নারায়ণগঞ্জের আলোচিত কিশোর তানভীর মুহাম্মদ ত্বকী হত্যাকাণ্ডে জড়িত পারভেজ (৫০) নামে আরেকজনকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। এ নিয়ে ৫ জনকে গ্রেপ্তার করে তদন্তকারী সংস্থাটি। যার মধ্যে কাজল হাওলাদার নামে একজন ১৬৪ ধারায় আদালতে স্বীকারোক্তিমূলিক জবানবন্দি দিয়েছে।
মঙ্গলবার বিকেলে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে র্যাব জানায়, ওইদিন দুপুরে শহরের চাষাঢ়া এলাকা থেকে মৃত আলী হোসেনের ছেলে ইয়ার মোহাম্মদ ওরফে পারভেজকে (৫০) গ্রেপ্তার করেছে তারা।
গ্রেপ্তারকৃত পারভেজ আজমেরী ওসমানের ঘনিষ্ঠ সহযোগী। আজমেরী প্রয়াত সংসদ সদস্য একেএম নাসিম ওসমানের ছেলে এবং আওয়ামী লীগের সাবেক সংসদ সদস্য শামীম ওসমানের ভাগিনা।
র্যাব-১১ এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল তানভীর মাহমুদ পাশা জানান, র্যাব গত ৮ সেপ্টেম্বর ত্বকী হত্যা মামলার সন্দেহভাজন কাজল হাওলাদারকে গ্রেফতার করে। ১৫ সেপ্টেম্বর সে ১৬৪ ধারায় আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে।
তিনি বলেন, স্বীকারোক্তিতে কাজল ২০১৩ সালে হত্যাকাণ্ডে জড়িত কয়েকজনের নাম উল্লেখ করেছেন এবং পারভেজ তাদের একজন। তদন্তের অংশ হিসেবে পারভেজকে আটক করা হয়েছে। আমরা মামলার অন্য আসামিদেরও গ্রেপ্তারের চেষ্টা করছি।”
এদিকে, পারভেজকে মঙ্গলবার আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। র্যাবের অধিনায়ক পাশা জানান, পারভেজের গুরুতর শারীরিক সমস্যা থাকায় তার রিমান্ডের আবেদন করেনি তারা ।
এর আগে, গত সপ্তাহে ত্বকী হত্যার সাথে জড়িত ৪ জনকে গ্রেপ্তার করে র্যাব। তারা হলেন, শাফায়াত হোসেন শিপন, মামুন মিয়া, কাজল হাওলাদার ও জামশেদ শেখ, যারা হত্যার সাথে সরাসরি জড়িত ছিল, র্যাব জানান। বর্তমানে তারা রিমান্ডে আছে।
এর আগে ফাঁস হওয়া র্যাবের তদন্ত প্রতিবেদনের খসড়ায় বলা হয়, আজমেরী ওসমান ও তার সহযোগীরা ত্বকীকে অপহরণ, নির্যাতন ও হত্যা করে লাশ শীতলক্ষ্যা ফেলে দেয়। গ্রেপ্তাকৃত জামশেদ ওই গাড়িটি চালাচ্ছিলেন, যে গাড়িতে ত্বকীর লাশ ২০১৩ সালে হত্যার পর শীতলক্ষ্যা নদীতে ফেলা হয়।
এর আগে ত্বকী হত্যা মামলায় ইউসুফ হোসেন লিটন, সুলতান শওকত ভ্রমর, তায়েব উদ্দীন জ্যাকি ও সালেহ রহমান সীমান্ত, রিফাত নামে পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করেছিল র্যাব। তাদের মধ্যে লিটন ও ভ্রমর আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিও দিয়েছিল। তবে, পরবর্তীতে জামিনে বেরিয়ে এই চারজনই পলাতক রয়েছেন।
২০১৩ সালের ৬ মার্চ বিকেল ৪টার দিকে নারায়ণগঞ্জের শায়েস্তা খান রোডের বাসা থেকে বেরিয়ে স্থানীয় সুধীজন পাঠাগারে যাওয়ার পথে নিখোঁজ হয় তানভীর মুহাম্মদ ত্বকী। পরদিন তার ‘এ’ লেভেল পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ হয়, যেখানে দেখা যায় মেধাবী এ কিশোর সারাবিশ্বে পদার্থবিজ্ঞানে সর্বোচ্চ ৩০০ নম্বরের মধ্যে ২৯৭ পেয়েছিলেন। ৮ মার্চ শীতলক্ষ্যা নদীর কুমুদিনী খাল থেকে ত্বকীর মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
