কোটাবিরোধী আন্দোলন চলাকালে গাজীপুরের শিল্পনগরী টঙ্গীতে বিভিন্ন সরকারি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে নাশকতাকারীদের হামলা, ভাঙচুর, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় ক্ষয়ক্ষতির পরিমান ৩৩ কোটি ৮১ লাখ চার হাজার টাকা। এসব ঘটনায় টঙ্গী পূর্ব ও পশ্চিম থানায় পৃথক দশটি মামলা হয়েছে। এসব মামলায় শনাক্ত ও অজ্ঞাত আসামি দশ হাজারেরও বেশি, গ্রেপ্তার হয়েছে শতাধিক।
২৫ জুলাই বৃহস্পতিবার রাত ১০টা পর্যন্ত টঙ্গী পূর্ব ও পশ্চিম থানায় এসব মামলা হয়। মামলার এজাহার থেকে জানা যায়, আন্দোলন চলাকালে দূর্বৃত্তরা টঙ্গীতে ব্যাপক সন্ত্রাসী ও নাশকতামূলক কর্মকা- চালায়। সৃষ্ট নাশকতায় কয়েকটি সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের বিপুল পরিমান ক্ষতি সাধন করে। তারা ঢাকা ইলেকট্রিক সাপ্লাই কোম্পানি লিমিটেডের (ডেস্কো) চেরাগ আলী এলাকার কার্যালয়ে হামলা, ভাঙচুর, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগ করে। এ ঘটনায় ডেস্কো প্রশাসনিক কর্মকর্তা উসমান গনি বাদী হয়ে দুই কোটি ৬৫ লাখ ৬০ হাজার টাকার ক্ষয়ক্ষতি উল্লেখ করে মামলা দায়ের করেন। একই ধারাবাহিকতায় গাজীপুর সিটি করপোরেশনের জোন-১ টঙ্গী অফিসে হামলা, ভাঙচুর, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগ করে ১৪টি গাড়ি পুড়িয়ে দেয় ও ৮টি গাড়ি ভাঙচুর করে। এ ঘটনায় সিটি করপোরেশন টঙ্গীর অফিস সহকারী আবদুল বাতেন বাদী হয়ে ২০ কোটি টাকা ক্ষতি উল্লেখ করে মামলা করেন। বিআরটি প্রকল্পের কলেজগেট থেকে গাজীপুর পর্যন্ত ১০ কোটি ২১ লাখ ৭৪ হাজার টাকার ক্ষয়ক্ষতি দেখিয়ে মামলা করেছে কর্তৃপক্ষ। গাজীপুর শিল্প পুলিশ-২ এর টঙ্গী কলেজ গেটের কার্যালয়ে হামলার ঘটনায় পুলিশের দায়েরকৃত মামলায় ক্ষতির পরিমান ১০ লাখ ২ হাজার টাকা। বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালসে হামলা ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় প্রধান নিরাপত্তাকর্মী আ. রহিম ক্ষতির পরিমান ৮১ লাখ ৮৫ হাজার টাকা উল্লেখ করে একটি মামলা দায়ের করেন। এরশাদনগর যুবলীগ অফিসে হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় স্থানীয় যুবলীগ নেতা জুয়েল রানা বাদী হয়ে এক লাখ ৮৩ হাজার টাকার ক্ষতি উল্লেখ করে মামলা করে।
এছাড়া টঙ্গী পশ্চিম থানায় একাধিক হামলার ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে একাধিক মামলা দায়ের করে। টঙ্গী পূর্ব ও পশ্চিম থানায় দায়েরকৃত ১০ মামলায় শনাক্ত ও অজ্ঞাত প্রায় ১০ হাজার আসামি। এদের মধ্যে শতাধিক আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
টঙ্গী পশ্চিম থানার ওসি সাখাওয়াত হোসেন সাতটি মামলার কথা স্বীকার করে খবরের সত্যতা নিশ্চিত করে সংবাদকে বলেন টঙ্গী পশ্চিম থানায় এই পর্যন্ত ৮টি মামলা করা হয়েছে।
টঙ্গী পূর্ব থানার পরিদর্শক তদন্ত জাহাঙ্গীর আলম সংবাদকে জানান, পূূর্ব থানায় নাশকতা অগ্নি সংযোগ ও ভাঙচুরের ঘটনায় দুইটি মামলার বিষয়ে সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন এসব মামলায় অর্ধশতাধিক আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বাকি আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪
