বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় যেসব ছাত্র-জনতা সক্রিয়ভাবে আন্দোলনের মাঠে থেকে কাজ করেছেন, তাদের বিরুদ্ধে ১৫ জুলাই থেকে ৮ আগস্ট পর্যন্ত সংগঠিত গণঅভ্যুত্থান সংশ্লিষ্ট ঘটনার জন্য কোনও মামলা, গ্রেপ্তার বা হয়রানি করা হবে না বলে জানিয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। সোমবার (১৪ অক্টোবর) দুপুরে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র তথ্য অফিসার ফয়সল হাসান এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানান।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে স্বৈরাচারি ফ্যাসিস্ট সরকারের পতনের মাধ্যমে বৈষম্যমুক্ত নতুন বাংলাদেশ গড়ার পথে এক নবযাত্রা সূচিত হয়েছে। এ গণঅভ্যুত্থানকে সাফল্যম-িত করতে যেসব ছাত্র-জনতা সক্রিয়ভাবে আন্দোলনের মাঠে থেকে এর পক্ষে কাজ করেছেন, তাদের বিরুদ্ধে ১৫ জুলাই হতে ৮ আগস্ট পর্যন্ত সংগঠিত জুলাই গণঅভ্যুত্থান সংশ্লিষ্ট ঘটনার জন্য কোনো মামলা, গ্রেপ্তার বা হয়রানি করা হবে না।’
বিজ্ঞপ্তিতে এ বিষয়ে সংশ্লিষ্টদের সর্বোচ্চ সতর্ক থাকার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। এছাড়া বিষয়টি নিয়ে অসত্য তথ্য দিয়ে কোনো সুবিধা অর্জনের বিরুদ্ধেও সংশ্লিষ্টদের সতর্ক করা হয়েছে। কী কারণে এই সিদ্ধান্ত দেয়া হয়েছে তা জানা যায়নি।
তবে এরইমধ্যে ছাত্র-জনতার আন্দোলন চলাকালে গত ৫ আগস্ট নোয়াখালীর সোনাইমুড়ী থানা পুলিশের এক সদস্য (কনস্টেবল) হত্যার অভিযোগে তিনজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। গত শনিবার ওই পুলিশ সদস্য ইব্রাহিম হত্যার ঘটনায় এক কিশোর ও দুই তরুণকে গ্রেপ্তার করার কথা গণমাধ্যমকে জানান নোয়াখালীর পুলিশ সুপার মো. আব্দুল্লাহ আল ফারুক।
পরে বিষয়টি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিভিন্ন মন্তব্য ছড়িয়ে পড়লে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের আলোচিত সমন্বয়ক সারজিস আলম ১৩ অক্টোবর রোববার রাতে তার নিজের ফেইসবুক আইডিতে একটি পোস্ট দেন। পোস্টে তিনি দাবি করেন, নোয়াখালীর সোনাইমুড়ীতে পুলিশ হত্যায় গ্রেপ্তারকৃতরা সমন্বয়ক নয় এবং রেগুলার আন্দোলনকারীও ছিল না।
যা বললেন সারজিস
দীর্ঘ ফেইসবুক পোস্টে সারজিস আলম লিখেছেন, ‘প্রথমেই যখন শুনলাম নোয়াখালীতে পুলিশ হত্যা মামলায় ৩ জন কিশোরকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে তখনই নোয়াখালী জেলার একাধিক সমন্বয়ক, আন্দোলনকারী এবং জেলা পুলিশের সঙ্গে কথা বলেছি। নোয়াখালীর মেইন আন্দোলন হয়েছে মাইজদীতে। সমন্বয়কদের ভাষ্য অনুযায়ী মাইজদীতে গুলি চলেনি। যে ৫ জন শহীদ হয়েছেন তারা সোনাইমুড়ী উপজেলার এবং সেখানেই শহীদ হয়েছেন। ৫ তারিখে হাসিনা সরকারের পতনের পর বিকেল প্রায় ৪টার দিকে সোনাইমুড়ী থেকে বিজয় মিছিল বের হয়। যারা এতদিন ধরে আন্দোলন করেছে তাদের উদ্দেশ্য ছিল শান্তিপূর্ণভাবে তাদের আন্দোলনের ক্ষেত্র মাইজদীতে যাওয়া। এর মধ্যে কিছু অতিউৎসাহী মানুষ সোনাইমুড়ী থানার দিকে অগ্রসর হয়। তারা থানার ভেতরে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী আছে, এই তথ্যের ভিত্তিতে থানায় প্রবেশ করতে চাইলে পুলিশ মাইক দিয়ে থানার ভেতরে না আসার জন্য ঘোষণা করে। কিন্তু মানুষ তারপরও থানার ভেতরে প্রবেশ করতে চেষ্টা করে। তখন পুলিশ গুলি ছুড়লে তিনজন গুলিবিদ্ধ হয় এবং তাদের একজন ওই স্থানেই মারা যায়। এরপর শুরু হয় অপ্রত্যাশিত পরিস্থিতি, হামলা, পাল্টাহামলা। মানুষ উত্তেজিত হয়ে পড়ে।
তখন জনতার ভেতর থেকে কিছু সুযোগসন্ধানী ভিন্ন উদ্দেশ্যের লোক থানার অস্ত্রাগার থেকে অস্ত্র লুট করে, পুলিশের দিকে গুলি ছোড়ে এবং একজন কনস্টেবলকে পিটিয়ে হত্যা করে। এতে মোট দুইজন পুলিশ সদস্য এবং তাদের একজন চালক নিহত হন। কিছু পথচারী উৎসুক কিশোরও গুলিবিদ্ধ হয়। যে তিনজন ছেলেকে গ্রেপ্তার নিয়ে কথা হচ্ছে তাদেরকে গ্রেপ্তার করার মূল কারণ ছিল তাদের মধ্যে একজন সেদিনের লুট করা অবৈধ অস্ত্রসহ টিকটকে পোস্ট দেয় ভাব নেয়ার জন্য। সেই ছবি দেখে স্থানীয় জনতাসহ অনেকেই পুলিশকে অবহিত করে এবং তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডাকা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে সেই ছেলে আরও দুজনের সংশ্লিষ্টতা স্বীকার করে এবং এক পুলিশ সদস্যকে পিটিয়ে হত্যার বিভিন্ন এভিডেন্স তাদের কথায় ও ফোন ম্যাসেজিংয়ে পায়।’
গ্রেপ্তার হওয়া ছেলেগুলো স্থানীয় কিশোর গ্যাং ‘বুলেট গ্যাংয়ের’ সদস্য যা তাদের ফেইসবুক প্রোফাইল ঘাঁটলেও নামের সামনে ‘বুলেট’ ট্যাগ দেখা গেছে বলে সারজিস আলম তার পোস্টে উল্লেখ করেন।
# আন্দেলনে আহত, নিহত #
গত জুলাইয়ের শুরুর দিকে সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলন শুরু হয়। তখন তা দমনে শেখ হাসিনার সরকার মাত্রাতিরিক্ত বলপ্রয়োগ করে বলে অভিযোগ ওঠে। এ কারণে ওই আন্দোলন রূপ নেয় সরকার পতনের আন্দোলনে। এক পর্যায়ে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থান ঘটে।
এই অভ্যুত্থানের মুখে গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার সরকারের পতন ঘটে। প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করে পালিয়ে ভারতে চলে যান শেখ হাসিনা। তার সরকারের অনেক মন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের নেতাদের অনেকে বিদেশে পালিয়ে গেছেন। কেউ কেউ গা ঢাকা দিয়েছেন।
সেই আন্দোলনে সরকারের হিসেব মতে, অনেক শিশু-কিশোরসহ ৭৩৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন ২৩ হাজারের বেশি মানুষ। এদের মধ্যে ৪০০ জন চোখ হারিয়েছেন। দুই চোখ হারিয়েছেন ২০০ জন।
পুলিশ সদর দপ্তর জানান, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সময় নানা ভাবে ও পিটুনির শিখার হয়ে ৪৪ জন পুলিশ কর্মকর্তা ও সদস্য নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন ২ হাজার ৪৬৩ জন। তার মধ্যে গুরুত্বর আহত ৪০৩ জন। এখনো অনেকেই চিকিৎসাধীন আছে। এছাড়া আহত অনেকেই সুস্থ হয়ে কাজে ফিরেছেন।
