নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দামে লাগাতার ঊর্ধ্বগতির মধ্যে রাজধানীর কারওয়ানবাজারে সোমবার সন্ধ্যায় সরেজমিন পরিদর্শন করেন অন্তর্বর্তী সরকারের বাণিজ্য উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন। চাল, ডাল, মুরগি, ভোজ্য তেলসহ নানা পণ্যের দাম খতিয়ে দেখা শেষে তিনি ডিমের সংকট সম্পর্কে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাব দেন।
ডিমের দাম অস্বাভাবিকভাবে বাড়ার ফলে পাইকারি বাজারে বিক্রি বন্ধ হয়ে গেছে, যার প্রভাব পড়েছে খুচরা বাজারেও। অনেক ক্রেতা খালি হাতে ফিরতে বাধ্য হচ্ছেন। সাংবাদিকদের এক প্রশ্নে উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন জানান, “দেশে প্রতিদিন প্রায় চার থেকে পাঁচ কোটি ডিম উৎপাদন হয়। উৎপাদন কম থাকায় সাপ্লাইয়ে ঘাটতি দেখা দিয়েছে, কিন্তু আমি তো আর ডিম মেশিন দিয়ে বানাতে পারি না।”
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের একাধিক সূত্র জানিয়েছে, সাম্প্রতিক অতিবৃষ্টি ও বন্যার কারণে ডিম ও অন্যান্য খাদ্যপণ্যের উৎপাদন হ্রাস পেয়েছে। ফলে বাজারে সরবরাহ কমে যাওয়ায় মূল্যবৃদ্ধি হয়েছে। ব্যবসায়ীরা নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে বেশিতে বিক্রি করায় জরিমানার মুখে পড়েছেন, যা প্রতিবাদ হিসেবে কারওয়ানবাজার ও তেজগাঁওয়ের আড়তে ডিম বিক্রি বন্ধ করে দিয়েছে।
এছাড়া সবজির বাজারেও চড়া দাম লক্ষ্য করা গেছে। পেঁপে ছাড়া অন্যান্য সবজির দাম ১০০ টাকা কেজির নিচে পাওয়া যাচ্ছে না। ভারত থেকে আমদানি সত্ত্বেও ডিমের দাম কমেনি, বরং প্রতি হালি ডিম ৬০ টাকা পর্যন্ত পৌঁছেছে।
বাজার পরিস্থিতি নিয়ে সালেহউদ্দিন বলেন, “বন্যা ও অন্যান্য প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে ডিম ও সবজির উৎপাদনে বাধা সৃষ্টি হয়েছে। টাস্কফোর্সের মাধ্যমে বাজার নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে এবং কেউ সুযোগ নিয়ে অতিরিক্ত মুনাফা করলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. সেলিম উদ্দিন এবং জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালকও এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
সোমবার, ১৪ অক্টোবর ২০২৪
নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দামে লাগাতার ঊর্ধ্বগতির মধ্যে রাজধানীর কারওয়ানবাজারে সোমবার সন্ধ্যায় সরেজমিন পরিদর্শন করেন অন্তর্বর্তী সরকারের বাণিজ্য উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন। চাল, ডাল, মুরগি, ভোজ্য তেলসহ নানা পণ্যের দাম খতিয়ে দেখা শেষে তিনি ডিমের সংকট সম্পর্কে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাব দেন।
ডিমের দাম অস্বাভাবিকভাবে বাড়ার ফলে পাইকারি বাজারে বিক্রি বন্ধ হয়ে গেছে, যার প্রভাব পড়েছে খুচরা বাজারেও। অনেক ক্রেতা খালি হাতে ফিরতে বাধ্য হচ্ছেন। সাংবাদিকদের এক প্রশ্নে উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন জানান, “দেশে প্রতিদিন প্রায় চার থেকে পাঁচ কোটি ডিম উৎপাদন হয়। উৎপাদন কম থাকায় সাপ্লাইয়ে ঘাটতি দেখা দিয়েছে, কিন্তু আমি তো আর ডিম মেশিন দিয়ে বানাতে পারি না।”
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের একাধিক সূত্র জানিয়েছে, সাম্প্রতিক অতিবৃষ্টি ও বন্যার কারণে ডিম ও অন্যান্য খাদ্যপণ্যের উৎপাদন হ্রাস পেয়েছে। ফলে বাজারে সরবরাহ কমে যাওয়ায় মূল্যবৃদ্ধি হয়েছে। ব্যবসায়ীরা নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে বেশিতে বিক্রি করায় জরিমানার মুখে পড়েছেন, যা প্রতিবাদ হিসেবে কারওয়ানবাজার ও তেজগাঁওয়ের আড়তে ডিম বিক্রি বন্ধ করে দিয়েছে।
এছাড়া সবজির বাজারেও চড়া দাম লক্ষ্য করা গেছে। পেঁপে ছাড়া অন্যান্য সবজির দাম ১০০ টাকা কেজির নিচে পাওয়া যাচ্ছে না। ভারত থেকে আমদানি সত্ত্বেও ডিমের দাম কমেনি, বরং প্রতি হালি ডিম ৬০ টাকা পর্যন্ত পৌঁছেছে।
বাজার পরিস্থিতি নিয়ে সালেহউদ্দিন বলেন, “বন্যা ও অন্যান্য প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে ডিম ও সবজির উৎপাদনে বাধা সৃষ্টি হয়েছে। টাস্কফোর্সের মাধ্যমে বাজার নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে এবং কেউ সুযোগ নিয়ে অতিরিক্ত মুনাফা করলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. সেলিম উদ্দিন এবং জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালকও এ সময় উপস্থিত ছিলেন।