জাতিসংঘের আদিবাসী অধিকার বিষয়ক দুই বিশেষজ্ঞ পার্বত্য চট্টগ্রামের সাম্প্রতিক সহিংসতার বিষয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন এবং নিরপেক্ষ তদন্তের জন্য একটি কমিশন গঠনের আহ্বান জানিয়েছেন। সোমবার এক বিবৃতিতে আদিবাসী বিষয়ক স্থায়ী ফোরামের চেয়ারপার্সন হিন্ডু ওমারু ইব্রাহিম এবং বিশেষজ্ঞ হোসে ফ্রান্সিসকো কালি যাই বলেন, “জুম্ম জনগণকে সহিংস ও নির্বিচার আক্রমণ থেকে রক্ষা করার জন্য অবিলম্বে ব্যবস্থা নেওয়া উচিত। একই সঙ্গে, দায়মুক্তির সংস্কৃতি বন্ধ করতে অপরাধীদের বিচারের মুখোমুখি করা প্রয়োজন।”
সেপ্টেম্বরের ১৯ ও ২০ তারিখে পার্বত্য চট্টগ্রামের রাঙামাটি ও ছড়ি জেলা সদরে পাহাড়ি-বাঙালি সংঘর্ষের ঘটনায় অন্তত চারজন প্রাণ হারান এবং অনেক ঘরবাড়ি ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান পুড়িয়ে দেওয়া হয়। এই সহিংসতার পটভূমিতে জুম্ম জনগণের বিরুদ্ধে চলমান বৈষম্য এবং প্রান্তিকীকরণের প্রসঙ্গও উল্লেখ করেছেন জাতিসংঘের বিশেষজ্ঞরা। তাদের মতে, আদিবাসী জুম্ম জনগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে এমন সহিংসতা দশকের পর দশক ধরে চলমান জোরপূর্বক উচ্ছেদ এবং প্রান্তিকীকরণের ইতিহাসের অংশ।
বিশেষজ্ঞরা বিবৃতিতে আরও উল্লেখ করেছেন, পার্বত্য চট্টগ্রামে আদিবাসীদের মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনার নিরপেক্ষ তদন্ত করা অত্যন্ত জরুরি। এই প্রক্রিয়ায় জাতিসংঘেরও সম্পৃক্ততা থাকা উচিত এবং জাতিসংঘের অধীনে একটি কমিশন গঠন করা প্রয়োজন বলে তারা মতামত দিয়েছেন।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আদিবাসী জনগণ সম্পর্কে বিদ্বেষমূলক বক্তব্য এবং ভুল তথ্য ছড়ানোর বিষয়ে তারা উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। বিবৃতিতে বলা হয়, “ফেসবুকসহ অন্যান্য সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে জুম্ম জনগণকে নিয়ে বিদ্বেষপূর্ণ বক্তব্য এবং ভুল তথ্য ছড়ানো হচ্ছে, যা তাদের নিরাপত্তা ও অধিকারকে হুমকির মুখে ফেলছে। তাই, এসব বিদ্বেষমূলক প্রচারণা বন্ধ করার জন্য পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন।”
জাতিসংঘের বিশেষজ্ঞরা ১৯৯৭ সালের পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তি চুক্তির পূর্ণ বাস্তবায়নের আহ্বান জানিয়েছেন। তারা বলেন, “জাতীয় ও আন্তর্জাতিক আইন এবং জাতিসংঘের আদিবাসীদের অধিকার সংক্রান্ত ঘোষণার আলোকে পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তি চুক্তি দ্রুত বাস্তবায়ন করতে হবে। বিশেষ করে, আদিবাসীদের স্বতন্ত্র জনগোষ্ঠী হিসেবে স্বাধীনভাবে শান্তি ও নিরাপত্তার সঙ্গে বসবাসের অধিকার সুরক্ষিত করতে হবে।”
তাদের মতে, সহিংসতা এবং অন্য কোনো ধরনের মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক নীতি মেনে আদিবাসীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে।
