বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস এবং আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের (আইসিসি) প্রধান কৌঁসুলি করিম খান নিউ ইয়র্কে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের অধিবেশনের ফাঁকে বৈঠক করেছেন। বৃহস্পতিবার অনুষ্ঠিত এই বৈঠকে বাংলাদেশে জুলাই-অগাস্ট মাসে সংঘটিত গণঅভ্যুত্থানে ‘গণহত্যার’ ঘটনা এবং তাতে জড়িতদের বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলা করার উপায় নিয়ে আলোচনা হয়।
মুহাম্মদ ইউনূসের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজে প্রকাশিত এক পোস্টে জানানো হয়, বৈঠকে করিম খান মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলার পদ্ধতি নিয়ে আলোচনা করেন। তিনি বলেন, "বাংলাদেশ হেগ ভিত্তিক আইসিসিতে অভিযোগ দায়ের করতে পারে, তবে এজন্য আইসিসির নিয়ম অনুসরণ করতে হবে।"
সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবিতে ছাত্রদের আন্দোলন জুলাই মাসে সহিংস রূপ ধারণ করে। পুলিশের গুলিতে রংপুরের আবু সাঈদসহ ছয়জন নিহত হওয়ার পর এই আন্দোলন আরও তীব্র আকার নেয় এবং শেষ পর্যন্ত তা সরকার পতনের একদফা আন্দোলনে রূপান্তরিত হয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই আন্দোলনের চাপে ইস্তফা দিয়ে দেশত্যাগ করেন। অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব গ্রহণের পর, সরকারী তথ্যমতে, এই আন্দোলনে ৭০৮ জন নিহত এবং ২০ হাজার মানুষ আহত হন।
এই আহত ও নিহতের পরিসংখ্যান করিম খানের কাছে তুলে ধরেন মুহাম্মদ ইউনূস। বৈঠকে রোহিঙ্গা গণহত্যা নিয়ে করা মামলাও আলোচনায় আসে, এবং করিম খান রোহিঙ্গা সংকট মোকাবিলায় ইউনূসের প্রস্তাবিত তিন দফা পরিকল্পনার প্রশংসা করেন।
শুক্রবার, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪
বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস এবং আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের (আইসিসি) প্রধান কৌঁসুলি করিম খান নিউ ইয়র্কে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের অধিবেশনের ফাঁকে বৈঠক করেছেন। বৃহস্পতিবার অনুষ্ঠিত এই বৈঠকে বাংলাদেশে জুলাই-অগাস্ট মাসে সংঘটিত গণঅভ্যুত্থানে ‘গণহত্যার’ ঘটনা এবং তাতে জড়িতদের বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলা করার উপায় নিয়ে আলোচনা হয়।
মুহাম্মদ ইউনূসের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজে প্রকাশিত এক পোস্টে জানানো হয়, বৈঠকে করিম খান মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলার পদ্ধতি নিয়ে আলোচনা করেন। তিনি বলেন, "বাংলাদেশ হেগ ভিত্তিক আইসিসিতে অভিযোগ দায়ের করতে পারে, তবে এজন্য আইসিসির নিয়ম অনুসরণ করতে হবে।"
সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবিতে ছাত্রদের আন্দোলন জুলাই মাসে সহিংস রূপ ধারণ করে। পুলিশের গুলিতে রংপুরের আবু সাঈদসহ ছয়জন নিহত হওয়ার পর এই আন্দোলন আরও তীব্র আকার নেয় এবং শেষ পর্যন্ত তা সরকার পতনের একদফা আন্দোলনে রূপান্তরিত হয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই আন্দোলনের চাপে ইস্তফা দিয়ে দেশত্যাগ করেন। অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব গ্রহণের পর, সরকারী তথ্যমতে, এই আন্দোলনে ৭০৮ জন নিহত এবং ২০ হাজার মানুষ আহত হন।
এই আহত ও নিহতের পরিসংখ্যান করিম খানের কাছে তুলে ধরেন মুহাম্মদ ইউনূস। বৈঠকে রোহিঙ্গা গণহত্যা নিয়ে করা মামলাও আলোচনায় আসে, এবং করিম খান রোহিঙ্গা সংকট মোকাবিলায় ইউনূসের প্রস্তাবিত তিন দফা পরিকল্পনার প্রশংসা করেন।