রাষ্ট্র সংস্কারের প্রক্রিয়া এগিয়ে নিতে আগামী শনিবার আরও কয়েকটি রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সংলাপে (আলোচনায়) বসবেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস। এবার সংলাপের আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে গণফোরাম, জাতীয়তাবাদী সমমনা জোট, বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি-বিজেপি (আন্দালিব পার্থ), ১২ দলীয় জোট, এলডিপি, জাতীয় মুক্তি কাউন্সিল, লেবার পার্টিকে।
সংলাপে আরও দুই একটি রাজনৈতিক দলকে আমন্ত্রণ জানানো হতে পারে বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রধান উপদেষ্টার উপ প্রেস সচিব মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ মজুমদার। তবে জাতীয় পার্টির (জাপা) বিষয়ে এখনও সিদ্ধান্ত হয়নি বলে জানান তিনি।
মঙ্গলবার (১৫ অক্টোবর) সন্ধ্যায় ঢাকায় ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত প্রেস ব্রিফিংয়ে এসব তথ্য জানান তিনি। এ সময় তিনি সংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন।
ব্রিফিংয়ে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম উপস্থিত ছিলেন। তিনি প্রধান উপদেষ্টার সহকারী প্রেস সচিব হিসেবে নিয়োগ পাওয়া সুচিস্মিতা তিথি ও নাঈম আলীকে পরিচয় করিয়ে দেন।
উপ প্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার বলেন, ‘রাষ্ট্র সংস্কারের প্রক্রিয়া এগিয়ে নিতে অন্তর্বর্তী সরকার রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপ করছে। গত সপ্তাহে একটি সংলাপ হয়েছিল। তার ধারাবাহিকতায় শনিবার (১৯ অক্টোবর) রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আবারও সংলাপ করবে সরকার।’
জাতীয় পার্টিকে (জাপা) সংলাপে ডাকা হবে কিনা, এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘এ বিষয়ে এখনও সিদ্ধান্ত হয়নি। এটি চলমান প্রক্রিয়া, পরে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।’
৫ অক্টোবর প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনায় (রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন) বিএনপিকে দিয়ে আলোচনা শুরু হয়। এরপর একে একে জামায়াতে ইসলামী, গণতন্ত্র মঞ্চ, হেফাজতে ইসলাম, বাম গণতান্ত্রিক জোট, ইসলামী আন্দোলন, এবি পার্টি ও গণ অধিকার পরিষদের সঙ্গে সংলাপ হয়। এর আগে বিভিন্ন বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে দুই দফা সংলাপে বসে অন্তর্বর্তী সরকার।
ডিমের দাম
দ্রব্যমূল্যে সহনীয় পর্যায়ে আনতে সরকার ইতোমধ্যে বেশ কিছু পদক্ষেপ নিয়েছে বলে ব্রিফিংয়ে জানান আবুল কালাম আজাদ মজুমদার। ডিমের দাম অনেক বেড়ে গেছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমদানিকৃত ডিমের শুল্ক ৩৩ শতাংশ থেকে কমিয়ে ১৩ শতাংশ নামিয়ে আনার সিদ্ধান্ত হয়েছে। অর্থাৎ ডিম আমদানিতে ২০ শতাংশ শুল্ক ছাড় সুবিধা পাবেন আমদানিকারকরা। এছাড়া ভোজ্যতেলের আমদানি শুল্ক ৫ শতাংশ কমিয়ে আনা এবং উৎপাদন ও সরবরাহ পর্যায়ে মূল্য সংযোজন কর প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত হয়েছে সরকার।