মঙ্গলবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪
নারায়ণগঞ্জের আলোচিত কিশোর তানভীর মুহাম্মদ ত্বকী হত্যাকাণ্ডে জড়িত পারভেজ (৫০) নামে আরেকজনকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। এ নিয়ে ৫ জনকে গ্রেপ্তার করে তদন্তকারী সংস্থাটি। যার মধ্যে কাজল হাওলাদার নামে একজন ১৬৪ ধারায় আদালতে স্বীকারোক্তিমূলিক জবানবন্দি দিয়েছে।
মঙ্গলবার বিকেলে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে র্যাব জানায়, ওইদিন দুপুরে শহরের চাষাঢ়া এলাকা থেকে মৃত আলী হোসেনের ছেলে ইয়ার মোহাম্মদ ওরফে পারভেজকে (৫০) গ্রেপ্তার করেছে তারা।
গ্রেপ্তারকৃত পারভেজ আজমেরী ওসমানের ঘনিষ্ঠ সহযোগী। আজমেরী প্রয়াত সংসদ সদস্য একেএম নাসিম ওসমানের ছেলে এবং আওয়ামী লীগের সাবেক সংসদ সদস্য শামীম ওসমানের ভাগিনা।
র্যাব-১১ এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল তানভীর মাহমুদ পাশা জানান, র্যাব গত ৮ সেপ্টেম্বর ত্বকী হত্যা মামলার সন্দেহভাজন কাজল হাওলাদারকে গ্রেফতার করে। ১৫ সেপ্টেম্বর সে ১৬৪ ধারায় আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে।
তিনি বলেন, স্বীকারোক্তিতে কাজল ২০১৩ সালে হত্যাকাণ্ডে জড়িত কয়েকজনের নাম উল্লেখ করেছেন এবং পারভেজ তাদের একজন। তদন্তের অংশ হিসেবে পারভেজকে আটক করা হয়েছে। আমরা মামলার অন্য আসামিদেরও গ্রেপ্তারের চেষ্টা করছি।”
এদিকে, পারভেজকে মঙ্গলবার আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। র্যাবের অধিনায়ক পাশা জানান, পারভেজের গুরুতর শারীরিক সমস্যা থাকায় তার রিমান্ডের আবেদন করেনি তারা ।
এর আগে, গত সপ্তাহে ত্বকী হত্যার সাথে জড়িত ৪ জনকে গ্রেপ্তার করে র্যাব। তারা হলেন, শাফায়াত হোসেন শিপন, মামুন মিয়া, কাজল হাওলাদার ও জামশেদ শেখ, যারা হত্যার সাথে সরাসরি জড়িত ছিল, র্যাব জানান। বর্তমানে তারা রিমান্ডে আছে।
এর আগে ফাঁস হওয়া র্যাবের তদন্ত প্রতিবেদনের খসড়ায় বলা হয়, আজমেরী ওসমান ও তার সহযোগীরা ত্বকীকে অপহরণ, নির্যাতন ও হত্যা করে লাশ শীতলক্ষ্যা ফেলে দেয়। গ্রেপ্তাকৃত জামশেদ ওই গাড়িটি চালাচ্ছিলেন, যে গাড়িতে ত্বকীর লাশ ২০১৩ সালে হত্যার পর শীতলক্ষ্যা নদীতে ফেলা হয়।
এর আগে ত্বকী হত্যা মামলায় ইউসুফ হোসেন লিটন, সুলতান শওকত ভ্রমর, তায়েব উদ্দীন জ্যাকি ও সালেহ রহমান সীমান্ত, রিফাত নামে পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করেছিল র্যাব। তাদের মধ্যে লিটন ও ভ্রমর আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিও দিয়েছিল। তবে, পরবর্তীতে জামিনে বেরিয়ে এই চারজনই পলাতক রয়েছেন।
২০১৩ সালের ৬ মার্চ বিকেল ৪টার দিকে নারায়ণগঞ্জের শায়েস্তা খান রোডের বাসা থেকে বেরিয়ে স্থানীয় সুধীজন পাঠাগারে যাওয়ার পথে নিখোঁজ হয় তানভীর মুহাম্মদ ত্বকী। পরদিন তার ‘এ’ লেভেল পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ হয়, যেখানে দেখা যায় মেধাবী এ কিশোর সারাবিশ্বে পদার্থবিজ্ঞানে সর্বোচ্চ ৩০০ নম্বরের মধ্যে ২৯৭ পেয়েছিলেন। ৮ মার্চ শীতলক্ষ্যা নদীর কুমুদিনী খাল থেকে ত্বকীর মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।