কোটা সংস্কার আন্দোলনকে ঘিরে সহিংসতায় কতজন মারা গেছেন, হত্যায় কারা জড়িত- এসব বিষয়ে খোঁজ-খবর নেয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। ক্ষমতাসীন দলের এই নেতা মনে করেন, পুলিশ ও সাধারণ মানুষ কোনো হত্যায় অংশ নিতে পারেন না। তিনি বলেছেন, ‘আমরা খোঁজ-খবর নিচ্ছি। সব সত্য বেরিয়ে আসবে।’
শুক্রবার (২৬ জুলাই) ঢাকার ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
গত কয়েক দিনের সহিংসতায় কতজন মারা গেছেন, সে সংখ্যা আছে কিনা- সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আমরা মৃত্যুর তালিকা...পত্র-পত্রিকায় দেখেছি দুইশ’র মতো বা দুইশ’র চেয়ে একটু বেশি। আমরা এটার খোঁজ-খবর নিচ্ছি। অনেক জায়গায়...জাহাঙ্গীরের (গাজীপুরের সাবেক মেয়র) সঙ্গে জুয়েল নামের একটি ছেলে সব সময় থাকত, তাকে উত্তরায় মেরে লাশ লটকিয়ে রাখা হয়। কী বর্বর! নৃশংসতা। পুলিশকে মেরে ঝুলিয়ে রাখা হয়।’
সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘অনেক নিরীহ মানুষ মারা গেছেন। জানালা দিয়ে বাইরের দৃশ্যপট দেখতে ছিল...বাচ্চা যখন তাকাল, সেই বাচ্চা গুলি খেয়ে মারা গেল। তারপরে এ ধরনের ঘটনা আরও অনেক ঘটেছে। রাস্তায় বেরিয়েছে, নিষ্পাপ, নির্বোধ শিশু, কিছুক্ষণ পর দেখা গেল সে-ও লাশ হয়ে পড়ে ছিল। এ রকম ঘটনা অনেক আছে। এগুলো জামায়াত-শিবিরের তা-ব। আমরা খোঁজ-খবর নিচ্ছি। সাংবাদিকেরাও নিচ্ছেন। সব সত্য বেরিয়ে আসবে।’
নির্দেশদাতারা গ্রেপ্তার হচ্ছে
সাংবাদিকদের আরেক প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘জামায়াত-শিবিরের হাতে অস্ত্র ছিল। কিছু অস্ত্র উদ্ধার হয়েছে। এখনও চলছে (উদ্ধার অভিযান)। উদ্ধার হবেই। তাদের নির্দেশদাতা ও হোতারা কিন্তু গ্রেপ্তার হয়েছে। রিমান্ডে আছে। অনেক সত্য বেরিয়ে আসবে।’
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘একাত্তর, পঁচাত্তর, ৩ নভেম্বর, ২১ আগস্টের খুনি এবং ২০১৩, ১৪, ১৫ সাল ও সর্বশেষ ২০২৪ সালে একই বিশ্বাসঘাতক, একই খুনি-তারা হচ্ছে বিএনপি-জামায়াত। শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে ছাত্রদল, শিবির, উগ্র জঙ্গিগোষ্ঠীর সুইসাইড স্কোয়াড অনুপ্রবেশ করে সারাদেশে পাকিস্তানি কায়দায় তা-ব চালিয়েছে। আন্দোলনের নামে শিক্ষার্থীদের হত্যা করে সরকারের ওপর দায় চাপিয়েছে।’
সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘পুলিশ ও সাধারণ মানুষ কোনো হত্যায় অংশ নিতে পারেন না। আমরা কোনো অনাকাক্সিক্ষত মৃত্যু সমর্থন করি না। প্রতিটি হত্যার বিচারবিভাগীয় তদন্ত হবে। প্রধানমন্ত্রী এ কথা পরিষ্কার জানিয়ে দিয়েছেন।’ খোঁজ-খবর নিচ্ছি
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর তদন্তে যখন স্পষ্ট হয়ে উঠেছে বিএনপি-জামায়াতের ষড়যন্ত্রে নৈরাজ্য-নাশকতার তথ্য পাওয়া যাচ্ছে। নির্দেশদাতা ও অর্থদাতাদের পরিচয় পাওয়া যাচ্ছে। মির্জা ফখরুলের থলের বিড়াল বের হতে শুরু করছে, তখন তিনি আন্তর্জাতিক তদন্তের দাবি করছেন। তারা সব সময় জনগণের আস্থা না রেখে বিদেশি প্রভুদের ওপর ভর করে রাজনীতি করেন। এ ক্ষেত্রেও তাদের সন্ত্রাসী চরিত্র উন্মোচিত হওয়া থেকে দায়মুক্তির জন্য বিদেশি হস্তক্ষেপের দাবি করছেন।’
জঙ্গিগোষ্ঠী এখনও সক্রিয়
বিএনপি-জামায়াত-শিবির জঙ্গিগোষ্ঠী এখনও সক্রিয় আছে দাবি করে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘তাদের প্রশিক্ষিত ক্যাডাররা চোরাগোপ্তা হামলা চালাতে প্রস্তুত হচ্ছে বলে আমাদের কাছে খবর আছে। তারা আবারও বিভিন্নভাবে হামলা চালাতে পারে। দেশের জনগণের প্রতি আহ্বান, যেখানে অস্ত্রধারী ক্যাডারদের খোঁজ পাবেন, তাদের তথ্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে দিয়ে সহযোগিতা করবেন।’