মঙ্গলবার, ১৫ অক্টোবর ২০২৪
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় যেসব ছাত্র-জনতা সক্রিয়ভাবে আন্দোলনের মাঠে থেকে কাজ করেছেন, তাদের বিরুদ্ধে ১৫ জুলাই থেকে ৮ আগস্ট পর্যন্ত সংগঠিত গণঅভ্যুত্থান সংশ্লিষ্ট ঘটনার জন্য কোনও মামলা, গ্রেপ্তার বা হয়রানি করা হবে না বলে জানিয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। সোমবার (১৪ অক্টোবর) দুপুরে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র তথ্য অফিসার ফয়সল হাসান এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানান।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে স্বৈরাচারি ফ্যাসিস্ট সরকারের পতনের মাধ্যমে বৈষম্যমুক্ত নতুন বাংলাদেশ গড়ার পথে এক নবযাত্রা সূচিত হয়েছে। এ গণঅভ্যুত্থানকে সাফল্যম-িত করতে যেসব ছাত্র-জনতা সক্রিয়ভাবে আন্দোলনের মাঠে থেকে এর পক্ষে কাজ করেছেন, তাদের বিরুদ্ধে ১৫ জুলাই হতে ৮ আগস্ট পর্যন্ত সংগঠিত জুলাই গণঅভ্যুত্থান সংশ্লিষ্ট ঘটনার জন্য কোনো মামলা, গ্রেপ্তার বা হয়রানি করা হবে না।’
বিজ্ঞপ্তিতে এ বিষয়ে সংশ্লিষ্টদের সর্বোচ্চ সতর্ক থাকার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। এছাড়া বিষয়টি নিয়ে অসত্য তথ্য দিয়ে কোনো সুবিধা অর্জনের বিরুদ্ধেও সংশ্লিষ্টদের সতর্ক করা হয়েছে। কী কারণে এই সিদ্ধান্ত দেয়া হয়েছে তা জানা যায়নি।
তবে এরইমধ্যে ছাত্র-জনতার আন্দোলন চলাকালে গত ৫ আগস্ট নোয়াখালীর সোনাইমুড়ী থানা পুলিশের এক সদস্য (কনস্টেবল) হত্যার অভিযোগে তিনজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। গত শনিবার ওই পুলিশ সদস্য ইব্রাহিম হত্যার ঘটনায় এক কিশোর ও দুই তরুণকে গ্রেপ্তার করার কথা গণমাধ্যমকে জানান নোয়াখালীর পুলিশ সুপার মো. আব্দুল্লাহ আল ফারুক।
পরে বিষয়টি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিভিন্ন মন্তব্য ছড়িয়ে পড়লে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের আলোচিত সমন্বয়ক সারজিস আলম ১৩ অক্টোবর রোববার রাতে তার নিজের ফেইসবুক আইডিতে একটি পোস্ট দেন। পোস্টে তিনি দাবি করেন, নোয়াখালীর সোনাইমুড়ীতে পুলিশ হত্যায় গ্রেপ্তারকৃতরা সমন্বয়ক নয় এবং রেগুলার আন্দোলনকারীও ছিল না।
যা বললেন সারজিস
দীর্ঘ ফেইসবুক পোস্টে সারজিস আলম লিখেছেন, ‘প্রথমেই যখন শুনলাম নোয়াখালীতে পুলিশ হত্যা মামলায় ৩ জন কিশোরকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে তখনই নোয়াখালী জেলার একাধিক সমন্বয়ক, আন্দোলনকারী এবং জেলা পুলিশের সঙ্গে কথা বলেছি। নোয়াখালীর মেইন আন্দোলন হয়েছে মাইজদীতে। সমন্বয়কদের ভাষ্য অনুযায়ী মাইজদীতে গুলি চলেনি। যে ৫ জন শহীদ হয়েছেন তারা সোনাইমুড়ী উপজেলার এবং সেখানেই শহীদ হয়েছেন। ৫ তারিখে হাসিনা সরকারের পতনের পর বিকেল প্রায় ৪টার দিকে সোনাইমুড়ী থেকে বিজয় মিছিল বের হয়। যারা এতদিন ধরে আন্দোলন করেছে তাদের উদ্দেশ্য ছিল শান্তিপূর্ণভাবে তাদের আন্দোলনের ক্ষেত্র মাইজদীতে যাওয়া। এর মধ্যে কিছু