা সংস্কার সংঘর্ষ, পুলিশের গুলি, রাবার বুলেট নিক্ষেপ, লাঠি চার্জসহ সহিংস ঘটনায় রংপুরে ১ জন নিহত হয়েছেন। এতে ১০ সাংবাদিক, পুলিশসহ শতাধিক আহত হয়েছেল।
দুপুর ২টা থেকে শুরু হওয়া সংঘর্ষ অব্যাহত রয়েছে। রংপুর নগরীর লালবাগ থেকে শুরু করে মর্ডান মোড়, পার্কের মোড় সহ বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় পর্যন্ত ৪ কিলোমিটার এলাকা ব্যাপি সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়েছে।
নিহতের পরিচয় পাওয়া গেছে। তার নাম আবু সাঈদ (২২)। সে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের ১২তম ব্যাচের শিক্ষার্থী এবং কোটা সংস্কার আন্দোলনের অন্যতম সমর্থক।
পুলিশ, প্রত্যক্ষদর্শী ও শিক্ষার্থীদের সূত্রে জানা গেছে, মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে রংপুর জেলা স্কুল থেকে কয়েক হাজার শিক্ষার্থী কোটা সংস্কারের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল বের করেন। এর আগে নগরীর সকল স্কুল কলেজের শিক্ষার্থীরা মিছিল নিয়ে সেখানে সমবেত হন।
মিছিলটি পুলিশ লাইন্স এর কাছে আসলে পুলিশ মিছিল কারীদের গতিরোধ করে। এ সময় মৃদু লাঠি চার্জ করে। কিন্তু পুলিশী বাঁধা উপেক্ষা করে মিছিলকারীরা নগরীর জাহাজ কোম্পানী এলাকায় এসে নগরীর প্রধান সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ শুরু করে। আধাঘন্টা সেখানে অবস্থান করে বিক্ষোভকারীরা মিছিল নিয়ে প্রেসক্লাবের সামনে এসে বিক্ষোভ করে।
এরপর বিক্ষোভকারীরা রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের দিকে যেতে চাইলে পুলিশ আবারো তাদের গতিরোধ করে। এক পর্যায়ে পুলিশের ব্যারিকেড ভেঙ্গে মিছিল নিয়ে ৪ কিলোমিটার সড়ক অতিক্রম করে নগরীর লালবাগ এলাকায় পৌঁছে। সেখানে কারমাইকেল বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের শিক্ষার্থীরা তাদের সাথে যোগ দেয়।
পরে মিছিলকারীরা রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছাকাছি আসলে ছাত্রলীগ ও যুবলীগের নেতা কর্মীরা রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের ভেতরে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভকারীদের উপর ইটপাটকেল নিক্ষেপ করলে সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ে। দুপক্ষের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া সংঘর্ষ শুরু হয়।
এ সময় বিক্ষোভকারীরা লালবাগ থেকে পার্কের মোড় এবং মর্ডান মোড় পুরো ৪ কিলোমিটার এলাকায় অবস্থান নেয়। সেখানে দুই পক্ষের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়।
পুলিশ বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে দুপক্ষের মাঝখানে অবস্থান নিয়ে নিবৃত করার চেষ্টা করে। এ সময় বেশ কয়েক রাউন্ড গুলি ও রাবার বুলেট নিক্ষেপ করে। এতে গুলিবিদ্ধ হয়ে আবু সাঈদ লুটিয়ে পড়ে। তাকে শিক্ষার্থীরা উদ্ধার করে একটি অটো রিকশায় তুলে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত বলে ঘোষনা করেন।
পুলিশ তার লাশ হাসপাতালের ডেড হাউজে নিয়ে রেখেছে বলে হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে।
সংঘর্ষে আহত অন্তত ২৫ জনকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল সহ বিভিন্ন ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়েছে।
ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ায় সংঘর্ষ বিশ্ববিদ্যালয়সহ পুরো এলাকায় ছড়িয়ে পড়েছে। উভয় পক্ষই লাঠি , গাছের ডাল সহ বিভিন্ন সামগ্রী ব্যাবহার করছে। কোটা সংস্কার শিক্ষার্থীদের নেতা মামুন অভিযোগ করেছেন, ‘ছাত্রলীগ বহিরাগতদের’ এনে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের ভেতরে অবস্থান নিয়ে তাদের লক্ষ্য করে ‘ইট ও পাথর নিক্ষেপ’ করায় ‘অর্ধশতাধিক শিক্ষার্থী’ আহত হয়েছেন। তার অভিযোগ, ‘পুলিশের গুলিতে’ বেরোবির শিক্ষার্থী আবু সাইদ নিহত হয়েছেন।
এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত সংঘর্ষ অব্যাহত রয়েছে।
মঙ্গলবার, ১৬ জুলাই ২০২৪