বুধবার, ১৬ অক্টোবর ২০২৪
জাতিসংঘের আদিবাসী অধিকার বিষয়ক দুই বিশেষজ্ঞ পার্বত্য চট্টগ্রামের সাম্প্রতিক সহিংসতার বিষয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন এবং নিরপেক্ষ তদন্তের জন্য একটি কমিশন গঠনের আহ্বান জানিয়েছেন। সোমবার এক বিবৃতিতে আদিবাসী বিষয়ক স্থায়ী ফোরামের চেয়ারপার্সন হিন্ডু ওমারু ইব্রাহিম এবং বিশেষজ্ঞ হোসে ফ্রান্সিসকো কালি যাই বলেন, “জুম্ম জনগণকে সহিংস ও নির্বিচার আক্রমণ থেকে রক্ষা করার জন্য অবিলম্বে ব্যবস্থা নেওয়া উচিত। একই সঙ্গে, দায়মুক্তির সংস্কৃতি বন্ধ করতে অপরাধীদের বিচারের মুখোমুখি করা প্রয়োজন।”
সেপ্টেম্বরের ১৯ ও ২০ তারিখে পার্বত্য চট্টগ্রামের রাঙামাটি ও ছড়ি জেলা সদরে পাহাড়ি-বাঙালি সংঘর্ষের ঘটনায় অন্তত চারজন প্রাণ হারান এবং অনেক ঘরবাড়ি ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান পুড়িয়ে দেওয়া হয়। এই সহিংসতার পটভূমিতে জুম্ম জনগণের বিরুদ্ধে চলমান বৈষম্য এবং প্রান্তিকীকরণের প্রসঙ্গও উল্লেখ করেছেন জাতিসংঘের বিশেষজ্ঞরা। তাদের মতে, আদিবাসী জুম্ম জনগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে এমন সহিংসতা দশকের পর দশক ধরে চলমান জোরপূর্বক উচ্ছেদ এবং প্রান্তিকীকরণের ইতিহাসের অংশ।
বিশেষজ্ঞরা বিবৃতিতে আরও উল্লেখ করেছেন, পার্বত্য চট্টগ্রামে আদিবাসীদের মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনার নিরপেক্ষ তদন্ত করা অত্যন্ত জরুরি। এই প্রক্রিয়ায় জাতিসংঘেরও সম্পৃক্ততা থাকা উচিত এবং জাতিসংঘের অধীনে একটি কমিশন গঠন করা প্রয়োজন বলে তারা মতামত দিয়েছেন।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আদিবাসী জনগণ সম্পর্কে বিদ্বেষমূলক বক্তব্য এবং ভুল তথ্য ছড়ানোর বিষয়ে তারা উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। বিবৃতিতে বলা হয়, “ফেসবুকসহ অন্যান্য সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে জুম্ম জনগণকে নিয়ে বিদ্বেষপূর্ণ বক্তব্য এবং ভুল তথ্য ছড়ানো হচ্ছে, যা তাদের নিরাপত্তা ও অধিকারকে হুমকির মুখে ফেলছে। তাই, এসব বিদ্বেষমূলক প্রচারণা বন্ধ করার জন্য পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন।”
জাতিসংঘের বিশেষজ্ঞরা ১৯৯৭ সালের পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তি চুক্তির পূর্ণ বাস্তবায়নের আহ্বান জানিয়েছেন। তারা বলেন, “জাতীয় ও আন্তর্জাতিক আইন এবং জাতিসংঘের আদিবাসীদের অধিকার সংক্রান্ত ঘোষণার আলোকে পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তি চুক্তি দ্রুত বাস্তবায়ন করতে হবে। বিশেষ করে, আদিবাসীদের স্বতন্ত্র জনগোষ্ঠী হিসেবে স্বাধীনভাবে শান্তি ও নিরাপত্তার সঙ্গে বসবাসের অধিকার সুরক্ষিত করতে হবে।”
তাদের মতে, সহিংসতা এবং অন্য কোনো ধরনের মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক নীতি মেনে আদিবাসীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে।