কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীরা জানিয়েছেন, আন্দোলনের পাশাপাশি আলোচনার পথও খোলা থাকবে।
বুধবার রাত পৌনে ৩টার দিকে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা বলেন কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের প্ল্যাটফর্ম বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ।
বুধবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে শিক্ষার্থীদের আদালতের রায় পর্যন্ত ধৈর্য ধরার আহ্বান জানিয়েছেন। একই সাথে তিনি ১৬ জুলাই যারা নাশকতা-তাণ্ডব করেছে, সেই সমস্ত ঘটনার বিচার বিভাগীয় তদন্তের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দিয়েছেন।
গতকাল বুধবার কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের ঘোষণায় আজ সারাদেশে চলছে কমপ্লিট শাটডাউন। কোটা সংস্কার আন্দোলন নিয়ে সরকার এবং আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের অনড় অবস্থান লক্ষ্য করা যাচ্ছে। তবে শিক্ষার্থীরা জানায়, তারা পড়ার টেবিলে ফিরতে চায়। সরকারের কাছ থেকে দৃশ্যমান পদক্ষেপ সমাধানের পথ তৈরি করতে পারে। আন্দোলনের পাশাপাশি আলোচনার পথও খোলা থাকবে।
আন্দোলনকারীরা বলেছেন, "সরকারের কাছ থেকে দৃশ্যমান পদক্ষেপ সমাধানের পথ তৈরি করতে পারে। আমাদের আন্দোলনের পাশাপাশি আলোচনার পথও খোলা থাকবে।"
তাদের ভাষ্য, "সরকারের কাছ থেকে দৃশ্যমান পদক্ষেপ সমাধানের পথ তৈরি করতে পারে। আমাদের আন্দোলনের পাশাপাশি আলোচনার পথও খোলা থাকবে।"
বিজ্ঞপ্তিতে সারাদেশে ‘হত্যা ও হামলার’ সঙ্গে জড়িত ছাত্রলীগ কর্মী ও দায়িত্বরত পুলিশদের বিচারের আওতায় আনা এবং জাতীয় সংসদে আইন পাসের মাধ্যমে কোটা সংস্কারের দাবি জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, “শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে হামলা চালিয়ে সরকারই উদ্ভূত পরিস্থিতি তৈরি করেছে। কোটা সংস্কারের যৌক্তিক ও ন্যায্য আন্দোলনে পুলিশ-বিজিবি-ছাত্রলীগ যৌথভাবে হামলা করে আন্দোলন দমনের প্রচেষ্টা করছে।
"শিক্ষার্থীদের আন্দোলন স্বতঃস্ফূর্ত ও শান্তিপূর্ণ থাকলেও সরকার কোনো ধরনের দৃশ্যমান পদক্ষেপ নেয়নি। সরকার প্রথমে বিচার বিভাগকে সামনে রেখে শিক্ষার্থীদের সাথে কালক্ষেপণ ও দায় এড়ানোর চেষ্টা করেছে। পরবর্তীতে সরকারের নির্দেশনায় আইন শৃঙ্খলা বাহিনী ও দলীয় সন্ত্রাসীদের মাধ্যমে সহিংসভাবে আন্দোলন দমনের প্রচেষ্টা চলছে।"
কোটা সংস্কারের দাবিতে চলমান আন্দোলনের অংশ হিসেবে মঙ্গলবার বিকালে দেশের সব ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ সমাবেশের কর্মসূচি ঘোষণা করেছিল আন্দোলনকারীরা। তবে বেলা ১১টা থেকেই ঢাকাসহ বিভিন্ন স্থানে সড়ক অবরোধ করে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ শুরু করে।
পরে বিভিন্ন স্থানে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে সরকারদলীয় সংগঠনের নেতাকর্মী ও পুলিশের সংঘর্ষ বাঁধে। এসব ঘটনায় চট্টগ্রামে তিনজন, ঢাকায় দুজন এবং রংপুরে একজনের মৃত্যু হয়।
বুধবারও বিভিন্ন স্থানে শিক্ষার্থীরা পুলিশের সঙ্গে সংঘাতে জড়িয়েছে। এসব ঘটনায় আহত হয়েছেন কয়েক ডজন মানুষ। সরকার সব বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা করে শিক্ষার্থীদের হলত্যাগের নির্দেশ দেয়।
বুধবার সন্ধ্যায় জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, “আমি বিশ্বাস করি কোটা সংস্কার আন্দোলনের সঙ্গে যারা জড়িত তাদের সাথে সন্ত্রাসীদের কোনো সম্পর্ক নেই। বরং সন্ত্রাসীরা এদের মধ্যে ঢুকে সন্ত্রাস ও নৈরাজ্যকর পরিস্থিতির সৃষ্টি করছে।
তিনি দেশজুড়ে সংঘাতের বিচারবিভাগীয় তদন্তের ঘোষণা দিয়েছেন এবং সর্বোচ্চ আদালতের রায় আসা পর্যন্ত ধৈয্য ধরার আহ্বান জানিয়ে আন্দোলনকারীদের বলেছেন, সেখানে ছাত্রসমাজ ন্যায়বিচার পাবে বলেই তার বিশ্বাস।
কিন্তু প্রধানমন্ত্রীর এ আহ্বানে সাড়া না দিয়ে বৃহস্পতিবার সারা দেশে ‘শাটডাউনের’ ঘোষণা দেন আন্দোলনকারীরা। এই কর্মসূচিতে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে সড়ক অবরোধে ভোগান্তিতে পড়েছে মানুষ। রাজধানীতের কয়েক জায়গায় সংঘর্ষেরও খবর এসেছে।