কোটাবিরোধী আন্দোলন চলাকালে গাজীপুরের শিল্পনগরী টঙ্গীতে বিভিন্ন সরকারি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে নাশকতাকারীদের হামলা, ভাঙচুর, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় ক্ষয়ক্ষতির পরিমান ৩৩ কোটি ৮১ লাখ চার হাজার টাকা। এসব ঘটনায় টঙ্গী পূর্ব ও পশ্চিম থানায় পৃথক দশটি মামলা হয়েছে। এসব মামলায় শনাক্ত ও অজ্ঞাত আসামি দশ হাজারেরও বেশি, গ্রেপ্তার হয়েছে শতাধিক।
২৫ জুলাই বৃহস্পতিবার রাত ১০টা পর্যন্ত টঙ্গী পূর্ব ও পশ্চিম থানায় এসব মামলা হয়। মামলার এজাহার থেকে জানা যায়, আন্দোলন চলাকালে দূর্বৃত্তরা টঙ্গীতে ব্যাপক সন্ত্রাসী ও নাশকতামূলক কর্মকা- চালায়। সৃষ্ট নাশকতায় কয়েকটি সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের বিপুল পরিমান ক্ষতি সাধন করে। তারা ঢাকা ইলেকট্রিক সাপ্লাই কোম্পানি লিমিটেডের (ডেস্কো) চেরাগ আলী এলাকার কার্যালয়ে হামলা, ভাঙচুর, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগ করে। এ ঘটনায় ডেস্কো প্রশাসনিক কর্মকর্তা উসমান গনি বাদী হয়ে দুই কোটি ৬৫ লাখ ৬০ হাজার টাকার ক্ষয়ক্ষতি উল্লেখ করে মামলা দায়ের করেন। একই ধারাবাহিকতায় গাজীপুর সিটি করপোরেশনের জোন-১ টঙ্গী অফিসে হামলা, ভাঙচুর, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগ করে ১৪টি গাড়ি পুড়িয়ে দেয় ও ৮টি গাড়ি ভাঙচুর করে। এ ঘটনায় সিটি করপোরেশন টঙ্গীর অফিস সহকারী আবদুল বাতেন বাদী হয়ে ২০ কোটি টাকা ক্ষতি উল্লেখ করে মামলা করেন। বিআরটি প্রকল্পের কলেজগেট থেকে গাজীপুর পর্যন্ত ১০ কোটি ২১ লাখ ৭৪ হাজার টাকার ক্ষয়ক্ষতি দেখিয়ে মামলা করেছে কর্তৃপক্ষ। গাজীপুর শিল্প পুলিশ-২ এর টঙ্গী কলেজ গেটের কার্যালয়ে হামলার ঘটনায় পুলিশের দায়েরকৃত মামলায় ক্ষতির পরিমান ১০ লাখ ২ হাজার টাকা। বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালসে হামলা ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় প্রধান নিরাপত্তাকর্মী আ. রহিম ক্ষতির পরিমান ৮১ লাখ ৮৫ হাজার টাকা উল্লেখ করে একটি মামলা দায়ের করেন। এরশাদনগর যুবলীগ অফিসে হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় স্থানীয় যুবলীগ নেতা জুয়েল রানা বাদী হয়ে এক লাখ ৮৩ হাজার টাকার ক্ষতি উল্লেখ করে মামলা করে।
এছাড়া টঙ্গী পশ্চিম থানায় একাধিক হামলার ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে একাধিক মামলা দায়ের করে। টঙ্গী পূর্ব ও পশ্চিম থানায় দায়েরকৃত ১০ মামলায় শনাক্ত ও অজ্ঞাত প্রায় ১০ হাজার আসামি। এদের মধ্যে শতাধিক আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
টঙ্গী পশ্চিম থানার ওসি সাখাওয়াত হোসেন সাতটি মামলার কথা স্বীকার করে খবরের সত্যতা নিশ্চিত করে সংবাদকে বলেন টঙ্গী পশ্চিম থানায় এই পর্যন্ত ৮টি মামলা করা হয়েছে।
টঙ্গী পূর্ব থানার পরিদর্শক তদন্ত জাহাঙ্গীর আলম সংবাদকে জানান, পূূর্ব থানায় নাশকতা অগ্নি সংযোগ ও ভাঙচুরের ঘটনায় দুইটি মামলার বিষয়ে সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন এসব মামলায় অর্ধশতাধিক আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বাকি আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।