উপ প্রেস সচিব আজাদ বলেন, ‘দ্রব্যমূল্য নিয়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে এক ধরনের উদ্বেগ সবসময়ই ছিলো এবং এখনও আছে। এই মুহূর্তে ডিমের দাম ঊর্ধ্বমুখী। দ্রব্যমূল্য স্বাভাবিক রাখতে বর্তমান সরকার যথেষ্ট আন্তরিক। আজকে (মঙ্গলবার) ভোক্তা অধিদপ্তর কার্যালয়ে ডিম সরবরাহকারী, ব্যবসায়ী ও আড়তদারদের মধ্যে বৈঠক হয়েছে। সেখানে সিদ্ধান্ত হয়েছে-আড়তদাররা সরাসরি খামারিদের কাছ থেকে ডিম কিনবেন। যাতে করে ডিমের দাম কিছুটা কমে সহনীয় পর্যায়ে আসে।’
উপ প্রেস সচিব বলেন, ‘অন্যান্য পদক্ষেপের মধ্যে কৃষি বিপণন অধিদপ্তর রাজধানীর ২০টি স্থানে সুলভমূল্যে আলু, পেঁয়াজ, সবজিসহ ১০টি পণ্য বিক্রির কার্যক্রম শুরু করেছে। পরবর্তীতে আরও অন্যান্য স্থানে এই কার্যক্রম সম্প্রসারণ করা হবে।’
শ্রমিক অসন্তোষ প্রশমিত
গার্মেন্ট শিল্পে যে অস্থিরতা ছিল সেটি এখন স্বাভাবিক উল্লেখ করে আবুল কালাম আজাদ বলেন, ‘৯৯ শতাংশ কারখানা সচল রয়েছে এখন। যে দুই একটা গার্মেন্ট এখনও বন্ধ রয়েছে সেগুলো অন্যান্য কারণে রয়েছে। তবে শ্রমিক অসন্তোষ এখন অনেকটাই প্রশমিত হয়েছে।’
চাঁদাবাজি
ধামরাইয়ে এক গার্মেন্টস ফ্যাক্টরিতে ‘যুব দলের এক নেতা চাঁদা দাবি করছেন’; চাঁদা না দিলে কারখানা বন্ধ করে দেয়া হবে বলে হুমকি দিয়েছেন- এমন অভিযোগ করে এক সাংবাদিক আরও জানান, ফ্যাক্টরি মালিক স্থানীয় থানায় সাধারণ ডায়েরি করেছেন। এরকম অভিযোগ আরও আছে জানিয়ে ওই সংবাদিক বলেন, এসব বিষয়ে অন্তর্বর্তী সরকার কী পদক্ষেপ নেবে? জবাবে আবুল কালাম আজাদ মজুমদার বলেন, ‘কারো কাছে কেউ চাঁদা চাইলে তিনি পুলিশের কাছে অভিযোগ করবেন। পুলিশ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে। শুধু গার্মেন্টস নয় যেকোনো ক্ষেত্রে কেউ যদি চাঁদাবাজি কিংবা কোনো ধরণের অপরাধ করেন তাহলে তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়ার জন্য সরকারের পক্ষ থেকে স্পষ্ট নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। অপরাধী যেই হোন না কেন তাকে শক্ত হাতে দমন করা হবে।’
**মাইনাস টু ফর্মুলা**
বিএনপি আবারও ওয়ান ইলেভেনের মতো ‘মাইনাস টু ফর্মুলা’ দেখতে চায় না- বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের এমন বক্তব্যে প্রসঙ্গে এক প্রশ্নের জবাবে উপ প্রেস সচিব আজাদ বলেন, ‘আমাদের সরকার মাইনাস টু ফর্মুলা সম্পর্কে জানে না। এ বিষয়ে কোনো আলোচনাও হয়নি।
**জুলাই হত্যাকাণ্ডের বিচার**
আবুল কালাম আজাদ বলেন, ‘এই মুহূর্তে সরকারের প্রায়োরিটি (অগ্রাধিকার) হলো- জুলাই হত্যাকা-ের বিচার নিশ্চিত করা। গণঅভ্যুধ্যানে যারা হতাহত হয়েছেন তারা যেন ন্যায় বিচার পান সেই বিষয় নিয়ে সরকার আন্তরিকভাবে কাজ করছে। রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে রাষ্ট্র সংস্কার ও অন্যান্য বিষয় নিয়ে যে সংলাপ হয়েছে সেখানেও কিন্তু সব নেতৃবৃন্দ এই জুলাই হত্যাকান্ডের বিচারকে প্রাধান্য দিয়েছেন।’
**দ্রব্যমূল্যের সিন্ডিকেট**
দ্রব্যমূল্যের বৃদ্ধির পেছনে দায়ী সিন্ডিকেট কেন ভাঙা যাচ্ছে না- এমন প্রশ্নের জবাবে উপ প্রেস সচিব বলেন, ‘সরকার সিন্ডিকেট ভাঙার চেষ্টা করছে। ইতোমধ্যে তাদেরকে শনাক্ত করারও কাজ চলছে। আমরা আপনাদের (সাংবাদিক) কাছে সহায়তায় চাইবো সিন্ডিকেটের মাধ্যমে কারা পণ্যের মূল্য অস্বাভাবিক বাড়িয়ে দিচ্ছে বা মনোপলি ব্যবসা করছে- এসব তথ্য সরকারকে জানালে সরকার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে। এর বাইরে সরকার তো ইতোমধ্যে নানা পদক্ষেপ নিয়েছে। দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে রাখতে সরকারের আন্তরিকতার কোনো ঘাটতি নেই।’