বৃহস্পতিবার, ১৮ জুলাই ২০২৪
কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীরা জানিয়েছেন, আন্দোলনের পাশাপাশি আলোচনার পথও খোলা থাকবে।
বুধবার রাত পৌনে ৩টার দিকে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা বলেন কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের প্ল্যাটফর্ম বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ।
বুধবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে শিক্ষার্থীদের আদালতের রায় পর্যন্ত ধৈর্য ধরার আহ্বান জানিয়েছেন। একই সাথে তিনি ১৬ জুলাই যারা নাশকতা-তাণ্ডব করেছে, সেই সমস্ত ঘটনার বিচার বিভাগীয় তদন্তের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দিয়েছেন।
গতকাল বুধবার কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের ঘোষণায় আজ সারাদেশে চলছে কমপ্লিট শাটডাউন। কোটা সংস্কার আন্দোলন নিয়ে সরকার এবং আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের অনড় অবস্থান লক্ষ্য করা যাচ্ছে। তবে শিক্ষার্থীরা জানায়, তারা পড়ার টেবিলে ফিরতে চায়। সরকারের কাছ থেকে দৃশ্যমান পদক্ষেপ সমাধানের পথ তৈরি করতে পারে। আন্দোলনের পাশাপাশি আলোচনার পথও খোলা থাকবে।
আন্দোলনকারীরা বলেছেন, "সরকারের কাছ থেকে দৃশ্যমান পদক্ষেপ সমাধানের পথ তৈরি করতে পারে। আমাদের আন্দোলনের পাশাপাশি আলোচনার পথও খোলা থাকবে।"
তাদের ভাষ্য, "সরকারের কাছ থেকে দৃশ্যমান পদক্ষেপ সমাধানের পথ তৈরি করতে পারে। আমাদের আন্দোলনের পাশাপাশি আলোচনার পথও খোলা থাকবে।"
বিজ্ঞপ্তিতে সারাদেশে ‘হত্যা ও হামলার’ সঙ্গে জড়িত ছাত্রলীগ কর্মী ও দায়িত্বরত পুলিশদের বিচারের আওতায় আনা এবং জাতীয় সংসদে আইন পাসের মাধ্যমে কোটা সংস্কারের দাবি জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, “শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে হামলা চালিয়ে সরকারই উদ্ভূত পরিস্থিতি তৈরি করেছে। কোটা সংস্কারের যৌক্তিক ও ন্যায্য আন্দোলনে পুলিশ-বিজিবি-ছাত্রলীগ যৌথভাবে হামলা করে আন্দোলন দমনের প্রচেষ্টা করছে।
"শিক্ষার্থীদের আন্দোলন স্বতঃস্ফূর্ত ও শান্তিপূর্ণ থাকলেও সরকার কোনো ধরনের দৃশ্যমান পদক্ষেপ নেয়নি। সরকার প্রথমে বিচার বিভাগকে সামনে রেখে শিক্ষার্থীদের সাথে কালক্ষেপণ ও দায় এড়ানোর চেষ্টা করেছে। পরবর্তীতে সরকারের নির্দেশনায় আইন শৃঙ্খলা বাহিনী ও দলীয় সন্ত্রাসীদের মাধ্যমে সহিংসভাবে আন্দোলন দমনের প্রচেষ্টা চলছে।"
কোটা সংস্কারের দাবিতে চলমান আন্দোলনের অংশ হিসেবে মঙ্গলবার বিকালে দেশের সব ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ সমাবেশের কর্মসূচি ঘোষণা করেছিল আন্দোলনকারীরা। তবে বেলা ১১টা থেকেই ঢাকাসহ বিভিন্ন স্থানে সড়ক অবরোধ করে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ শুরু করে।
পরে বিভিন্ন স্থানে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে সরকারদলীয় সংগঠনের নেতাকর্মী ও পুলিশের সংঘর্ষ বাঁধে। এসব ঘটনায় চট্টগ্রামে তিনজন, ঢাকায় দুজন এবং রংপুরে একজনের মৃত্যু হয়।
বুধবারও বিভিন্ন স্থানে শিক্ষার্থীরা পুলিশের সঙ্গে সংঘাতে জড়িয়েছে। এসব ঘটনায় আহত হয়েছেন কয়েক ডজন মানুষ। সরকার সব বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা করে শিক্ষার্থীদের হলত্যাগের নির্দেশ দেয়।
বুধবার সন্ধ্যায় জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, “আমি বিশ্বাস করি কোটা সংস্কার আন্দোলনের সঙ্গে যারা জড়িত তাদের সাথে সন্ত্রাসীদের কোনো সম্পর্ক নেই। বরং সন্ত্রাসীরা এদের মধ্যে ঢুকে সন্ত্রাস ও নৈরাজ্যকর পরিস্থিতির সৃষ্টি করছে।
তিনি দেশজুড়ে সংঘাতের বিচারবিভাগীয় তদন্তের ঘোষণা দিয়েছেন এবং সর্বোচ্চ আদালতের রায় আসা পর্যন্ত ধৈয্য ধরার আহ্বান জানিয়ে আন্দোলনকারীদের বলেছেন, সেখানে ছাত্রসমাজ ন্যায়বিচার পাবে বলেই তার বিশ্বাস।
কিন্তু প্রধানমন্ত্রীর এ আহ্বানে সাড়া না দিয়ে বৃহস্পতিবার সারা দেশে ‘শাটডাউনের’ ঘোষণা দেন আন্দোলনকারীরা। এই কর্মসূচিতে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে সড়ক অবরোধে ভোগান্তিতে পড়েছে মানুষ। রাজধানীতের কয়েক জায়গায় সংঘর্ষেরও খবর এসেছে।