নিহত আবু সাঈদ
কোটা সংস্কার সংঘর্ষ, পুলিশের গুলি, রাবার বুলেট নিক্ষেপ, লাঠি চার্জসহ সহিংস ঘটনায় রংপুরে ১ জন নিহত হয়েছেন। এতে ১০ সাংবাদিক, পুলিশসহ শতাধিক আহত হয়েছেল।
দুপুর ২টা থেকে শুরু হওয়া সংঘর্ষ অব্যাহত রয়েছে। রংপুর নগরীর লালবাগ থেকে শুরু করে মর্ডান মোড়, পার্কের মোড় সহ বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় পর্যন্ত ৪ কিলোমিটার এলাকা ব্যাপি সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়েছে।
নিহতের পরিচয় পাওয়া গেছে। তার নাম আবু সাঈদ (২২)। সে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের ১২তম ব্যাচের শিক্ষার্থী এবং কোটা সংস্কার আন্দোলনের অন্যতম সমর্থক।
পুলিশ, প্রত্যক্ষদর্শী ও শিক্ষার্থীদের সূত্রে জানা গেছে, মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে রংপুর জেলা স্কুল থেকে কয়েক হাজার শিক্ষার্থী কোটা সংস্কারের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল বের করেন। এর আগে নগরীর সকল স্কুল কলেজের শিক্ষার্থীরা মিছিল নিয়ে সেখানে সমবেত হন।
মিছিলটি পুলিশ লাইন্স এর কাছে আসলে পুলিশ মিছিল কারীদের গতিরোধ করে। এ সময় মৃদু লাঠি চার্জ করে। কিন্তু পুলিশী বাঁধা উপেক্ষা করে মিছিলকারীরা নগরীর জাহাজ কোম্পানী এলাকায় এসে নগরীর প্রধান সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ শুরু করে। আধাঘন্টা সেখানে অবস্থান করে বিক্ষোভকারীরা মিছিল নিয়ে প্রেসক্লাবের সামনে এসে বিক্ষোভ করে।
এরপর বিক্ষোভকারীরা রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের দিকে যেতে চাইলে পুলিশ আবারো তাদের গতিরোধ করে। এক পর্যায়ে পুলিশের ব্যারিকেড ভেঙ্গে মিছিল নিয়ে ৪ কিলোমিটার সড়ক অতিক্রম করে নগরীর লালবাগ এলাকায় পৌঁছে। সেখানে কারমাইকেল বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের শিক্ষার্থীরা তাদের সাথে যোগ দেয়।
পরে মিছিলকারীরা রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছাকাছি আসলে ছাত্রলীগ ও যুবলীগের নেতা কর্মীরা রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের ভেতরে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভকারীদের উপর ইটপাটকেল নিক্ষেপ করলে সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ে। দুপক্ষের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া সংঘর্ষ শুরু হয়।
এ সময় বিক্ষোভকারীরা লালবাগ থেকে পার্কের মোড় এবং মর্ডান মোড় পুরো ৪ কিলোমিটার এলাকায় অবস্থান নেয়। সেখানে দুই পক্ষের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়।
পুলিশ বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে দুপক্ষের মাঝখানে অবস্থান নিয়ে নিবৃত করার চেষ্টা করে। এ সময় বেশ কয়েক রাউন্ড গুলি ও রাবার বুলেট নিক্ষেপ করে। এতে গুলিবিদ্ধ হয়ে আবু সাঈদ লুটিয়ে পড়ে। তাকে শিক্ষার্থীরা উদ্ধার করে একটি অটো রিকশায় তুলে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত বলে ঘোষনা করেন।
পুলিশ তার লাশ হাসপাতালের ডেড হাউজে নিয়ে রেখেছে বলে হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে।
সংঘর্ষে আহত অন্তত ২৫ জনকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল সহ বিভিন্ন ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়েছে।
ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ায় সংঘর্ষ বিশ্ববিদ্যালয়সহ পুরো এলাকায় ছড়িয়ে পড়েছে। উভয় পক্ষই লাঠি , গাছের ডাল সহ বিভিন্ন সামগ্রী ব্যাবহার করছে। কোটা সংস্কার শিক্ষার্থীদের নেতা মামুন অভিযোগ করেছেন, ‘ছাত্রলীগ বহিরাগতদের’ এনে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের ভেতরে অবস্থান নিয়ে তাদের লক্ষ্য করে ‘ইট ও পাথর নিক্ষেপ’ করায় ‘অর্ধশতাধিক শিক্ষার্থী’ আহত হয়েছেন। তার অভিযোগ, ‘পুলিশের গুলিতে’ বেরোবির শিক্ষার্থী আবু সাইদ নিহত হয়েছেন।
এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত সংঘর্ষ অব্যাহত রয়েছে।