বুধবার, ১৬ অক্টোবর ২০২৪
রাষ্ট্র সংস্কারের প্রক্রিয়া এগিয়ে নিতে আগামী শনিবার আরও কয়েকটি রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সংলাপে (আলোচনায়) বসবেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস। এবার সংলাপের আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে গণফোরাম, জাতীয়তাবাদী সমমনা জোট, বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি-বিজেপি (আন্দালিব পার্থ), ১২ দলীয় জোট, এলডিপি, জাতীয় মুক্তি কাউন্সিল, লেবার পার্টিকে।
সংলাপে আরও দুই একটি রাজনৈতিক দলকে আমন্ত্রণ জানানো হতে পারে বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রধান উপদেষ্টার উপ প্রেস সচিব মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ মজুমদার। তবে জাতীয় পার্টির (জাপা) বিষয়ে এখনও সিদ্ধান্ত হয়নি বলে জানান তিনি।
মঙ্গলবার (১৫ অক্টোবর) সন্ধ্যায় ঢাকায় ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত প্রেস ব্রিফিংয়ে এসব তথ্য জানান তিনি। এ সময় তিনি সংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন।
ব্রিফিংয়ে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম উপস্থিত ছিলেন। তিনি প্রধান উপদেষ্টার সহকারী প্রেস সচিব হিসেবে নিয়োগ পাওয়া সুচিস্মিতা তিথি ও নাঈম আলীকে পরিচয় করিয়ে দেন।
উপ প্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার বলেন, ‘রাষ্ট্র সংস্কারের প্রক্রিয়া এগিয়ে নিতে অন্তর্বর্তী সরকার রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপ করছে। গত সপ্তাহে একটি সংলাপ হয়েছিল। তার ধারাবাহিকতায় শনিবার (১৯ অক্টোবর) রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আবারও সংলাপ করবে সরকার।’
জাতীয় পার্টিকে (জাপা) সংলাপে ডাকা হবে কিনা, এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘এ বিষয়ে এখনও সিদ্ধান্ত হয়নি। এটি চলমান প্রক্রিয়া, পরে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।’
৫ অক্টোবর প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনায় (রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন) বিএনপিকে দিয়ে আলোচনা শুরু হয়। এরপর একে একে জামায়াতে ইসলামী, গণতন্ত্র মঞ্চ, হেফাজতে ইসলাম, বাম গণতান্ত্রিক জোট, ইসলামী আন্দোলন, এবি পার্টি ও গণ অধিকার পরিষদের সঙ্গে সংলাপ হয়। এর আগে বিভিন্ন বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে দুই দফা সংলাপে বসে অন্তর্বর্তী সরকার।
ডিমের দাম
দ্রব্যমূল্যে সহনীয় পর্যায়ে আনতে সরকার ইতোমধ্যে বেশ কিছু পদক্ষেপ নিয়েছে বলে ব্রিফিংয়ে জানান আবুল কালাম আজাদ মজুমদার। ডিমের দাম অনেক বেড়ে গেছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমদানিকৃত ডিমের শুল্ক ৩৩ শতাংশ থেকে কমিয়ে ১৩ শতাংশ নামিয়ে আনার সিদ্ধান্ত হয়েছে। অর্থাৎ ডিম আমদানিতে ২০ শতাংশ শুল্ক ছাড় সুবিধা পাবেন আমদানিকারকরা। এছাড়া ভোজ্যতেলের আমদানি শুল্ক ৫ শতাংশ কমিয়ে আনা এবং উৎপাদন ও সরবরাহ পর্যায়ে মূল্য সংযোজন কর প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত হয়েছে সরকার।
উপ প্রেস সচিব আজাদ বলেন, ‘দ্রব্যমূল্য নিয়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে এক ধরনের উদ্বেগ সবসময়ই ছিলো এবং এখনও আছে। এই মুহূর্তে ডিমের দাম ঊর্ধ্বমুখী। দ্রব্যমূল্য স্বাভাবিক রাখতে বর্তমান সরকার যথেষ্ট আন্তরিক। আজকে (মঙ্গলবার) ভোক্তা অধিদপ্তর কার্যালয়ে ডিম সরবরাহকারী, ব্যবসায়ী ও আড়তদারদের মধ্যে বৈঠক হয়েছে। সেখানে সিদ্ধান্ত হয়েছে-আড়তদাররা সরাসরি খামারিদের কাছ থেকে ডিম কিনবেন। যাতে করে ডিমের দাম কিছুটা কমে সহনীয় পর্যায়ে আসে।’
উপ প্রেস সচিব বলেন, ‘অন্যান্য পদক্ষেপের মধ্যে কৃষি বিপণন অধিদপ্তর রাজধানীর ২০টি স্থানে সুলভমূল্যে আলু, পেঁয়াজ, সবজিসহ ১০টি পণ্য বিক্রির কার্যক্রম শুরু করেছে। পরবর্তীতে আরও অন্যান্য স্থানে এই কার্যক্রম সম্প্রসারণ করা হবে।’
শ্রমিক অসন্তোষ প্রশমিত
গার্মেন্ট শিল্পে যে অস্থিরতা ছিল সেটি এখন স্বাভাবিক উল্লেখ করে আবুল কালাম আজাদ বলেন, ‘৯৯ শতাংশ কারখানা সচল রয়েছে এখন। যে দুই একটা গার্মেন্ট এখনও বন্ধ রয়েছে সেগুলো অন্যান্য কারণে রয়েছে। তবে শ্রমিক অসন্তোষ এখন অনেকটাই প্রশমিত হয়েছে।’
চাঁদাবাজি
ধামরাইয়ে এক গার্মেন্টস ফ্যাক্টরিতে ‘যুব দলের এক নেতা চাঁদা দাবি করছেন’; চাঁদা না দিলে কারখানা বন্ধ করে দেয়া হবে বলে হুমকি দিয়েছেন- এমন অভিযোগ করে এক সাংবাদিক আরও জানান, ফ্যাক্টরি মালিক স্থানীয় থানায় সাধারণ ডায়েরি করেছেন। এরকম অভিযোগ আরও আছে জানিয়ে ওই সংবাদিক বলেন, এসব বিষয়ে অন্তর্বর্তী সরকার কী পদক্ষেপ নেবে? জবাবে আবুল কালাম আজাদ মজুমদার বলেন, ‘কারো কাছে কেউ চাঁদা চাইলে তিনি পুলিশের কাছে অভিযোগ করবেন। পুলিশ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে। শুধু গার্মেন্টস নয় যেকোনো ক্ষেত্রে কেউ যদি চাঁদাবাজি কিংবা কোনো ধরণের অপরাধ করেন তাহলে তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়ার জন্য সরকারের পক্ষ থেকে স্পষ্ট নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। অপরাধী যেই হোন না কেন তাকে শক্ত হাতে দমন করা হবে।’
**মাইনাস টু ফর্মুলা**
বিএনপি আবারও ওয়ান ইলেভেনের মতো ‘মাইনাস টু ফর্মুলা’ দেখতে চায় না- বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের এমন বক্তব্যে প্রসঙ্গে এক প্রশ্নের জবাবে উপ প্রেস সচিব আজাদ বলেন, ‘আমাদের সরকার মাইনাস টু ফর্মুলা সম্পর্কে জানে না। এ বিষয়ে কোনো আলোচনাও হয়নি।
**জুলাই হত্যাকাণ্ডের বিচার**
আবুল কালাম আজাদ বলেন, ‘এই মুহূর্তে সরকারের প্রায়োরিটি (অগ্রাধিকার) হলো- জুলাই হত্যাকা-ের বিচার নিশ্চিত করা। গণঅভ্যুধ্যানে যারা হতাহত হয়েছেন তারা যেন ন্যায় বিচার পান সেই বিষয় নিয়ে সরকার আন্তরিকভাবে কাজ করছে। রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে রাষ্ট্র সংস্কার ও অন্যান্য বিষয় নিয়ে যে সংলাপ হয়েছে সেখানেও কিন্তু সব নেতৃবৃন্দ এই জুলাই হত্যাকান্ডের বিচারকে প্রাধান্য দিয়েছেন।’
**দ্রব্যমূল্যের সিন্ডিকেট**
দ্রব্যমূল্যের বৃদ্ধির পেছনে দায়ী সিন্ডিকেট কেন ভাঙা যাচ্ছে না- এমন প্রশ্নের জবাবে উপ প্রেস সচিব বলেন, ‘সরকার সিন্ডিকেট ভাঙার চেষ্টা করছে। ইতোমধ্যে তাদেরকে শনাক্ত করারও কাজ চলছে। আমরা আপনাদের (সাংবাদিক) কাছে সহায়তায় চাইবো সিন্ডিকেটের মাধ্যমে কারা পণ্যের মূল্য অস্বাভাবিক বাড়িয়ে দিচ্ছে বা মনোপলি ব্যবসা করছে- এসব তথ্য সরকারকে জানালে সরকার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে। এর বাইরে সরকার তো ইতোমধ্যে নানা পদক্ষেপ নিয়েছে। দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে রাখতে সরকারের আন্তরিকতার কোনো ঘাটতি নেই।’