আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল পুনর্গঠন করা হয়েছে। ট্রাইব্যুনালের নতুন চেয়ারম্যান হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন হাইকোর্টে অতিরিক্ত বিচারক গোলাম মর্তূজা মজুমদার।
আজ সোমবার সন্ধ্যায় সচিবালয়ে এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে এই তথ্য জানান আইন উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. আসিফ নজরুল।
তিনি জানান, ট্রাইব্যুনালে সদস্য হিসেবে আছেন বিচারপতি মো. শফিউল আলম মাহমুদ এবং অবসরপ্রাপ্ত জেলা ও দায়রা জজ মো. মোহিতুল হক এনাম চৌধুরী।
আইন উপদেষ্টা বলেন, সুপ্রিম কোর্টের সাথে পরামর্শক্রমে হাইকোর্টের দুজন বিচারপতি এবং একজন অবসরপ্রাপ্ত জেলা ও দায়রা জজকে নিয়ে ট্রাইব্যুনাল গঠনের কাজ সম্পন্ন হয়েছে। এর মাধ্যমে আমাদের আইন মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে যা করার ছিল এই বিচারকাজ শুরু করার ব্যাপারে, এটার একটা বড় ধাপ সম্পন্ন হয়েছে। আমরা আশা করবো খুব শিগগির, অচিরেই বিচার কাজ শুরু হয়ে যাবে।
আইন উপদেষ্টা বলেন, বিচারকাজের প্রাথমিক যে প্রি-ট্রায়াল স্টেজ যেখানে ইনভেস্টিগেশন করতে হয়, আলামত সংগ্রহ করতে হয়, সেটার কাজ আমাদের অত্যন্ত দক্ষ প্রসিকিউশন এবং ইনভেস্টিগেশন টিম শুরু করেছে। আমি যতটুকু অবগত হয়েছি ওনারা খুব ক্রেডিবল (নির্ভরযোগ্য) অনেক তথ্য সংগ্রহ করেছেন। এখন বিচারিক কাজ অচিরেই শুরু হবে।
১৯৭৩ সালের আমাদের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আইনের সঙ্গে আন্তর্জাতিক আইনের সমন্বয়টা কীভাবে করবেন- জানতে চাইলে ড. আসিফ নজরুল বলেন, আওয়ামী লীগের আমলে যে আইনটা ছিল, সেটা আমরা অনেকটা উন্নয়নের চেষ্টা করছি। এটা নিয়ে আমরা অংশীজনদের সঙ্গে মিটিং করেছি। আমরা এটার কিছু কিছু উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন এনেছি।
তিনি আরো বলেন, আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠনের যে কেউ এখানে পর্যবেক্ষক হিসেবে থাকতে পারবেন। আসামি পক্ষে যারা আছেন, তারা যে কোনো দেশের আইনজীবী নিয়োগ করতে পারবেন। এ মাসের মধ্যে আইনের সংশোধন চূড়ান্ত হয়ে যাবে। আইন সংশোধনের জন্য কিন্তু বিচার আটকে থাকবে না।
বিচারে যারা অপরাধী হিসেবে বিবেচিত হবেন, তাদের দেশে ফিরিয়ে আনা হবে কীভাবে এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, পলাতকদের বিচার করার বিধান এই আইনে রয়েছে। উনারা যদি দোষী সাব্যস্ত হন, তবে যেসব দেশের সঙ্গে আমাদের বন্দি প্রত্যর্পণ চুক্তি রয়েছে, চুক্তি অনুযায়ী তাদের বাংলাদেশে আনার ব্যবস্থা গ্রহণ করবো। তাদের সঙ্গে চুক্তি নেই তাদের ক্ষেত্রে আমরা আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী যতটুক চেষ্টা করা যায় আমরা আনব।
সোমবার, ১৪ অক্টোবর ২০২৪
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল পুনর্গঠন করা হয়েছে। ট্রাইব্যুনালের নতুন চেয়ারম্যান হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন হাইকোর্টে অতিরিক্ত বিচারক গোলাম মর্তূজা মজুমদার।
আজ সোমবার সন্ধ্যায় সচিবালয়ে এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে এই তথ্য জানান আইন উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. আসিফ নজরুল।
তিনি জানান, ট্রাইব্যুনালে সদস্য হিসেবে আছেন বিচারপতি মো. শফিউল আলম মাহমুদ এবং অবসরপ্রাপ্ত জেলা ও দায়রা জজ মো. মোহিতুল হক এনাম চৌধুরী।
আইন উপদেষ্টা বলেন, সুপ্রিম কোর্টের সাথে পরামর্শক্রমে হাইকোর্টের দুজন বিচারপতি এবং একজন অবসরপ্রাপ্ত জেলা ও দায়রা জজকে নিয়ে ট্রাইব্যুনাল গঠনের কাজ সম্পন্ন হয়েছে। এর মাধ্যমে আমাদের আইন মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে যা করার ছিল এই বিচারকাজ শুরু করার ব্যাপারে, এটার একটা বড় ধাপ সম্পন্ন হয়েছে। আমরা আশা করবো খুব শিগগির, অচিরেই বিচার কাজ শুরু হয়ে যাবে।
আইন উপদেষ্টা বলেন, বিচারকাজের প্রাথমিক যে প্রি-ট্রায়াল স্টেজ যেখানে ইনভেস্টিগেশন করতে হয়, আলামত সংগ্রহ করতে হয়, সেটার কাজ আমাদের অত্যন্ত দক্ষ প্রসিকিউশন এবং ইনভেস্টিগেশন টিম শুরু করেছে। আমি যতটুকু অবগত হয়েছি ওনারা খুব ক্রেডিবল (নির্ভরযোগ্য) অনেক তথ্য সংগ্রহ করেছেন। এখন বিচারিক কাজ অচিরেই শুরু হবে।
১৯৭৩ সালের আমাদের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আইনের সঙ্গে আন্তর্জাতিক আইনের সমন্বয়টা কীভাবে করবেন- জানতে চাইলে ড. আসিফ নজরুল বলেন, আওয়ামী লীগের আমলে যে আইনটা ছিল, সেটা আমরা অনেকটা উন্নয়নের চেষ্টা করছি। এটা নিয়ে আমরা অংশীজনদের সঙ্গে মিটিং করেছি। আমরা এটার কিছু কিছু উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন এনেছি।
তিনি আরো বলেন, আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠনের যে কেউ এখানে পর্যবেক্ষক হিসেবে থাকতে পারবেন। আসামি পক্ষে যারা আছেন, তারা যে কোনো দেশের আইনজীবী নিয়োগ করতে পারবেন। এ মাসের মধ্যে আইনের সংশোধন চূড়ান্ত হয়ে যাবে। আইন সংশোধনের জন্য কিন্তু বিচার আটকে থাকবে না।
বিচারে যারা অপরাধী হিসেবে বিবেচিত হবেন, তাদের দেশে ফিরিয়ে আনা হবে কীভাবে এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, পলাতকদের বিচার করার বিধান এই আইনে রয়েছে। উনারা যদি দোষী সাব্যস্ত হন, তবে যেসব দেশের সঙ্গে আমাদের বন্দি প্রত্যর্পণ চুক্তি রয়েছে, চুক্তি অনুযায়ী তাদের বাংলাদেশে আনার ব্যবস্থা গ্রহণ করবো। তাদের সঙ্গে চুক্তি নেই তাদের ক্ষেত্রে আমরা আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী যতটুক চেষ্টা করা যায় আমরা আনব।