দলের অভ্যন্তরীণ গণতন্ত্রের চর্চা হিসেবে আওয়ামী লীগ গত চারদিন মূল্যায়ন সভা করেছে জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘এখানে বিতর্ক হতেই পারে। যেকোনো বিষয়ে তর্ক হতেই পারে। কিন্তু কেউ তো মারামারি করেনি। কোনো হাতাহাতি হয়নি।’
অভিভাবকদের প্রতি আহ্বান
শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগ সরকারকে দাঁড় কারানোর অপচেষ্টা চলছে অভিযোগ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আমাদের তাদের বিরুদ্ধে দাঁড় করানোর অপচেষ্টা কোনোভাবেই সফল হবে না। আমরা শিক্ষার্থীদের পাশে আছি। অভিভাবকদের প্রতি আহ্বান জানাব, কেউ যাতে আপনার সন্তানকে ভুল পথে ধাবিত করতে না পারে, সেই বিষয়ে সতর্ক থাকবেন। অশুভ শক্তির কাছে স্বাধীন বাংলাদেশ পরাজিত হতে পারে না।’
লিফলেট বিতরণ কর্মসূচী
দলের নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্য করে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিএনপি-জামায়াত, ছাত্রদল-শিবির, জঙ্গিগোষ্ঠীর সন্ত্রাসীরা আর যাতে সহিংসতা ছড়াতে না পারে, সে জন্য সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে। ‘এরা দেশের ধ্বংস চায়’ এই শিরোনামে আওয়ামী লীগ সারাদেশে লিফলেট বিতরণ করবে বলেও জানান ওবায়দুল কাদের।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সভাপতিম-লীর সদস্য আবদুর রাজ্জাক, মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, জাহাঙ্গীর কবির নানক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ, সাংগঠনিক সম্পাদক বি এম মোজাম্মেল হক, এস এম কামাল হোসেন, মির্জা আজম, আফজাল হোসেন, সুজিত রায় নন্দী, দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়–য়া প্রমুখ।
শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪
কোটা সংস্কার আন্দোলনকে ঘিরে সহিংসতায় কতজন মারা গেছেন, হত্যায় কারা জড়িত- এসব বিষয়ে খোঁজ-খবর নেয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। ক্ষমতাসীন দলের এই নেতা মনে করেন, পুলিশ ও সাধারণ মানুষ কোনো হত্যায় অংশ নিতে পারেন না। তিনি বলেছেন, ‘আমরা খোঁজ-খবর নিচ্ছি। সব সত্য বেরিয়ে আসবে।’
শুক্রবার (২৬ জুলাই) ঢাকার ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
গত কয়েক দিনের সহিংসতায় কতজন মারা গেছেন, সে সংখ্যা আছে কিনা- সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আমরা মৃত্যুর তালিকা...পত্র-পত্রিকায় দেখেছি দুইশ’র মতো বা দুইশ’র চেয়ে একটু বেশি। আমরা এটার খোঁজ-খবর নিচ্ছি। অনেক জায়গায়...জাহাঙ্গীরের (গাজীপুরের সাবেক মেয়র) সঙ্গে জুয়েল নামের একটি ছেলে সব সময় থাকত, তাকে উত্তরায় মেরে লাশ লটকিয়ে রাখা হয়। কী বর্বর! নৃশংসতা। পুলিশকে মেরে ঝুলিয়ে রাখা হয়।’
সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘অনেক নিরীহ মানুষ মারা গেছেন। জানালা দিয়ে বাইরের দৃশ্যপট দেখতে ছিল...বাচ্চা যখন তাকাল, সেই বাচ্চা গুলি খেয়ে মারা গেল। তারপরে এ ধরনের ঘটনা আরও অনেক ঘটেছে। রাস্তায় বেরিয়েছে, নিষ্পাপ, নির্বোধ শিশু, কিছুক্ষণ পর দেখা গেল সে-ও লাশ হয়ে পড়ে ছিল। এ রকম ঘটনা অনেক আছে। এগুলো জামায়াত-শিবিরের তা-ব। আমরা খোঁজ-খবর নিচ্ছি। সাংবাদিকেরাও নিচ্ছেন। সব সত্য বেরিয়ে আসবে।’
নির্দেশদাতারা গ্রেপ্তার হচ্ছে
সাংবাদিকদের আরেক প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘জামায়াত-শিবিরের হাতে অস্ত্র ছিল। কিছু অস্ত্র উদ্ধার হয়েছে। এখনও চলছে (উদ্ধার অভিযান)। উদ্ধার হবেই। তাদের নির্দেশদাতা ও হোতারা কিন্তু গ্রেপ্তার হয়েছে। রিমান্ডে আছে। অনেক সত্য বেরিয়ে আসবে।’