অতিউৎসাহী মানুষ সোনাইমুড়ী থানার দিকে অগ্রসর হয়। তারা থানার ভেতরে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী আছে, এই তথ্যের ভিত্তিতে থানায় প্রবেশ করতে চাইলে পুলিশ মাইক দিয়ে থানার ভেতরে না আসার জন্য ঘোষণা করে। কিন্তু মানুষ তারপরও থানার ভেতরে প্রবেশ করতে চেষ্টা করে। তখন পুলিশ গুলি ছুড়লে তিনজন গুলিবিদ্ধ হয় এবং তাদের একজন ওই স্থানেই মারা যায়। এরপর শুরু হয় অপ্রত্যাশিত পরিস্থিতি, হামলা, পাল্টাহামলা। মানুষ উত্তেজিত হয়ে পড়ে।
তখন জনতার ভেতর থেকে কিছু সুযোগসন্ধানী ভিন্ন উদ্দেশ্যের লোক থানার অস্ত্রাগার থেকে অস্ত্র লুট করে, পুলিশের দিকে গুলি ছোড়ে এবং একজন কনস্টেবলকে পিটিয়ে হত্যা করে। এতে মোট দুইজন পুলিশ সদস্য এবং তাদের একজন চালক নিহত হন। কিছু পথচারী উৎসুক কিশোরও গুলিবিদ্ধ হয়। যে তিনজন ছেলেকে গ্রেপ্তার নিয়ে কথা হচ্ছে তাদেরকে গ্রেপ্তার করার মূল কারণ ছিল তাদের মধ্যে একজন সেদিনের লুট করা অবৈধ অস্ত্রসহ টিকটকে পোস্ট দেয় ভাব নেয়ার জন্য। সেই ছবি দেখে স্থানীয় জনতাসহ অনেকেই পুলিশকে অবহিত করে এবং তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডাকা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে সেই ছেলে আরও দুজনের সংশ্লিষ্টতা স্বীকার করে এবং এক পুলিশ সদস্যকে পিটিয়ে হত্যার বিভিন্ন এভিডেন্স তাদের কথায় ও ফোন ম্যাসেজিংয়ে পায়।’
গ্রেপ্তার হওয়া ছেলেগুলো স্থানীয় কিশোর গ্যাং ‘বুলেট গ্যাংয়ের’ সদস্য যা তাদের ফেইসবুক প্রোফাইল ঘাঁটলেও নামের সামনে ‘বুলেট’ ট্যাগ দেখা গেছে বলে সারজিস আলম তার পোস্টে উল্লেখ করেন।
# আন্দেলনে আহত, নিহত #
গত জুলাইয়ের শুরুর দিকে সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলন শুরু হয়। তখন তা দমনে শেখ হাসিনার সরকার মাত্রাতিরিক্ত বলপ্রয়োগ করে বলে অভিযোগ ওঠে। এ কারণে ওই আন্দোলন রূপ নেয় সরকার পতনের আন্দোলনে। এক পর্যায়ে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থান ঘটে।
এই অভ্যুত্থানের মুখে গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার সরকারের পতন ঘটে। প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করে পালিয়ে ভারতে চলে যান শেখ হাসিনা। তার সরকারের অনেক মন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের নেতাদের অনেকে বিদেশে পালিয়ে গেছেন। কেউ কেউ গা ঢাকা দিয়েছেন।
সেই আন্দোলনে সরকারের হিসেব মতে, অনেক শিশু-কিশোরসহ ৭৩৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন ২৩ হাজারের বেশি মানুষ। এদের মধ্যে ৪০০ জন চোখ হারিয়েছেন। দুই চোখ হারিয়েছেন ২০০ জন।
পুলিশ সদর দপ্তর জানান, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সময় নানা ভাবে ও পিটুনির শিখার হয়ে ৪৪ জন পুলিশ কর্মকর্তা ও সদস্য নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন ২ হাজার ৪৬৩ জন। তার মধ্যে গুরুত্বর আহত ৪০৩ জন। এখনো অনেকেই চিকিৎসাধীন আছে। এছাড়া আহত অনেকেই সুস্থ হয়ে কাজে ফিরেছেন।