রাজধানীর মোহাম্মদপুরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শিক্ষার্থী হত্যা মামলায় বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসের (বেসিস) সাবেক সভাপতি সৈয়দ আলমাস কবীরকে গ্রেপ্তারের পর অন্তর্বতীকালীন জামিন দিয়েছেন আদালত।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও মোহাম্মদপুর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মাইদুল ইসলাম ফরওয়ার্ডিং রিপোর্ট দেওয়ার পর ঢাকা মহানগর হাকিম মো. বেলাল হোসেন এ আদেশ দেন। আজ মঙ্গলবার সন্ধ্যায় এ আদেশ দেওয়া হয়। এর আগে গত সোমবার রাতে গুলশানের বাসা থেকে আলমাস কবীরকে গ্রেপ্তার করে মোহাম্মদপুর থানা পুলিশ।
তদন্ত কর্মকর্তা তার ফরওয়ার্ডিং রিপোর্টে বলেন, গ্রেপ্তার পর অভিযুক্ত ব্যক্তিকে জিজ্ঞাসাবাদ করে হত্যাকা-ের বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পেয়েছেন তিনি। তাই তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত তাকে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করছেন। অন্যদিকে আসামিপক্ষের আইনজীবী ঘটনার সময় তার মক্কেল বিদেশে ছিলেন উল্লেখ করে জামিনের আবেদন করেন। শুনানি শেষে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল পর্যন্ত দুই জামিনদারের মাধ্যমে পাঁচ হাজার টাকা মুচলেকায় তার জামিন মঞ্জুর করেন ম্যাজিস্ট্রেট।
মোহাম্মদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলী ইফতেখার হাসান জানান, মোহাম্মদপুর থানায় ওবায়েদুল হক নামে এক ব্যক্তি একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। ওই মামলায় সৈয়দ আলমাস কবীর ছাড়াও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, জাহাঙ্গীর কবির নানকসহ ৮২ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। এছাড়া, আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গ সংগঠনের ১০০-১৫০ নেতাকর্মীকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়। গত ২৭ সেপ্টেম্বর মোহাম্মদপুর থানায় দায়ের করা ওই মামলার ৮ নম্বর আসামি সৈয়দ আলমাস কবীর।
এজাহারে অভিযোগ করা হয়েছে, সৈয়দ আলমাস কবীর ছাত্র আন্দোলনের সময় শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা করতে নির্দেশনা দেন। ঘটনার স্পট মোহাম্মদপুর থানার বেড়িবাঁধ তিন রাস্তার মোড়ের সামনে রাস্তার ওপর, যা রায়েরবাজার পুলিশ ফাঁড়ির আওতাধীন। মামলায় আলমাস কবীরকে সাবেক তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকের সহযোগী ও অর্থ যোগানদাতা বলে উল্লেখ করা হয়েছে।
বেসিসের সাবেক সভাপতি আলমাস কবীর ২০০৬ সাল থেকে মেট্রোনেটের সিইও ছিলেন। তিনি ইন্ডিপেন্ডেন্ট ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশের (আইইউবি) একজন সহযোগী অধ্যাপক ছিলেন। এছাড়াও, তিনি আইইউবি, নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটি এবং সিটি ইউনিভার্সিটিতে বিভিন্ন প্রশাসনিক দায়িত্ব পালন করেছেন। আলমাস কবির জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় এবং নর্দার্ন ইউনিভার্সিটিরও অতিথি শিক্ষক ছিলেন।
মঙ্গলবার, ১৫ অক্টোবর ২০২৪
রাজধানীর মোহাম্মদপুরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শিক্ষার্থী হত্যা মামলায় বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসের (বেসিস) সাবেক সভাপতি সৈয়দ আলমাস কবীরকে গ্রেপ্তারের পর অন্তর্বতীকালীন জামিন দিয়েছেন আদালত।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও মোহাম্মদপুর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মাইদুল ইসলাম ফরওয়ার্ডিং রিপোর্ট দেওয়ার পর ঢাকা মহানগর হাকিম মো. বেলাল হোসেন এ আদেশ দেন। আজ মঙ্গলবার সন্ধ্যায় এ আদেশ দেওয়া হয়। এর আগে গত সোমবার রাতে গুলশানের বাসা থেকে আলমাস কবীরকে গ্রেপ্তার করে মোহাম্মদপুর থানা পুলিশ।
তদন্ত কর্মকর্তা তার ফরওয়ার্ডিং রিপোর্টে বলেন, গ্রেপ্তার পর অভিযুক্ত ব্যক্তিকে জিজ্ঞাসাবাদ করে হত্যাকা-ের বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পেয়েছেন তিনি। তাই তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত তাকে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করছেন। অন্যদিকে আসামিপক্ষের আইনজীবী ঘটনার সময় তার মক্কেল বিদেশে ছিলেন উল্লেখ করে জামিনের আবেদন করেন। শুনানি শেষে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল পর্যন্ত দুই জামিনদারের মাধ্যমে পাঁচ হাজার টাকা মুচলেকায় তার জামিন মঞ্জুর করেন ম্যাজিস্ট্রেট।
মোহাম্মদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলী ইফতেখার হাসান জানান, মোহাম্মদপুর থানায় ওবায়েদুল হক নামে এক ব্যক্তি একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। ওই মামলায় সৈয়দ আলমাস কবীর ছাড়াও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, জাহাঙ্গীর কবির নানকসহ ৮২ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। এছাড়া, আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গ সংগঠনের ১০০-১৫০ নেতাকর্মীকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়। গত ২৭ সেপ্টেম্বর মোহাম্মদপুর থানায় দায়ের করা ওই মামলার ৮ নম্বর আসামি সৈয়দ আলমাস কবীর।
এজাহারে অভিযোগ করা হয়েছে, সৈয়দ আলমাস কবীর ছাত্র আন্দোলনের সময় শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা করতে নির্দেশনা দেন। ঘটনার স্পট মোহাম্মদপুর থানার বেড়িবাঁধ তিন রাস্তার মোড়ের সামনে রাস্তার ওপর, যা রায়েরবাজার পুলিশ ফাঁড়ির আওতাধীন। মামলায় আলমাস কবীরকে সাবেক তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকের সহযোগী ও অর্থ যোগানদাতা বলে উল্লেখ করা হয়েছে।
বেসিসের সাবেক সভাপতি আলমাস কবীর ২০০৬ সাল থেকে মেট্রোনেটের সিইও ছিলেন। তিনি ইন্ডিপেন্ডেন্ট ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশের (আইইউবি) একজন সহযোগী অধ্যাপক ছিলেন। এছাড়াও, তিনি আইইউবি, নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটি এবং সিটি ইউনিভার্সিটিতে বিভিন্ন প্রশাসনিক দায়িত্ব পালন করেছেন। আলমাস কবির জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় এবং নর্দার্ন ইউনিভার্সিটিরও অতিথি শিক্ষক ছিলেন।