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘একাত্তর, পঁচাত্তর, ৩ নভেম্বর, ২১ আগস্টের খুনি এবং ২০১৩, ১৪, ১৫ সাল ও সর্বশেষ ২০২৪ সালে একই বিশ্বাসঘাতক, একই খুনি-তারা হচ্ছে বিএনপি-জামায়াত। শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে ছাত্রদল, শিবির, উগ্র জঙ্গিগোষ্ঠীর সুইসাইড স্কোয়াড অনুপ্রবেশ করে সারাদেশে পাকিস্তানি কায়দায় তা-ব চালিয়েছে। আন্দোলনের নামে শিক্ষার্থীদের হত্যা করে সরকারের ওপর দায় চাপিয়েছে।’
সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘পুলিশ ও সাধারণ মানুষ কোনো হত্যায় অংশ নিতে পারেন না। আমরা কোনো অনাকাক্সিক্ষত মৃত্যু সমর্থন করি না। প্রতিটি হত্যার বিচারবিভাগীয় তদন্ত হবে। প্রধানমন্ত্রী এ কথা পরিষ্কার জানিয়ে দিয়েছেন।’ খোঁজ-খবর নিচ্ছি
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর তদন্তে যখন স্পষ্ট হয়ে উঠেছে বিএনপি-জামায়াতের ষড়যন্ত্রে নৈরাজ্য-নাশকতার তথ্য পাওয়া যাচ্ছে। নির্দেশদাতা ও অর্থদাতাদের পরিচয় পাওয়া যাচ্ছে। মির্জা ফখরুলের থলের বিড়াল বের হতে শুরু করছে, তখন তিনি আন্তর্জাতিক তদন্তের দাবি করছেন। তারা সব সময় জনগণের আস্থা না রেখে বিদেশি প্রভুদের ওপর ভর করে রাজনীতি করেন। এ ক্ষেত্রেও তাদের সন্ত্রাসী চরিত্র উন্মোচিত হওয়া থেকে দায়মুক্তির জন্য বিদেশি হস্তক্ষেপের দাবি করছেন।’
জঙ্গিগোষ্ঠী এখনও সক্রিয়
বিএনপি-জামায়াত-শিবির জঙ্গিগোষ্ঠী এখনও সক্রিয় আছে দাবি করে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘তাদের প্রশিক্ষিত ক্যাডাররা চোরাগোপ্তা হামলা চালাতে প্রস্তুত হচ্ছে বলে আমাদের কাছে খবর আছে। তারা আবারও বিভিন্নভাবে হামলা চালাতে পারে। দেশের জনগণের প্রতি আহ্বান, যেখানে অস্ত্রধারী ক্যাডারদের খোঁজ পাবেন, তাদের তথ্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে দিয়ে সহযোগিতা করবেন।’
দলের অভ্যন্তরীণ গণতন্ত্রের চর্চা হিসেবে আওয়ামী লীগ গত চারদিন মূল্যায়ন সভা করেছে জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘এখানে বিতর্ক হতেই পারে। যেকোনো বিষয়ে তর্ক হতেই পারে। কিন্তু কেউ তো মারামারি করেনি। কোনো হাতাহাতি হয়নি।’
অভিভাবকদের প্রতি আহ্বান
শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগ সরকারকে দাঁড় কারানোর অপচেষ্টা চলছে অভিযোগ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আমাদের তাদের বিরুদ্ধে দাঁড় করানোর অপচেষ্টা কোনোভাবেই সফল হবে না। আমরা শিক্ষার্থীদের পাশে আছি। অভিভাবকদের প্রতি আহ্বান জানাব, কেউ যাতে আপনার সন্তানকে ভুল পথে ধাবিত করতে না পারে, সেই বিষয়ে সতর্ক থাকবেন। অশুভ শক্তির কাছে স্বাধীন বাংলাদেশ পরাজিত হতে পারে না।’
লিফলেট বিতরণ কর্মসূচী
দলের নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্য করে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিএনপি-জামায়াত, ছাত্রদল-শিবির, জঙ্গিগোষ্ঠীর সন্ত্রাসীরা আর যাতে সহিংসতা ছড়াতে না পারে, সে জন্য সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে। ‘এরা দেশের ধ্বংস চায়’ এই শিরোনামে আওয়ামী লীগ সারাদেশে লিফলেট বিতরণ করবে বলেও জানান ওবায়দুল কাদের।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সভাপতিম-লীর সদস্য আবদুর রাজ্জাক, মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, জাহাঙ্গীর কবির নানক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ, সাংগঠনিক সম্পাদক বি এম মোজাম্মেল হক, এস এম কামাল হোসেন, মির্জা আজম, আফজাল হোসেন, সুজিত রায় নন্দী, দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়–য়া প্রমুখ।